Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

শ্রী সিদ্দাগঙ্গা মঠ পরিদর্শন, শ্রী শ্রী শিবকুমার স্বামীজির স্মারক সংগ্রহালয়ের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কর্ণাটকের তুমকুরে শ্রী সিদ্দাগঙ্গা মঠ পরিদর্শন করে সেখানে শ্রী শ্রী শিবকুমার স্বামীজির স্মরণে একটি সংগ্রহালয়ের শিলান্যাস করেন।

টুমকুরে শ্রী সিদ্দাগঙ্গা মঠ পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে এই পবিত্র ভূমি থেকে তাঁর ইংরাজি নববর্ষ ২০২০ সালের যাত্রা শুরু হচ্ছে। শ্রী সিদ্দাগঙ্গা মঠের পবিত্র শক্তি সাধারণ মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে।

শ্রী মোদী বলেন, ‘আমরা সবাই পূজনীয় স্বামী শ্রী শ্রী শিবকুমার-জীর কাল্পনিক উপস্হিতি অনুভব করি। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হয়েছে যে তাঁর উজ্জ্বল নিবদ্ধ দৃষ্টি সর্বদাই অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বে সমৃদ্ধ পবিত্র এই ভূমি দশকের পর দশক ধরে সমাজকে সঠিক দিশা দেখিয়ে আসছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রী শ্রী শিবকুমার-জীর স্মরণে গড়ে উঠতে চলা এই সংগ্রহালয়ের শিলান্যাসের সুযোগ পাওয়া তাঁর কাছে সৌভাগ্যের। এই সংগ্রহালয় কেবল সাধারণ মানুষকেই অনুপ্রাণিত করবে না, সেইসঙ্গে সমাজ ও দেশকেও সঠিক দিশায় চালিত করবে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রাণশক্তি ও নতুন উদ্যোগ নিয়ে ভারত একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে প্রবেশ করেছে।

তিনি বিগত দশক কেমনভাবে শুরু হয়েছিল তা দেশবাসীকে স্মরণ করার কথা বলেন। বিগত দশকটির সঙ্গে তুলনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকটি প্রত্যাশা ও স্বদিচ্ছার এক মজবুত আবহে শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রত্যাশা এক নতুন ভারত গঠনের। এই প্রত্যাশা তরুণদের স্বপ্নের। এই প্রত্যাশা দেশের বোন ও শিশু কন্যাদের। এই প্রত্যাশা দেশের গরিবদের, পিছিয়ে পড়া মানুষের, বঞ্চিত মানুষের, দেশের আদিবাসী মানুষের’।

‘এই প্রত্যাশা ভারতকে এক সমৃদ্ধ, সক্ষম এবং সব দিক দিয়ে বিশ্বের শক্তিধর দেশ হিসেবে দেখার। প্রত্যাশা এখন প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে প্রাণশক্তির বিষয় হয়ে উঠেছে, যা আমাদেরকে সহজাত সমস্যাগুলি সমাধানে উদ্বুদ্ধ করছে। সমাজের আত্মা থেকে উঠে আসা এই বার্তা আমাদের সরকারকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের জীবন বাঁচাতে, কন্যা শিশুদের জীবন রক্ষায় বহু মানুষ পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক দেশবাসীর মনে একটা প্রশ্ন রয়েছে, মানুষ কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলে না ? পরিবর্তে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তাদের বিরুদ্ধেই শোভাযাত্রা বের করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংসদের বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের যদি বিক্ষোভ প্রদর্শন করারই থাকে তাহলে বিগত ৭০ বছর ধরে পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের এই কৃতকর্মের মুখোশ খুলে দেওয়ার। আপনাদের যদি শ্লোগান দেওয়ারই থাকে তাহলে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। এমনকি, আপনাদের যদি শোভাযাত্রা বা পদযাত্রা গ্রহণের কর্মসূচি থাকে তাহলে তা পাকিস্তানে শোষণের শিকার হিন্দু দলিত মানুষের সমর্থনে গ্রহণ করুন’।

প্রধানমন্ত্রী তিনটি বিষয়ে সাধু-সন্ন্যাসীদের সমর্থন আহ্বান করেন।

প্রথমত, প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য ও দায়িত্ববোধের প্রতি মান্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে ভারতের সুপ্রাচীন সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন ঘটানো।

দ্বিতীয়ত, প্রকৃতি ও পরিবেশের সুরক্ষা এবং

তৃতীয়ত, জল সংরক্ষণ ও বৃষ্টির জল ধরে রাখার ক্ষেত্রে জনসচেতনা গড়ে তুলতে সাহায্য করা।

শ্রী মোদী বলেন, ভারত সর্বদাই সাধু, সন্ত, গুরুদের সঠিক পথে চলার ক্ষেত্রে আলোর দিশারী হিসেবে দেখে এসেছে।

******

CG/ BD/NS