Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

 

২০২৫-২৬-এর বাজেট প্রস্তাবকে ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, এবারের বাজেটে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে এবং প্রত্যেক নাগরিকের স্বপ্ন পূরণের পথ আরও সহজ হয়ে উঠেছে। 

শ্রী মোদী বলেন, দেশের যুবশক্তির জন্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রের দ্বার উন্মুক্ত করা হয়েছে। বিকশিত ভারত গঠনের স্বপ্নকে সফল করে তুলতে উদ্যোগী হবেন সাধারণ নাগরিকরাই। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়ে বলেছেন যে এবারের বাজেট দেশবাসীর শক্তি বৃদ্ধির কাজে সহায়তা করবে যার মধ্য দিয়ে বিনিয়োগ, সঞ্চয়, পণ্যের ব্যবহার এবং উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে। জনকল্যাণমুখী এই বাজেটের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শ্রী মোদী বলেন যে বাজেটে সাধারণত সরকারি কোষাগার কিভাবে পূর্ণ করা যায়, সেদিকেই লক্ষ্য রাখা হয়। কিন্তু এবারের বাজেটে সাধারণ নাগরিকের ঝুলি কিভাবে ভরিয়ে তোলা যায়, সেদিকেই নজর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাঁদের যেমন সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে, সেইসঙ্গে তাঁরা হয়ে উঠবেন দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার বিশেষ অংশীদার। উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এবারের বাজেট এক নতুন দিশা দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

শ্রী মোদী বলেন, এবারের বাজেটে সংস্কার প্রচেষ্টার লক্ষ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বেসরকারি প্রচেষ্টায় পরমাণু জ্বালানিশক্তি উৎপাদনকে উৎসাহদান এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে বর্ণনা করেন তিনি। তাঁর মতে, অসামরিকভাবে পরমাণু শক্তির ব্যবহার দেশের উন্নয়নকে আরও জোরদার করে তুলবে। এবারের বাজেটে সবক’টি কর্মসংস্থান ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্বদানের বিষয়টিকে এক বিশেষ পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে পরিকাঠামোর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন যে এর ফলে ভারতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এছাড়াও, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজকেও তা আরও সহজ করে তুলবে বলে মনে করেন তিনি। দেশের ৫০টি পর্যটন স্থানে হোটেল নির্মাণ ব্যবস্থাকে পরিকাঠামোর আওতায় নিয়ে আসার ফলে দেশে পর্যটনের প্রসার ঘটবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে এর ফলে আতিথেয়তা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের বিশেষ সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিকাশ ভি বিরাসত ভি’ মন্ত্রকে সম্বল করে দেশ এখন উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। ১ কোটি পাণ্ডুলিপিকে জ্ঞান ভারতম মিশনের আওতায় সংরক্ষণের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও, একটি জাতীয় ডিজিটাল রিপোজিটরি গঠনের প্রস্তাব ভারতীয় জ্ঞান আহরণ প্রচেষ্টার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

এবারের বাজেটে দেশের কৃষকদের স্বার্থে যে সমস্ত কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তা দেশের কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লব সম্ভব করে তুলবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে এর ফলে সার্বিকভাবে লাভবান হবে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি। ‘প্রধানমন্ত্রী ধন ধান্য কৃষি যোজনা’র আওতায় সেচ ও পরিকাঠামো উন্নয়ন ব্যবস্থার প্রসার ঘটবে দেশের ১০০টি জেলায়। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব কৃষকদের আর্থিক দিক থেকে সহযোগিতার যোগান দেবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে এর ফলে আয় ও উপার্জনকারী সকল মানুষই বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। বিশেষত, মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং যাঁরা কাজে নতুন যোগ দিয়েছেন, তাঁরাও এর ফলে লাভবান হবেন। 

নির্মাণ ও উৎপাদন শিল্পকে জোরদার করে তোলার যে কথা বলা হয়েছে এবারের বাজেট প্রস্তাবে তারও বিশেষ প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এর ফলে শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টা এবং সেইসঙ্গে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এবং ক্ষুদ্র বাণিজ্যিক প্রচেষ্টা বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে। পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি, চর্মশিল্প, চামড়ার তৈরি জুতো এবং অন্যান্য সামগ্রী ও খেলনা শিল্পও ন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারিং মিশনের আওতায় বিশেষ সহায়তা লাভ করবে। বিশ্ব বাজারে ভারতের উৎপাদন সামগ্রী যাতে প্রতিযোগিতায় নামতে পারে, সেই লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা বিশেষ কার্যকর হবে বলেই মনে করেন তিনি। 

এবারের বাজেট প্রস্তাবকে অনুসরণ করে দেশে বিনিয়োগ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এক বিশেষ প্রতিযোগিতা গড়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এবং স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে দ্বিগুণ হারে ঋণ সহায়তার ঘোষণাকেও স্বাগত জানান তিনি। তিনি বলেন, তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং মহিলা যাঁরা প্রথমবার শিল্প প্রচেষ্টায় সামিল হচ্ছেন, তাঁদের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তাদানের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে এবারের বাজেট প্রস্তাবে। শ্রমের মর্যাদাদানের লক্ষ্যে সরকারি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে ই-শ্রম পোর্টালে শ্রমিকদের নথিভুক্তির কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। জন বিশ্বাস ২.০-এর মতো নিয়ন্ত্রণমূলক এবং আর্থিক সংস্কার প্রচেষ্টা এবারের বাজেটের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

পরিশেষে শ্রী মোদী বলেন, এবারের বাজেটের লক্ষ্য শুধুমাত্র বর্তমানই নয়, দেশের ভবিষ্যৎও। এই ঐতিহাসিক বাজেট ঘোষণার জন্য দেশে সকল নাগরিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

 

 

SC/SKD/DM