Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মায়নমারের স্টেট কাউন্সিলারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ


 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তেশরা নভেম্বর আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মায়নমারের স্টেট কাউন্সিলার আং সাং সু কি-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৭র সেপ্টেম্বরে মায়নমারে তাঁর সর্বশেষ সফর এবং স্টেট কাউন্সিলারের ২০১৮র জানুয়ারিতে আসিয়ান ভারত শিখর সম্মেলনে নতুন দিল্লী সফরের বিষয়টি স্মরণ করেন। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বের প্রসারে উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ভারতের লুক ইস্ট নীতি এবং প্রতিবেশী প্রথম নীতির মাধ্যমে মায়ানমারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে, ভারতের উৎসাহের উল্লেখ করেন। এই উদ্দেশ্যে মায়ানমারের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সড়ক, বন্দর এবং অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে ভারতের অঙ্গিকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। মায়ানমারের পুলিশ, সামরিক বাহিনী, সরকারি আধিকারিক, ছাত্রছাত্রী সহ নাগরিকদের ক্ষমতা বৃদ্ধির নানা ক্ষেত্রে ভারত সমর্থন জুগিয়ে আসছে। উভয় নেতা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। এই লক্ষ্যে দু-দেশের মধ্যে বিমান চলাচল বৃদ্ধি, মায়ানমারে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারম ছাড়াও এমাসের শেষে ইয়াঙ্গুনে কাম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার এবং ভিয়েতনামের জোট সিএলএমভি-তে ভারত বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

স্টেট কাউন্সিলার দাউ আং সাং সু কি ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের প্রশ্নে তাঁর সরকারের সিদ্ধান্তের উল্লেখ করেন। মায়ানমারের উন্নয়নে ও গণতন্ত্রের প্রসারে ভারতের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনেরও তিনি প্রশংসা করেন।

এই অংশীদারিত্ব প্রসারে সীমান্ত অঞ্চলে স্হিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে উভয় নেতাই সহমত হয়েছেন। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি যাতে কোনভাবেই তাদের কার্যকলাপ চালাতে না পারে, সেই বিষয়ে মায়ানমারের সহযোগিতার ওপর প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দেন।

রাখাইন রাজ্যে ২৫০টি বাড়ি তৈরির ভারতের প্রথম প্রকল্পটি শেষ হয়েছে। গত জুলাই মাসে মায়ানমার সরকারকে এই বাড়িগুলি হস্তান্তরিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওই রাজ্যে আরও আর্থ-সামাজিক প্রকল্পে অংশগ্রহণে ভারত উৎসাহী বলে মতপ্রকাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রাখাইন রাজ্য থেকে উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের দ্রুত, নিরাপদে, স্হায়ীভাবে তাদের বাড়িতে ফিরে আসার প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। যারফলে ভারত-বাংলাদেশ এবং মায়ানমার তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের স্বার্থ বজায় থাকবে।

উভয় নেতা উচ্চপর্যায়ের মতবিনিময় বজার রাখার বিষয়ে সহমত হয়েছেন। এর মধ্যে দিয়ে দুটি দেশের মূল স্বার্থগুলি সুরক্ষিত থাকবে এবং সহযোগিতার প্রতিটি স্তম্ভ দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হবে।

 

 

 

CG/CB/NS