নয়াদিল্লি, ২৪ অগাস্ট, ২০২২
অমৃতা হাসপাতাল রূপে আমাদের সবাইকে আশীর্বাদধন্য করে তোলা মা অমৃতানন্দময়ীজী-কে প্রণাম জানাই। স্বামী অমৃতাস্বরূপানন্দ পুরীজী, হরিয়ানার মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়জী, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহরলালজী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী শ্রী কৃষ্ণপালজী, হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দুষ্মন্ত চৌটালাজী, উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
কিছুদিন আগেই দেশ একটি নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে স্বাধীনতার অমৃতকালে প্রবেশ করেছে। আমাদের এই অমৃতকালে দেশের সামগ্রিক প্রচেষ্টাগুলি প্রতিষ্ঠিত রূপ নিচ্ছে। দেশের সামগ্রিক ভাবনা জাগ্রত হচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, অমৃতকালের এই প্রথম বেলায় দেশ মা অমৃতানন্দময়ীর আশীর্বাদধন্য হচ্ছে। ফরিদাবাদে আজ অমৃতা হাসপাতাল রূপে আরোগ্যের এত বড় প্রতিষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হচ্ছে। এই হাসপাতাল ভবনের আকারের দিক থেকে, প্রযুক্তি দিক থেকে যতটা আধুনিক, পরিষেবা, সংবেদনা এবং আধ্যাত্মিক চেতনার নিরিখে ততটাই অলৌকিক। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আধুনিকতা এবং আধ্যাত্মিকতার এই অদ্ভুত সঙ্গম গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার, তাঁদের জন্য সুলভে কার্যকর চিকিৎসার মাধ্যম হয়ে উঠবে। আমি এই অভিনব কাজের জন্য, সেবার এত বড় মহাযজ্ঞের জন্য পূজনীয় আম্মার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
স্নেহত্তিন্ডে, কারুণ্যত্তিন্ডে, সেওয়নত্তিন্ডে, ত্যাগত্তিন্ডে, পর্যায়মাণ আম্মা। মাতা অমৃতানন্দময়ী দেবী, ভারত্তিন্ডে মহত্তায়, আধ্যাত্মিক পারম্পর্যত্তিন্ডে, নেরওকাশিয়াণ।
অর্থাৎ – আম্মা, প্রেম, করুণা, সেবা ও ত্যাগের প্রতিমূর্তি। তিনি ভারতের আধ্যাত্মিক পরম্পরার বাহক।
আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে – অয়ং নিজঃ পরো ভেতি গণনা, লঘুচেতসাম্। উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্।। এত্র মহা উপনিষদ আশয়মাণ, অম্মইউডে, জীবিতা সন্দেশম।
অর্থাৎ – আম্মার জীবনবার্তার সঙ্গে আমরা মহা উপনিষদের বিশ্বকে আত্মীয় করে নেওয়ার ভাবনার মিল দেখতে পাই। আমি মঠের সঙ্গে যুক্ত সাধু-সন্ন্যাসীদের, ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে, সংশ্লিষ্ট সকল চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও অন্যান্য কর্মী বন্ধুদেরও আজকের এই পবিত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।
বন্ধুগণ,
আমরা বারবার শুনেছি, ন ত্বহম্ কাময়ে রাজ্যম্, ন চ স্বর্গ সুখানি চ। কাময়ে দুঃখ তপ্তানাম, প্রাণিনাম্ আর্তি নাশনম্।।
অর্থাৎ – আমাদের মনে রাজ্য লাভের কোনও কামনা নেই, স্বর্গ সুখের কোনও ইচ্ছে নেই। আমাদের কামনা হ’ল, আমরা যাতে গরীব-দুঃখীদের, রোগীদের পীড়া দূর করার সৌভাগ্য অর্জন করি। যে সমাজের ভাবনা এরকম, যে সমাজের শিষ্টাচার এরকম, সেখানে সেবা ও চিকিৎসা সমাজের চেতনাতেই পর্যবসিত হয়। সেজন্য ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে চিকিৎসা একটি সেবাকর্ম এবং আরোগ্য একটি দান, যেখানে আরোগ্য ও আধ্যাত্ম উভয়েই পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আমাদের দেশে আয়ুর্বিজ্ঞান একটি স্বতন্ত্র বেদ। আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানকেই আয়ুর্বেদ নাম দেয়েছি। আমরা আয়ুর্বেদের সবচেয়ে মহান বিদ্বানদের, সবচেয়ে মহান বৈজ্ঞানিকদের, ঋষি ও মহর্ষির স্থান দিয়েছি। এর মাধ্যমে তাঁদের উপর আমাদের পারমার্থিক আস্থা ব্যক্ত করেছি। মহর্ষি চরক, মহর্ষি শুশ্রুত, মহর্ষি বাগভট্ট এমন কতই না উদাহরণ রয়েছে, যাঁদের জ্ঞান ও স্থান আজ ভারতীয় মানসে অমরত্ব লাভ করেছে।
ভাই ও বোনেরা,
ভারত তার এই শিষ্টাচার ও দর্শনকে অনেক শতাব্দীর দাসত্ব ও অন্ধকার সময়েও কখনও কোনোভাবে লুপ্ত হতে দেয়নি। একে সযত্নে সংরক্ষণ করে রেখেছে। আজ দেশে আমাদের সেই আধ্যাত্মিক সামর্থ্য আরেকবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমাদের মহান আদর্শগুলির প্রাণশক্তি আরেকবার বলবান হয়ে উঠছে। পূজনীয় আম্মা ভারতের এই পুনর্জাগরণের একজন গুরুত্বপূর্ণ বাহক রূপে দেশ ও বিশ্বকে অনুভব করেছেন। তাঁর সংকল্প এবং প্রকল্পগুলি, সেবার এতগুলি বিশাল প্রতিষ্ঠান রূপে আজ আমাদের সামনে রয়েছে। সমাজ জীবনের সঙ্গে যুক্ত এরকম যত ক্ষেত্র রয়েছে, পূজনীয় আম্মান বাৎসল্য, তাঁর করুণা আমরা সব জায়গায় দেখতে পাই। তাঁর মঠ আজ হাজার হাজার শিশুকে ছাত্র বৃত্তি প্রদান করছে। লক্ষ লক্ষ মহিলাকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করে তুলছে। আপনার সবাই তাঁর মঠের এই ঐতিহ্য অনুসারে স্বচ্ছ ভারত অভিযানেও দেশের জন্য অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। স্বচ্ছ ভারত তহবিলে আপনাদের প্রদত্ত বহুমূল্য অবদানের সাহায্যে গঙ্গার পারে বসবাসকারী বেশ কিছু এলাকায় অনেক পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংগঠিত হয়েছে। এর ফলে, নমামি গঙ্গে অভিযানেও আপনারা অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। পূজনীয় আম্মার প্রতি গোটা বিশ্বে অনেক মানুষের মনে শ্রদ্ধাভাব রয়েছে। কিন্তু, আমি একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি। বিগত অনেক দশক ধরে আমি ক্রমাগত আম্মার স্নেহ, পূজনীয় আম্মার আশীর্বাদের পরশ নিয়মিত পেয়েছি। আমি তাঁর সরল মন ও মাতৃভূমির প্রতি বিশাল দূরদৃষ্টিকে অনুভব করেছি। আর সেজন্য আমি এটা বলতে পারি যে, দেশে এহেন উদার এবং মানবতার প্রতি সমর্পিত আধ্যাত্মিক সত্ত্বা থাকে, তার উৎকর্ষ ও উত্থান সুনিশ্চিতভাবে হয়।
বন্ধুগণ,
আমাদের ধার্মিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে শিক্ষা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত দায়িত্বগুলি পালনের এই ব্যবস্থা একরকমভাবে আমাদের প্রাচীনকালের পিপিপি মডেল। একে তো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টানারশিপ বলাই হয়। কিন্তু, আমি একে ‘পারস্পরিক প্রচেষ্টা’ রূপেও দেখি। দেশ নিজস্ব স্তরে বিভিন্ন ব্যবস্থা রচনা করে, পাশাপাশি বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ক্ষেত্রেও নিজস্ব ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমাদের দেশে এর পাশাপাশি, ধার্মিক প্রতিষ্ঠানগুলিও একেকটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। আজ দেশবাসীও এই চেষ্টা করছেন, যাতে সরকার সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে মিশন মোডে দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রের পুনর্নবীকরণ করবে। সেজন্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলিকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি, অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কার্যকর পিপিপি মডেল রচনা করা হচ্ছে। আমি এই মঞ্চ থেকে আহ্বান জানাই, অমৃতা হাসপাতালের এই প্রকল্প দেশের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের জন্যও একটি আদর্শ স্থাপন করবে, আদর্শ নিয়ে চলার মাধ্যমে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আমাদের অন্যান্য বেশ কিছু ধার্মিক প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে ও অন্যান্য অনেক সংকল্প নিয়ে কাজ করছে। আমাদের বেসরকারি ক্ষেত্র পিপিপি মডেলের পাশাপাশি, স্পিরিচ্যুয়াল প্রাইভেট পার্টনারশিপকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে অর্থ যোগানের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে।
বন্ধুগণ,
সমাজের প্রত্যেক শ্রেণী, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ক্ষেত্রের প্রচেষ্টার সুফল যে পাওয়া যায়, তা আমরা করোনার কঠিন সময়েও দেখেছি। এক্ষেত্রে যত স্পিরিচ্যুয়াল প্রাইভেট পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছে, আজ আমি সেগুলি সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, ভারত যখন নিজস্ব টিকা তৈরি করেছিল, তখন কিছু মানুষ কিভাবে এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেষ্টা করেছিল। এই অপপ্রচারের কারণেই সমাজে অনেক ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করে। কিন্তু, যখন এই সমাজের ধর্মগুরু ও অধ্যাত্মিক গুরুরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে জনগণকে ঐসব গুজবে কান দিতে মানা করেন, তখন এর দ্রুত প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ভারতকে সেরকম টিকাকরণ নিয়ে দ্বিধার সম্মুখীন হতে হয়নি – যেমনটি অন্যান্য অনেক দেশে দেখা গেছে। আজ ‘সবাক প্রয়াস’ – এর এই ভাবনাই ভারতকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ কর্মসূচি সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি যুগিয়েছে।
বন্ধুগণ,
এবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি অমৃত কালের পঞ্চপ্রাণের একটি দূরদৃষ্টি দেশের সামনে রেখেছি। এই পঞ্চপ্রাণের একটি হ’ল – সম্পূর্ণভাবে দাসত্বের মানসিকতাকে ত্যাগ করা। এই সময় দেশে এই বিষয়টি নিয়ে খুব আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা যখন এই মানসিকতা ত্যাগ করি, তখন আমাদের কর্মধারার দিশা পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন আজ দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায়ও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন আমরা নিজেদের পারম্পরিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার উপরও ভরসা করতে পারছি। এগুলির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকেও উপকৃত করতে পারছি। আমাদের আয়ুর্বেদ, আমাদের যোগ আজ সারা পৃথিবীতে একটি বিশ্বস্ত চিকিৎসা পদ্ধতি রূপে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভারতের এই প্রস্তাব নিয়ে আগামী বছর গোটা বিশ্ব ইন্টারন্যাশনাল মিলেট ইয়ার পালন করতে চলেছে। মোটা ধান, মোটা শস্য; আমি আশা করি যে আপনারা সবাই এই অভিযানকেও এভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। নিজেদের প্রাণশক্তিতে সমৃদ্ধ করে তুলবেন।
বন্ধুগণ,
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবার সীমা শুধু হাসপাতাল, ওষুধপত্র ও চিকিৎসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সেবার সঙ্গে যুক্ত এরকম অনেক কাজ থাকে, যা সুস্থ সমাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। উদাহরণ-স্বরূপ আমি বলতে পারি, পরিশ্রুত এবং বিশুদ্ধ জল যেন দেশের প্রত্যেক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় – এটাও তেমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে না জানি কত অসুখ শুধু দূষিত জলের কারণেই সৃষ্টি হয়। সেজন্য দেশবাসী তিন বছর আগেই জল জীবন মিশনের মতো দেশব্যাপী অভিযানের সূত্রপাত করেছিল। এই তিন বছরে দেশের ৭ কোটি নতুন গ্রামীণ পরিবারের রান্নাঘরের নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমি বলতে চাই, এই অভিযানে হরিয়ানা সরকার বিশেষভাবে কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি এ বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, হরিয়ানা আজ দেশের সেই অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম, যেখানে বাড়ি বাড়ি নল বাহিত জল পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। এভাবেই ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানেও হরিয়ানার জনগণ খুব ভালো কাজ করেছে। ফিটনেস এবং ক্রীড়া নৈপুণ্য – এই দুটি বিষয় তো হরিয়ানার শিরা-ধমনীতে প্রবাহিত। এগুলি হরিয়ানার মাটির সম্পদ। এখানকার শিষ্টাচারের অঙ্গ। তাই, এই রাজ্যের তরুণ-তরুণীরা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকার মর্যাদা বৃদ্ধি করছে। এই গতিতেই আমাদের দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও কম সময়ে অনেক বড় বড় সাফল্য অর্জন করতে হবে। আমাদের সামাজিক সংগঠনগুলিও এক্ষেত্রে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে।
বন্ধুগণ,
প্রকৃত উন্নয়ন সেটাই, যেটা সবার কাছে পৌঁছায়, যার দ্বারা সবাই লাভবান হন। কঠিন রোগগুলির চিকিৎসাকে সকলের জন্য সুলভ করে তোলার এই ভাবনা অমৃতা হাসপাতালেরও ভাবনা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে সেবার মনোভাব নিয়ে আপনারা এই অমৃতা সংকল্পকে হরিয়ানা ও দিল্লির এনসিআর – এর লক্ষ লক্ষ পরিবারকে আয়ুষ্মান করে তুলবে। আরেকবার পূজনীয় আম্মার শ্রীচরণে আমি প্রণাম জানাই। আপনাদের সকলকে হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানিয়ে অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
PG/SB/SB
Amrita Hospital in Faridabad will provide state-of-the-art healthcare facilities to people in NCR region. https://t.co/JnUnYU3m93
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
कुछ दिन पहले ही देश ने एक नयी ऊर्जा के साथ आजादी के अमृतकाल में प्रवेश किया है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
हमारे इस अमृतकाल में देश के सामूहिक प्रयास प्रतिष्ठित हो रहे हैं, देश के सामूहिक विचार जागृत हो रहे हैं: PM @narendramodi
भारत एक ऐसा राष्ट्र है, जहां, इलाज एक सेवा है, आरोग्य एक दान है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
जहां आरोग्य आध्यात्म, दोनों एक दूसरे से जुड़े हुये हैं।
हमारे यहाँ आयुर्विज्ञान एक वेद है। हमने हमारी मेडिकल साइन्स को भी आयुर्वेद का नाम दिया है: PM @narendramodi
हमारे धार्मिक और सामाजिक संस्थानों द्वारा शिक्षा-चिकित्सा से जुड़ी जिम्मेदारियों के निर्वहन की ये व्यवस्था एक तरह से पुराने समय का PPP मॉडल ही है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
इसे Public-Private Partnership तो कहते ही हैं लेकिन मैं इसे ‘परस्पर प्रयास’ के तौर पर भी देखता हूं: PM @narendramodi
आप सभी को ध्यान होगा कि जब भारत ने अपनी वैक्सीन बनाई थी, तो कुछ लोगों ने किस तरह का दुष्प्रचार करने की कोशिश की थी।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
इस दुष्प्रचार की वजह से समाज में कई तरह की अफवाहें फैलने लगी थीं: PM @narendramodi
लेकिन जब समाज के धर्मगुरू, अध्यात्मिक गुरू एक साथ आए, उन्होंने लोगों को अफवाहों पर ध्यान ना देने को कहा, तो उसका तुरंत असर हुआ।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
भारत को उस तरह की वैक्सीन hesitancy का सामना नहीं करना पड़ा, जैसा अन्य देशों में देखने को मिला: PM @narendramodi
इस बार लाल किले से मैंने अमृतकाल के पंच-प्राणों का एक विज़न देश के सामने रखा है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
इन पंच प्राणों में से एक है- गुलामी की मानसिकता का संपूर्ण त्याग।
इसकी इस समय देश में खूब चर्चा भी हो रही है।
इस मानसिकता का जब हम त्याग करते हैं, तो हमारे कार्यों की दिशा भी बदल जाती है: PM
हरियाणा आज देश के उन अग्रणी राज्यों में है, जहां घर-घर पाइप से पानी की सुविधा से जुड़ चुका है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
इसी तरह, बेटी बचाओ, बेटी पढ़ाओ में भी हरियाणा के लोगों ने बेहतरीन काम किया है।
फ़िटनेस और खेल जैसे विषय तो हरियाणा के संस्कारों में ही हैं: PM @narendramodi
Glimpses from Faridabad, where the Amrita Hospital has been inaugurated. @Amritanandamayi pic.twitter.com/LtwTXpS4hN
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
Proud to belong to a culture which attaches topmost importance to good health and well-being. pic.twitter.com/95rnGJz9JI
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
Respected Mata @Amritanandamayi Ji is a living manifestation of India's glorious tradition of living for others. Her efforts in healthcare, education and social welfare are outstanding. pic.twitter.com/QGXft4Oj0F
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
Collective efforts for a healthier India! pic.twitter.com/9bJkkt7sKD
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022