নতুন দিল্লি, ২৩ জুন, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, নূন্যতম সরকার সর্বাধিক প্রশাসন-বিষয়ের ওপর যে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তা রূপায়ণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আরও একধাপ এগিয়েছে। ব্যবসায় স্বাচ্ছন্দ বজায় রাখতে এবং সরকারি ক্ষেত্রের সংস্থাগুলিতে বেসরকারি ক্ষেত্রের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেন্ট্রাল রেল সাইট ওয়্যারহাউজ কোম্পানি লিমিটেডের সমস্ত সম্পদ, দায়বদ্ধতা, অধিকার ও বাধ্যবাধকতা সমূহকে ২০০৭ সালের কোম্পানি আইন-১৯৫৬, অনুযায়ী সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজিং কর্পোরেশনের সাথে সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। একক প্রশাসনের মাধ্যমে উভয় সংস্থার কাজ গুলি এবার থেকে পরিচালনা করা হবে।
এই সংযুক্তিকরণের ফলে
রেল পার্শ্বস্ত গুদাম কমপ্লেক্সগুলি পরিচালন সংক্রান্ত ব্যয় প্রায় ৫ কোটি টাকা হ্রাস পাবে। কেননা, কর্পোরেট অফিসের ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় লাঘব হবে। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজিং কর্পোরেশনের অধীনে রেল গুদাম গুলি পরিচালিত হলে সিমেন্ট, সার, চিনি, লবণ এবং সোডার প্রভৃতি পণ্য ছাড়াও অন্য পণ্য সংরক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই সংযুক্তিকরণের ফলে রেল পার্শ্বস্ত স্থানে আরও ৫০ টি স্থানে গুদাম স্থাপন করা সম্ভব হবে। যার ফলে দক্ষ কর্মীদের জন্য ৩৬,৫০০ শ্রমদিবসের সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে, অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য ৯,১২,৫০০ টি শ্রমদিবস সৃষ্টি করবে। আগামী আট মাসের মধ্যে সংযুক্তিকরণ ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়।
মিনি রত্ন ক্যাটাগরি-১ সম্পন্ন সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজিং কর্পোরেশন ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থা গঠনের উদ্দেশ্য ছিল কৃষিজাত পণ্য সহ অন্যান্য পণ্যের গুদামজাত করা। এই সংস্থাটি একটি লাভজনক সরকারি সংস্থা। যার স্বীকৃত মূলধনের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৬৮.০২ কোটি টাকা।
সেন্ট্রাল রেল সাইট ওয়্যারহাউজ কোম্পানি লিমিটেড ২০০৭ সালের ১০ জুলাই রেল থেকে লিজ নেওয়া বা অধিগৃহীত জমিতে ওয়্যারহাউজিং কমপ্লেক্স, টার্মিনাল বা লজিস্টিক হাব পরিচালনা করে। এই সংস্থায় ৫০ জন কর্মচারী ও ৪৮ জন আউটসোর্স কর্মী রয়েছেন। বর্তমানে এই সংস্থাটি সারাদেশে ২০টি রেল পার্শ্বস্ত গুদাম দেখাশোনা করে। ৩১ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত সংস্থাটির মোট আর্থিক পরিমাণ ১৩৭.৯৪ কোটি টাকা। তবে, মূলধনের অভাবে এবং রেলের সঙ্গে চুক্তি সম্পর্কিত বিষয়ে কিছু বাধ্যবাধকতার ফলে এই সংস্থাটির আর্থিক গতি বাড়েনি।
সংযুক্তিকরণের পর রেল ওয়্যারহাউজিং ইনকর্পোরেশন নামে একটি নতুন বিভাগ শুরু করবে সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজিং কর্পোরেশন। যা রেল ওয়্যারহাউজের পরিচালনা এবং বিপণনের ব্যবস্থা করবে।
CG/SB