প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা বুধবার ‘রাষ্ট্রীয় আরোগ্য নিধি’ (আর.এ.এন.) এবং ‘জনসংখ্যা স্থিরতা কোষ’(জে.এস.কে.) নামের স্বশাসিত সংস্থাগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া এবং এদের কাজকে স্বাস্থ্যও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (ডি.এইচ.এফ.ডব্লিউ.) ওপর ন্যাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদনদিল|
এই উদ্যোগের ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সংস্থাগুলোরবর্তমান বিধিনিয়ম পর্যালোচনা ও আন্তঃ-মন্ত্রণালয় আলোচনা সম্ভব হবে| এক বছরেরমধ্যেই এই সিদ্ধান্তকে রূপায়ণ করা হবে|
রাষ্ট্রীয় আরোগ্য নিধি (আর.এ.এন.) গঠন করা হয়েছিলকেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে দরিদ্র মানুষের চিকিত্সা পাওয়ারক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য| এর জন্য ওই হাসপাতালগুলোর মেডিক্যালসুপারিনটেনডেন্টকে কিছু অর্থ আগে থেকেই দেওয়া হয়, যা থেকে তিনি ঘটনা বুঝে সহায়তাপ্রদান করেন| কিন্তু যেহেতু ডি.এইচ.এফ.ডব্লিউ.-এর পক্ষ থেকে এই তহবিল হাসপাতালকেদেওয়া হয়ে থাকে, তাই হাসপাতালকেই সারাসরি এই অর্থ দেওয়া যায়| অর্থাত আর.এ.এন.-এরকাজকে ডি.এইচ.এফ.ডব্লিউ.-এর ওপরই ন্যাস্ত করা যায়| আর.এ.এন. সোসাইটি তাই স্বশাসিতসংস্থা হিসেবে আর থাকবে না| সেইসঙ্গে ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যান্সার রোগী তহবিল’ও(এইচ.এম.সি.পি.এফ.) চলে যাবে ডি.এইচ.এফ.ডব্লিউ.-এর কাছে| এরজন্য একবছর সময় ধরাহয়েছে|
অন্যদিকে জনসংখ্যা স্থিরতা কোষ (জে.এস.কে.) স্থাপন করাহয়েছিল ২০০৩ সালে| একশ কোটি টাকা তহবিলের এই কোষ গঠন করা হয়েছিল জনসংখ্যারস্থিতিশীলতার কৌশল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য| সুনির্দিষ্ট এলাকাগুলোতেজে.এস.কে. বিভিন্ন কর্মসূচি করে থাকে| মন্ত্রক থেকে জে.এস.কে.-এর কাছে নিয়মিত অর্থপ্রদানের ব্যবস্থা ছিলনা| জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার কৌশলের জন্য যে বেসরকারি ওকর্পোরেটদের অর্থ সহায়তার প্রয়োজন, তা জে.এস.কে.-এর মধ্য দিয়ে আসতো| জনসংখ্যাস্থিতিশীল রাখা নিয়ে জে.এস.কে. কাজ করে যেতে থাকলেও একটি স্বশাসিত সংস্থা হিসেবেএর প্রয়োজনীয়তা নেই| তাই ডি.এইচ.এফ.ডব্লিউ. থেকেই একটি তহবিল হিসেবে জে.এস.কে.-কে পরিচালিতকরা হবে| ব্যয় পরিচালনা আয়োগের পরামর্শ অনুযায়ী নীতি আয়োগ ডি.এইচ.এফ.ডব্লিউ.-এরঅধীনস্ত ১৯টি স্বশাসিত সংস্থার পর্যালোচনা করেছে এবং এগুলোকে যুক্তিসঙ্গত করারপ্রস্তাব দিয়েছে| এই সংস্থাগুলোর কাজকর্মের ফলাফলকে আরও উন্নত করার জন্যই এইউদ্যোগ|
A.D.