নয়াদিল্লি, ১৯ মার্চ, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। পশুপালন ক্ষেত্রের উন্নতি ঘটানোর জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সময়কালে এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩,৪০০ কোটি টাকা। মন্ত্রিসভার বর্তমান প্রস্তাবে ২০২৪-২৫ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সময়কালে অতিরিক্ত ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সংশোধিত রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের দুটি উল্লেখযোগ্য দিক হল –
(১) বকনা বাছুরের প্রতিপালনের জন্য ৩০টি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা যেখানে সরকার এককালীন ৩৫ শতাংশ মূলধনের যোগান দেবে। এর ফলে, মোট ১৫ হাজার এ ধরনের ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে।
(২) উন্নত প্রজাতির বকনা বাছুর কিনতে গো-পালকদের উৎসাহিত করা হবে। এ কারণে কৃষকরা দুগ্ধ ইউনিয়ন / আর্থিক প্রতিষ্ঠান / ব্যাঙ্কগুলি থেকে যদি ঋণ নেন, তাহলে সেই ঋণের সুদের ৩ শতাংশ অর্থ সরকার প্রদান করবে। এভাবে উন্নত প্রজাতির বকনা বাছুর পাওয়া যাবে।
রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের উদ্দেশ্য হল বীর্য সংগ্রহ করে সেগুলির সংরক্ষণ, কৃত্রিমভাবে গোরুর গর্ভে বীর্য স্থাপন, উন্নতমানের ষাঁড়ের জন্ম দেওয়া, গো-পালকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা, আরও বেশি সংখ্যক গবাদি পশুর জন্মের জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন বাস্তবায়নের ফলে দেশে গত ১০ বছরে ৬৩.৫৫ শতাংশ বেশি দুধ উৎপাদন হচ্ছে। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে মাথাপিছু ৩০৭ গ্রাম দুধ উৎপাদন হত। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ২৬.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭১ গ্রামে পৌঁছেছে।
দেশজুড়ে কৃত্রিমভাবে গোরুর গর্ভে বীর্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে উন্নতমানের গবাদি পশু জন্ম দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এর আওতায় দেশের ৬০৫টি জেলাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঐ অঞ্চলগুলিতে সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি প্রয়োগ করে ৫০ শতাংশের কম উন্নতমানের গবাদি পশুর জন্ম দেওয়া হয়। সংশোধিত রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনে এই ছবিটির বদল ঘটানো হবে। এ পর্যন্ত ৫ কোটি ২১ লক্ষ গো-পালক ও ৮ কোটি ৩৯ লক্ষ গবাদি পশু এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে। দেশজুড়ে ২২টি ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত প্রজাতির গবাদি পশুর জন্ম দিতে সরকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং আইসিএআর ন্যাশনাল ব্যুরো অফ অ্যানিম্যাল জেনেটিক রিসোর্সেস দেশীয় পদ্ধতিতে উন্নত প্রজাতির গবাদি পশু চাষ করছে। এই উদ্যোগগুলির ফলে আগামীদিনে দেশে আরও বেশি পরিমাণে দুধ উৎপাদন হবে। ফলস্বরূপ, গো-পালকদের আয় বাড়বে। দেশের ৮ কোটি ৫০ লক্ষ কৃষক দুগ্ধশিল্পের উন্নতিতে লাভবান হবেন।
SC/CB/DM.