Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মোজাম্বিক, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া ও কেনিয়া সফরের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি


মোজাম্বিক, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া ও কেনিয়া সফরের উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এক বিবৃতিতে বলেছেন :

“৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার আমি মোজাম্বিক সফর করব। আমার ঐ দেশ সফরের উদ্দেশ্য হল পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসার এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও নিবিড় করে তোলা। প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ন্যুইসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারকালে এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা ও মতবিনিময় করব আমি।

আমার অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট মিসেস ভেরোনিকা ম্যাকামোর সঙ্গে বৈঠক এবং মালুয়ানায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্যান পরিদর্শন। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলব আমি।

ঐ দেশে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গেও এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা-বৈঠকে মিলিত হব আমি।

৭ জুলাই সন্ধ্যায় আমি পৌঁছব দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। দক্ষিণ আফ্রিকা হল আমাদের এক কৌশলগত অংশীদার। ঐ দেশের সঙ্গে আমাদের রয়েছে এক গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমার সফরসূচির মধ্যে রয়েছে প্রিটোরিয়া, জোহানেসবার্গ, ডারবান এবং পিটারমেরিজবার্গ। দক্ষিণ আফ্রিকায় মহাত্মা গান্ধীরঅবস্থানকাল যে ছাপ ফেলেছিল তার ওপর ও বিশ্ব ইতিহাসে, আজও তার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এ যুগের ইতিহাস। একজন আইনজীবী হিসেবে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দিয়েছিলেন কাজের খোঁজে। কিন্তু ভারতে প্রত্যাবর্ন করেছিলেন মানবতার মূল্যবোধের একজন প্রবক্তা হিসেবে। মানবজাতির ইতিহাসে তিনি এক নতুন দিকের সন্ধান দিয়ে গেছেন।

ফিনিক্স এবং পিটারমেরিজবার্গ স্টেশনও আমি পরিদর্শন করব। দক্ষিণ আফ্রিকায় মহাত্মা গান্ধীর অবস্থানের সঙ্গে এই দুটি স্থানের বিশেষ যোগ রয়েছে। কিন্তু আমার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর অসম্পূর্ণ থেকে যাবে প্রিয় মাদিবাকে যদি আমি স্মরণ না করি। কনস্টিটিউশনাল হিল এবং নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন পরিদর্শনেও যাব আমি। সেখানে আমি শ্রদ্ধা জানাব মানব ইতিহাসের এমন এক প্রতিভূকে যিনি তাঁর নিজের দেশ তথা সমগ্র বিশ্বকে এক উন্নততর বাসযোগ্য ভূমিতে রূপান্তরিত করেছেন।

সফরকালে আমি এক সাক্ষাৎকারে মিলিত হব প্রেসিডেন্ট জুমার সঙ্গে। ডেপুটি প্রেসিডেন্ট মিঃ সাইরিল রামাফোজার সঙ্গেও এক বৈঠকে মিলিত হব আমি।

আমাদের দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তুলতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা বাণিজ্য বৈঠকে ভাষণ দেব আমি। আমার অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ডারবানের অ্যালুমনি নেটওয়ার্কের সঙ্গে একটি বৈঠক এবং ডারবান সিটি হল-এ ডারবান শহরের মেয়রের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান।

দক্ষিণ আফ্রিকা হল উজ্জ্বল ভারতীয় সম্প্রদায়ের নিজের দেশের মতোই। বহু বছর ধরেই এই দেশকে তাঁরা আপন করে নিয়েছেন। ৮ জুলাই জোহানেসবার্গের এক কর্মসূচিতে তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলিত হব আমি। সেখানে আমার বক্তব্যে কোন কোন বিষয়ের উল্লেখ করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও চিন্তাভাবনা ‘নরেন্দ্র মোদী মোবাইল অ্যাপ’-এর মাধ্যমে পাঠানোর জন্য আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

রবিবার ১০ জুলাই এক সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ণ সফরে আমি যাব তানজানিয়া। এই দেশ হল আফ্রিকায় আমাদের এক বিশেষ বন্ধু। আমাদের মৈত্রী সম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তুলতেই আমার তানজানিয়া সফর।

সেখানে আমি এক দীর্ঘ আলোচনা-বৈঠকে মিলিত হব প্রেসিডেন্ট ডঃ জন ম্যাগুফুলির সঙ্গে। ভারত-তানজানিয়া সম্পর্ককে আরও সুদূরপ্রসারী করে তোলার রূপরেখা তৈরি করব আমরা। আফ্রিকার সৌরশক্তি ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত গ্রামের মহিলা ইঞ্জিনিয়ারদের গোষ্ঠী ‘সোলার মামাজ’-এর সঙ্গেও এক বৈঠকে মিলিত হব আমি। ভারত সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতায় সৌর লন্ঠন উদ্ভাবন, সংস্থাপন, ব্যবহার, মেরামত ও দেখভালের কাজে তাঁরা বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। গ্রামের ঘর-বাড়িতে সৌরশক্তির সাহায্যে আলোর ব্যবহার সম্পর্কেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা।

সেখানে আমি মিলিত হব ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও।

১০ জুলাই সন্ধ্যায় শুরু হবে আমার কেনিয়া সফর। ভারত ও কেনিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আজ কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দুটি দেশের জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে এক বিশেষ মৈত্রী সম্পর্ক এবং দুটি জাতিই বিগত শতাব্দীতে সাফল্যের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে।

ভারত ও কেনিয়া কিভাবে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে আমি আলোচনা ও মতবিনিময় করব প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াট্টার সঙ্গে। ভারত ও কেনিয়ার মধ্যে উন্নততর বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা আমি লক্ষ্য করেছি। এক কথায় এই সম্ভাবনা প্রচুর ও বিশাল। তাই, দুটি দেশই এর সদ্ব্যবহারে বিশেষভাবে আগ্রহী।

নাইরোবিতে আমি পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাব মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির উদ্দেশে। কেনিয়ায় সকলেই তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। কেনিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আফ্রিকার এক উচ্চস্তরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম জোমো কেনিয়াট্টার উদ্দেশ্যেও শ্রদ্ধা নিবেদন করব আমি।

ভারত-কেনিয়া বাণিজ্যিক ফোরামের বৈঠকটি দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করে তোলার একটি বিশেষ মঞ্চেপরিণত হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়ের যে কর্মসূচিটি রয়েছে, আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছি তার জন্য।

১০ জুলাই সেখানকার ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক কর্মসূচিতেও মিলিত হব আমি। দু’দেশের সম্পর্ককে গভীর করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানও কম নয়। আমার এই সফরকালে ভারতওয়ালা অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকেও যোগদানের কথা রয়েছে আমার। আমার আরেকটি কর্মসূচি হল অ্যাম্বুলেন্স ও ভাবাট্রনের একটি মডেল উপহার দেওয়া। ”

PG/SKD/DM/S