নতুন দিল্লি, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
হরে কৃষ্ণ! আজকের এই পুণ্য উৎসবে আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রী কিষাণ রেড্ডি, ইস্কন ব্যুরোর সভাপতি শ্রী গোপালকৃষ্ণ গোস্বামীজী, আর বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে আমাদের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত হয়েছেন সেই সমস্ত কৃষ্ণ ভক্ত বন্ধুগণ!
গত পরশু শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ছিল। আর আজ আমরা শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভূপাদজী-র ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করছি। এটা একটা এমন ঘটনা যেন সাধনার সুখ আর সন্তোষ উভয়ই একসঙ্গে পাওয়া গেল। এই ভাব নিয়ে আজ গোটা বিশ্বে শ্রীল ভক্তিবেদান্ত প্রভূপাদ স্বামীজী-র লক্ষ কোটি অনুগামী, আর লক্ষ কোটি কৃষ্ণ ভক্ত অনুভব করছেন। আমি সামনের স্ক্রিনে ভিন্ন ভিন্ন দেশে সমবেত হওয়া আপনাদের সবাইকে, সমস্ত সাধকদের দেখতে পাচ্ছি। এমন মনে হচ্ছে যেন লক্ষ লক্ষ মন একটি ভাবনার সুতোয় বাঁধা, লক্ষ লক্ষ শরীর একটি অখণ্ড চৈতন্যের ডোরে গাঁথা! এটি সেই কৃষ্ণ চেতনা যার অলখ শ্রীল ভক্তিবেদান্ত প্রভূপাদ স্বামীজী গোটা বিশ্বে পৌঁছে দিয়েছেন।
বন্ধুগণ,
আমরা সবাই জানি যে ভক্তিবেদান্ত প্রভূপাদ স্বামীজী যেমন একজন অলৌকিক কৃষ্ণভক্ত ছিলেন, তেমনি তিনি একজন মহান ভারত ভক্তও ছিলেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে স্কটিস চার্চ কলেজ থেকে নিজের ডিপ্লোমা নিতে অস্বীকার করেছিলেন। আজ এটা একটি আনন্দময় সংযোগ যে এমন মহান দেশভক্তের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী এমন সময় পালিত হচ্ছে, যখন ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব পালন করছে। শ্রীল ভক্তিবেদান্ত প্রভূপাদ স্বামীজী বলতেন, তাঁর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য হল তিনি ভারতের সবচাইতে অমূল্য জিনিসটি বিশ্বকে দিতে চান। ভারতের যত জ্ঞান বিজ্ঞান, আমাদের যত জীবনশৈলী, সংস্কৃতি আর পরম্পরা ও দর্শন রয়েছে –
অথ-ভূত দয়াম্ প্রতি
অর্থাৎ প্রতিটি জীবের জন্য, প্রতিটি জীবের কল্যাণের জন্য!
আমাদের অনুষ্ঠানগুলির অন্তিম মন্ত্র এটাই হয়
ইদম্ ন মমম্
অর্থাৎ এটা আমার নয়, এটা অখিল ব্রহ্মাণ্ডের জন্য, সম্পূর্ণ সৃষ্টির হিতের জন্য। আর সেজন্য, স্বামীজীর পুজনীয় গুরুজী শ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতীজী তাঁর মধ্যে সেই ক্ষমতা দেখেছেন, তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তিনি ভারতের চিন্তা, চেতনা, দর্শনকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। শ্রীল ভক্তিবেদান্ত প্রভূপাদ স্বামীজী তাঁর গুরুর এই আদেশকে তাঁর জীবনে মিশন হিসেবে নিয়ে নেন আর তাঁর কঠিন তপস্যার পরিণাম আজ বিশ্বের কোণায় কোণায় পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অমৃৎ মহোৎসবে ভারতও ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ আওর সব কা বিশোয়াস’ মন্ত্র নিয়ে এমন সংকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যাত্রা পথের ভিত্তি গড়ে তুলেছে। আমাদের এই সংকল্পগুলির কেন্দ্রে, আমাদের এই লক্ষ্যগুলির মূলেও বিশ্ব কল্যাণেরই ভাবনা রয়েছে। আর আপনারা এর সাক্ষী যে এই সংকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রচেষ্টা কতটা প্রয়োজন। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, শ্রীল ভক্তিবেদান্ত প্রভূপাদ স্বামীজী একাই বিশ্বকে এত কিছু দিয়েছেন, তখন তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করলে কেমন পরিণাম আসবে? আমরা অবশ্যই মানবিক চেতনার সেই শীর্ষে পৌঁছবো যেখান থেকে আমরা বিশ্বে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে পারি, প্রত্যেক মানুষের কাছে প্রেমের বার্তা পৌঁছে দিতে পারি।
বন্ধুগণ,
মানবতার হিতে ভারত বিশ্বকে কত কিছু দিতে পারে, আজ তার একটি বড় উদাহরণ হলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া আমাদের যোগ-এর জ্ঞান! আমাদের যোগ-এর পরম্পরা! ভারতের যে সুদুর প্রসারী ও দীর্ঘস্থায়ী জীবনশৈলী রয়েছে, আয়ুর্বেদের মতো যে বিজ্ঞান রয়েছে, আমাদের সংকল্প হলো এগুলির মাধ্যমেও যেন গোটা বিশ্ব উপকৃত হয়। আত্মনির্ভরতার যে মন্ত্র সম্পর্কে শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভূপাদ প্রায়ই বলতেন সেটাকে ভারত নিজের বিধেয় করে তুলেছে আর সেই লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি প্রায়ই যখন ‘আত্মনির্ভর ভারত’ আর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র লক্ষ্যগুলি নিয়ে আলোচনা করি তখন আমাদের আধিকারিকদের, ব্যবসায়ীদেরও ইস্কনের ‘হরে কৃষ্ণা’ আন্দোলনের সফলতার উদাহরণ দিই। আমরা যখনই অন্য কোনো দেশে যাই আর সেখানে যখন মানুষ ‘হরে কৃষ্ণ’ বলে আমাদের সঙ্গে পরিচিত হন তখন আমাদের কত না আপন লাগে, কত না গর্ব হয়! কল্পনা করুন, এই আপনত্ব যখন আমরা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যগুলির ক্ষেত্রেও পাবো তখন আমাদের কেমন লাগবে! ইস্কনের কাছ থেকে শিখে আমরা এই লক্ষ্যগুলিকেও বাস্তবায়িত করতে পারি।
বন্ধুগণ,
ভগবান কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন –
ন হি জ্ঞানেন সদৃশম্ পবিত্র-মিহ বিদ্যতে
অর্থাৎ জ্ঞানের সমান পবিত্র কিছুই নেই। জ্ঞানকে এই শীর্ষস্থান দেওয়ার পর তিনি আরেকটি কথা বলেছিলেন-
ময়্যেব মন আধৎস্ব ময়ি বুদ্ধিম নিবেশয়
অর্থাৎ জ্ঞান-বিজ্ঞানকে রপ্ত করার পর নিজের মন ও বুদ্ধিকে কৃষ্ণের প্রতি সমর্পণ করো, তাঁর ভক্তিতে উৎসর্গ করো। এই বিশ্বাস, এই বলও একটা যোগ, যাকে গীতার দ্বাদশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে – ভক্তিযোগ। আর এই ভক্তি যোগের সামর্থ অনেক বড় হয়। ভারতের ইতিহাসও এর সাক্ষী। যখন ভারত দাসত্বের গভীর গর্তে আটকে গেছিল, অন্যায়, অত্যাচার আর শোষণে পীড়িত ভারত নিজের জ্ঞান এবং শক্তিতে কেন্দ্রীভূত করতে পারছিল না, তখন এই ভক্তিই ভারতের চেতনাকে জীবন্ত রেখেছিল, ভারতের পরিচয়কে অক্ষুণ্ণ রেখেছিল। আজ বিদ্যানরা এটা মানেন যে ভারতে যদি ভক্তিকালের সামাজিক বিপ্লবগুলি না আসতো তাহলে ভারত আজ কোন্ পরিস্থিতিতে থাকতো, কোন্ স্বরূপে রূপান্তরিত হতো! কিন্তু, সেই কঠিন সময়ে চৈতন্য মহাপ্রভূর মতো সন্নাসীরা আমাদের সমাজকে ভক্তির ভাবনা দিয়ে একসুত্রে বেঁধেছেন, তাঁরা ‘বিশ্বাস থেকে আত্মবিশ্বাস’ –এর মন্ত্র দিয়েছেন। আস্থার বৈষম্য, সামাজিক বৈষম্য, অধিকার-অনধিকার – ভক্তি এই সব কিছুকে সমাপ্ত করে শিব আর জীবনের মধ্যে একটি সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করে।
বন্ধুগণ,
ভারতের ইতিহাস অধ্যয়ন করলে আপনারও পাবেন যে ভক্তির এই সূত্রকে অক্ষত রাখতে ভিন্ন ভিন্ন কালখণ্ডে ঋষি-মুনি, মহর্ষি আর মনীষীরা সমাজ থেকেই উঠে আসেন, আবির্ভূত হন। একটা সময় স্বামী বিবেকানন্দের মতো মনীষী এগিয়ে আসেন যিনি একদিন আমাদের বেদ বেদান্তকে পাশ্চাত্যে পৌঁছে দেন, অন্যদিকে শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভূপাদ বিশ্বকে ভক্তিযোগে প্লাবিত করার দায়িত্ব পালন করেন। আর ইস্কন সেই মহান দায়িত্বের উত্তরাধিকার পালন করে যাচ্ছে। তিনি ভক্তি বেদান্তকে বিশ্ব মানবের চেতনার সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করেন। এটা কোনো সাধারণ কাজ ছিল না। তিনি প্রায় ৭০ বছর বয়সে ইস্কনের মতো আন্তর্জাতিক মিশন চালু করেন। যখন মানুষ তার জীবনের দায়িত্ব এবং সক্রিয়তা কম করতে থাকে সেই বয়সে তিনি নিজের কাঁধে এত বড় দায়িত্বভার তুলে নেন। এটা আমাদের সমাজের জন্য এবং প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য একটি বড় উদাহরণ যা প্রত্যেককে প্রেরণা জোগায়। অনেক সময় আমরা দেখি মানুষ বলে, বয়স হয়ে গেছে নাহলে অনেক কিছু করতাম! অর্থাৎ এখন এসব কাজ করার সঠিক বয়স নয়। কিন্তু শ্রীল ভক্তিবেদান্ত প্রভূপাদ স্বামীজী তাঁর শৈশব থেকে শুরু করে সমগ্র জীবন নিজের সংকল্পগুলি বাস্তবায়িত করার জন্য সক্রিয় ছিলেন। শ্রীল ভক্তিবেদান্ত প্রভূপাদ স্বামীজী যখন সামুদ্রিক জাহাজে করে যাত্রা করেন তখন তাঁর পকেট প্রায় ফাকা ছিল। তাঁর পুঁজি ছিল শ্রীমদ্ ভাগবৎ গীতা এবং তাঁর জ্ঞান। যাত্রা পথে তাঁর দু’বার হার্ট অ্যাটাক হয়। যখন তিনি নিউইয়র্ক পৌঁছন, তখন তাঁর কাছে খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল না, থাকার ঠিকানাও ছিল না। কিন্তু তার পরবর্তী ১১ বছরে বিশ্ব যা দেখলো, শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ীজী এবিষয়ে বলেছিলেন – ‘তা কোনো চমৎকার থেকে কম ছিল না!’
আজ বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন দেশে শত শত ইস্কন মন্দির রয়েছে। অসংখ্য গুরুকুল ভারতীয় সংস্কৃতিকে সে সব দেশে জীবন্ত করে রেখেছেন। ইস্কন বিশ্বকে বলেছে, যে ভারতের জন্য আস্থার অর্থ হলো – উৎসাহ, উদ্দীপনা, উল্লাস আর মানবতার উপর বিশ্বাস। আজ প্রায়ই বিশ্বের নানা প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভারতীয় বেশভূষা পরে কীর্তন করতে দেখা যায়। অত্যন্ত অনাড়ম্বর পরিধেয়, হাতে ঢোল করতালের মতো বাদ্যযন্ত্র আর হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ সঙ্গীতময় কীর্তন গাইতে গাইতে তাঁরা সবাই এক আত্মিক শান্তিতে বিভোর হয়ে নাচতে থাকেন। যাঁরা দেখেন, তাঁদের মনে হয় যে কোনো উৎসবের আয়োজন বুঝি চলছে। কিন্তু আমাদের জন্য তো এই কীর্তন, এই আয়োজন দৈনন্দিন জীবনের সহজ অঙ্গ মাত্র। আস্থার এই উল্লাসময় স্বরূপ নিরন্তর গোটা বিশ্বে মানুষকে আকর্ষণ করে আসছে, এই আনন্দ আজ বিশ্ববাসীকে চাপ মুক্ত হয়ে বাঁচার ক্ষেত্রে নতুন আশা প্রদান করছে।
বন্ধুগণ,
শ্রীমদ ভগবৎ গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন –
অদ্বেষ্টা সর্ব-ভূতানাংমৈত্রঃ করুণ এব চ।
নির্মমোনির-হংকারঃ সম দুঃখ সুখঃ ক্ষমী।।
অর্থাৎ যিনি জীব মাত্রকেই ভালোবাসেন, সকলের জন্য মনে করুণা আর প্রেম রাখেন, যার মনে দ্বেষ নেই, তিনিই ঈশ্বরের প্রিয়। এই মন্ত্রই হাজার হাজার বছর ধরে ভারতীয় দর্শনের ভিত্তি ছিল। আর এই দর্শনকে সামাজিক ভিত্তি প্রদানের কাজ আমাদের মন্দিরগুলি করেছে। ইস্কন মন্দির আজ এই সেবা পরম্পরার আধুনিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আমার মনে আছে, যখন কচ্ছে ভূমিকম্প এসেছিল তখন কিভাবে ইস্কনের সদস্যরা নিঃস্বার্থ সেবার জন্য এগিয়ে কাজ করেছিলেন। যখনই দেশে কোনো বিপর্যয় এসেছে, তা সে উত্তরাখণ্ডের হরকা বান ও ধ্বসের বিপর্যয় হোক কিংবা ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসলীলা, ইস্কন সমাজের সেবা করা ও পাশে দাঁড়ানোর কাজ করেছে। করোনা মহামারীতেও আপনারা কোটি কোটি রোগী, তাঁদের পরিবার পরিজন এবং প্রবাসীদের জন্য ক্রমাগত খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনের ব্যবস্থা করে এসেছেন। মহামারী ছাড়াও, লক্ষ লক্ষ গরীবদের ভোজন এবং সেবার অনবরত অভিযান আপনাদের মাধ্যমে চলতে থাকে। যেভাবে ইস্কন কোভিড রোগীদের জন্য হাসপাতাল গড়ে তুলেছে, আর এখন টিকাকরণ অভিযানেও অংশগ্রহণ করছে – তার সমস্ত তথ্য আমি নিয়মিত পাচ্ছিলাম। আমি ইস্কনকে আর এর সঙ্গে যুক্ত সকল ভক্তদের আপনাদের এই সেবা যজ্ঞের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুগণ,
আপনারা আজ সত্য, সেবা এবং সাধনার মন্ত্র নিয়ে শুধুই কৃষ্ণ সেবা করছেন না, বরং গোটা বিশ্বে ভারতীয় আদর্শ এবং সংস্কারগুলির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের ভূমিকাও পালন করছেন। ভারতের শাশ্বত সংস্কার হলো –
সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ, সর্বে সন্তু নিরাময়ঃ।
এই ভাবনা ইস্কনের মাধ্যমে আপনাদের সকলের, বিশ্বের লক্ষ কোটি নাগরিকের সংকল্পে পরিণত হয়েছে। ঈশ্বরের প্রতি প্রেম আর প্রত্যেক জীবের জন্যই ঈশ্বরের দর্শন এটাই এই সংকল্পের বাস্তবায়নের পথ। এই পথই আমাদের বিভূতি যোগ অধ্যায়ে ভবগান কৃষ্ণ স্বয়ং বলেছিলেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা ‘বাসুদেবঃ সর্বম্’ –এর মন্ত্র আমাদের জীবনেও প্রয়োগ করবো, আর জাতি- ধর্ম- বর্ণ- লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষকে এই একতার অনুভূতি এনে দিতে পারবো। এই প্রত্যাশা রেখে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
হরে কৃষ্ণ!
CG/SB/SKD/
Paying tributes to Srila Bhaktivedanta Swami Prabhupada Ji. https://t.co/Os4Z23Nv4P
— Narendra Modi (@narendramodi) September 1, 2021
परसो श्री कृष्ण जन्माष्टमी थी और आज हम श्रील प्रभुपाद जी की 125वीं जन्मजयंती मना रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 1, 2021
ये ऐसा है जैसे साधना का सुख और संतोष एक साथ मिल जाए।
इसी भाव को आज पूरी दुनिया में श्रील प्रभुपाद स्वामी के लाखों करोड़ों अनुयाई और लाखों करोड़ों कृष्ण भक्त अनुभव कर रहे हैं: PM
हम सब जानते हैं कि प्रभुपाद स्वामी एक अलौकिक कृष्णभक्त तो थे ही, साथ ही वो एक महान भारत भक्त भी थे।
— PMO India (@PMOIndia) September 1, 2021
उन्होंने देश के स्वतन्त्रता संग्राम में संघर्ष किया था।
उन्होंने असहयोग आंदोलन के समर्थन में स्कॉटिश कॉलेज से अपना डिप्लोमा तक लेने से मना कर दिया था: PM
मानवता के हित में भारत दुनिया को कितना कुछ दे सकता है, आज इसका एक बड़ा उदाहरण है विश्व भर में फैला हुआ हमारा योग का ज्ञान!
— PMO India (@PMOIndia) September 1, 2021
भारत की जो sustainable lifestyle है, आयुर्वेद जैसे जो विज्ञान हैं, हमारा संकल्प है कि इसका लाभ पूरी दुनिया को मिले: PM @narendramodi
हम जब भी किसी दूसरे देश में जाते हैं, और वहाँ जब लोग ‘हरे कृष्ण’ बोलकर मिलते हैं तो हमें कितना अपनापन लगता है, कितना गौरव भी होता है।
— PMO India (@PMOIndia) September 1, 2021
कल्पना करिए, यही अपनापन जब हमें मेक इन इंडिया products के लिए मिलेगा, तो हमें कैसा लगेगा: PM @narendramodi
आज विद्वान इस बात का आकलन करते हैं कि अगर भक्तिकाल की सामाजिक क्रांति न होती तो भारत न जाने कहाँ होता, किस स्वरूप में होता!
— PMO India (@PMOIndia) September 1, 2021
लेकिन उस कठिन समय में चैतन्य महाप्रभु जैसे संतों ने हमारे समाज को भक्ति की भावना से बांधा, उन्होने ‘विश्वास से आत्मविश्वास’ का मंत्र दिया: PM @narendramodi
एक समय अगर स्वामी विवेकानंद जैसे मनीषी आए जिन्होंने वेद-वेदान्त को पश्चिम तक पहुंचाया, तो वहीं विश्व को जब भक्तियोग को देने की ज़िम्मेदारी आई तो श्रील प्रभुपाद जी और इस्कॉन ने इस महान कार्य का बीड़ा उठाया।
— PMO India (@PMOIndia) September 1, 2021
उन्होंने भक्ति वेदान्त को दुनिया की चेतना से जोड़ने का काम किया: PM
आज दुनिया के अलग अलग देशों में सैकड़ों इस्कॉन मंदिर हैं, कितने ही गुरुकुल भारतीय संस्कृति को जीवंत बनाए हुये हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 1, 2021
इस्कॉन ने दुनिया को बताया है कि भारत के लिए आस्था का मतलब है- उमंग, उत्साह, और उल्लास और मानवता पर विश्वास: PM @narendramodi