নয়াদিল্লি, ২৬ জুন, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৭ জুন মধ্যপ্রদেশ সফরে যাবেন।
সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী রানী কমলাপতি রেল স্টেশন থেকে ৫টি বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। দুপুর ৩টেয় শাহদল-এ এক অনুষ্ঠানে তিনি রানী দুর্গাবতীকে শ্রদ্ধা জানাবেন, সিকল সেল রক্তাল্পতা নির্মূল মিশনের সূচনা করবেন এবং আয়ুষ্মান ভারত কার্ড বিতরণ চালু করবেন।
ভূপালে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ভূপালের রানী কমলাপতি রেল স্টেশনে ৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। এগুলি হল : রানী কমলাপতি-জব্বলপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস : খাজুরাহ-ভূপাল-ইন্দৌর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস : মাদগাঁও (গোয়া)-মুম্বাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস : ধারওয়াড়-বেঙ্গালুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং হাতিয়া-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
রানী কমলাপতি-জব্বলপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মধ্যপ্রদেশের মহাকৌশল এলাকাকে (জব্বলপুর) মধ্যাঞ্চলের সঙ্গে (ভূপাল) সংযুক্ত করবে। ভেরাঘাট, পাঁচমারি, সাতপুরা প্রভৃতির মতো পর্যটন স্থলগুলিও এর মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। বর্তমানে এই রুটে সব থেকে দ্রুতগামী ট্রেন যা সময় নেয়, বন্দে ভারত তার থেকেও প্রায় ৩০ মিনিট কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবে।
খাজুরাহ-ভূপাল-ইন্দৌর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চলের সঙ্গে (ভূপাল) মালওয়া (ইন্দৌর) ও বুন্দেলখন্ড (খাজুরাহ) অঞ্চলের সংযোগ উন্নত করবে। মহাকালেশ্বর, মান্ডু, মাহেশ্বর, খাজুরাহ, পান্না-র মতো পর্যটক প্রিয় স্থানগুলি এর সুফল পাবে। বর্তমানে এই রুটে সব থেকে দ্রুতগামী ট্রেন যা সময় নেয়, বন্দে ভারত তার থেকেও প্রায় আড়াই ঘণ্টা কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবে।
মাদগাঁও (গোয়া)-মুম্বাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল গোয়ার প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন। এটি মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস ও গোয়ার মাদগাঁও স্টেশনের মধ্যে যাতায়াত করবে। বর্তমানে এই রুটে সব থেকে দ্রুতগামী ট্রেন যা সময় নেয়, বন্দে ভারত তার থেকেও প্রায় ১ ঘণ্টা কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবে।
ধারওয়াড়-বেঙ্গালুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কর্ণাটকের ধারওয়াড়, হুব্বলি ও দাবাংগেরে-র মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির সঙ্গে রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুকে সংযুক্ত করবে। এর ফলে ওই অঞ্চলের পর্যটক, ছাত্রছাত্রী, শিল্পপতিরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। বর্তমানে এই রুটে সব থেকে দ্রুতগামী ট্রেন যা সময় নেয়, বন্দে ভারত তার থেকেও প্রায় ৩০ মিনিট কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবে।
হাতিয়া-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল ঝাড়খন্ড ও বিহারে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন। এর মাধ্যমে পাটনা ও রাঁচির মধ্যে যোগাযোগের উন্নতি হবে। উপকৃত হবেন পর্যটক, ছাত্রছাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে এই রুটে সব থেকে দ্রুতগামী ট্রেন যা সময় নেয়, বন্দে ভারত তার থেকেও প্রায় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবে।
শাহদল-এ প্রধানমন্ত্রী
শাহদল-এ এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সিকল সেল রক্তাল্পতা নির্মূল মিশনের সূচনা করবেন। সুবিধাভোগীদের হাতে সিকল সেল জেনেটিক স্টেটাস কার্ডও তুলে দেবেন তিনি।
এই মিশনের লক্ষ্য হল, সিকল সেল রোগাক্রান্তরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, তার মোকাবিলা করা। এক্ষেত্রে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশ থেকে সিকল সেল রোগ নির্মূল করার যে প্রয়াস সরকার চালাচ্ছে, এই মিশনের সূচনা সেই লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক। চলতি বছরের সাধারণ বাজেটে এই মিশনের ঘোষণা করা হয়েছিল। দেশের ১৭টি রাজ্যের ২৭৮টি জেলায় এই প্রকল্পের রূপায়ণ করা হবে। রাজ্যগুলি হল, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, অসম, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, বিহার এবং উত্তরাখন্ড।
প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশে প্রায় ৩.৫৭ কোটি সুবিধাভোগীর মধ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (এবি-পিএমজেএওয়াই) কার্ড বিতরণের সূচনা করবেন। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লকে এই কার্ড বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি সুবিধাভোগীর কাছে সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুফল ১০০ শতাংশ পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী রেখেছেন, আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ অভিযান তা বাস্তবায়নের দিকে এক বড় পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘রানী দুর্গাবতী গৌরব যাত্রা’র সমাপ্তিতে রানী দুর্গাবতীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সাধারণ মানুষকে রানী দুর্গাবতীর সাহস ও ত্যাগ সম্পর্কে অবহিত করতে মধ্যপ্রদেশ সরকার এই যাত্রার আয়োজন করেছে। রানী দুর্গাবতী ছিলেন মধ্য ষোড়শ শতাব্দীতে গন্ডওয়ানার শাসিকা। একজন সাহসী, নির্ভিক, তেজস্বী যোদ্ধা হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। স্বাধীনতার জন্য মুঘলদের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছিলেন।
পাকারিয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শাহদল জেলার পাকারিয়া গ্রাম পরিদর্শন করবেন এবং সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পেসা কমিটি ও গ্রামের ফুটবল ক্লাবের অধিনায়কদের সঙ্গে কথা বলবেন। আদিবাসী ও লোকশিল্পীদের উপস্থাপিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখবেন তিনি। নৈশভোজও করবেন পাকারিয়া গ্রামেই।
CG/SD/NS