Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

সাধারণ শ্রেণিভুক্ত গরিব মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রদানের সংবিধান সংশোধনী বিলটিকে গরিব মানুষের কল্যাণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

সাধারণ শ্রেণিভুক্ত গরিব মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রদানের সংবিধান সংশোধনী বিলটিকে গরিব মানুষের কল্যাণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

সাধারণ শ্রেণিভুক্ত গরিব মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রদানের সংবিধান সংশোধনী বিলটিকে গরিব মানুষের কল্যাণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

সাধারণ শ্রেণিভুক্ত গরিব মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রদানের সংবিধান সংশোধনী বিলটিকে গরিব মানুষের কল্যাণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ শ্রেণিভুক্ত গরিব মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রদানের সংবিধান সংশোধনী বিলটিকে গরিব মানুষের কল্যাণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, এই বিল ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের বিকাশে’র লক্ষ্যে সরকারের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। আজ মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে এক জনসভায় ভাষণে শ্রী মোদী বলেন, গরিব মানুষের সংরক্ষণের স্বার্থবাহী এই বিলটি সম্পর্কে যারা মিথ্যা প্রচার করছেন, লোকসভায় বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ায় তাদের যথাযোগ্য জবাব দেওয়া গেল। রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সাধারণ শ্রেণিভুক্ত তথাপি আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রদানে লোকসভায় গতকাল আমরা এক ঐতিহাসিক বিল পাশ করেছি। এই বিলটি ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের বিকাশে’র জন্য আমাদের দৃঢ় সঙ্কল্পকে আরও মজবুত করে।”

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অসম ও উত্তর-পূর্ববাসী মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, তাঁদের অধিকার ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সুরক্ষিত রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, “এই বিলটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী ভারতমাতার পুত্র ও কন্যাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের পথ প্রশস্ত করেছে। বহু ঐতিহাসিক উত্থান-পতন দেখার পর আমাদের এই ভাই-বোনেরা ভারতের অঙ্গ ও অংশ হয়ে উঠতে চায়।”

শ্রী মোদী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও দুর্নীতি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোনভাবেই একে দমিয়ে রাখা যাবে না। দুর্নীতি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী লড়াইয়ের পিছনে রয়েছে সাধারণ মানুষের সমর্থন ও আশীর্বাদ।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোলাপুরে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের পর ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণ দেন। শ্রী মোদী, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র আওতায় ৩০ হাজার গৃহ নির্মাণের এক কর্মসূচির শিলান্যাস করেন। এই কর্মসূচির ফলে রিক্সা চালক, রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত সামগ্রী সংগ্রহকারী, বস্ত্রশিল্পের কর্মী ও বিড়ি শ্রমিকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। গৃহ নির্মাণের এই কর্মসূচি রূপায়ণে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১,৮১১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, “আজ আমরা গরিব, শ্রমিক শ্রেণীর পরিবারগুলির জন্য ৩০ হাজার গৃহ নির্মাণের এক কর্মসূচির উদ্বোধন করেছি। এই কর্মসূচির সুফলভোগীদের মধ্যে রয়েছেন কারখানার শ্রমিক, রিক্সা চালক, অটো চালক প্রভৃতি। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই যে খুব শীঘ্রই আপনারা এই বাড়ির চাবি হাতে পাবেন।” মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারগুলির জন্যও সুলভে আবাসন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এখন থেকে এঁরা ২০ বছরের মেয়াদকালে গৃহঋণের ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন। সরকারের এই উদ্যোগ জীবনযাপনের মানোন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাদির প্রতিফলন বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৪-তে ৫২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের ৯৮.৭১৭ কিলোমিটার অংশকে চারলেন বিশিষ্ট করার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। আজ এই জাতীয় মহাসড়কের চারলেন বিশিষ্ট সোলাপুর-তুলজাপুর-ওসমানাবাদ শাখা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল। প্রকল্প নির্মাণে খরচ পড়েছে ৯৭২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। মহাসড়কের এই অংশটি মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়াড়া অঞ্চলের সঙ্গে সোলাপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। তিনি আরও জানান, ৫২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে সড়ক নিরাপত্তার জন্য দুটি বড় ও ১৭টি ছোট মাপের সেতু, যান চলাচলের জন্য চারটি এবং পথচারীদের জন্য ১০টি আন্ডারপাস রয়েছে। এছাড়াও, তুলজাপুরে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যে বাইপাস গড়ে তোলা হয়েছে, তার ফলে শহরে যানজট কমবে।

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য মহাসড়কের সম্প্রসারণ এবং জীবনযাপনের মানোন্নয়নে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিগত চার বছরে প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক গড়ে তোলা হয়েছে। এই কাজে খরচ হয়েছে ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা। এছাড়াও, ৫২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।”

এই অঞ্চলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তুলজাপুর হয়ে সোলাপুর-ওসমানাবাদ রেল লাইন নির্মাণে সরকার অনুমতি দিয়েছে। আঞ্চলিক বিমান যোগাযোগ কর্মসূচি ‘উড়ান’ যোজনার আওতায় সোলাপুর থেকে বিমান পরিষেবা চালু করার প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

স্বচ্ছ ভারত ও সুস্থ ভারত সম্পর্কে তাঁর পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সোলাপুরে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা সহ তিনটি বর্জ্য পরিচালনা কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। নতুন এই নিকাশি ব্যবস্থার ফলে সোলাপুর শহরে নিকাশি ব্যবস্থার পাশাপাশি অনাময় ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে।

প্রধানমন্ত্রী, সোলাপুর স্মার্ট সিটিতে অঞ্চল-ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জল সরবরাহ ও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে এক যৌথ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এছাড়াও, ‘অম্রুত’ মিশনের আওতায় উজানি বাঁধ থেকে সোলাপুর শহরে পানীয় জল সরবরাহ বাড়াতে এবং ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কয়েকটি কর্মসূচির সূচনা করেন। এই উদ্যোগের ফলে পরিষেবা প্রদান ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি ঘটবে এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নতি হবে।

সোলাপুর ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের কল্যাণে সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহণ, জল সরবরাহ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রভৃতি ক্ষেত্রে উক্ত প্রকল্পগুলি সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে।

 

CG/BD/DM/