বিদ্যুৎ মন্ত্রকের মাশুল নীতি সংশোধনের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকটি আজ অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রথম বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের বিষয়টি সার্বিকভাবে পর্যালোচনার পর ২০০৬ সালের বিদ্যুতের মাশুল নীতি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সংশোধনের মূল বিষয় ও লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উজ্জ্বল ডিসকম যোজনার উদ্দেশ্য সফল করে তোলা, সমস্ত গ্রাহকের কাছে ২৪ ঘন্টাই বিদ্যুতের নিরন্তর যোগান সম্ভব করে তোলা, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাগুলিতে অতিক্ষুদ্র গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া, কয়লা খনি অঞ্চলের একেবারে কাছাকাছি যারা বসবাস করেন তাদের কাছে পরিত্যক্ত কয়লা থেকে বিদ্যুৎ আহরণ করে তার যোগান দেওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও এই সংশোধন নীতির উদ্দেশ্য হল বর্তমান বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ খাতে ব্যয়ের সাশ্রয় ঘটানো, স্মার্ট মিটার সংস্থাপনের কর্মসূচিতে গতি বৃদ্ধি, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার কাজকে উৎসাহিত করা, বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর এবং তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভারত মিশনকে সফল করে তোলা, শহর এলাকায় নির্মল পানীয় জলের যোগান সুলভ করে তোলা, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে নানাভাবে উৎসাহিত করা ইত্যাদি। এছাড়াও, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের মতো পূর্বাঞ্চলের কয়লা-সমৃদ্ধ রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিপণনের ক্ষেত্রে বাজারকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তার ভাব কাটিয়ে উঠতেও সংশোধিত মাশুল নীতি বিশেষ কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুতের মাশুল নীতিতে সংশোধন আনার ফলে গ্রাহকরা নানাভাবে উপকৃত হবেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও যোগানের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন বিদ্যুতের জন্য ব্যয় তাদের অপেক্ষাকৃত কম হবে, অন্যদিকে তেমনই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে বিদ্যুৎ আহরণের ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও বহুলাংশে হ্রাস পাবে। শুধু তাই নয়, সার্বিকভাবে জ্বালানি ও শক্তি নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও সংশোধিত নতুন নীতি বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে। বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর, নিকাশী জলকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ এবং ‘নমামি গঙ্গে মিশন’– এই দুটি কর্মসূচি বিশেষভাবে উৎসাহ লাভ করবে। আর এর ফলে সুলভ হবে সেচ ও নির্মল পানীয় জল।
বিদ্যুৎ মাশুল নীতির সংশোধনের ফলে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দামে বিদ্যুতের যোগান সুলভ করে তোলা যাবে গ্রাহক সাধারণের জন্য। এর ফলে, বাণিজ্যিক কাজকর্মও হয়ে উঠবে দক্ষ ও সহজতর। সারা দেশে ২৪ ঘন্টাই বিদ্যুতের যোগান নিরন্তর করে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর চিন্তাভাবনার বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে মাশুল নীতিটি সংশোধিত হলে।
PG/SKD/DM/
Cabinet approves amendments in Power Tariff Policy to ensure 24X7 affordable Power for all. https://t.co/QYJl6xDAWe
— PMO India (@PMOIndia) January 20, 2016