Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

‘সিভিল সার্ভিসেস ডে হল নিষ্ঠা ও কর্তব্যের পুনরুচ্চারণের দিন’– একাদশসিভিল সার্ভিসেস ডে উপলক্ষে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

‘সিভিল সার্ভিসেস ডে হল নিষ্ঠা ও কর্তব্যের পুনরুচ্চারণের দিন’– একাদশসিভিল সার্ভিসেস ডে উপলক্ষে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর


সিভিল সার্ভিসেস ডে – এই বিশেষ দিনটিকে নিষ্ঠা ও কর্তব্যের পুনরুচ্চারণ বলে বর্ণনাকরেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এই সেবার সঙ্গে যুক্ত সকলকর্মী ও আধিকারিক তাঁদের ক্ষমতা ও দক্ষতা সম্পর্কে যেমন পূর্ণ মাত্রায় সচেতন,তেমনইতাঁরা ওয়াকিবহাল তাঁদের চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ব সম্পর্কে।

শুক্রবারএখানে একাদশ সিভিল সার্ভিসেস ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সেবার সঙ্গে যুক্তসরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর ভাষণে বলেন,প্রায় দু’দশক আগে দেশের পরিস্থিতি যেরকম ছিল, বর্তমানের পরিস্থিতি তা থেকেসম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। আগামী কয়েক বছরে এর আরও পরিবর্তন ঘটবে। বিষয়টি ব্যাখ্যাকরতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন, অতীতে পণ্য ও পরিষেবা প্রসারের যাবতীয় কাজ ছিল সরকারেরএকার দায়িত্ব। ফলে, কারোর ত্রুটি-বিচ্যুতি অনেক সময় সংশোধনের অগোচরে থেকে যেত।কিন্তু বর্তমানে সাধারণ মানুষের মত ও ধারণা হল বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি সরকারেরতুলনায় উন্নততর পরিষেবাদানে সক্ষম। এইভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা ধরনের বিকল্পব্যবস্থা গড়ে ওঠায় সরকারি আধিকারিকদের দায়িত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে।দায়িত্বেরএই মাত্রা বৃদ্ধি শুধুমাত্র কাজ করার সুযোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তা এখন পৌঁছেগেছে এক চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো অবস্থায়।

সরকারিকাজে প্রতিযোগিতামুখিনতার ওপর বিশেষ জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর মাধ্যমেগুনগত পরিবর্তন সম্ভব। নিয়ন্ত্রকের পরিবর্তে রূপায়কের ভূমিকায় যত তাড়াতাড়ি সরকারঅবতীর্ণ হতে পারবে, তত দ্রুত প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ সুযোগের পথ প্রসারিত করে তুলবে।

প্রধানমন্ত্রীতাঁর ভাষণে আরও বলেন, কাজের কোন বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারের যোগ বা সংযোগের অভাব যেমনঅনুভূত হয়, তেমনই কাজের বিশেষ ক্ষেত্রটিতে সরকারের উপস্থিতি যেন বোঝা না হয়েদাঁড়ায়। এ সম্পর্কে সরকারি আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।

এদিনেরঅনুষ্ঠানে সফল ও কৃতী আধিকারিকদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।পুরস্কারের জন্য আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছরপুরস্কারের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ১০০টির মতো। কিন্তু এ বছর এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েদাঁড়িয়েছে পাঁচশোয়। সরকারি কাজে গুণগত মান বৃদ্ধির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, উৎকর্ষসাধন বা উৎকর্ষ বৃদ্ধিরপ্রচেষ্টা হয়ে ওঠা উচিৎ সরকারিকআধিকারিকদের দৈনন্দিন অভ্যাসের মতো।

তরুণআধিকারিকদের উদ্ভাবন প্রচেষ্টার পথে শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা যেন কোনরকম বাধা হয়ে নাদাঁড়ায় সে সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্যবরিষ্ঠ ও পদস্থ আধিকারিকদের পরামর্শ দেনপ্রধানমন্ত্রী।

শ্রীমোদী বলেন, সরকারের অসামরিক সেবার আওতায় কাজ করে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শক্তিহল নিজের পরিচয়কে ব্যবহার না করা। সোশ্যাল মিডিয়ারমঞ্চ ব্যবহার যেন কোনভাবেই এইশক্তি বা ক্ষমতাকে নষ্ট করতে না পারে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন তিনিসংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। তবে, সরকারি কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলির সঙ্গে সাধারণমানুষের যোগসূত্র স্থাপনে সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল ফোন যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করে চলেছে একথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘সংস্কার,কর্মসম্পাদন এবং পরিবর্তন তথা রূপান্তর’ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রী মোদীবলেন, সংস্কারের কাজে প্রয়োজন রাজনৈতিক ইচ্ছা বা আগ্রহ। কিন্তু কাজ রূপায়ণ বা তা সম্পাদনকরার ক্ষেত্রে পথ খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারি আধিকারিকদের। অন্যদিকে,জনসাধারণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই রূপান্তরের লক্ষ্য পূরণ হওয়া সম্ভব।

জাতীয়স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখে যাতে প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তা নিশ্চিত করারজন্য সরকারি আধিকারিকদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই বিষয়টি তাঁদেরকাছে এক পরশ পাথর হয়ে উঠতে পারে।

আগামী২০২২ সালটি দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপনের কাল – একথা স্মরণ করিয়ে দিয়েপ্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নকে সফল করে তোলার কাজে একঅনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারেন দেশের সরকারি আধিকারিকরা।

PG/SKD/DM/…