নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর ২০২২
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সব রকম দ্বিচারিতা বর্জনের কঠোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদকে যেসব দেশ তাদের বিদেশ নীতির হাতিয়ার করে তুলতে চায়, তাদের হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন দিল্লিতে আজ তিনি ‘সন্ত্রাসের জন্য কোনো অর্থ নয়’ – এ বিষয় নিয়ে নতুন দিল্লিতে সন্ত্রাসে অর্থের যোগান প্রতিরোধ নিয়ে তৃতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভাষণ দেন।
আমন্ত্রিতদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলন ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, সারা বিশ্ব এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার অনেক আগেই ভারত সন্ত্রাসের অন্ধকার দিককে প্রত্যক্ষ করেছে। “দশকের পর দশক ধরে সন্ত্রাসবাদ বিভিন্ন নামে এবং বিভিন্ন রূপে ভারতের ওপর আঘাত হেনেছে” বলে শ্রী মোদী জানান। তিনি বলেন, কয়েক হাজার মূল্যবান জীবন এই সন্ত্রাসের বলি হওয়া সত্ত্বেও ভারত সাহসিকতার সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসকে দৃঢ় হাতে মোকাবিলা করার জন্য উপস্থিত অভ্যাগতদের কাছে ভারতের সঙ্গে এবং এখানকার জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা করার এটাই সুযোগ। “আমরা মনে করি, একটি আঘাতও অনেক। একটি জীবন হারানোও অনেকখানি এবং সন্ত্রাসকে নির্মূল না করে ফেলা পর্যন্ত আমরা থামব না” বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এই সম্মেলনের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একে শুধুমাত্র একটি মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হিসেবে দেখলে হবে না যেহেতু সন্ত্রাসবাদ সমগ্র মানবতাকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব শুধু যে সবথেকে বেশি গরীবদের জীবনকে আঘাত করে তাই নয়, এটি আঞ্চলিক অর্থনীতিকেও বিপন্ন করে। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন, “পর্যটন হোক কিংবা বাণিজ্য – কোনো ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসের করাল ছায়া কেউই দেখতে চান না।” সন্ত্রাসের ফলশ্রুতিতে মানুষের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। সন্ত্রাসের আর্থিক যোগানের শিকড়কে সম্পূর্ণ উৎখাত করে ফেলাই হল আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় কোনরকম দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কঠোর বার্তা দিয়েছেন। সন্ত্রাস নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী হামলার স্থানের ওপর ভিত্তি করে প্রতিক্রিয়ার মাত্রা স্থির করা ঠিক নয়। সবরকম সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রেই একইরকম প্রতিক্রিয়া এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়াও, কখনও কখনও দেখা যায় যে কিছু বিরুদ্ধ যুক্তি দেওয়া হয় যা সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকে বাধাদান করে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে দ্বিচারিতার কোনরকম জায়গা নেই। ভালো সন্ত্রাসবাদ বা খারাপ সন্ত্রাসবাদ বলে কিছু হয় না। এটা মানবতা, স্বাধীনতা ও সভ্যতার ওপর আঘাত যার কোনো সীমানা নেই।” শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, “সন্ত্রাসকে পর্যুদস্ত করতে কোনরকম সহনশীলতা না দেখিয়ে সুসংহত ও সঙ্ঘবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”
সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে লড়াই আর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই – এই দুইয়ের মধ্যে তাৎপর্যগত বৈপরিত্যের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি সন্ত্রাসবাদীকে অস্ত্র এবং অন্য কৌশলি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সেই ব্যবস্থা তার কার্যকারিতা হারাবে যদি না যেখান থেকে সে আর্থিকভাবে মদতপুষ্ট হচ্ছে, সেই জায়গাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদী হল একজন ব্যক্তি, কিন্তু সন্ত্রাসবাদ হল অনেক ব্যক্তির এক নেটওয়ার্ক। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে প্রতিরোধের উপযুক্ত উপায় হল প্রত্যক্ষ আঘাত হানা এবং সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করে ফেলতে এক বৃহত্তর, সুচারু ও কার্যকরি প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে বের করে তাদের আর্থিক সাহায্যের পথে আঘাত হানা ও তাদের সহায়তা প্রদানকারী নেটওয়ার্ককে ভেঙে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে সন্ত্রাসবাদকে আর্থিক মদত যোগানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক এবং আদর্শগত রাষ্ট্রীয় সমর্থন থাকে। কিছু কিছু দেশ আছে সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থনই তাদের বৈদেশিক নীতির অঙ্গ। তিনি বলেন, এই ছায়াযুদ্ধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির সতর্ক হওয়া দরকার। যে সমস্ত দেশগুলি সন্ত্রাসবাদে মদত যোগাচ্ছে তাদের ওপর আর্থিক জরিমানা আরোপ করা দরকার। সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে সহমর্মিতা প্রদর্শনকারী সমস্ত সংগঠন বা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এ সমস্ত ক্ষেত্রে কোনরকম দ্বিধা-দ্বন্দের জায়গা নেই। সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন বা প্রত্যক্ষ – যে কোনো রকম সমর্থনের বিরুদ্ধেই সারা বিশ্বকে একজোট হতে হবে বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে সংগঠিত অপরাধ সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের এক অন্যতম সূত্র এবং অপরাধী গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে এক অন্তর্নিহিত যোগ রয়েছে। সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোনো সময় অর্থ পাচার বা আর্থিক অপরাধের মতো কাজকর্ম সন্ত্রাসে আর্থিক সাহায্য করছে বলে চিহ্নিত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর তিনি জোর দেন।
জটিল এক পরিবেশের ওপর আলোকপাত করে শ্রী মোদী বলেন, অবৈধভাবে অর্থ পাচার চিহ্নিত করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ, আর্থিক অপরাধে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্স, আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা এবং এগমন্ট গোষ্ঠীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। গত দু’দশক ধরে বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই পরিকাঠামো বিভিন্নভাবে কাজ করছে। এর থেকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের ঝুঁকির দিকটি কতখানি তা বোঝা সম্ভব বলে তিনি জানান।
উন্নত প্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের চেহারাও বদলাচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত এবং সন্ত্রাসবাদী হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। ডার্ক নেট, প্রাইভেট কারেন্সি এবং উদীয়মান অন্যান্য বিষয় এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ফলে, এই নতুন আর্থিক প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বোঝাপড়া হওয়া দরকার। এই সমস্ত ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্রকে যুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি জানান। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং সন্ত্রাসের সূত্র খুঁজে বের করে তাকে চিহ্নিত করতে প্রযুক্তির সদর্থক ব্যবহার হওয়া উচিৎ বলে তিনি জানান।
সাইবার সন্ত্রাসবাদ, অনলাইনে মৌলবাদ প্রচার এবং দূর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের যে পরিকাঠামো রয়েছে তা প্রতিরোধের জন্য ব্যক্তিগত স্তরে এবং ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে বলে শ্রী মোদী জানান। যোগাযোগ, পর্যটন এবং লজিস্টিক্স – এ সমস্ত ক্ষেত্রে যে যোগসূত্র কাজ করছে তার ওপর নজরদারি করতে এবং নিজের নিজের দেশে তার বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রত্যেক দেশকে আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে পদ্ধতিগত ও প্রক্রিয়াগত আইনের ফাঁক যাতে সন্ত্রাসবাদীরা কাজে লাগাতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক হওয়া দরকার। বিভিন্ন সরকারের মধ্যে সমন্বয় ও বোঝাপড়া, যৌথ কর্মপদ্ধতি রূপায়ণ, তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয় এবং সন্ত্রাসে সাহায্যকারীদের প্রত্যার্পণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের লড়াই সঙ্ঘবদ্ধ হবে। মৌলবাদ এবং উগ্রপন্থার সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। মৌলবাদকে যে বা যারা প্রশ্রয় দেবে দেশে তার বা তাদের কোনো জায়গা নেই বলে তিনি স্পষ্ট করে দেন।
বক্তব্যের শেষে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রসারের ক্ষেত্রে ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক সংক্রান্ত সম্মেলনের কথা যেমন নতুন দিল্লিতে ইন্টারপোলের সাধারণ সভা এবং মুম্বাইয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা সংক্রান্ত কমিটির অধিবেশনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। চলতি ক্ষেত্রে ‘সন্ত্রাসে কোনো অর্থ নয়’ শীর্ষক এই সম্মেলন সারা বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতদানের বিরুদ্ধে একটি মত গড়ে তুলতে কার্যকরি ভূমিকা নেবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই, স্বরাষ্ট্র সচিব শ্রী অজয় কুমার ভাল্লা এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি-র মহানির্দেশক শ্রী দীনকর গুপ্তা অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮ ও ১৯ নভেম্বর – দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলন সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের ক্ষেত্রে উদ্ভূত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কার্যকরি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ঐকমত্য তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। ২০১৮-র এপ্রিলে প্যারিসে এবং ২০১৯-এর নভেম্বরে মেলবোর্নে ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত এই ধরনের সম্মেলনের অভিজ্ঞতা থেকে সমৃদ্ধ হয়ে চলতি সম্মেলন আরও বেশি কার্যকরি ভূমিকা গ্রহণে সচেষ্ট হতে পারবে। সারা বিশ্ব থেকে ৪৫০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। এবারের এই সম্মেলনে চারটি অধিবেশনে ‘সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদতের বিশ্বজনীন প্রবণতা’, ‘সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে প্রচলিত এবং অপ্রচলিত বিভিন্ন তহবিল সরবরাহকারী চ্যানেল’, ‘সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদতের ক্ষেত্রে উদ্ভূত প্রযুক্তি’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত মোকাবিলার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলা’ – এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
PG/AB/DM/
Addressing the 'No Money for Terror' Ministerial Conference on Counter-Terrorism Financing. https://t.co/M7EhOCYIxS
— Narendra Modi (@narendramodi) November 18, 2022
India has fought terrorism bravely. pic.twitter.com/iPHeepOcVZ
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
We will not rest till terrorism is uprooted. pic.twitter.com/ZER4uwjEps
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
The long-term impact of terrorism is particularly hard on the poor and on the local economy. pic.twitter.com/KZ8iyVHMuQ
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
There should be no need for anyone to remind the world of the dangers of terrorism. pic.twitter.com/ylvKKBETXm
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
All terrorist attacks deserve equal outrage and action. pic.twitter.com/5ref0Wjw4h
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
Uniform, unified and zero-tolerance approach can defeat terrorism. pic.twitter.com/6L4l0Wqe7Y
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
Uprooting terrorism needs a larger, proactive, systemic response. pic.twitter.com/ZkoEGIifkU
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
It is well known that terrorist organizations get money through several sources.
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
One source is state support. pic.twitter.com/IG7AHnttDe
One of the sources of terror funding is organised crime. pic.twitter.com/GgfQK2IVmy
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
Joint operations, intelligence coordination and extradition help the fight against terror. pic.twitter.com/onlZRYz9Uf
— PMO India (@PMOIndia) November 18, 2022
India has experienced the dark face of terrorism long before the world took serious note of it.
— Narendra Modi (@narendramodi) November 18, 2022
We will not rest till terrorism is uprooted. pic.twitter.com/KkqvMNdnyE
All terror attacks merit equal outrage and action. pic.twitter.com/OH8xXB7ZXJ
— Narendra Modi (@narendramodi) November 18, 2022
The world needs to unite against all kinds of terror. pic.twitter.com/TSoAZcjgvI
— Narendra Modi (@narendramodi) November 18, 2022