Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথ প্রেস বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য


নয়াদিল্লি, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

 

মহামান্য প্রেসিডেন্ট দিসানায়ক জি,

উভয় দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ,

সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা,

নমস্কার!

আয়ুবোওয়ান!

ভানাক্কম!

এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের যে, প্রেসিডেন্ট দিসানায়েক আজ আমাকে ‘শ্রীলঙ্কা মিত্র বিভূষণ’ প্রদান করেছেন। এই সম্মান শুধু আমার একার নয়- এটি ১৪০ কোটি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। এটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার মানুষের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও ঐতিহাসিক বন্ধনের প্রতীক। এই সম্মানের জন্য আমি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, সরকার এবং মানুষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

বন্ধুগণ,

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি আমার চতুর্থ শ্রীলঙ্কা সফর। শেষবার এসেছিলাম ২০১৯ সালে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সেই সময়ের তুলনায় শ্রীলঙ্কা এখন আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। 

শ্রীলঙ্কার মানুষের সাহস ও ধৈর্যের আমি প্রশংসা করছি। আমি আনন্দি যে, শ্রীলঙ্কা অগ্রগতির পথে ফিরে এসেছে। একজন প্রকৃত প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে ভারত তার দায়িত্ব পালন করতে পেরে গর্বিত। 

বন্ধুগণ,

প্রেসিডেন্ট দিসানায়েক তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন। এটি আমাদের বিশেষ সম্পর্কে বার্তা দিচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী সর্বাগ্রে নীতি এবং ভিশন ‘মহাসাগর’, উভয় ক্ষেত্রেই শ্রীলঙ্কার বিশেষ ফাঁক রয়েছে। প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকের ভারত সফরের পর গত ৪ মাসে আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

বন্ধুগণ,

ভারত ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ ভাবনায় বিশ্বাসী। গত ৬ মাসে শ্রীলঙ্কার ইস্টার প্রভিন্সের সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ২.৫ বিলিয়ন রুপি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। আগামীকাল ‘মাহো-ওমান্থায়’ আধুনিক রেল লাইনের উদ্বোধন করা হবে। শ্রীলঙ্কায় বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত তামিল সম্প্রদায়ের জন্য ১০,০০০ বাড়ি নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শেষ হবে। 

বন্ধুগণ,

সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের স্বার্থ রক্ষায় বিশ্বাসী। দুই দেশই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত এবং নির্ভরশীল। প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিকে স্বাগত জানাই। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে আধ্যাত্মিক বন্ধন শত শত বছরের পুরনো। ত্রিঙ্কোমালিতে থিরু কোনেশ্বরম মন্দিরের সংস্কারে ভারত সহায়তা করবে। মৎস্যজীবীদের জীবনজীবিকা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। এ ব্যাপারে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণে একমত হয়েছি। সেইসঙ্গে অবিলম্বে মৎস্যজীবীদের মুক্তি এবং তাঁদের নৌকাগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টির ওপর আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। 

আমার আশা, শ্রীলঙ্কার সরকার তামিলদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে এবং শ্রীলঙ্কার সংবিধান মেনে তার অঙ্গীকার পূরণ করবে। সেইসঙ্গে প্রাদেশিক কাউন্সিলের নির্মাচন সম্পূর্ণ করবে। 

বন্ধুগণ,

পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব। আমি আবার প্রেসিডেন্ট দিসানায়েককে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামীদিনে এমন একটা সময় আসবে, যখন আমাদের অংশীদারিত্ব এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। 

আপনাদের অনেক ধন্যবাদ!

 

SC/MP/NS