মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয়, উপ-রাষ্ট্রপতি মহোদয়, অধ্যক্ষ মহোদয়া, শ্রদ্ধেয় গুলাম নবি মহোদয়, নরেন্দ্র সিং মহোদয়, অটল বিহারী বাজপেয়ীর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সকল অটলপ্রেমী মানুষেরা।
সংসদের সেন্ট্রাল হল-এ অটলজি এখন থেকে এই নতুন রূপে আমাদের আশীর্বাদ দিতে থাকবেন, প্রেরণা যোগাতে থাকবেন। অটলজির জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলির অনেক মাত্রা রয়েছে এবং তারা পরস্পরের থেকে কোন অংশে কম নয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বলে গেলেও তাঁকে নিয়ে বলা শেষ হবে না। আর সংক্ষেপে বললে এই বিশাল ব্যক্তিত্বের পরিচয়ও তুলে ধরা যাবে না। উনি এক বিরল ব্যক্তিত্ব। এত বছর সংসদে কাটানোর পরও দশকের পর দশক ধরে শাসন ক্ষমতা থেকে দূরে থাকার পরেও পবিত্র মন নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে জনসাধারণের সেবা করে যাওয়া, আর সাধারণ মানুষের আওয়াজকে তুলে ধরা, ব্যক্তিস্বার্থের কথা ভেবে কখনও কোন পথ পরিবর্তনের কথা না ভাবা – এসব কিছুই আমাদের কাছে শিক্ষণীয়।
রাজনীতিতে উত্থান, পতন, জয়, পরাজয় থাকে। কিন্তু আদর্শের সঙ্গে কখনও আপোস না করে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে গেলে কেমন পরিণাম পাওয়া যায় তা আমরা অটলজির জীবনে দেখেছি। তাঁর ভাষণগুলি নিয়ে অনেক আলোচনা হয় কিন্তু হয়তো ভবিষ্যতে গবেষকরা মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন যে তাঁর বক্তব্যে যত শক্তি ছিল তা থেকেও অনেক গুণ শক্তি ছিল তাঁর নীরবতায়। যে কোন জনসভায় দু-চারটি বাক্য বলার পর যখন তিনি চুপ হয়ে যেতেন, তখনও লক্ষ লক্ষ শ্রোতার কাছে তাঁর মৌন বার্তা পরিবেশন করে যেত। এ এক অতুলনীয় বার্তালাপের দক্ষতা – কখন বলবেন, আর কখন চুপ থাকবেন। তিনি নিজের মনেই আনন্দে থাকতে ভালোবাসতেন। কখনও যাঁদের তাঁর সঙ্গে সফরে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, তাঁরা দেখেছেন যে তিনি অধিকাংশ সময় চোখ বন্ধ করে থাকতেন, বেশি কথা বলা তাঁর স্বভাব ছিল না। কিন্তু ছোট ছোট যেক’টা শব্দ বলতেন, সেগুলি ছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী। আমাদের দলীয় সভায় পরিবেশ যতই গরম হয়ে উঠুক না কেন, তিনি হঠাৎ এমন ছোট একটি কথা বলে দিতেন যে পুরো পরিবেশ হালকা হয়ে যেত। এহেন ব্যক্তিত্ব গণতন্ত্রের সবথেকে বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারেন কারণ, গণতন্ত্রে কেউ কারোর শত্রু হয় না। গণতন্ত্রে প্রতিযোগিতা থাকে, প্রতিপক্ষ থাকে। কিন্তু প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমাদর ও সম্মান বজায় রেখে কিভাবে চলতে হয়, আমাদের নতুন প্রজন্ম তাঁর কাছ থেকে শিখতে পারে। আমরা সবাই তাঁর কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে প্রতিস্পর্ধাকে, কঠোর সমালোচনাকে সমাদরের সঙ্গে, সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করতে হয়।
CG/SB/DM/
Now on, Atal Ji will be forever in the Parliament's Central Hall, inspiring us and blessing us.
— PMO India (@PMOIndia) February 12, 2019
If we start talking about the goodness of Atal Ji, it will take hours and hours: PM @narendramodi speaking at the programme marking the unveiling of Atal Ji's portrait at Central Hall
Atal Ji had a long political career, a large part of that career was spent in Opposition.
— PMO India (@PMOIndia) February 12, 2019
Yet, he continued raising issues of public interest and never ever deviated from his ideology: PM @narendramodi
There was power in Atal Ji's speech and there was equal power in Atal Ji's silence.
— PMO India (@PMOIndia) February 12, 2019
His communication skills were unparalleled. He had a great sense of humour: PM @narendramodi