Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

২০২১-এর জলবায়ুর উপর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নতুন দিল্লি, ২২শে এপ্রিল, ২০২১

 

মাননীয় রাষ্ট্রপতি বাইডেন, 
আমরা বিশিষ্ট সহকর্মীরা, 
এই বিশ্বে আমার সহ নাগরিকবৃন্দ, 
নমস্কার !
এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রথমে আমি রাষ্ট্রপতি বাইডেনকে ধন্যবাদ জানাই। এই মুহুর্তে মানব জাতি একটি আন্তর্জাতিক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর এটি যথেষ্ট সময়োপযোগী আয়োজন যা জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ঙ্কর সঙ্কটকে আমাদের আরো একবার মনে করিয়ে দেয়। 
বাস্তবিকই সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন একটি জ্বলন্ত সমস্যা,যার  জন্য তাদের জীবন ও জীবিকা ইতিমধ্যেই প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার। 
বন্ধুগণ,  
মানব জাতির  জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাস্তব সম্মত প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করা প্রয়োজন। এটি বৃহৎ আকারে বিশ্বজুড়ে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। ভারতে আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫০ গিগাওয়াট পুনর্নবিকরণযোগ্য জ্বালানী উৎপাদনে আমাদের উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্যের মাধ্য়মে আমাদের দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হচ্ছে।  
উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী, জ্বালানীর দক্ষতা, বনসৃজন এবং জীব বৈচিত্র্যের মতো ক্ষেত্রে আমরা দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি। আর তাই বিশ্বে গুটিকয় দেশের মধ্যে ভারতের এনডিসি ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা আন্তর্জাতিক সৌরজোট, লিড আইটি এবং কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফাস্ট্রাকচারের মতো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে উৎসাহী। 
বন্ধুগণ, 
জলবায়ুর প্রতি দায়বদ্ধ এক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারতের স্থিতিশীল উন্নয়নে একটি কাঠামো গড়ে তোলার কাজে আমরা সব সময়ই অংশীদারদের আহ্বান জানাই। যে সব দেশের আয়ত্বের মধ্যে পরিবেশবান্ধব আর্থিক সহায়তা এবং  প্রযুক্তির প্রয়োজন, তাদের ক্ষেত্রে এই কাঠামো সাহায্য করবে। 
আর তাই রাষ্ট্রপতি বাইডেন এবং আমি, ‘ভারত – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু ও স্বচ্ছ জ্বালানী এজেন্ডা ২০৩০ এর অংশীদারিত্ব’  শীর্ষক এই আলোচনা চক্রের সূচনা করছি। একযোগে আমরা বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করবো এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিভিন্ন অংশীদারিত্বকেও আমরা সহায়তা করবো। 
বন্ধুগণ,  
আজ আমরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। আমি আপনাদের কাছে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। ভারতে মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ সারা বিশ্বের নিরিখে ৬০ শতাংশ কম। এর মূল কারণ হল, আমাদের জীবন শৈলী এখনও স্থিতিশীল চিরায়ত পন্থায় আগ্রহী। 
আর তাই আজ আমি জীবনযাত্রার পরিবর্তন ঘটিয়ে জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগের গুরুত্বের কথা স্মরণ করতে চাই। স্থিতিশীল জীবনযাত্রা এবং শিকড়ের কাছাকাছি থাকার মতো দর্শন কোভিড পরবর্তী সময়ে আমাদের অর্থনৈতিক কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।  
বন্ধুগণ, 
এই প্রসঙ্গে আমি মহান ভারতীয় সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের কথা উল্লেখ করতে চাই। সেটি হল – “ওঠো জাগে এবং অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছানো না পর্যন্ত এগিয়ে চলো”। আসুন আমরা এই দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশীদার হয়ে উঠি।  
ধন্যবাদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ।   

 

CG/CB/SFS