Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

১৯ফেব্রুয়ারি তারিখেশ্রাবণবেলাগোলায় বাহুবলী মহামস্তক অভিষেকম মহোৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

১৯ফেব্রুয়ারি তারিখেশ্রাবণবেলাগোলায় বাহুবলী মহামস্তক অভিষেকম মহোৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

১৯ফেব্রুয়ারি তারিখেশ্রাবণবেলাগোলায় বাহুবলী মহামস্তক অভিষেকম মহোৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

১৯ফেব্রুয়ারি তারিখেশ্রাবণবেলাগোলায় বাহুবলী মহামস্তক অভিষেকম মহোৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


পরমপূজ্য আচার্যমহারাজজি, সমস্ত পূজ্য মুনিরাজ মহোদয়, সমস্ত পূজ্য মাতাজি, মঞ্চে বিরাজমানকর্ণাটকের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রীযুক্ত ওয়জুভাইওয়ালা মহোদয়, আমার কেন্দ্রীয়মন্ত্রীসভার সদস্য সদানন্দ গৌড়াজি, অনন্তকুমারজি, পীযুষ গোয়েলজি, রাজ্যের মন্ত্রীশ্রীমঞ্জুজি, এখানকার প্রবন্ধ সমিতির প্রধান শ্রীমান বাস্ত্রীশ্রী চারুকে শ্রীভট্টারকা স্বামীজি, হাসান জেলা পঞ্চায়েতের অধ্যক্ষ শ্রীমতী বি এস শ্বেতা দেবরাজজি,বিধায়ক শ্রী এন বালকৃষ্ণজি আর বিপুল সংখ্যায়  দেশের নানা প্রান্ত থেকে সমাগত সমস্ত শ্রদ্ধাবনত মা, বোন অ ভাইয়েরা,

আমার পরম সৌভাগ্য যে ১২ বছরেএকবার যে মহাপর্ব হয়, সেই পবিত্র সময়ে প্রধানমন্ত্রীরূপে দেশের সেবা করার দায়িত্বআমার উপর ন্যস্ত রয়েছে ।  সেজন্যে আজ আপনাদেরআশীর্বাদ পাওয়ার সৌভাগ্যও আমার হয়েছে ।   শ্রাবণবেলাগোলায়   এসে   ভগবান   বাহুবলী   মহামস্তক   অভিষেকম   মহোৎসবে  অংশগ্রহণ করে এত আচার্য, ভগবন্ত, মুনি ও মাতাদের  আশীর্বাদ   পাওয়ার   পরম   সৌভাগ্যের ব্যাপার !

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যখনপ্রস্তাব এসেছিল, এখানকার তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে যা যা করার আমরা করেছি ।  কয়েকটি এমন আইন ছিল যে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণবিভাগের সুচারুভাবে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল ।  আমি খুশি যে, আমরা দায়িত্ব নিয়ে এসব সমস্যা দূরকরতে পেরেছি ।

আজ এখানে আমার একটি হাস্পাতালউদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে ।  অনেকে মনে করেন যেআমাদের দেশে ধার্মিক কাজ অনেক হয়, কিন্তু সামাজিক কাজ কম হয় ।  এই ধারণা ঠিক নয় ।  ভারতের সাধু সন্ন্যাসী আচার্য মুনি ভগবন্তরা যেখানেযেভাবে আছেন সর্বদাই কোনও না কোনোভাবে সমাজের কল্যাণে কাজ করে যান ।

আজও আমাদের এমন সন্ন্যাসীপরম্পরা রয়েছে যে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরত্বেও কেউ অভুক্ত রয়েছে  –  এমন খবর পেলে সাধুসন্ন্যাসীরা যেকোনোভাবে তাঁর পেট ভরানোর ব্যবস্থা করে দেয় ।

আমাদের   মুনি   ঋষিরা   পারম্পরিক   ভাবেই   অনেক সামাজিক কাজ, শিক্ষা, আরোগ্য, মানুষের নেশামুক্তির কাজ করার অভিযানেরনেতৃত্ব করে থাকেন ।

আজ যখন গোমটেকসুদী পড়ছিলাম,মনে হল সেখানে বর্ণিত বাহুবলী ও এই গোটা অঞ্চলের কথা যেভাবে লেখা রয়েছে তা আপনাদেরশোনাই ।  সেখানে লেখা আছে, – অচ্ছায়স্বচ্ছং জলকন্ত গণ্ডম, আবাহু দোউরতম সুকন্ন পাসমং

গয়েন্দ সিন্ধু জল বাহুদণ্ডম, তমগোমটেশম পনণামির্চম

অর্থাৎ, যার দেহ আকাশের মতোনির্মল, যার দুই গাল জলের মতো স্বচ্ছ, যার কর্ণপল্লব কাঁধ পর্যন্ত দোলায়িত, যার দুইবাহু গজরাজের শুঁড়ের মতো দীর্ঘ এবং সুন্দর, এহেন গোমটেশ স্বামীকে আমি প্রতিদিনপ্রণাম করি ।

পূজনীয় স্বামীজি আমাকে অনেকআশীর্বাদ দিয়েছেন, আমার মায়ের কথা জিজ্ঞেস করেছেন, তাঁর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষনেই ।  দেশে পরিবর্তিত সময়ের অনুকূলসমাজ জীবনে পরিবর্তন আনা ভারতীয় সমাজের বৈশিষ্ট ।  যা কিছু কালবাহ্য, সমাজ যে সব কুসংস্কারে দীর্ণ হয়েপড়ে, কখনও সেগুলিকে আস্থার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ।

আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদেরসমাজেই এমন সব সিদ্ধপুরুষ সন্ন্যাসীরা জন্ম নেন, যারা সমাজকে সঠিক পথ দেখিয়ে সমস্তকালবাহ্য বিষয় থেকে মুক্তি দিয়ে সময়ানুকূল জীবন অতিবাহত করার জন্য প্রেরণা জোগাতেথাকেন ।

মহাকুম্ভের মতো প্রত্যেক ১২বছরে একবার এখানে বসে এই মহান চিন্তাবিদরা একত্রিত হয়ে সমাজের কল্যাণ চিন্তা করেন,সমাজকে আগামী ১২ বছরে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সেকথা ভাবেন ।  ঋষি মুনি সন্ন্যাসীরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেসমাজকে কোন পথ ত্যাগ করে কোন পথে চলতে হবে তা নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন ।  সেই আলাপ আলোচনার মন্থন থেকে যে অমৃত উঠে আসে তাআমরা প্রসাদরূপে পাই ।  যা আমরা নিজেদেরজীবনে প্রয়োগ করার  আপ্রাণ চেষ্টা করি ।

আজ এখানে আমার একটি হাসপাতালউদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে ।  এত বড় উৎসবেকেন্দ্রীয় সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কাজ ।  আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে এবারের বাজেটেকেন্দ্রীয় সরকার   সমাজের কল্যাণে একটিগুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে । –  আয়ুষ্মান ভারত । এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে কোনও গরিব পরিবার, পরিবারেকারও অসুখ হলে অনেক সময় অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হয়ে পড়েন,কখনও একই পরিবারের দুইতিন প্রজন্মের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার পেছনে এত দেনা হয়ে যায় যে গোটাপরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে ।  তখন আমাদের সবার উপরদায়িত্ব ব্ররতায় যে আমরা সেই সংকটের সময়ে সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াই, তাঁদের হাতধরি, তাঁদের কথা ভাবি!  আয়ুষ্মান ভারতপ্রকল্পের মাধ্যমে যে কোনও গরিব পরিবারে কারও অসুখ হলে বা অন্য সদস্যরাও আক্রান্তহয়ে পড়লে, কেন্দ্রীয় সরকার এক বছরে বিমার মাধ্যমে চিকিৎসার পেছনে পরিবারপিছু ৫লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রদান করবে ।  স্বাধীনতার পর এইপ্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া এ ধরণের পদক্ষেপ সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলেছে ।  সারা পৃথিবীতে কেউ কখনও এভাবে ভাবেননি, করেনও নি!

এটা তখনই সম্ভব হয় যখন আমাদেরশাস্ত্র অনুসারে, আমাদের মুনি ঋষিদের উপদেশ মেনে কেউ ভাবেন, সর্বে সুখেনা ভবন্তু ।  সর্বে সন্তু নিরাময়া!

আর এই  ‘ সর্বে সন্তু নিরাময়া ’  সংকল্প বাস্তবায়িতকরার জন্যে আমরা একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছি ।   আমার সৌভাগ্য যে আজঅনেক আচার্য ,  ভগবন্ত ,  মুনি ও মাতাদের আশীর্বাদ পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে ।

আমি এই পবিত্র সংসর্গে এসেনিজেকে ধন্য মনে করছি ।

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেকধন্যবাদ ।

PG/SB /NS/