Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

৪০তম ‘প্রগতি’-র বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী

৪০তম ‘প্রগতি’-র বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী


নতুন দিল্লি, ২৫ মে,  ২০২২
 
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে সামিল করে সক্রিয় প্রশাসন তথা সময়মত রূপায়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভিত্তিক বহুস্তরীয় প্ল্যাটফর্ম বা প্রগতির ৪০তম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ পৌরোহিত্য করেছেন। 
 
এই বৈঠকে আটটি প্রকল্প ও একটি বৃহৎ কর্মসূচি সহ নয়টি এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এই আটটি প্রকল্পের মধ্যে দুটি করে রেল, সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় মহাসড়ক এবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের অধীন। একটি করে প্রকল্প বিদ্যুৎ মন্ত্রক, জলসম্পদ দপ্তর, নদী উন্নয়ন ও গঙ্গা পুনরুজ্জীবন বিষয়ক দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত। ১৪টি রাজ্যে এই প্রকল্পগুলি ছড়িয়ে রয়েছে। প্রকল্প খাতে খরচের আনুমানিক পরিমাণ ৫৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বেশি। যে ১৪টি রাজ্যে এই আটটি প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে, সেগুলি হল – মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও ঝাড়খন্ড। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক ও রেলের মত এজেন্সিগুলি যারা পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করছে, তারা অমৃত সরোবর উদ্যোগের আওতায় যে সমস্ত জলাশয় গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলিতে তাদের পরিকল্পনার মানচিত্র প্রণয়ন করতে পারে। এধরণের প্রয়াসে সবপক্ষই সমান লাভবান হবে, কারণ অমৃত সরোবর তৈরি করার সময় যে সমস্ত সামগ্রী পাওয়া যাবে তা পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজে যুক্ত এজেন্সিগুলি সদ্ব্যবহার করতে পারে। 
 
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ‘ব্রড ব্র্যান্ড মিশন’ কর্মসূচির অগ্রগাতি পর্যালোচনা করেন। তিনি রাজ্য ও অন্যান্য এজেন্সিগুলিকে কেন্দ্রীয়স্তরে গড়ে তোলা গতি শক্তি সঞ্চার পোর্টালের সুবিধা গ্রহণ করার কথা বলেন, যাতে রাইট অফ ওয়ে অ্যাপ্লিকেশনগুলির সময়মত নিষ্পত্তি করা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এরফলে ন্যাশনাল ব্রড ব্র্যান্ড মিশনের রূপায়ন ত্বরান্বিত হবে। একই সঙ্গে রাজ্য ও এজেন্সিগুলি সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজ্যগুলিও রাজ্যস্তরীয় গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে পারে। এই লক্ষে রাজ্যস্তরীয় ইউনিট গঠন করা যেতে পারে। এধরণের প্রয়াস সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন তথা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি চিহ্নিতকরণ ও তার সমাধানে সুদূরপ্রসারি ভূমিকা নিতে পারে। পক্ষান্তরে তা বিভিন্ন প্রকল্পের সময়মত রূপায়নে সমন্বয় বজায় রাখা সুনিশ্চিত করবে। 
 
প্রগতির ৩৯টি বৈঠকে ১৪ লক্ষ ৮২ হাজার কোটি টাকার মোট ৩১১টি প্রকল্পের পর্যালোচনা করা হয়েছে। 
 
 
CG/BD/AS/