Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

শান্তিনিকেতন সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিলেন বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ ভবনের

শান্তিনিকেতন সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিলেন বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে


উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ ভবনের

শান্তিনিকেতন সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিলেন বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে


উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ ভবনের


ভারতের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে এক মহান শিক্ষাদর্শ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে দেশের ১২৫ কোটি জনসাধারণ এই শিক্ষাদর্শে অনুপ্রাণিত। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূণ্য ভূমিতে উপস্থিত থেকে বিদগ্ধজনের সান্নিধ্যে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে আজ বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে প্রদত্ত আচার্যের ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দেশে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শেষে যাঁরা ডিগ্রি লাভ করেছেন তাঁরা কিন্তু আক্ষরিক অর্থে এক মহান উত্তরাধিকারকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার সম্মান লাভ করেছেন।

শ্রী মোদী বলেন, বেদের শিক্ষাদর্শ অনুযায়ী সমগ্র বিশ্ব সংসারই হল একটিমাত্র আবাসভূমি। এই মূল্যবোধই প্রতিফলিত হয়েছে বিশ্বভারতীর নীতি ও শিক্ষাদর্শে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ দুটি পৃথক রাষ্ট্র হলেও পারস্পরিক সহযোগিতা, সম্প্রীতি ও সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বের সর্বত্রই এক পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তিন বছর আগে তাজিকিস্তানে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচনের সৌভাগ্য তাঁর হয়েছিল বলে স্মৃতিচারণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আজও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি পাঠ্য বিষয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এক বিশ্ব নাগরিক বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

শ্রী মোদী বলেন, রবীন্দ্রনাথ চাইতেন ভারতীয়ত্ব অটুট রেখে, ছাত্রছাত্রীরা সারা বিশ্বের উন্নয়নের খবর জানুক। সন্নিহিত গ্রামগুলিতে শিক্ষার প্রসার ও দক্ষতা বিকাশের কাজে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পূর্তিকালে এই ধরণের গ্রামের সংখ্যা ১০০-তে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি। একইসঙ্গে এই গ্রামগুলির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গড়ে তোলার কাজে বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানগুলির যে এক গুরুদায়িত্ব রয়েছে একথাও এদিন তাঁর ভাষণে স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রের বিকাশে কেন্দ্রীয় সরকার যে সব উদ্যোগ নিয়েছে, তারও একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী এই ভবনটিকে ভারত ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কের এক বিশেষ প্রতীক রূপে বর্ণনা করেন।

শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই পূণ্য ভূমি, ভারত ও বাংলাদেশ – উভয়েরই স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী। এই দুটি দেশের মিলিত ঐতিহ্যের একটি প্রতীক রূপে বিরাজ করবে এই স্থানটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সমানভাবে শ্রদ্ধার চোখে দেখে ভারত ও বাংলাদেশ। আবার, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস, স্বামী বিবেকানন্দ এবং মহাত্মা গান্ধীও সমানভাবে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত ভারত ও বাংলাদেশে।

এই প্রসঙ্গেরই সূত্র ধরে শ্রী মোদী বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ যতটা ভারতবর্ষের, ঠিক ততটাই বাংলাদেশেরও। রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব মানবতার বাণী প্রতিফলিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ নীতির মধ্যেও। সন্ত্রাস ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার যে সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে ভারত ও বাংলাদেশ, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করে যাবে বাংলাদেশ ভবনের মাধ্যমে। গত বছর নয়াদিল্লিতে ভারতীয় সেনাদের যেভাবে সম্মানিত করা হয়েছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, সেকথাও এদিন স্মরণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে এক স্বর্ণ যুগের আবির্ভাব ঘটেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। স্থল সীমান্তের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের নিষ্পত্তি এবং দু’দেশের মধ্যে অন্যান্য সংযোগ ও যোগাযোগ প্রকল্পগুলির কথাও প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন তিনি।

ভারত ও বাংলাদেশ – দুটি দেশেরই লক্ষ্য অভিন্ন এবং সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য দুটি দেশ একইভাবে কাজ করে চলেছে বলে উল্লেখ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।

দুই প্রধানমন্ত্রীই আজ ভিজিটার্স বুকে স্বাক্ষর করেন।

CG/SKD/DM/