Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের টেলিকম ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন

৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের টেলিকম ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন


নতুন দিল্লি, ১৫ আগস্ট , ২০২৩

 
৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তাঁর ভাষণে দেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা যেমন তিনি তুলে ধরেন, পাশাপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ক্ষমতায়নের ফলে ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির দিকও উল্লেখ করেন।  

১. তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ভারতের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দ্রুত এই পরিবর্তনের ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে গেছে। বর্তমানে প্রতিটি  গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছে যাওয়ার ফলে দেশের প্রত্যেক নাগরিক ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল পাচ্ছেন। 

২. শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪ সালের পূর্বে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের মাশুলের হার বর্তমানের তুলনায় যথেষ্ট বেশি ছিল। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরিখে ভারতে ইন্টারনেট ডেটার মাশুলের হার সবথেকে কম। এর ফলে দেশের প্রত্যেকটি পরিবারের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।

৩. শ্রী মোদী বলেন, দেশ এখন দ্রুতগতিতে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করছে। ৭০০টি জেলায় ইতিমধ্যে ফাইভ-জি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।  

৪. প্রধানমন্ত্রী জানান, সিক্স-জি প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য একটি উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর বাস্তবায়নের জন্য সরকার একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। 

প্রেক্ষাপট –

    ভারতে সব থেকে দ্রুততার সঙ্গে ফাইভ-জি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ৭০০টির বেশি জেলায় ফাইভ-জি পরিষেবা ইতোমধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রতিদিন থ্রি-জি বা ফোর-জি-র ৫০০বিটিএস ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় এক হাজারটি জায়গায় এই পরিষেবা পৌঁছে দেবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

    অত্যাধুনিক ফাইভ-জি প্রযুক্তির পরিকাঠামো দ্রুততম হারে পৌঁছে যাচ্ছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। এর ফলে উচ্চগতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ড পরিষেবার সুযোগ মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে যাবে। 

    সিক্স-জি মানের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সিক্স-জি ভিশনের সূচনা করেছেন। টেলিযোগাযোগ দপ্তর ভারত সিক্স-জি অ্যালায়েন্স কর্মীগোষ্ঠী গঠন করেছে। 

    ভারত ফোর-জি পরিষেবা মানুষের কাছে পৌছে দিতে সারা বিশ্বকে অনুসরণ করেছে। ফাইভ-জি পরিষেবা সারা বিশ্বের সঙ্গে সমহারে কার্যকর করছে। সিক্স-জি পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দানের পরিকল্পনা করেছে। 

    ২০১৪ সালে এক গিগাবাইটের মোবাইল ডেটার মাশুল ছিল ২৬৯ টাকা। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা। 

    প্রতি গিগাবাইট পিছু ডেটার দাম ভারতে যথেষ্ট কম।  

    উত্তর পূর্বাঞ্চল, সীমান্ত অঞ্চল, চরম বামপন্থী অধ্যুষিত অঞ্চল, উচ্চাকাঙ্খী জেলা এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নত গুণমানের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমাদের দ্বীপাঞ্চলে পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হচ্ছে। 

    সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে চেন্নাই থেকে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত ইন্টারনেটের তার বসানো হয়েছে। এর বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ১,২২৪ কোটি টাকা। 

    আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হচ্ছে। 

    ওএফসি সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে কোচি থেকে লাক্ষ্মাদ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রের তলা দিয়ে তার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এই কাজ শেষ হলে কোচি এবং ১১টি দ্বীপের মধ্যে ১০০ জিবিপিএস গতিতে তথ্য সরবরাহ করার সুযোগ নিয়ে আসবে।

    যেসব গ্রামে ফোর-জি পরিষেবা পৌঁছায়নি, সেখানে এই পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬,৩১৬ কোটি টাকা। 

    এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ২৪,৬৮০টি গ্রামে ফোর-জি মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। 

 
AC/CB/AS