নয়াদিল্লি, ৭ মার্চ, ২০২৫
দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ-র প্রশাসক শ্রী প্রফুল্লভাই প্যাটেল, সংসদে আমার সঙ্গী শ্রীমতী কলাবেন ডেলকর, সমস্ত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ভাই ও বোনেরা, নমস্কার।
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আজকে তো সবাইকে খুব উৎসাহী বলে মনে হচ্ছে। আমি এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা সবাই মিলে আমাকে এই পদে আসার সুযোগ দিয়েছেন। অনেক পুরনো মানুষকে দেখে নমস্কার জানানোর সুযোগ পেয়েছি।
বন্ধুগণ,
সিলভাসার এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এখানকার মানুষের ভালোবাসা, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ-র সকলেই জানেন, আপনাদের সঙ্গে আমার কত পুরনো সম্পর্ক। এই অনেক দশক পুরনো সম্পর্কের ফলে এখানে এসে আমি কতটা খুশি হই, তা শুধু আপনারাই জানেন। অনেক বছর আগে এখানে আমি অনেকবার আসার সুযোগ পেয়েছিলাম। সিলভাসা এবং সম্পূর্ণ দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ-র পরিস্থিতি তখন কেমন ছিল, কতটা ভিন্ন ছিল, তা আপনারা জানেন। সবাই ভাবতেন, সমুদ্রের কিনারায় এই ছোট জায়গায় কী আর হতে পারে? কিন্তু আমার মনে এখানকার মানুষ ও তাঁদের সামর্থ্যের ওপর ভরসা ছিল। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর আমাদের সরকার এই ভরসাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ফলে, আজ আমাদের সিলভাসা, এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটি আধুনিক পরিচয় নিয়ে উঠে এসেছে। সিলভাসা একটি এমন শহর যেখানে দেশের সব জায়গার মানুষ বসবাস করেন। এখানকার এই কসমোপলিটন মেজাজ থেকে বোঝা যায়, দাদরা ও নগর হাভেলিতে কত দ্রুত উন্নয়নের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
এই উন্নয়ন অভিযানের মাধ্যমে আজ এখানে আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে গড়ে তোলা বা ভবিষ্যতে গড়ে উঠবে, এরকম অনেক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে। পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা এবং পর্যটন অর্থাৎ, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত অনেকগুলি প্রকল্প এই এলাকার উন্নয়নকে আরও গতি দেবে, আরও নতুন নতুন সুযোগ করে দেবে। আমি এখানকার সবাইকে এই প্রকল্পগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের কাছে একটি ছোট কথা বলছি। এখানে যেহেতু বিদেশ থেকে নতুন কিছু আসেনি, আপনাদের মধ্যে যাঁরা সিঙ্গাপুর গেছেন তাঁরা জানেন যে সিঙ্গাপুর কোনও এক সময়ে মৎস্যজীবীদের একটা ছোট গ্রাম ছিল। মাছ ধরাই ছিল তাঁদের আসল পেশা। কিন্তু তাঁদের সঙ্কল্পশক্তির জোরে অত্যন্ত কম সময়ে সেখানকার মানুষ আজ সিঙ্গাপুর গড়ে তুলেছে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রত্যেক নাগরিক যদি এভাবেই সঙ্কল্পশক্তি নিয়ে এগিয়ে আসেন, তাহলে আমিও আপনাদের সঙ্গে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আপনাদেরও এগিয়ে যেতে হবে, তাহলেই এটা সম্ভব।
বন্ধুগণ,
দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ আমাদের জন্য শুধুই একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নয়। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আমাদের গর্ব, আমাদের ঐতিহ্য। সেজন্যই আমরা এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এমন একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই যাকে সামগ্রিক উন্নয়ন বা হলিস্টিক ডেভেলপমেন্ট বলা যায়। আমি চাই, এই এলাকা তার হাইটেক পরিকাঠামো, আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে উঠুক। পর্যটন ও নীল অর্থনীতির জন্যও এই অঞ্চল পরিচিত হয়ে উঠুক। এখানকার পরিচয় গড়ে উঠুক এলাকার শিল্পোদ্যোগ উন্নয়ন, নবীন প্রজন্মের মানুষের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি এবং মহিলাদের অংশীদারিত্ব ও চতুর্মুখী উন্নয়নের জন্য!
ভাই ও বোনেরা,
প্রফুল্লভাই প্যাটেলজির পরিশ্রম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় আমরা এখন এই লক্ষ্য থেকে খুব একটা দূরে নেই। গত ১০ বছরে আমরা মিলেমিশে এই লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে কাজ করেছি। আমরা সিলভাসা এবং এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উন্নয়নকে দেশের মধ্যে ভিন্ন পরিচয় দিয়েছি। অনেক প্রকল্পই ইতিমধ্যে স্যাচুরেশন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। জীবনের প্রত্যেক দিকে, প্রতিটি প্রয়োজনের জন্য সরকারি প্রকল্পগুলির দ্বারা এখানকার প্রত্যেক সুবিধাভোগী লাভবান হচ্ছেন। আপনারা দেখুন, ‘এক জাতি এক রেশন কার্ড’ প্রত্যেক ব্যক্তিকে খাদ্যের গ্যারান্টি দিয়েছে। জল জীবন মিশনের মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারের কাছে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছচ্ছে। ভারত নেট-এর মাধ্যমে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি শক্তিশালী হয়েছে। পিএম জন ধন-এর মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারকে ব্যাঙ্ক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। পিএম জীবন জ্যোতি বিমা এবং পিএম সুরক্ষা বিমা যোজনার দ্বারা প্রত্যেক সুবিধাভোগী উপকৃত হচ্ছেন। এই প্রকল্পগুলির সাফল্য এখানকার জনগণের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। সরকারি প্রকল্পগুলি তাঁদের জীবনে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে, তার ব্যাপক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এখন আমরা চেষ্টা করছি, স্মার্ট সিটিজ মিশন, সমগ্র শিক্ষা এবং পিএম মুদ্রা যোজনার মতো প্রকল্পগুলির ১০০ শতাংশ স্যাচুরেশন পেতে। এই প্রথমবার বিভিন্ন জনকল্যাণকারী প্রকল্প নিয়ে সরকার এভাবে নিজেরাই জনগণের দরজায় দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে। এর ফলে, আমাদের সমাজের বঞ্চিত এবং জনজাতি সমাজের মানুষ অনেক লাভবান হয়েছেন।
বন্ধুগণ,
পরিকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষা, কর্মসংস্থান থেকে শিল্পোদ্যোগ উন্নয়ন – প্রতিটি ক্ষেত্রে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চেহারা কতটা বদলেছে তা আপনারা জানেন। একটা সময় ছিল যখন এখানকার যুবক-যুবতীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যেতে হত। কিন্তু এখন এই এলাকায় জাতীয় স্তরের ছ’টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। নমো মেডিকেল কলেজ, গুজরাট ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটি, আইআইআইটি দিউ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনলজি, ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কেটারিং টেকনলজি আর দমনের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানগুলির ফলে এখন সিলভাসা তথা এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল একটি নতুন এডুকেশন হাব-এ পরিণত হয়েছে। এখানকার যুবক-যুবতীরা যাতে এই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে অধিক লাভবান হন, তা সুনিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দি, ইংরেজি, গুজরাটি এবং মারাঠি – এই চারটি ভিন্ন মাধ্যমে পড়াশোনা করা যায়। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে এখানকার প্রাইমারি এবং জুনিয়র স্কুলগুলিতেও বাচ্চারা স্মার্ট ক্লাসরুমে পড়াশোনা করছে।
বন্ধুগণ,
বিগত বছরগুলিতে এই এলাকায় আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেক বিস্তৃত হয়েছে। ২০২৩-এ এখানে নমো মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের পাশাপাশি, ৪০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল উদ্বোধনের সুযোগ পেয়েছিলাম। আজ এখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরও কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে। এই স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলির ফলে এখানকার জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ অনেক বেশি লাভান্বিত হবেন।
বন্ধুগণ,
আরেকটি কারণে আজ সিলভাসায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই প্রকল্পগুলি বিশেষ হয়ে উঠেছে। আজ জন ঔষধি দিবস। জন ঔষধি মানে সস্তায় চিকিৎসার গ্যারান্টি। এর মন্ত্র হল – ‘দাম কম, দাওয়াই মে দম’। অর্থাৎ, কম দামে ভালো ওষুধ। আমাদের সরকার উন্নতমানের হাসপাতাল তৈরি করার পাশাপাশি আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা যেমন দিচ্ছে, তেমনই জন ঔষধি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে সস্তায় ওষুধও দিচ্ছে। আমরা সবাই নিজেদের জীবনকে দেখেছি। হাসপাতালে চিকিৎসার পরও দীর্ঘদিন পর্যন্ত ওষুধের খরচের বোঝা টানতে হয়। এই বোঝা কমানোর জন্য সারা দেশে ১৫ হাজারেরও বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে সাধারণ মানুষ ওষুধ পাচ্ছেন। দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ-তে এরকম ৪০টি জন ঔষধি কেন্দ্র রয়েছে। আগামীদিনে আমরা সারা দেশে ২৫ হাজার জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি। যখন থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৬,৫০০ কোটি টাকার সস্তা ওষুধ সরকার গরিবদের সরবরাহ করেছে। এই জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি খোলার ফলে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। অনেক কঠিন রোগের সস্তায় চিকিৎসা সম্ভব হয়েছে। এথেকে প্রমাণ হয়, আমাদের সরকার সাধারণ মানুষের প্রয়োজনগুলি সম্পর্কে কতটা সংবেদনশীল।
বন্ধুগণ,
এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির পাশাপাশি আমি আরেকটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই, তা হল ‘লাইফস্টাইল ডিজিজেস’ বা জীবনশৈলী উদ্ভুত রোগব্যাধি। এই রোগগুলি আমাদের সামনে বড় বিপদ হয়ে উঠেছে যেমন, ‘ওবেসিটি’ বা স্থুলত্ব। এই স্থুলত্বই আজ আরও অনেক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি স্থুলত্বের সমস্যা নিয়ে একটি রিপোর্ট এসেছে। সেটির অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৪৪ কোটিরও বেশি ভারতবাসী স্থুলত্বের শিকার হবেন। এই পরিসংখ্যান যত বড় ততটাই ভীতিপ্রদ। তার মানে প্রত্যেক তিনজনের মধ্যে একজন স্থুলত্বের কারণে কঠিন রোগের শিকার হতে পারেন। অর্থাৎ, পরিবারে কেউ না কেউ এর শিকার হবেন। তাহলে কতবড় সঙ্কট আসতে চলেছে। আমাদের এখন থেকেই এই পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করতে হবে। সেজন্য অনেক উপায় রয়েছে। আমি একটি আহ্বান জানিয়েছি। আর আজ আপনাদের কাছে প্রতিশ্রুতি চাইছি। এই হাসপাতাল তো খুব ভালো তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমি চাইনা যে আপনারা কেউ হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছন। তাতে এই হাসপাতাল যদি খালি থাকে থাকুক, কিন্তু আপনারা সুস্থ থাকুন। আমি আপনাদেরকে একটি কাজ করাতে চাই, করবেন? হাত ওপরে তুলে বলুন করবেন? আমাকে প্রতিশ্রুতি দিন, ১০০ শতাংশ করবেন। আপনাদের প্রত্যেককে রোগা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
সেজন্য সবাইকে ভোজ্যতেলের ব্যবহার কম করে ১০ শতাংশ কমাতে হবে। অর্থাৎ, প্রতি মাসে যতটা ভোজ্যতেল কেনেন, এখন থেকে ১০ শতাংশ কম কিনুন। এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তো? স্থুলত্ব কম করার লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হবে। তাছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করুন। আমি জানি প্রত্যেকেই নিয়মিত কয়েক কিলোমিটার হাঁটেন। অনেকে রবিবার করে সাইকেলও চালান। এথেকে অনেক লাভ হয়। কিন্তু আমি ১০ শতাংশ তেলের ব্যবহার কমাতে বলছি, আরও বেশি কাজ করার কথা বলছি না। না হলে আপনারা বলবেন যে সন্ধ্যায় ৫০ শতাংশ বেশি কাজ করতে বলছি। তাহলে আপনারা আমাকে আর সিলভাসায় ডাকবেন না। আজ দেশ উন্নত ভারতের সঙ্কল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে চলেছে। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, একটা সুস্থ দেশই এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। সেজন্য দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রত্যেককে আমি ভোজ্যতেল খাওয়া কমিয়ে নিজেদের সুস্থ রাখতে বলছি। এটাই আপনাদের উন্নত ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখতে সাহায্য করবে।
বন্ধুগণ,
যে রাজ্যের জনগণের মনে উন্নয়নের লক্ষ্য থাকে, সেখানে নতুন নতুন সুযোগও দ্রুত গড়ে ওঠে। সেজন্য বিগত এক দশকে এই অঞ্চল একটি শিল্পোদ্যোগ কেন্দ্র রূপে উঠে এসেছে। আর এবারের বাজেটে আমরা ‘মিশন ম্যানুফ্যাকচারিং’ নামক পদক্ষেপ নিয়েছি যা সকলের জন্য লাভজনক হতে পারে। বিগত ১০ বছরে এখানে যে হাজার হাজার নতুন শিল্পোদ্যোগ গড়ে উঠেছে ও অনেক শিল্পোদ্যোগ বিস্তার লাভ করেছে, এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। এই শিল্পোদ্যোগগুলি অধিকাংশ স্থানীয় মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে। আমরা আমাদের স্থানীয় জনজাতি সমাজের জন্য এই কর্মসংস্থানের সুযোগ সুনিশ্চিত করতে চাই। একইভাবে, এসসি, এসটি, ওবিসি মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য এখানে ‘গির আদর্শ আজীবিকা যোজনা’ চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি এখানে ছোট ছোট বেশ কিছু ডেয়ারি ফার্ম গড়ে তোলার ফলে স্বরোজগারের নতুন নতুন সুযোগও গড়ে উঠেছে।
বন্ধুগণ,
কর্মসংস্থানের একটি অনেক বড় মাধ্যম হল পর্যটন। এখানকার সমুদ্রতট ও অন্যান্য সামুদ্রিক ঐতিহ্য বড় সংখ্যায় দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। দমনে রামসেতু, নমো পথ এবং টেন্ট সিটি গড়ে তোলার ফলে এই আকর্ষণ আরও বেড়েছে। দমনের নাইট মার্কেটও পর্যটকদের খুব পছন্দ। এখানে একটি বড় ‘পক্ষীবিহার’ গড়ে তোলা হয়েছে। দুধনিতে ইকো-রিসর্ট গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে। দিউ-তে সমুদ্রতটে কোস্টাল প্রোমেনেড, বিচ ডেভেলপমেন্টের কাজও করা হচ্ছে। ২০২৪-এ দিউ বিচ গেমস-এর আয়োজন হয়েছিল। তারপর থেকে জনমানসে বিচ গেমস-এর আকর্ষণ বেড়েছে। ‘ব্লু ফ্ল্যাগ’ পাওয়ার পর থেকে দিউ-র ঘোঘলা বিচও একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থলে পরিণত হয়েছে। এখন দিউ জেলায় কেবল কার প্রকল্পের কাজ চলছে। এটা ভারতের প্রথম হাওয়াই রোপওয়ে হবে যার মাধ্যমে আরব সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যাবে। অর্থাৎ, আমাদের দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ ভারতের সবচাইতে উন্নত পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হতে চলেছে।
বন্ধুগণ,
এখানে যত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ হয়েছে, সেগুলিরও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে। আজ দাদরার কাছেই বুলেট ট্রেন স্টেশন তৈরি হচ্ছে। মুম্বাই-দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ে সিলভাসা হয়ে যাচ্ছে। এজন্য কয়েক বছরে এখানে অনেক কিলোমিটার নতুন সড়কপথ তৈরি হয়েছে। আর ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি সড়কপথ নির্মাণের কাজ চলছে। এর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আমাদের উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমেও উপকৃত হয়েছে। এখানকার বিমানবন্দরকে উন্নত করা হচ্ছে। অর্থাৎ, আমাদের সরকার আপনাদের উন্নয়নের জন্য সবরকম চেষ্টা করছে।
বন্ধুগণ,
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ উন্নয়নের পাশাপাশি সুপ্রশাসন এবং ‘ইজ অফ লিভিং’-এর অঞ্চলও হয়ে উঠছে। একটা সময় ছিল যখন জনগণকে নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন সরকারি অফিসে দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হত। আজ এখানে মোবাইল ফোনের একটি ক্লিকে অধিকাংশ সরকারি কাজ করে ফেলা যায়। এই নতুন ভাবনার ফলে সবচাইতে বেশি উপকৃত হচ্ছে সেই জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলি যেগুলিকে অনেক দশক ধরে উপেক্ষা করা হয়েছিল। আজ গ্রামে গ্রামে স্পেশাল ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। সেখানে জনগণের সমস্যা শুনে সেগুলির সমাধানের চেষ্টা করা হয়। আমি প্রফুল্লভাই এবং তাঁর টিমকে এ ধরনের প্রচেষ্টার জন্য শুভেচ্ছা জানাই। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ-র উন্নয়নের জন্য আমরা নিরন্তর চেষ্টা করে যাব। আমি আরেকবার আজকের এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। যে অসাধারণভাবে আপনারা আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন, যে আপনত্ব ও ভালোবাসা দিয়েছেন, তার জন্য আমি এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন ও প্রত্যেক নাগরিককে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
( প্রধানমন্ত্রী এই ভাষণের কিছু অংশ গুজরাটিতে এবং বাকিটা হিন্দিতে বলেছেন।)
SC/SB/DM
A landmark day for Dadra and Nagar Haveli and Daman and Diu as key development projects are being launched. Speaking at a programme in Silvassa. https://t.co/re1Am2n62t
— Narendra Modi (@narendramodi) March 7, 2025
दादरा और नगर हवेली, दमण और दीव… ये प्रदेश हमारा गर्व है… हमारी विरासत है। pic.twitter.com/CN1ZjijEOH
— PMO India (@PMOIndia) March 7, 2025
दादरा और नगर हवेली, दमण और दीव... ये कई योजनाओं में सैचुरेशन की स्थिति में पहुंच गए हैं: PM @narendramodi pic.twitter.com/xRjJqsmScw
— PMO India (@PMOIndia) March 7, 2025
जनऔषधि यानी- सस्ते इलाज की गारंटी!
— PMO India (@PMOIndia) March 7, 2025
जनऔषधि का मंत्र है- दाम कम, दवाई में दम! pic.twitter.com/4GscUrLDb9
हम सभी को अपने खाने के तेल में 10% की कटौती करनी चाहिए।
— PMO India (@PMOIndia) March 7, 2025
हमें हर महीने 10% कम तेल में काम चलाने का प्रयास करना है।
मोटापा कम करने की दिशा में ये एक बहुत बड़ा कदम होगा: PM @narendramodi pic.twitter.com/61lgZ4XAFc
दादरा और नगर हवेली एवं दमन और दीव में हमारा फोकस ऐसे होलिस्टिक डेवलपमेंट पर है, जो देशभर के लिए एक मॉडल बनने वाला है। pic.twitter.com/z1bqFy2uev
— Narendra Modi (@narendramodi) March 7, 2025
जनऔषधि दिवस पर सिलवासा में आज जिस नमो हॉस्पिटल का उद्घाटन हुआ है, उससे इस क्षेत्र के हमारे आदिवासी भाई-बहनों को भी बहुत फायदा होने वाला है। pic.twitter.com/c3HFZCZj5E
— Narendra Modi (@narendramodi) March 7, 2025
Lifestyle Diseases की रोकथाम के लिए दादरा और नगर हवेली एवं दमन और दीव के लोगों के साथ ही समस्त देशवासियों से मेरा यह आग्रह… pic.twitter.com/8jJTaIXoYR
— Narendra Modi (@narendramodi) March 7, 2025
दमन में रामसेतु, नमोपथ और टेंट सिटी हो या फिर विशाल पक्षी विहार, हमारी सरकार इस पूरे क्षेत्र में पर्यटन के विकास के लिए कोई कोर-कसर नहीं छोड़ रही है। pic.twitter.com/fFW9BqEvFP
— Narendra Modi (@narendramodi) March 7, 2025
हाई-टेक सुविधाओं से लैस सिलवासा के नमो हॉस्पिटल से जहां इस क्षेत्र में स्वास्थ्य सेवाओं को काफी मजबूती मिलेगी, वहीं यहां के लोगों को भी अत्याधुनिक चिकित्सा का लाभ मिल सकेगा। pic.twitter.com/HzGgiSX1zx
— Narendra Modi (@narendramodi) March 7, 2025
सिलवासा के कार्यक्रम में अपार संख्या में आए अपने परिवारजनों के स्नेह और आशीर्वाद से अभिभूत हूं! pic.twitter.com/xwKjbdoFFh
— Narendra Modi (@narendramodi) March 7, 2025