Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

২০২৫-এর বাজেট অধিবেশনের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

২০২৫-এর বাজেট অধিবেশনের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ


নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি , ২০২৫

 

বন্ধুগণ,

আজ বাজেট অধিবেশের সূচনায় আমি সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর প্রতি প্রণাম জানাই। এ ধরনের উপলক্ষকে ঘিরে শত শত বছর ধরে আমরা দেবী লক্ষ্মীকে স্মরণ করে আসছি:

सिद्धिबुद्धिप्रदे देवि भुक्तिमुक्तिप्रदायिनि। मंत्रपूते सदा देवि महालक्ष्मि नमोस्तुते।

মা লক্ষ্মী আমাদের সাফল্য, প্রজ্ঞা ও সমৃদ্ধি এনে দেন এবং সকলের কল্যাণ করেন। আমি মা লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করছি, দেশের প্রতিটি গরিব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে তিনি যেন আশীর্বাদ করেন। 

বন্ধুগণ,

আমাদের ভারতের সাধারণতন্ত্র ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। এটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয় এবং ভারতের এই শক্তি গণতান্ত্রিক দুনিয়ায় দেশকে বিশেষ স্থান করে দেবে।

বন্ধুগণ,

দেশের মানুষ পর পর ৩ বার আমকে সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছেন এবং     তৃতীয়বারের সরকারের এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০৪৭ সালে, ভারত যখন ১০০-তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে, তখন উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্য সফল হবে। এই বাজেট অধিবেশন ১৪০ কোটি নাগরিকের মধ্যে নতুন আস্থা ও শক্তির সঞ্চার করবে। সরকারের তৃতীয়বারের কার্যকালে ভৌগোলিক, সামাজিক বা আর্থিক দিক থেকে দেশের সর্বাত্মক বিকাশের লক্ষ্যে কাজ কাজ করা হবে। এই অধিবেশনে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক বিল ও প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে এবং এগুলি আইনে পরিণত হলে, দেশ শক্তিশালী হবে। দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের লক্ষ্যে তৃতীয়বারের এই শাসনকালে কাজ করবে সরকার, তা ভৌগোলিক, সামাজিক বা আর্থিক, যাই হোক না কেন। সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে আমরা উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি এবং বিনিয়োগকে ভিত্তি করে আর্থিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। 

বরাবরের মতো এই অধিবেশনেও বহু ঐতিহাসিক দিন আসবে। আগামী দিনগুলিতে সভায় আলোচনা হবে এবং বিতর্কের পর বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা হবে, যা দেশের শক্তি বৃদ্ধি করবে। বিশেষত নারী শক্তির গর্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে, জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে কোনও বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেক নারীর মর্যাদাপূর্ণ জীবন সুনিশ্চিত করতে এবং তাঁদের সমানাধিকার প্রদানের লক্ষ্যে এই অধিবেশনে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের মন্ত্র হল, সংস্কার করো, কার্যসম্পাদন করো এবং রূপান্তর করো। দ্রুত গতিতে উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের সংস্কারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি।

আজকের ২০-২৫ বছর বয়সী তরুণরা উন্নত ভারতের সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন, তাঁরা তখন ৪৫-৫০ বছরে পৌঁছবেন। সেইসময় তাঁরা জীবনের এমন এক পর্যায়ে পৌঁছবেন, যেখানে তাঁরা নীতি প্রণয়নকারীর ভূমিকায় থাকবেন। তাঁরা উন্নত ভারতের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। উন্নত ভারতের অঙ্গীকার পূরণে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। 

১৯৩০, ১৯৪০-এর দশকে যাঁরা দেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, ২৫ বছর পর তার সুফল ভোগ করেছিলেন পরবর্তী প্রজন্ম। একইভাবে আগামী ২৫ বছর সমৃদ্ধ ও উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্ম নিজেদের উৎসর্গ করবে। 

এই বাজেট অধিবেশনে উন্নত ভারতের ভাবনাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করবেন সমস্ত সাংসদরা। বিশেষত, এই অধিবেশন তরুণ সাংসদদের কাছে এক সুবর্ণ সুযোগ। কারণ, সভার কাজে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সচেতনতার মাধ্যমে তাঁরা উন্নত ভারতের সুফল লাভ করতে পারবেন। তরুণ সাংসদের কাছে এটি হল এক অমূল্য সুযোগ। 

বন্ধুগণ,

আমার আশা, এই বাজেট অধিবেশন দেশের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হবে। 

বন্ধুগণ,

আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন, সংবাদমাধ্যমও এটা লক্ষ্য করেছে। ২০১৪ সালের পর এটিই প্রথম সংসদের অধিবেশন, যার সূচনার একদিন বা দুদিন আগে কোনো বৈদেশিক শক্তির অস্থিরতা সৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি, বিদেশ থেকে আগুন লাগানোর কোনো চেষ্টা হয়নি। ২০১৪ থেকে ১০ বছর ধরে আমি লক্ষ্য করছি, অধিবেশন শুরুর আগে কিছু মানুষ অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাত এবং তাতে ইন্ধন দেওয়ার মানুষেরও অভাব ছিল না। গত এক দশকে এটাই প্রথম অধিবেশন, যেখানে বিদেশের কোনো অংশ থেকেই এ ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির ঘটনা ঘটানো হয়নি।  

আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি দিয়েছেন হিন্দিতে।

 

SC/ MP /NS