· প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে সৌদি আরবের যুবরাজ তথা সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রি মহম্মদ বিন সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদ ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করেন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ করা যেতে পারে, সৌদি রাজা সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৬র এপ্রিলে সেদেশ সফরে গিয়েছিলেন।
· সৌদি যুবরাজকে রাষ্ট্রপতি ভবনে গত বিশে ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি যুবরাজের সম্মানে এক ভোজসভার আয়োজন করেন।
· প্রধানমন্ত্রী মোদী ও সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদ গত ২০ ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠকে মিলিত হন। এরপর যুবরাজ ভারতের বিদেশমন্ত্রী শ্রীমতি সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
· ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে যে মৈত্রী ও আন্তরিকতার সম্পর্ক রয়েছে তা এই দুই দেশের কয়েক শতাব্দী প্রাচীন অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক বন্ধনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। দুই দেশের মধ্যে ভৌগলিক নৈকট্য, সভ্যতাগত যোগসূত্র, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ, পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য এবং প্রগতিবাদী মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ রয়েছে। অভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ-সুবিধাগুলি দুই দেশের এই মজবুত সম্পর্কে আরও গতি সঞ্চার করেছে।
· এক সৌর্হাদ্রপূর্ণ বাতাবরণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মৈত্রীর এই বাতাবরণই দুই দেশ ও তাদের নেতৃবৃন্দকে একসূত্রে আবদ্ধ করে। উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও মৈত্রীর আদর্শ বাতাবরণ গড়ে ওঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার এই বাতাবরণ আস্হা, পারস্পরিক বোঝাপড়া, সৌজন্যবোধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। উভয় পক্ষই বাণিজ্য, শক্তি, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৬র এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর রিয়াধ সফর পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে এবং তা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
· সৌদি আরবে আধুনিকতাবাদ এবং উদারীকরণের যে সিদ্ধান্ত যুবরাজ নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর প্রশংসা করেন। একইভাবে সৌদি যুবরাজও ভারতের সার্বিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার আদর্শ অনুসরণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
· ২০১০র ফেব্রুয়ারিতে রিয়াধ ঘোষনাপত্রে যে কৌশলগত অংশিদারিত্ব গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল, তাকে আরও মজবুত করতে দুই পক্ষই তাদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন।
· দু-দেশের মধ্যে বর্তমান কৌশলগত অংশিদারিত্বকে কৌশলগত অংশিদারিত্ব কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে উচ্চস্তরীয় নজরদারি ব্যবস্হায় রূপান্তরিত করার ব্যাপারে উভয়েই একমত হয়েছে। এই কাউন্সিলে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও সেদেশের যুবরাজ।
· ভারতের নীতি আয়োগ এবং সেদেশের ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ শীর্ষক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথভাবে কর্মশিবির আয়োজনের প্রশংসা করা হয়। সম্প্রতি রিয়াধে এই কর্মশিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মশিবিরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলা ও বিনিয়োগের জন্য ৪০টিরও বেশি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়।
· সৌদি যুবরাজের ভারত সফরকালে নিম্নলিখিত সমঝোতাপত্রগুলি স্বাক্ষরিত হয়েছে-
Øভারতের জাতীয় বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো তহবিলে লগ্মি সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র
Øপর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র
Øআবাসন ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র
Øইনভেস্ট ইন্ডিয়া এবং সৌদি আরব জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কাঠামোগত সহযোগিতা কর্মসূচি
Øঅডিও-ভিস্যুয়াল আদান-প্রদানের জন্য সম্প্রচার ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র
Øআর্ন্তজাতিক সৌর-জোটে সৌদি আরবকে সামিল করতে চুক্তি
· সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ইতিবাচক অগ্রগতির বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে উভয়পক্ষই পণ্য সামগ্রী লেনদেন, বিশেষ করে তেল বর্হিভূত ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তা কাজে লাগানোর ওপর জোর দেয়। ২০১৮র ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়াধে ভারত-সৌদি যৌথ কমিশনের দ্বাদশ বৈঠকে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে যে আলোচনা হয়, দুই পক্ষই তাতে স্বাগত জানান।
·উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং রপ্তানী ক্ষেত্রের বাধা-বিপত্তিগুলি দূর করার ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করেন।
·উভয় পক্ষই সৌদি রাজার ‘২০৩০ পরিকল্পনা’এবং ভারতের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচিগুলির (মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, স্মার্ট সিটি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রভৃতি) সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রেখে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার ব্যাপারে সম্মত হন। সৌদি আরবের বৃহৎ প্রকল্পগুলিতে ভারতীয় বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্হার বিনিয়োগ তথা বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগাতে সৌদি আরব প্রস্তুত বলে জানানো হয়। ভারত ও সৌদি আরবের আর্থিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের বিষয়টিতেও দুই পক্ষ সহমত প্রকাশ করেন।
·দুই দেশের সরকার, সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা, বর্তমান বাণিজ্য সংক্রান্ত নিয়মনীতিগুলিকে আরও সরল ও যুক্তিসঙ্গত করে তোলা সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ নিয়মনীতি শীথিল করতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, উভয় পক্ষই তাকে স্বাগত জানান।
·২০১৬-তে প্রধানমন্ত্রী মোদী রিয়াধ সফরের সময় সৌদি আরবের জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার মধ্যে কাঠামোগত সহযোগিতাচুক্তি স্বাক্ষরের পর লগ্নির পরিবেশে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, উভয়পক্ষই তাকে স্বাগত জানান। উভয়পক্ষই নিজেদের দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাগুলির পূর্ণ সদ্ব্যবহারে শিল্প-বাণিজ্য মহলের প্রতি আহ্বান জানান।
·সৌদি আরবে শিল্প শহর ও বন্দরগুলিতে যে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ও পরিবহন পরিষেবা ব্যবস্হা গড়ে তোলা হয়েছে তাকে কাজে লাগানোর জন্য সেদেশের রাজপুত্র ভারতীয় সংস্হাগুলিকে আমন্ত্রণ জানান।
·সৌদি যুবরাজ শক্তি, পরিশোধন, পেট্রোরসায়ন, পরিকাঠামো, কৃষি, খনিজ ও খনি, উৎপাদন, শিক্ষা ও স্বাস্হ্যক্ষেত্রে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি যে লগ্নির কথা ঘোষনা করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান।
·৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে প্রথম যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে পশ্চিম উপকূলীয় তৈল শোধনাগার ও পেট্রোরসায়ন প্রকল্প গড়ে তোলার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উভয়পক্ষই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। দুই পক্ষই এই প্রকল্পের রূপায়ণ ত্বরান্বিত করার ব্যাপারেও সহমত প্রকাশ করেছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এটি বিশ্বর বৃহত্তম গ্রীণ ফিল্ড বা পরিবেশবান্ধব তৈল শোধনাগার হয়ে উঠবে।
·ভারতের জাতীয় বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো তহবিল তথা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সৌদি আরবের বিনিয়োগকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, উভয়পক্ষই তাতেও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই সমঝোতার ফলে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতর পথ আরও প্রসস্ত হবে।
·সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ভারতে শক্তি, শোধনাগার, পেট্রোরসায়ন, পরিকাঠামো, কৃষি, খনিজ ও খনি, উৎপাদন, শিক্ষা ও স্বাস্হ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যাপারে যে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
·আবাসন ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তুলতে এবং সৌদি আরবের আবাসন প্রকল্পগুলিতে ভারতীয় সংস্হাগুলির অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, উভয়পক্ষই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
·বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে এক উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষে জোট গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সৌদি যুবরাজ তার উচ্ছসিত প্রশংসা করে বলেছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা ও তার প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
·শক্তি নিরাপত্তাকে কৌশলগত অংশীদারিত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসাবে স্বীকার করে নিয়ে উভয় পক্ষই শক্তিক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, সৌদি আরব বিশ্বের সবথেকে বিশ্বস্ত তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী দেশ। এমনকি ভারতের কাছেও এক গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী দেশ। ভারত-সৌদি আরব শক্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও দুই পক্ষ সহমত হয়েছেন। শক্তি ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কে পরিবর্তন ঘটিয়ে পেট্রোরসায়ন প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ তথা যৌথ উদ্যোগ গড়ে তুলে এই সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত করার বিষয়ে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।
·অশোধিত তেল ও পেট্রোজাত পণ্যের ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সৌদি যুবরাজ পুনরায় আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, অন্যান্য উৎস থেকে সরবরাহ বিঘ্নিত হলে ভারতের চাহিদা মেটাতে তার দেশ সাহায্য দেবে।
·পেট্রোলিয়াম সংরক্ষণে ভারতের কৌশলগত উদ্যোগে সৌদি আরবের অংশগ্রহণকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন।
·আন্তর্জাতিক সৌর জোটে সৌদি আরবের সামিল হওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে উভয় পক্ষের তরফে বলা হয়েছে, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা গড়ে তোলাই নয়, বরং গবেষনা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগেরও বিপুল সুযোগ রয়েছে।
·উভয় পক্ষই দূর নিয়ন্ত্রণ, উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগ এবং দিক নির্দেশ ব্যবস্হা সহ মহাকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারেও সম্মতি হয়েছেন।
·পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করে দক্ষতা বিকাশের লক্ষে এক যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠনের বিষয়েও উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছেন।
·২০১৪র ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি সম্রাট সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সউদ-এর ভারত সফরকালে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রের পর বিশেষজ্ঞ বিনিময় ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-সৌদি সহযোগিতায় সাম্প্রতিক অগ্রগতির ব্যাপারেও উভয়পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিটির চতুর্থ বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলিকেও উভয়পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে। গত দোসরা ও তেসরা জানুয়ারি রিয়াধে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
·উভয়পক্ষই অনতিবিলম্বে যৌথ নৌ-মহড়া আয়োজনে সম্মত হয়েছেন। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এধরনের দ্বিপাক্ষিক মহড়া বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেছে।
·যৌথ উদ্যোগে প্রতিরক্ষা সাজ-সরঞ্জাম ও উপকরণ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমন্বয় গড়ে তোলার ব্যাপারেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া এবং সেদেশের ভিশন ২০৩০ উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে এই সহযোগিতা গড়ে তোলা হবে।
·দুই দেশের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে নৌ-বাণিজ্য নিরাপত্তাগত সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছেন।
·যোগাযোগ সংক্রান্ত আঞ্চলিক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে যে, এই প্রকল্পগুলি আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতিকে মান্যতা দিয়ে রূপায়ন করতে হবে যাতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দেশগুলির সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখন্ডতা অক্ষুন্ন থাকে।
·উভয়পক্ষই আঞ্চলিক স্হিতিশীলতা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। ২০১৪র মে পরবর্তী সময়ে পাকিস্হানের সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সৌদি যুবরাজ। এ প্রসঙ্গে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছেন যে ভারত ও পাকিস্হানের মধ্যে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে হবে।
·উগ্রপন্হা ও সন্ত্রাসবাদ সমস্ত জাতি ও সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক বলে স্বীকার করে নিয়ে উভয়পক্ষই সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্হাকে যেকোন জাতি, ধর্ম বা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে খারিজ করে দিয়েছেন। উভয়পক্ষই সন্ত্রাসবাদকে যেকোন দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহারের বিষয়টিকে নাকচ করার জন্য সমস্ত দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে। দুই দেশই সন্ত্রাস পরিকাঠামো ভেঙে ফেলে যাবতীয় সহায়তা ও মদতদান থেকে বিরত থাকার জন্য সমস্ত দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সুসংবদ্ধ কনভেনশনের বিষয়গুলিকেও গ্রহণ করার ব্যাপারে দুই পক্ষের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। জঙ্গি ও তাদের সংগঠনগুলিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
·ভারত ও সৌদি দুই পক্ষই রাষ্ট্রীয় নীতির হাতিয়ার হিসাবে সন্ত্রাসের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সমস্ত দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে। জঙ্গিদের অস্ত্রশস্ত্র সহ ক্ষেপনাস্ত্র ও দ্রোণ সরবরাহ করার থেকে বিরত থাকার জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে।
·প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি যুবরাজ দুজনেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছেন।
·ভারত ও সৌদি আরব পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলির পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে নিরাপত্তা পরিস্হিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। দু পক্ষের আলোচনায় আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্হিতিশীলতার মতো বিষয়গুলি গুরুত্ব পেয়েছে।
·প্যালেস্তাইনবাসী মানুষের প্রাপ্য অধিকার সুনিশ্চিত করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং আরব শান্তি উদ্যোগের ওপর ভিত্তি করে মধ্যপ্রাচ্যে স্হায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহণের বিষয়ে উভয়পক্ষের তরফেই আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।
·সন্ত্রাস দমনে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধার্থে উভয়পক্ষই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে সুসংহত নিরাপত্তা-আলোচনা শুরুর ব্যাপারে এবং সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠনে সম্মত হয়েছে।
·প্রধানমন্ত্রী মোদী ও সৌদি যুবরাজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও নিবিড় করার ব্যাপারে তাদের অঙ্গিকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। উভয়ই সামুদ্রিক নিরাপত্তা, আইনবলবৎকারী সংস্হা, অর্থ তছরুপ, মাদক পাচার, মানব পাচার, অবৈধ উদ্বাস্তু এবং সীমান্তপারের সংগঠিত অপরাধ দমনে দু-পক্ষকেই গুরুত্ব দিয়েছেন।
·সাইবার ক্ষেত্রের অপব্যবহারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয়পক্ষই সাইবার ক্ষেত্র এবং সাইবার অপরাধ দমন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষে যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে।
·বিপুল সংখ্যক ভারতীয়দের আপ্যায়নে এবং তাদের সার্বিক কল্যাণে সৌদি নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে।
·৩২তম সৌদি জাতীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারতকে সম্মানীয় অতিথি দেশ হিসাবে গণ্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সেদেশের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উভয়পক্ষই দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকে মজবুত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সৌদি আরবে ভারতীয় সংস্কৃতি সপ্তাহ উদযাপন এবং একইভাবে ভারতে সৌদি আরব সংস্কৃতি উদযাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
·ভারত থেকে হজ তীর্থযাত্রীদের কোটা বাড়িয়ে ২ লক্ষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সৌদি যুবরাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
·সৌদি আরবের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দি ৮৫০ জন ভারতীয় বন্দিকে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত সৌদি যুবরাজ নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তারজন্য সৌদি যুবরাজকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
·উভয়পক্ষই মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সমস্যাগুলি দূর করার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি দ্রুত নিরসনের ব্যাপারেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।
·সৌদি আরবের বিমান সংস্হাগুলিতে বর্তমানে মাসিক আসন সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার করার ব্যাপারেও ভারত সরকার সম্মত হয়েছে। এই সংখ্যা কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায় সেব্যাপারে সমীক্ষার কাজ চলছে।
·সৌদি আরবে বসবাসকারী ভারতীয়দের সুবিধার্থে পেমেন্ট ব্যবস্হায় সহযোগিতার সুযোগ-সুবিধা খুঁজে বের করতে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে। এই ব্যবস্হা চালু হলে হজ ও উমরাহ তীর্থযাত্রীরাও বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। সৌদি আরবে কর্মরত আটকে পড়া ভারতীয় শ্রমিকদের সমস্যাগুলি মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমাধান করার জন্য সৌদি যুবরাজের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
·রাষ্ট্রসঙ্ঘ, জি-২০ ও বিশ্ববাণিজ্য সংগঠন সহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক মঞ্চগুলিতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে এ ধরনের বহুপাক্ষিক মঞ্চগুলির সংস্কারের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষই তাদের অঙ্গিকারের কথা প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ, বিশ্ববাণিজ্য সংগঠন, আন্তর্জাতিক অর্থ প্রতিষ্ঠান সহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।
·বিশ্বব্যাপি জটিল সমস্যাগুলির সমাধানে বহুপাক্ষিক ব্যবস্হাগুলির কার্যকর সংস্কারের গুরুত্বের ওপরেও উভয়পক্ষ জোর দিয়েছেন। দুই পক্ষই রাষ্ট্রসঙ্ঘে সংস্কারের লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদের আসু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
·ফেরার অর্থনৈতিক অপরাধীদের সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার ব্যাপারেও উভয়পক্ষ তাদের অঙ্গিকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে।
·সৌদি যুবরাজ, উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ বিন সলমন বিন আব্দুল আজিজ তাঁকে ও তার প্রতিনিধিদলকে ভারত সরকার ও ভারতবাসীর পক্ষ থেকে যে উষ্ণ আতিথিয়তা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
CG/BD/NS/
भारत और सऊदी अरब के आर्थिक, सामाजिक और सांस्कृतिक सम्बन्ध सदियों पुराने हैं। और यह सदैव सौहार्द्रपूर्ण और मैत्रीपूर्ण रहे हैं। हमारे लोगों के बीच के घनिष्ठ और निकट संपर्क हमारे देशों के लिए एक सजीव सेतु यानि living bridge है: PM @narendramodi pic.twitter.com/eTdPnOXEKE
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
हिज मेजेस्टी की, और रॉयल हाईनेस आपकी, व्यक्तिगत रुचि और मार्गदर्शन से हमारे द्विपक्षीय सबंधों में और भी प्रगाढ़ता, मधुरता और शक्ति आई हैं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
आज, 21वीं सदी में, सऊदी अरब, भारत के सबसे मूल्यवान strategic partners में है।
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
यह हमारे विस्तृत पड़ोस में है, एक करीबी दोस्त है और भारत की ऊर्जा सुरक्षा का महत्वपूर्ण स्रोत भी है: PM @narendramodi
आज हमने द्विपक्षीय संबंधों के सभी विषयों पर व्यापक और सार्थक चर्चा की है। हमने अपने आर्थिक सहयोग को नई ऊंचाइयों पर ले जाने का निश्चय किया है: PM @narendramodi pic.twitter.com/YobAUzKQup
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
हमारे ऊर्जा संबंधों को स्ट्रेटेजिक पार्टनरशिप में तब्दील करने का समय आ गया है। दुनिया की सबसे बड़ी रिफाइनरी और स्ट्रेटेजिक पेट्रोलियम रिज़र्व में सऊदी अरब की भागीदारी, हमारे ऊर्जा संबंधों को buyer-seller relation से बहुत आगे ले जाती है: PM @narendramodi pic.twitter.com/h2zYnL9lNN
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
हम अक्षय ऊर्जा के क्षेत्रों में अपने सहयोग को मज़बूत करने पर सहमत हुए हैं। हम इंटरनेशनल सोलर अलायंस में सऊदी अरब का स्वागत करते हैं। परमाणु ऊर्जा के शांतिपूर्ण उपयोग, विशेषरूप से water desalination और स्वास्थ्य के लिए, हमारे सहयोग का एक और आयाम होंगे: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
विशेषकर अपने strategic वातावरण के संदर्भ में, हमने आपसी रक्षा सहयोग को मज़बूत करने और उसका विस्तार करने पर भी सफल चर्चा की है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
पिछले हफ्ते पुलवामा में हुआ बर्बर आतंकवादी हमला, इस मानवता विरोधी खतरे से दुनिया पर छाए कहर की एक और क्रूर निशानी है।
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
इस खतरे से प्रभावशाली ढंग से निपटने के लिए हम इस बात पर सहमत हैं कि आतंकवाद को किसी भी प्रकार का समर्थन दे रहे देशों पर सभी संभव दबाव बढ़ाने की आवश्यकता है: PM
आतंकवाद का इंफ्रास्ट्रक्चर नष्ट करना और इसको समर्थन समाप्त करना और आतंकवादियों और उनके समर्थकों को सजा दिलाना बहुत जरूरी है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
साथ ही अतिवाद के खिलाफ सहयोग और इसके लिए एक मज़बूत कार्ययोजना की भी ज़रूरत है, ताकि हिंसा और आतंक की ताकतें हमारे युवाओं को गुमराह न कर सकें। मुझे खुशी है कि सऊदी अरब और भारत इस बारे में साझा विचार रखते हैं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
पश्चिम एशिया और खाड़ी में शांति और स्थिरता सुनिचित करने में हमारे दोनों देशों के साझा हित हैं। आज हमारी बातचीत में, इस क्षेत्र में हमारे कार्यों में तालमेल लाने और हमारी भागीदारी को तेजी से आगे बढ़ाने पर सहमति हुई है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
हम इस बात पर भी सहमत हुए हैं कि counter terrorism, समुद्री सुरक्षा और साइबर सुरक्षा जैसे क्षेत्रों में और मजबूत द्विपक्षीय सहयोग दोनों देशों के लिए लाभप्रद रहेंगे: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
Your Royal Highness, आपकी यात्रा ने हमारे रिश्तों के तेज विकास को एक नया आयाम दिया।
— PMO India (@PMOIndia) February 20, 2019
मैं एक बार फिर, हमारे निमंत्रण को स्वीकार करने के लिए रॉयल हाईनेस का शुक्रिया अदा करता हूँ। मैं उनके और प्रतिनिधिमंडल के सभी सदस्यों की भारत में सुखद प्रवास की कामना भी करता हूँ: PM @narendramodi pic.twitter.com/VOVz3zOORr