Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

সন্তকবীর নগরে সন্ত-কবি কবীরের ৫০০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

সন্তকবীর নগরে সন্ত-কবি কবীরের ৫০০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

সন্তকবীর নগরে সন্ত-কবি কবীরের ৫০০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

সন্তকবীর নগরে সন্ত-কবি কবীরের ৫০০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তর প্রদেশের সন্তকবীর নগর জেলার মাঘার পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে সন্ত-কবি কবীরের ৫০০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধি ক্ষেত্রে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। সন্তকবীর মাজারে একটি চাদরও নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। সন্তকবীর গুহাটিও তিনি পরিদর্শন করেন। সন্ত কবীর অ্যাকাডেমির শিলান্যাস উপলক্ষে একটি ফলকের আবরণও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। সন্তকবীরের চিন্তাভাবনা ও শিক্ষাদর্শকে তুলে ধরা হবে এই কেন্দ্রটিতে।

পরে, এক জনসমাবেশে ভাষণদানকালে শ্রী মোদী বলেন, তাঁর বহু দিনের একটি বাসনা আজ পূর্ণ হ’ল। কারণ, পবিত্র মাঘারের মাটিতে অবস্থিত সন্ত কবীরের সমাধিতে তিনি আজ শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ লাভ করেছেন। কথিত আছে যে, এই মাঘারেই সন্ত কবীর, গুরু নানক এবং বাবা গোরখনাথ আধ্যাত্মিক সাধনায় একদা মগ্ন ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে চলেছে সন্ত কবীর অ্যাকাডেমি। সন্ত কবীরের পরম্পরা সহ উত্তর প্রদেশের আঞ্চলিক ভাষা, উপভাষা ও লোকশিল্পের নিদর্শনগুলিকেও সেখানে সংরক্ষণ করা হবে।

শ্রী মোদী বলেন, সন্ত কবীরের মধ্যে ভারতাত্মার মূল সুরটি ধ্বনিত হয়েছে। জাতপাতের গণ্ডি অতিক্রম করে সাধারণ গ্রাম্য ভারতীয় ভাষায় তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যুগে যুগে সাধু-সন্তদের আবির্ভাব ঘটেছে। সামাজিক কুফলগুলি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সমাজকে তাঁরা পথনির্দেশ করে গেছেন। বাবাসাহেব আম্বেদকরের কথাও প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন তিনি। সংবিধান রচনার মাধ্যমে দেশের নাগরিকের মধ্যে ভেদাভেদ ও বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন বাবাসাহেব আম্বেদকর।

রাজনৈতিক সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য পেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও অনুভূতিগুলিকে উপলব্ধি করতে পারেন তিনি হলেন কবীরের শিক্ষাদর্শ অনুযায়ী প্রকৃত ও আদর্শ শিক্ষক। মানুষে মানুষে বিভেদ ও বৈষম্যের পেছনে যে সমস্ত সামাজিক প্রথা ও রীতিনীতি কাজ করত তার ঘোরতর বিরোধী ছিলেন সন্ত কবীর।

দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির কথাও তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। জন ধন যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, বিভিন্ন সামাজিক বিমা কর্মসূচি, শৌচাগার নির্মাণ এবং প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরের মতো কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলির কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে। রেল, সড়ক, অপটিক্যাল ফাইবার সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজে বর্তমানে যে গতি সঞ্চার ঘটেছে সেকথাও তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের সুফল যাতে দেশের প্রত্যেক প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক নতুন ভারত গড়ে তোলার কাজে সন্ত কবীরের শিক্ষাদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

SSS/SKD/SB