নয়াদিল্লি, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
নমস্কার!
মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিশিষ্টজনেরা এবং আমার প্রিয় যুব বন্ধুরা!
গতকাল গভীর রাতে আমি কুয়েত থেকে ফিরেছি। সেখানে ভারতীয় যুবক-যুবতী এবং পেশাদার ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করেছি এবং নানা প্রসঙ্গে মতবিনিময় করেছি। আর এখন দেশে ফিরেই আমার প্রথম কর্মসূচি, আমার দেশের যুব বন্ধুদের সঙ্গে – দারুণ এক সমাপতন অবশ্যই। আজ আপনাদের মতো হাজার হাজার যুবক-যুবতী জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করল। আপনাদের জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। আপনাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল। যে কঠোর পরিশ্রম আপনারা করেছেন, তা আজ সফল হল। ২০২৪-এর বিদায় বেলায় আপনারা এবং আপনাদের পরিবারের সদস্যরা নতুন এক আনন্দে মেতে উঠেছেন। আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের সকলকে এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
ভারতের যুবশক্তির সম্ভাবনা এবং প্রতিভাকে যতটা সম্ভব কাজে লাগানো যেতে পারে তা নিশ্চিত করাই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে । এই লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা রোজগার মেলার মতো নানা কর্মসূচির আয়োজন করছি। গত এক দশক ধরে সরকারি চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সর্বাঙ্গীণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার সুফল বিভিন্ন মন্ত্রক, দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পৌঁছেছে। আজ ৭১ হাজারের বেশি যুবক-যুবতীর কাছে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। গত দেড় বছরে আমাদের সরকার প্রায় ১০ লক্ষ যুবক-যুবতীকে স্থায়ী সরকারি চাকরি দিয়েছে – যা এক রেকর্ড। এর আগে কোনো প্রশাসন এভাবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্থায়ী সরকারি চাকরি দেয়নি। এই প্রক্রিয়াটি সততা এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হয়েছে। যুব বন্ধুরা, আপনারা স্বচ্ছতার এই ঐতিহ্যকে বজায় রেখে অধ্যাবসায়ের সঙ্গে দেশসেবা করবেন তা আমি জানি, এর জন্য আমি গর্বিত।
বন্ধুগণ,
যে কোনো দেশের প্রগতি, সেই দেশের যুবশক্তির দক্ষতা, ক্ষমতা এবং নেতৃত্বদানের মধ্যে নিহিত থাকে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার যে সঙ্কল্প নিয়েছে — আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। ভারতের প্রতিভাবান যুব সম্প্রদায় প্রতিটি নীতি এবং সিদ্ধান্ত তাঁদের হৃদয় থেকে নিয়ে থাকেন। আর, এটিই আমাদের আস্থার মূল ভিত্তি। গত এক দশকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’, ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র মতো বিভিন্ন উদ্যোগ যুব সম্প্রদায়ের কথা বিবেচনা করেই নেওয়া হয়েছে। মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত তার নীতির সংস্কার ঘটিয়েছে। যুব সম্প্রদায় এই সুযোগগুলিকে যাতে কাজে লাগাতে পারেন তার জন্য তাঁদের ক্ষমতায়ন ঘটানো হয়েছে। আজ ভারতের যুব সম্প্রদায় আত্মপ্রত্যয়ে ভরপুর, প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরা তাঁদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিকে ভারত এগিয়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ব্যবস্থাপনা ভারতে রয়েছে। যখন কোনো যুবক বা যুবতী নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট-আপ-এর যাত্রা শুরু করেন, তখন একটি শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা তাঁদেরকে সাহায্য করে। একইভাবে, কোনো যুবক বা যুবতী যদি ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাহলে তাঁরা অনড় আস্থার সঙ্গে এগিয়ে চলেন কারণ, এক্ষেত্রে পদস্খলনের কোনো সম্ভাবনা নেই। বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাঁদের জন্য, যার মাধ্যমে তাঁদের সাফল্য নিশ্চিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা নজরকাড়া পরিবর্তন দেখতে পাই। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল উৎপাদক দেশ। পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানী থেকে জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ, মহাকাশ ক্ষেত্র থেকে প্রতিরক্ষা, পর্যটন থেকে সুস্থ থাকার কৌশল নির্ধারণ – প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ফলস্বরূপ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
দেশের অগ্রগতির জন্য আমাদের যুব সম্প্রদায়ের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর একটি দায়িত্ব বর্তায়। দশকের পর দশক ধরে নতুন এক ভারত গড়ার জন্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা অনুভূত হচ্ছিল। বর্তমানে জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে আমরা এক পরিবর্তনশীল যাত্রায় উদ্যোগী হয়েছি। অতীতের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার মধ্যে ঘুরপাক খেতে হত। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা তাঁদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। অটল টিঙ্কারিং ল্যাব এবং আধুনিক পিএম-শ্রী বিদ্যালয়গুলি শৈশব থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবনের ইচ্ছাকে জাগ্রত করছে। অতীতে গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রী, দলিত, পিছিয়ে পড়া এবং আদিবাসী যুবক-যুবতীদের জন্য ভাষা অন্যতম অন্তরায় ছিল। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আঞ্চলিক ভাষায় যাতে পাঠদান করা যায় এবং পরীক্ষা নেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে আমরা নতুন নীতির প্রবর্তন করেছি। বর্তমানে ১৩টি বিভিন্ন ভাষায় আমাদের সরকার চাকরির পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জেলাগুলির যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের জন্য আমরা নিয়োগ ক্ষেত্রে কোটার ব্যবস্থা করেছি। এই অঞ্চলগুলিতে বিশেষ নিয়োগ অভিযান চালানো হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ৫০ হাজারের বেশি যুবক-যুবতী কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীগুলিতে নিয়োগ পেয়েছেন। আমি এই সকল যুবক-যুবতীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
আজ চৌধুরী চরণ সিং-জির জন্মবার্ষিকী। এ বছর চৌধুরী সাহেবকে ভারতরত্ন দেওয়ার সৌভাগ্য আমাদের সরকারের হয়েছে। আমি তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। আজকের দিনটিকে আমরা কিষাণ দিবস হিসেবে পালন করছি, আর এই অবকাশে আমি আমাদের দেশের অন্নদাতা সকল কৃষককে প্রণাম জানাই।
বন্ধুগণ,
চৌধুরী সাহেব প্রায়শই বলতেন, ভারতের গ্রামাঞ্চল উন্নত হলেই দেশের অগ্রগতি হবে। আজ আমাদের সরকার বিভিন্ন নীতি এবং সিদ্ধান্ত এমনভাবে নিয়ে থাকে, যাতে ভারতের গ্রামাঞ্চলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান এবং স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। কৃষিক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায় নানা ধরনের কাজের সুযোগ পান। ফলে, তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ তাঁরা করতে পারেন। গোবর্ধন যোজনায় শত শত বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট তৈরি করার মাধ্যমে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই হচ্ছে না, হাজার হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানও হচ্ছে। ‘ই-ন্যাম’ যোজনায় শত শত কৃষি বাজারকে যুক্ত করার ফলে অগণিত কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। একইভাবে, জ্বালানীর মধ্যে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তার ফলে কৃষকরা যেমন উপকৃত হয়েছেন, পাশাপাশি চিনি শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৯ হাজার কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠন গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে আমরা কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নতুন নতুন বাজারে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি, ফলস্বরূপ গ্রামাঞ্চলে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আজ হাজার হাজার গুদামঘর নির্মাণের মধ্য দিয়ে সরকার বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য মজুত রাখার যোজনা বাস্তবায়ন করছে। এই উদ্যোগের ফলেও যথেষ্ট কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে বীমার আওতায় আনার জন্য সম্প্রতি সরকার ‘বীমা সখী’ যোজনার সূচনা করেছে। গ্রামাঞ্চলে এর ফলে প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি হবে। ড্রোন দিদি অভিযান, লাখপতি দিদি অভিযান অথবা বীমা সখী যোজনা – প্রতিটি উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে এবং গ্রামাঞ্চলে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বন্ধুগণ,
আজ হাজার হাজার যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের এই সাফল্য অগণিত মহিলাকে অনুপ্রাণিত করবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে মহিলাদের ক্ষমতায়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। মাতৃত্বকালীন ছুটি ২৬ সপ্তাহ করার যে সিদ্ধান্ত আমাদের সরকার নিয়েছে তার ফলে লক্ষ লক্ষ মহিলার কর্মক্ষেত্রে সুবিধা হবে, এর মধ্য দিয়ে তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। মহিলাদের উন্নয়নে প্রতিটি বাধাকে দূর করতে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন অনেক ছাত্রী স্কুলে শৌচালয় না থাকার জন্য পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হত। আমরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মধ্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করেছি। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার মাধ্যমে মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যাতে আর্থিক সমস্যা কোনো অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়, সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের সরকার ৩০ কোটি মহিলার জন্য জন ধন অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করেছে, ফলস্বরূপ এঁরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সরাসরি পাচ্ছেন। মহিলারা মুদ্রা যোজনায় বন্ধকবিহীন ব্যবস্থায় ঋণ পাচ্ছেন। অতীতে মহিলারা বাড়ির সমস্ত কাজ সামলাতেন, কিন্তু তাঁদের নামে সম্পত্তি খুব কমই থাকত। আজ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মহিলাদের নামে ঘর বানানো হচ্ছে। পোষণ অভিযান, সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি ঘটানো হয়েছে। নারীশক্তি বন্দন আইনের মধ্য দিয়ে মহিলাদের লোকসভা এবং বিধানসভায় আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের সমাজ এবং দেশ মহিলাদের নেতৃত্বে উন্নয়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
বন্ধুগণ,
আজ যে পেশাদার যুবক-যুবতীরা নিয়োগপত্র পেলেন, তাঁরা এক আধুনিক সরকারি ব্যবস্থাপনার অঙ্গ হিসেবে কাজ করবেন। গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সেকেলে চিত্রটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রয়োজনীয় সংস্কার ঘটানো হয়েছে। আজ আমরা সরকারি কর্মীদের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। আপনাদের শেখার আগ্রহ এবং নিজের উন্নতি করার মনোভাবের কারণে এক নতুন মাইলফলকে আপনারা পৌঁছেছেন। আমি আশা করব, আপনাদের কর্মজীবনেও এই একই উৎসাহ থাকবে। আপনাদের নিরন্তর জ্ঞানার্জনের পথে আইজিওটি কর্মযোগী মঞ্চ সহায়ক হবে। এখানে ১,৬০০-র বেশি বিভিন্ন পাঠক্রম রয়েছে যার মধ্য দিয়ে আপনারা খুব কম সময়ে নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনারা, দেশের যুব সম্প্রদায়, আমাদের জাতির শক্তি। আমাদের যুব সম্প্রদায়ের কোনো স্বপ্নই অপূর্ণ থাকবে না। আজ নতুন উদ্যমে আপনাদের জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে হবে। যেসব যুব বন্ধুরা আজ নিয়োগপত্র পেলেন, তাঁদের সকলকে আমি আবারও শুভেচ্ছা জানাই, আপনাদের উজ্জ্বল সাফল্যমণ্ডিত জীবন কামনা করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন
PG/CB/DM.
Rozgar Melas are empowering the youth and unlocking their potential. Best wishes to the newly inducted appointees.https://t.co/XkEnXIqQZv
— Narendra Modi (@narendramodi) December 23, 2024
आज भारत का युवा, नए आत्मविश्वास से भरा हुआ है।
— PMO India (@PMOIndia) December 23, 2024
वो हर सेक्टर में अपना परचम लहरा रहा है: PM @narendramodi
नए भारत के निर्माण के लिए देश दशकों से एक आधुनिक शिक्षा व्यवस्था की जरूरत महसूस कर रहा था।
— PMO India (@PMOIndia) December 23, 2024
नेशनल एजुकेशन पॉलिसी के जरिए देश अब उस दिशा में आगे बढ़ चुका है: PM @narendramodi
आज हमारी सरकार की नीतियों और निर्णयों से ग्रामीण भारत में भी रोजगार और स्वरोजगार के नए मौके बन रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) December 23, 2024
एग्रीकल्चर सेक्टर में बड़ी संख्या में युवाओं को रोजगार मिला है, उन्हें अपने मन का काम करने के लिए मौका मिला है: PM
हमारा प्रयास है कि हर क्षेत्र में महिलाएं आत्मनिर्भर बनें: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 23, 2024