Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

শিক্ষকদিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়েরছাত্রছাত্রীদের সমাবেশেপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর ভাষণ

শিক্ষকদিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়েরছাত্রছাত্রীদের সমাবেশেপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর ভাষণ

শিক্ষকদিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়েরছাত্রছাত্রীদের সমাবেশেপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর ভাষণ

শিক্ষকদিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়েরছাত্রছাত্রীদের সমাবেশেপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর ভাষণ

শিক্ষকদিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়েরছাত্রছাত্রীদের সমাবেশেপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর ভাষণ

শিক্ষকদিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়েরছাত্রছাত্রীদের সমাবেশেপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর ভাষণ


মঞ্চেউপস্থিত আমার মন্ত্রিসভারসহকর্মীরা, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবংঅভিভাবকগণ,

প্রতিবছর ৫ সেপ্টেম্বর ভারতেরভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ডঃরাধাকৃষ্ণণের জন্মদিনে শিক্ষকদিবস পালন করা হয়। কিন্তু, আগামীকালডঃ রাধাকৃষ্ণণের পাশাপাশিভগবান শ্রীকৃষ্ণেরও জন্মদিন, সেজন্যআজই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেসাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছি।কারও মনে হতে পারে, এইশিক্ষক দিবসের জন্য সময় কাটানোরকী প্রয়োজন। আমার অভিজ্ঞতাঅনুযায়ী, শিক্ষকেরপরিচয় তাঁর ছাত্রছাত্রীরা।ছাত্রছাত্রীরাই তাদের সাফল্যএবং কৃতিত্বের মাধ্যমে নিজেরশিক্ষকদের সুনাম বৃদ্ধি করে।আর, বিশ্বেএমন কেউ কি আছেন, যিনিতাঁর জীবনে মা এবং শিক্ষকেরঅবদান অস্বীকার করবেন। প্রত্যেকমানুষের জন্মদাত্রী হলেন মাএবং জীবন দান করেন তার শিক্ষক।তিনি বাঁচার লক্ষ্য তৈরি করেদেন। আমাদের প্রত্যেকের মনেইশিক্ষকের এতটাই প্রভাব থাকেযে, আমরাযখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তামতখন এক শিক্ষক বলে দিলেন ঘুমানোরসময় এভাবে বালিশ রাখবে, আমরাতাঁকে এই প্রশ্ন করিনি যে, এইকথা আপনি কোথা থেকে জানলেন, কোথায়পড়েছেন, কোন্বিজ্ঞান বইয়ে রয়েছে, কোন্চিকিৎসক এরকম বলেন। আমরাচুপচাপ শিক্ষক যেভাবে বলেছেন, সেভাবেইবালিশ নিয়ে ঘুমিয়েছি, আরজীবন তাঁর উপদেশ ভুলিনি।

প্রত্যেকব্যক্তির শৈশবেই এমনই কোনওশিক্ষকের শেখানো কিছু বিষয়থাকে যা তিনি সারা জীবন পালনকরে যান। শিক্ষকের বলা অনেককঠিন কথাও আমরা ভুলি না, আবারঅনেক কথা ভুলেও যাই। সেজন্যইছাত্র জীবনে শিক্ষকের গুরুত্বঅপরিসীম। আর, শিক্ষকেরজীবনে ছাত্রদের অবদানওগুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিকবোঝাপড়া যতদিন না তৈরি হয়, ততদিনএকটা অসম্পূর্ণতা থেকে যায়।

যেশিক্ষক বন্ধুরা লিখতে পারেন, তাঁদেরকেঅনুরোধ করবো আপনারা যে ছাত্রদেরভুলতে পারেননি, তাদেরকথা লিখে যান। আপনারা লিখেরাখতে পারেন, আমিযখন শিক্ষক ছিলাম পঞ্চম শ্রেণীতেপড়া একটি ছাত্র ছিল, সেএরকম দুষ্টুমি করতো যার কথাআমি আজও ভুলতে পারিনি। এতেবোঝা যায়, আপনিঐ ছাত্রের সঙ্গে কতটা একাত্মছিলেন। শুধু পরীক্ষা নেওয়া, আরভালো নম্বর পাওয়া ছাত্রদেরকথা ভাবলেই চলবে না। অন্যছাত্রদের কথা যাঁরা চিন্তাকরেন না, আমারমনে হয় সেই শিক্ষক জীবন অসম্পূর্ণ।একটা বয়সের পর ছাত্রছাত্রীরাদিনের অধিকাংশ সময় যাদের সঙ্গেকাটায়, তাঁরাহলেন শিক্ষক। সেজন্য শিক্ষকদেরদায়িত্ব অপরিসীম।

ডঃসর্বেপল্লি রাধাকৃষ্ণণ উন্নতিরচরম শিখরে পৌঁছেও তাঁর অন্তরেরশিক্ষক সত্ত্বাকে সঞ্জীবিতরেখেছিলেন। শিক্ষকের বয়সেরকোনও গন্ডী থাকে না, শিক্ষককখনও অবসর নিতে পারেন না, যদিতিনি সত্যিই শিক্ষক হন। আপনারাহয়তো দেখেছেন, গ্রামেএরকম অনেক বৃদ্ধ শিক্ষক রয়েছেন, যিনি৮০-৯০বছর বয়সেও শিক্ষকতা করেন। ৯০বছর বয়সেও তিনি নাতি-নাতনিদেরপড়ান। নাতি বলে, এখনসিলেবাস বদলে গেছে, ঠাকুরদাবলেন, তবুওএটা পড়তে হবে। তাঁর ধমনীতেযে শিক্ষক সত্ত্বা রয়েছে, তাইতাঁকে আমৃত্যু শিক্ষকতারপ্রেরণা জোগায়।

আমাদেরমধ্যে অনেকেই ডঃ রাধাকৃষ্ণণেরসময়কার মানুষ নই। ছাত্রছাত্রীরাতো নয়ই। কিন্তু, আমরাসবাই ডঃ আব্দুল কালাম’কেকাছ থেকে দেখেছি। তিনিও ভারতেররাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং শিশুদেরখুব ভালোবাসতেন। তাঁকে একবারকেউ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনাকেমানুষ কিভাবে মনে রাখলে আপনিখুশি হবেন? ডঃএ.পি.জে. আব্দুলকালাম আবেগপূর্ণ কন্ঠে উত্তরদিয়েছিলেন, আমাকেমনে যদি মনে রাখতেই চাও, তাহলে শিক্ষক হিসেবে মনে রেখো।আমি জানি, এটাতাঁর কথার কথা ছিল না। রাষ্ট্রপতিপদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ারপরদিনই তিনি চেন্নাই চলে যান।আর সেখানে গিয়ে ছেলেমেয়েদেরপড়াতে শুরু করে দেন। জীবনেরশেষ মূহুর্তেও তিনি ছাত্রছাত্রীদেরসঙ্গে কথাবার্তা বলতে বলতেইদেহত্যাগ করলেন। অর্থাৎ, তিনিমনেপ্রাণে একজন শিক্ষক ছিলেন।শিক্ষকতার প্রতি এই সমর্পিতভাবেরকারণেই তিনি একটি মূহুর্তওছাত্রছাত্রীদের থেকে দূরেথাকতে পারেননি, বিদ্যাচর্চাথেকে দূরে থাকতে পারেননি, প্রতিমূহুর্তেই নতুন প্রতিভারঅন্বেষণ করে গেছেন।

এটামানতেই হবে, শিক্ষকদিবস শুধু আমাদের দেশেই পালনকরা হয় না, বিশ্বেরআরও বেশ কিছু দেশে শিক্ষক দিবসপালন করা হয়। বিভিন্ন মণীষীদেরস্মৃতিতে পালন করা হয়। শিক্ষকদেরপ্রতি ছাত্রছাত্রীদের শ্রদ্ধা, শিক্ষারপ্রতি শিক্ষকদের সমর্পণ, ছাত্রও শিক্ষকদের মধ্যে আন্তরিকসম্পর্কের গুরুত্বকে মর্যাদাদানের উদ্দেশে, জ্ঞানদানকেশিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েবেঁচে থাকাকে শিল্পান্বিতকরার স্বপ্ন সঞ্জীবিত করে এধরনের উদযাপন। সব মহান ব্যক্তিইযে ভালো শিক্ষক হবেন তার কোনওমানে নেই, আরতা হয়ও না। তবুও আমাদের চেষ্টাথাকা উচিত।

একবারআমাকে একজন তাঁর অভিজ্ঞতারকথা বলেছিলেন। সেই ভদ্রমহিলাঅঙ্গনওয়াড়ির কর্মী। তিনিনিজে হয়তো পঞ্চম কিংবা সপ্তমশ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনাকরেছেন। কিন্তু, সেইভদ্রমহিলা অঙ্গনওয়াড়িতে আসাগরিব বাচ্চাদের এতই ভালোবাসতেনযে, বাচ্চাদেরসঙ্গে নাচগান, খেলাধূলাকরা ছাড়াও তাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নরাখার জন্য এক অদ্ভূত উপায়বের করেছিলেন। তিনি নিজেরপুরোনো শাড়িগুলিকে ধুঁয়েটুকরো টুকরো করে তার পাড় সেলাইকরে সেফটিপিন দিয়ে বাচ্চাদেরজামার বুকে আটকে দিতেন। তিনিদরিদ্র ছিলেন, কিন্তু, দেখুনতাঁর সংস্কার। প্রতিদিন তাঁরঅঙ্গনওয়াড়ির ২০-২২টিশিশুকে তিনি হাত-মুখমোছার জন্য এবং নাক পরিস্কারকরার জন্য নিজের পয়সার সেফটিপিনকিনে সেই শাড়ির টুকরোগুলিআটকে দিতেন। আবার, বিদ্যালয়ছুটির পর সেই টুকরোগুলি খুলেনিয়ে প্রতিদিন নিজের বাড়িতেধুয়ে শুকিয়ে পরদিন আবারবাচ্চাদের জন্য নিয়ে আসতেন।এভাবেই বাচ্চাদেরকে রুমালেরব্যবহার শেখানোর উপায় বেরকরেছিলেন। ছাত্রদের প্রতিএই ভালোবাসা দেখে ঐ শিক্ষিকারপ্রতি মনে শ্রদ্ধা জাগে। কুমোরযেমন মাটি ছেনে তা দিয়ে মূর্তিতৈরি করে, শিক্ষকরাওতেমনই প্রত্যেক ছাত্রের জীবনগড়ে তোলে। আজ শিক্ষক দিবসেশিক্ষকদের প্রতি ছাত্রছাত্রীদেরশ্রদ্ধা এবং ছাত্রদের প্রতিশিক্ষকদের ভালোবাসা উদযাপনেরদিন। এটা ব্যবসার মতো লেনদেনেরবিষয় নয়, এখানেকিছু’প্লাস-ওয়ান’ রয়েছে।একজন চিকিৎসক শল্য চিকিৎসারপর কারও জীবনদান করলে, কঠিনঅপারেশন করলে তাঁর ছবি সারাদেশের পত্র-পত্রিকায়ছাপা হয়। কিন্তু একজন শিক্ষকতাঁর জীবনকালে কয়েকশো চিকিৎসকগড়ে তোলেন, তাঁরকথা কেউ বলেন না। আজ সেই তপস্বীদেরস্মরণ করার দিন। দেশ যতজনচিকিৎসক পেয়েছে, যতজনপ্রযুক্তিবিদ পেয়েছে, যতজনবৈজ্ঞানিক পেয়েছে, প্রত্যেকেরপেছনেই রয়েছেন এক বা একাধিকশিক্ষক।

আমিযখন ছোট ছিলাম, শিক্ষকমশাই ছিলেন, গ্রামেরসর্বাধিক সম্মানিত ব্যক্তিদেরমধ্যে একজন। বাড়িতে ভালো কিছুহলে ছেলেমেয়েদেরকে বলা হতো, যাওএই জিনিসটা গিয়ে মাস্টারমশাইকে দিয়ে এসো। এই প্রসাদপৌঁছে দিয়ে আয়। এই সম্মানেরজায়গাটা আমাদের আবার ফিরিয়েআনতে হবে। সব কিছু টাকা-পয়সাদিয়ে কেনা যায় না। সংস্কারচাই, ভালোবাসাচাই, এগুলিরমাহাত্ম রয়েছে। এ ধরনেরকর্মসূচির মাধ্যমেই ঐ ভাবনাগুলিরঅঙ্কুরোদগম হয় এবং ক্রমেসেগুলি মহীরূহ হয়ে ওঠে।

শিক্ষকদিবস আগেও পালন করা হতো। কিন্তু, তখনকি হতো? দু-একজনশিক্ষক উৎসাহী হয়ে ছাত্রদেরকেডঃ রাধাকৃষ্ণণের জীবন সম্পর্কেকিছু বলতেন অথবা বলতেন, আজকেতোমরা শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয়করবে। ছাত্ররা বেশ মজা পেত, একদিনস্কুল ড্রেসের জায়গায় মাস্টারমশাইদের মতো ধুতি-পাঞ্জাবিপরে আসা, মেয়েরাশাড়ি পরে আসতো, তারপরকোনওনীচু ক্লাসে গিয়ে কোনওবিষয়ে পড়ানো, আনন্দকরা- এরবেশি কিছু হতো না। এই উদযাপনেরমাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়নতুন করে প্রাণ সঞ্চার কেমনকরে করা যায়। ছাত্র-শিক্ষকসম্পর্কের গুরুত্ব কিভাবেবাড়ানো যায় সে চেষ্টা আমরাকরছি।

আমারসৌভাগ্য যে, ছাত্রছাত্রীদেরসঙ্গে আড্ডা মারার সুযোগ আমিপাই। শিশুরা আমাদেরকে যতটাশেখাতে পারে, ততটাআর কেউ পারে না। শিশুরা যেটাবলে তা ঠিক বলে। এভাবে যে কোনওঘটনার সঠিক দর্পণ যদি কোথাওপেতে চান, তাহলেশিশুদের কাছে যেতে হবে। শিশুদেরসঙ্গে আড্ডা দিতে পারার সুযোগকরে দেওয়ার জন্য আমি এই বিভাগেরকাছে কৃতজ্ঞ।

আজএখানে দুটো কাজ হয়েছে। প্রথমত, ডঃরাধাকৃষ্ণণের ছবি ছাপা একটি১২৫ টাকার মুদ্রা ও আরেকটি১০ টাকার স্মারক মুদ্রা প্রকাশিতহয়েছে। দ্বিতীয়ত, ‘কলাউৎসব’ – এরএকটি ওয়েবসাইটের সূচনা করাহয়েছে। আমাদের দেশে কলেজেরছাত্রদের জন্য যুব উৎসব হয়।কিন্তু, এখনসময় বদলে গেছে। আমাদের ছোটছোট ছেলেমেয়েদেরও প্রতিভাথাকে। তাদের প্রতিভা বিকাশেরসুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা তাদেররোবট বানাতে চাই না। আমরা যতইলেখাপড়া করি, কারিগরিবিদ্যা এবং প্রযুক্তি বিদ্যায়যত জ্ঞান অর্জনই করি না কেন, আমাদেররোবট হওয়া থেকে বাঁচতে হবে।আমাদের মনের আবেগ এবং কোমলবৃত্তিগুলি শিল্প সাধনারমাধ্যমেই বিকশিত হয়। শিল্পসাধনার মাধ্যমেই মানুষ সংবেদনশীলহয়ে ওঠে। শিল্প সাধনা ছাড়ামানুষ রোবট হয়ে ওঠে। এই’কলাউৎসব’ – এরমাধ্যমে আমাদের স্কুল পড়ুয়ারাওপ্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে।একটি নৃত্যনাট্য নিছকই কোনওকর্মসূচি নয়, তারমধ্যে থাকে একটি কল্পনা। যেমনএকটি বিষয় ঠিক করা হল’বেটিবাঁচাও, বেটিপড়াও’ তোসেই কলা উৎসবে যত নাটক ওনৃত্যনাট্য আসবে ঐ বিষয়েরওপর আসা উচিত। তা হলে, গোটাদেশে কলা উৎসবের পাশাপাশিএকটি সামাজিক দায়িত্বেরপরিবেশও সৃষ্টি হবে, আরসেজন্য এই বিষয়টিকে নিয়েওয়েবসাইটও চালু করা হয়েছে।আমি চাই, সারাদেশের সমস্ত স্কুল এর সঙ্গেযুক্ত হবে এবং এই কলা উৎসবকেএকটি সত্যিকারের উৎসবেরূপান্তরিত করবে। আমি সেইপ্রতীক্ষায় থাকব।

আমিআরেকবার ডঃ সর্বেপল্লিরাধাকৃষ্ণণ’কেশ্রদ্ধা জানাই। দেশের সমস্তশিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানাই আরতাঁদের কাছে প্রত্যাশা করিনতুন প্রজন্মকে মানুষের মতোমানুষ করে গড়ে তুলুন, তারাইদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরাসবাই মিলে এই কাজ করবো, এইপ্রত্যাশা নিয়েই সবাইকে অনেকঅনেক ধন্যবাদ।

PG/SB/SB/04_SEPTEMBER_2015….