আজ আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে আমাদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন, সেজন্যআমি হৃদয় থেকে আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। সম্প্রতি বন্যার ফলে দেশের কিছু অংশে অন্যরকমবিপর্যয় নেমে এসেছে। অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। কৃষকদেরও অনেক লোকসান হয়েছে।রাজস্থানের অনেক অঞ্চলও বিপর্যয়গ্রস্ত। রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটিপ্রতিবেদন পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও একটি উচ্চ স্তরীয় সমিতিরসদস্যরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সরেজমিন সফর করে গেছেন। আমি রাজস্থানের বন্যায়ক্ষতিগ্রস্ত ভাই-বোন এবং কৃষকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই সঙ্কটের সময় কেন্দ্রীয়সরকার সম্পূর্ণভাবেই আপনাদের পাশে থাকবে। আর এই সঙ্কটমুক্তির পর যাতে এক নতুনআস্থা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারি, সেজন্য সবাই মিলেমিশে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করেযাব। আজ একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই রাজস্থানে ১৫ হাজার কোটি টাকারও অধিক বিনিয়োগেবিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ হ’ল।রাজস্থানের ইতিহাসে এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতিদিয়ে খবরের কাগজে বড় বড় অক্ষরে শিরোনাম হওয়া; তোমরাও ভালো, আমরাও ভালো, মালা দাওতোমার গলায় পরাই, মালা দিই আমার গলায় পরাও। এ সমস্ত রাজনীতির খেলা দেশ বছরের পরবছর ধরে দেখে আসছে। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এই পুরনো রোগকে কি করেসারানো যায়। গোটা ব্যবস্থা এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে, কোনও সহজ-সরল মানুষ এগুলোদেখেই ভয়ে ছেড়ে পালাতেন।
কিন্তু আমি অন্য ধাতুতে গড়া। সমস্যা বেছে নিয়ে যে কোনওস্পর্ধার প্রতিস্পর্ধা গড়ে তোলার অভ্যাস আমার রয়েছে। যে কোনও প্রতিস্পর্ধাকে আমিস্বীকার করে নিই এবং পথ খুঁজে কাঙ্খিত গন্তব্যে দেশকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপ্রাণলড়ে যেতে আমি পিছ-পা হই না। একটু আগেই নীতিনজি বলছিলেন, চম্বলের ঐ সেতুটির কথা।২০০৬ থেকে ২০১৭, ১১ বছরে ঐ সেতুর জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল বার্ষিক ৩০০ কোটি টাকাকরে। একটি সরকারের সঙ্গে অন্য সরকারের পার্থক্য কোথায়? কোন্ সরকারকে আমরা কাজেরসরকার বলব? এটা বোঝার জন্য এই ঘটনাই যথেষ্ট। একটা ছোট সেতু ৩০০ কোটি টাকা খরচে একথেকে দেড় বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু ১১ বছরে এর খরচ দাঁড়িয়েছে ৫হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আমার সাংবাদিক বন্ধুরা হিসাব করে দেখতে পারেন। ২০১৪ সালেআমরা সরকারে আসার পর উঠেপড়ে লেগে এই কাজ শেষ করেছি। আর তিন বছরের মধ্যে আজ উদ্বোধনহচ্ছে। আমরা সেই সংস্কৃতি গ্রহণ করার চেষ্টা করছি যে আমি কোনও কাজ শুরু করলে সেটা আমাকেই সম্পূর্ণ করতে হবে।কোনও প্রকল্প বিলম্বিত হলে হয়তো দু-একটা নির্বাচনে রাজনৈতিক লাভ পাওয়া যায়।শিলান্যাস করে একবার ফুল-মালা পরা অবস্থায় ছবি খবরের কাগজে প্রকাশিত হলে একটানির্বাচনে জিতে গেলাম। কিন্তু তারপর সেই প্রকল্প থেমে গেলে হাজার কোটি টাকারবিনিয়োগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। কাজ না হওয়ার ফলে যে লোকসান হয় – সেটা আলাদা, আর কাজথেমে গেলে যে লোকসান হয় – সেটা আলাদা। এই থেমে থাকা প্রকল্পগুলির কারণেই দেশেরঅর্থ ব্যবস্থা একটি গর্তে পড়ে আছে। এই গর্তে পড়ে থাকা অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধারকরতে গিয়ে আমাদের ঐ থেমে থাকা প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে হচ্ছে। অনেক প্রকল্পআবার মামলার কারণে আটকে থাকে। সাহস এবং সততার সঙ্গে সেসব মামলাকে আদালতের বাইরেআলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সহজে সমাধান করা যায়, আমরা তাই করেছি। আগামীদিনে আরও ৯ হাজারকোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে রাজস্থানে আরও কিছু উন্নয়নের কাজ হবে। অধিকাংশই সড়কপ্রকল্প। কোথাও পথকে প্রশস্ত করতে হবে আবার কোথাও নতুন সড়ক নির্মাণ আবার কোথাওআধুনিকীকরণ। এক সঙ্গে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে কাজ শুরু হবে। আমরা যদিএই কাজ এখন ৫০০ কোটি টাকা কিছুদিন পর আরও ৫০০ কোটি টাকা আরও কিছুদিন পর আরও ৫০০কোটি টাকা – এইভাবে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক লাভ ওঠাতেচাইতাম, তা হলে উন্নয়নের কাজ অনেক বেশি বিলম্বিত হ’ত। ঐ পথ আমরা পছন্দ করি না।আমরা কাজ করব, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করব। আর সেজন্য একটি সুদূরপ্রসারী প্রকল্পগড়ে তুলে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে এই নতুন প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপন হচ্ছে। আমরা যখন এতটা দায়িত্ব নিয়ে কোনও প্রকল্পে হাত দিই, তখন তাকে সমাপ্তকরার সংকল্পও গ্রহণ করি। আর আমি রাজস্থানের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরারাজস্থানের চেহারা বদলে দিয়ে ছাড়ব। দেশের উন্নয়নে পরিকাঠামো বিকাশ সর্বাধিকগুরুত্বপূর্ণ। পরিকাঠামো উন্নয়নে বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু এর প্রভাব হয়সুদূরপ্রসারী। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক্ষেত্রে ধৈর্য্যচ্যুতির সম্ভাবনা থাকে।সেজন্য আমরা স্বাধীনতার পর থেকে দেখছি যে, রাজনৈতিক দল ও নেতারা কোনও সুদূরপ্রসারীপ্রকল্প থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু এটাই সত্যি যে, দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হলেআমাদের সার্বিক পরিকাঠামোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে। রেল থেকে শুরু করে সড়কপরিষেবা, জলপথ, সমুদ্রতটবর্তী সড়ক ব্যবস্থা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, অপটিক্যাল ফাইবারনেটওয়ার্ক ইত্যাদি সব ধরনের আধুনিক পরিকাঠামোর জন্য বিলম্ব করলে তা ভারতের পক্ষেমঙ্গলজনক হবে না। আর একবার যদি এই আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তা হলে এই দিগন্তবিস্তৃত কালো সড়ক দু-পাশের জনগণের জীবন আলোময় করে তুলতে পারে। এই ৯ হাজার কোটিটাকা বিনিয়োগে যে নতুন সড়ক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, তা রাজস্থানের কৃষকদের কত উপকারেলাগবে। আপনাদের উৎপাদিত ফসল, ফল, ফুল, সব্জি সহজেই নিকটবর্তী বাজারে নিয়ে যেতেপারবেন। শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন দেশে ‘সোনালী চতুষ্কোণ’ প্রকল্পএনেছিলেন, তার সফল বাস্তবায়নের পর আমরা সবাই কত আনন্দ পেয়েছিলাম। দেশে এর আগে এরকমকোনও সড়ক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। গাড়ির গতি বেড়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, আমার স্পষ্টমনে আছে যে, রাজস্থানের এই অঞ্চল সন্নিহিত গুজরাটের সাবরকাঁঠা কিংবা আমেদাবাদজেলার কিছু কৃষক তাঁদের উৎপাদিত ফল, ফুল, সব্জি আর দুধ একদিনের মধ্যেই দিল্লিরবাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে শুরু করলেন। ফলে, গ্রামের কৃষকদের আয়ে আমূল পরিবর্তনআসে। কিন্তু আগে এই ফুল, ফল, সব্জি কিংবা দুধ দিল্লি পৌঁছতে দু’দিন লেগে যেত। ফলে,এগুলোর ২০-৩০ শতাংশ পথেই নষ্ট হয়ে যেত। একবার ভালো সড়ক পেলে আমাদের কৃষকরা যেমনলাভবান হন, তেমনই দেশের অর্থ ব্যবস্থার গতিবৃদ্ধি হয়। তা ছাড়া, গ্রামের গরিবগর্ভবতী মা’কে ওষুধ নিতে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে সরকার হাসপাতালে যেতে হয়, প্রসবেরআগে ভালো পথ পেলে সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে পারলে অনেক মা ও শিশুর জীবন বেঁচেযায়। রাজস্থানে সড়কপথ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অন্য যে কোনও অঞ্চলে ভালো সড়কপথজনগণের জীবনে যতটা লাভজনক হয়, রাজস্থানে তার পাঁচ গুণ বেশি লাভজনক হয়। কারণ,রাজস্থানে একটি জনপদ থেকে আরেকটি জনপদের দূরত্ব অনেক বেশি – বিশেষ করে, মরুঅঞ্চলে। রাজস্থানের জনজীবনে পর্যটনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা পৃথিবীথেকে এখানে পর্যটক আসেন। পুষ্কর মেলা দেখতে যান, জয়সলমীরের মরুভূমিতে গিয়ে একটিনতুন জীবনযাত্রাকে অনুভব করেন। অনেকে আবার সরোবরনগরী উদয়পুরে গিয়ে সময় কাটাতেভালোবাসেন। দেশীয় পর্যটকরা আবার শ্রীনাথের একলিঙ্গ দর্শনে যান। রাজস্থানে এরকমঅসংখ্য স্থান রয়েছে, রাজ্যের প্রত্যেক প্রান্তে পর্যটকদের আকর্ষণ করার অন্তর্লীনশক্তি রয়েছে। এই চৌম্বকীয় শক্তি দেশ-বিদেশে পর্যটকদের এই সুন্দর রাজ্যে টেনে নিয়েআসে। আর যখন পর্যটকরা আসেন, তখন তাঁরা নিজেদের পকেট খালি করে এখানকার মানুষের পকেটভরতে আসেন। পর্যটন এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে ন্যূনতম বিনিয়োগ করে অধিকতম রোজগার করাযায়। প্রত্যেকেই রোজগার করেন। ফুল, ফল, প্রসাদ, পুজোর সরঞ্জাম বিক্রেতা থেকে শুরুকরে রিক্শা, অটো রিক্শা, টাঙ্গা ও ট্যাক্সি চালক, গেস্ট হাউসের মালিক ওকর্মচারী, হস্তশিল্প নির্মাতা ও বিক্রেতা, চা বিক্রেতা অব্দি। এই শক্তি যে রাজ্যেররয়েছে, সেখানে ট্রাফিক জ্যাম, ভাঙ্গা রাস্তা, অপ্রতুল নর্দমা ব্যবস্থা, পেট্রোলপাম্প ও পার্কিং-এর অপ্রতুলতার ফলে অনেক পর্যটকই তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ভাবেন।সেজন্য আজ এই ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে যে সকল প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে আর যেপ্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হ’ল সেগুলি বাস্তবায়িত হলে রাজস্থানের ভাগ্যখুলে যাবে। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি যে, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে পরিকাঠামো নির্মাণকেঅগ্রাধিকার দিয়েছে, তা অদূর ভবিষ্যতেইদেশকে বিশ্বের আধুনিক দেশগুলির সমকক্ষ করে তুলবে। অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কদেশের প্রত্যেক গ্রামে পৌঁছে গেলে প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরাও বিশ্বমানেরশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। উদয়পুর কিংবা আজমের শহরের ভালো ভালো স্কুলের ছেলেমেয়েরা যেশিক্ষা পায়, একই মানের শিক্ষা সুদূর বাঁসওয়াড়ার অরণ্যে বসবাসকারী আমার আদিবাসীভাই-বোনদের সন্তানরাও পাবে। এই ডিজিটাল নেটওয়ার্ক, অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কএবং ‘লং ডিসটেন্স এডুকেশন’-এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের আধুনিকতমশিক্ষা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রদানের একটি বড় অভিযান আমরা শুরু করেছি। সেজন্যইদেশে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দীর্ঘ অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বিছানো হচ্ছে। এজন্যকোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু যেখান দিয়ে যায় কেউ দেখতে পান না। লোক দেখানোকাজ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সব কাজ থেকে আমরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাই না।কিন্তু যখন এই যোগাযোগ সম্পূর্ণ হবে, তখন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা থেকে শুরু করেঅসুস্থ রোগীদের টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে সুলভে ওষুধপ্রাপ্তি ও উপাচারেরনতুন পথ খুলে যাবে। গ্রামে বসেই মানুষ শহরের পরিষেবা পেতে পারবেন। কল্পনা করতেপারেন, তখন ভারতের গ্রামগুলিতে কত বড় পরিবর্তন আসবে? আমরা সেজন্যই পরিকাঠামোউন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
একটু আগেই শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা সম্পর্কে বলছিলেন। লক্ষলক্ষ গরিব মায়ের কাছে আজ রান্নার গ্যাস ও উনুন পৌঁছে গেছে। একজন মা যখন কাঠেরউনুনে ধোঁয়ায় চোখ লাল করে রান্না করেন, তখন একদিনে তাঁর শরীরে ৪০০টি সিগারেটেরসমান ধোঁয়া প্রবেশ করে। ঐ ঘরে যে বাচ্চারা খেলা করে, তারাও একই দূষণের শিকার হয়। ঐমা, বোন আর বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ভেবেছেন? একটা সময় ছিল, যখন গ্যাসসিলিন্ডার সংযোগ পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হ’ত, নেতাদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হ’ত। আরবর্তমান সরকার গরিবদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্যাসের উনুন ও সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে আসছে।
আগে প্রতিদিন গড়ে যতটা সড়কপথ কিংবা রেলপথ তৈরি হ’ত, আজ তা দ্বিগুণ হচ্ছে।সেচের জল পৌঁছনো কিংবা অপ্টিক্যাল ফাইবার বিছানোর কাজের গতিও আমরা ক্রমে বাড়িয়েচলেছি। এভাবে প্রত্যেক কাজের ‘স্কেল’, ‘স্কোপ’ এবং ‘স্কিল’ বাড়িয়েছি। প্রতিটিক্ষেত্রে দেশকে আধুনিক করে তুলতে আমরা সফল হচ্ছি।
সম্প্রতি জিএসটি বাস্তবায়িত করেছি। শুরুতে অনেকে ভেবেছিলেন যে, এটা তোঅসম্ভব ব্যাপার। ১২৫ কোটি মানুষের দেশে। রাতারাতি একটি এতদিনের ব্যবস্থা বদলেযাবে, আর ১২৫ কোটি মানুষ নতুন ব্যবস্থা রপ্ত করে নেবেন, তা ভেবে বিশ্ববাসী আশ্চর্যান্বিতহয়েছেন! এটাই ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও শক্তির পরিচয় – বন্ধুগণ। আজ আমরাগর্ব করে বলতে পারি যে, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে বসে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাওপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেকে আধুনিকতম ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। আমি চাইব,বিশেষ করে রাজস্থানের আধিকারিকদের অনুরোধ করবো যে, একটি ১৫ দিনের অভিযান শুরুকরুন। গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রত্যেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে বসুন। যাদের বার্ষিকআয় ২০ লক্ষ টাকার কম, এমনকি যাদের ১০ লক্ষ টাকার কম – তাদের সঙ্গেও বসুন, যাতেজিএসটি-র লাভ সেই গরীব ব্যবসায়ীকেও লাভবান করে! তাঁরা যদি এর সঙ্গে যুক্ত না হন,তাহলে গাড়ি কোথাও আটকে যাবে, তৃণমূলস্তর পর্যন্ত লাভ পৌঁছুবে না। সেজন্যেই এইসংযুক্তিকরণের কাজ আপনাদের একটি অভিযানের মাধ্যমেই সফল করে তুলতে হবে। আপনারাদেখুন, আপনারা কল্পনাও করেন নি যে রাজস্থানের আয়ে এত পরিবর্তন আসবে আর সরকার রাজস্থানেরদরিদ্রদের কল্যাণে এত নতুন প্রকল্প হাতেনেবে! জিএসটি-র ফলে শুধু পরিবহন ক্ষেত্রে, যে বিভাগের দায়িত্বে আমাদের নীতিনজি রয়েছেন,এত পরিবর্তন এসেছে যে ট্রাকচালক কোনও সমুদ্রবন্দরে পণ্য পৌঁছুতে তিনদিন সময় হাতে নিয়েবের হতেন, পথের দূরত্ব, ট্রাকের গতি হিসেব করলে তিনদিন লাগার কথা, পথে নানারকমচুঙ্গি, চুঙ্গি নাকায় কতটা সময় দাঁড়াতে হবে তা জানতেন না; তিনদিনের জায়গায় পাঁচদিনলেগে যেত। এই দুই দিনের পার্থক্য; প্রতি সপ্তাহে যদি প্রত্যেক ট্রাককে দু’দিনদাঁড়িয়ে থাকতে হতো তাহলে দেশের অর্থ ব্যবস্থার ২৫ শতাংশ লোকসান হতো। এই জিএসটিচালু করার পর সারা দেশে সমস্ত চুঙ্গি নাকা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ট্রাকচালকদেরজন্য লাল পাস, নীল পাস-এর ঝামেলা আর রইল না। পাঁচদিনের জায়গায় তিনদিনে পৌঁছনোর ফলে পণ্য পরিবহণের খরচ অনেকটাই কমেছে।পরিবহণ ব্যবসায় আয় বৃদ্ধি হয়েছে। আমি নীতিনজিকে অনুরোধ জানাই যে, পরিস্থিতিঅনুযায়ী পরিবহণ আইনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন – ট্রাক এবং ট্রলির ক্ষেত্রেআলাদা আইন হওয়া উচিৎ। ট্রাক্টরের ক্ষেত্রে যেমন হয়। মনে করুন, ট্রাকের সঙ্গে ট্রলিলাগিয়ে ট্রাক ও ট্রলিতে পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন, জয়পুরে গিয়ে ট্রলি আলাদা করে অন্যট্রলিতে ভরা অন্য পণ্য ট্রাক এগিয়ে গেল। এমন ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ যে, প্রত্যেকড্রাইভার যেন রাতে বাড়ি পৌঁছতে পারেন, পরিবারের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে যেন সময় কাটাতেপারেন। পরিবহণ ব্যবস্থায় আমাদের এমন পরিবর্তন আনতে হবে। আর সেই পরিবর্তন, পরিবহণপদ্ধতির থেকেও দ্রুত আনা সম্ভব। একটি ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী প্রকল্পের মাধ্যমেউন্নয়নের নতুন উচ্চতা অতিক্রম করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।
আমি আরেকবার স্বাগত সম্মানের জন্য, আপনাদের ভালোবাসার জন্য, আপনাদেরআশীর্বাদের জন্য আপনাদেরকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
PG /SB/ SB
Governor Shri Kalyan Singh, CM @VasundharaBJP and others welcomed PM @narendramodi to Udaipur. #ModiAtUdaipur #RisingRajasthan pic.twitter.com/CZUWAAqJrU
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
PM @narendramodi's name is synonymous with trust. Based on PM's vision, we are poised to usher in a New India: @VasundharaBJP #ModiAtUdaipur
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
We in Rajasthan have embraced Mantra of Sabka Saath, Sabka Vikas. We have transformed the education sector: @VasundharaBJP #RisingRajasthan
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
In Rajasthan we are focussing on Digital India and providing water to our farmers: CM @VasundharaBJP #ModiAtUdaipur #RisingRajasthan
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
Our focus is to make Rajasthan ODF. I thank PM for allocating resources for the smart cities in Rajasthan: @VasundharaBJP #RisingRajasthan
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
Rajasthan is a family. We are all together moving on the path of progress: CM @VasundharaBJP #ModiAtUdaipur #RisingRajasthan
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
The Prime Minister has begun his speech in Udaipur. Watch. https://t.co/Iy8hu3Nre5 #ModiAtUdaipur #RisingRajasthan
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
I am delighted to be in this Veer Bhumi. I bow to the brave people of this land: PM @narendramodi #ModiAtUdaipur #RisingRajasthan
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
We are standing shoulder to shoulder with the people of Rajasthan who are battling the floods. We have assured all possible support: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
The number of projects being inaugurated today is a matter of joy: PM @narendramodi #ModiAtUdaipur #RisingRajasthan https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
Some of the projects being inaugurated were pending for years. Our focus is on timely completion. We will complete projects we begin: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
To take India to newer heights, the role of infrastructure, railways, roads is very important: PM @narendramodi https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
Better roads will help our farmers immensely. This is one of the reasons why Atal Ji dreamt of a strong roads network across India: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
Good roads will help Rajasthan in particular. Tourism will get a big boost due to a strong roads network in the state: PM @narendramodi pic.twitter.com/DIwYlljyPB
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
With a tourist comes economic opportunities for the locals: PM @narendramodi #ModiAtUdaipur #RisingRajasthan pic.twitter.com/Up5qsLlUP7
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017
These roads are not only connecting Rajasthan & the nation, they are gateways to progress: PM @narendramodi #ModiAtUdaipur #RisingRajasthan pic.twitter.com/r63y9NmS8w
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2017