Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মুদ্রা যোজনায় উপকৃতদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপচারিতা

মুদ্রা যোজনায় উপকৃতদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপচারিতা


নতুন দিল্লি, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার ১০ বছর উপলক্ষে নতুন দিল্লির ৭, লোককল্যাণ মার্গে এক অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পে উপকৃতদের সঙ্গে আজ আলাপচারিতায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন,  অতিথি আসলে বাসভবনের মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং এই বিষয়টির সাংস্কৃতিক তাৎপর্য অনেকখানি।

মুদ্রা যোজনায় উপকৃতদের প্রতিক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। এদের একজন পোষ্যদের ওষুধ সরবরাহ করে থাকেন। এধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। যে ব্যাঙ্ককর্মীরা এজন্য ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তাদের ডেকে সাফল্যের খতিয়ান সম্পর্কে অবহিত করার পরামর্শ দেন ওই উদ্যোগপতিকে। এর ফলে, ব্যাঙ্ককর্মীদের মধ্যেও সহায়তা দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।

কেরলের একজন উদ্যোগপতি দুবাইয়ের চাকরি ছেড়ে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে নিজের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। এপ্রসঙ্গে উঠে আসে মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে পিএম সূর্যঘর প্রকল্পের আওতায় ব্যবসায়িক উদ্যোগের কথা। ওই উদ্যোগপতি জানান, আগে যেখানে বিদ্যুতের বিল ৩ হাজার টাকার কাছাকাছি দাঁড়াতো, তা এখন কমে হয়েছে আড়াইশো টাকার মতো। বছরে সাশ্রয় হচ্ছে আড়াই লক্ষ টাকা।

রায়পুরে হাউস অফ ফুচকা-র প্রতিষ্ঠাতা একজন মহিলা উদ্যোগপতি জানান, বাড়িতে রান্না করতে করতে তিনি কাফে ব্যবসা খোলার কথা ভাবেন। এবিষয়ে বাড়ির অভিজ্ঞতা ব্যবসার কাজে লেগেছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকের মধ্যেই ব্যবসার ঝুঁকি সংক্রান্ত ভীতি রয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ঝুঁকি নেওয়ায় সক্ষমতা অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তা পেরেছেন বলেই মাত্র ২৩ বছর বয়সে রায়পুরের ওই তরুণী আজ একজন সফল ব্যবসায়ী।

মুদ্রা যোজনায় উপকৃত আরও অনেকই তাঁদের ব্যবসায়ী উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাগরিকদের, বিশেষত মহিলাদের ক্ষমতায়নে মুদ্রা যোজনা একটি কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এবং সারা দেশে ঔদ্যোগিকতার প্রসার ঘটাচ্ছে দ্রুত। এর সুবিধা পেয়েছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। দীর্ঘ কাগুজে প্রক্রিয়া ছাড়াই ঋণ নিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারছেন তাঁরা। এ এক নিঃশব্দ বিপ্লব। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীরও পরিবর্তন ঘটছে। মুদ্রা যোজনায় উপকৃতদের অধিকাংশই মহিলা – যা অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়।

মুদ্রা ঋণের দায়িত্বশীল ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ যেভাবে নিজের শৃঙ্খলাবোধের পরিচয় দিচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় জামিন ছাড়াই এখনও পর্যন্ত মোট ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের সক্ষমতায় তিনি পরিপূর্ণ ভাবে আস্থা রাখেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কাজের সুযোগও তৈরি হচ্ছে দ্রুত – যা গতি এনেছে অর্থনৈতিক বিকাশে। সাধারণ মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁরা সন্তানের শিক্ষায় উপযুক্ত ভাবে বিনিয়োগ করতে পারছেন।

সরকারের দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিরাচরিত প্রক্রিয়ার যাঁতাকল থেকে বেরিয়ে তাঁর প্রশাসন এই প্রকল্প চালু হওয়ার ১০ বছর পর তার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইছে। সামগ্রিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রকল্পটিকে আরও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে অবশ্যই। নাগরিকদের দায়িত্বশীলতা সরকারের আস্থা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।  সেজন্যই প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের আওতায় বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হতো। এখন ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ২০ লক্ষ টাকা। আরও বেশি মানুষকে এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে তুলতে মুদ্রা যোজনায় উপকৃতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবেদন রেখেছেন।

দারিদ্র্য দূর করা তাঁর প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকারের বিষয় বলে প্রধানমন্ত্রী আবারও জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী শ্রী পঙ্কজ চৌধারি।  

 

SC/AC/AS/