Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক


নয়াদিল্লী,  ২৪  মে, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ টোকিওতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি মিঃ যোসেফ আর বাইডেনের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এই বৈঠক দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

এই বৈঠক আসলে দুই নেতার মধ্যে নিয়মিত উচ্চস্তরীয় যোগাযোগের একটি অঙ্গ। উভয় নেতা ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন ডিসি-তে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে জি২০ ও কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলনেও মতবিনিময় হয়েছে। অতি সম্প্রতি ১১ই এপ্রিল তাঁরা ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যোগ দেন।

উভয় নেতা ইনভেস্টমেন্ট ইনসেনটিভ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিনিয়োগে উৎসাহ সংক্রান্ত এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ, পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে সাহায্য অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।

উভয় পক্ষই ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংক্রান্ত ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস (আইসিইটি)-র সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে। এরফলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিবালয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে। যার ফলশ্রুতিতে কৃত্রিম মেধা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, 5G/6G জৈব প্রযুক্তি, মহাকাশ ও সেমিকন্ডাকটরের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুটি দেশে সরকারি স্তরে, শিক্ষাবিদ ও শিল্প জগতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বলে উল্লেখ করে উভয় পক্ষই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেন। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মার্কিন শিল্পসংস্থাগুলিকে আমন্ত্রণ জানান। এরফলে দু-পক্ষই লাভবান হবে।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভ্যাকসিন অ্যাকশন প্রোগ্রামের (ভিএপি) সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে যৌথভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণা করা সম্ভব হবে, যার ফলশ্রুতিতে টিকা উদ্ভাবন ও বিভিন্ন প্রযুক্তি হস্তান্তর সহজ হবে।

দুটি দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেন, যার সুফল উভয় দেশই ভোগ করবে।

দুই নেতা দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। একটি মুক্ত ও সমন্বিত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য তাঁরা একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি (আইপিইএফ)-এর সূচনাকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানান। তিনি বলেন, জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে একটি বাস্তব সম্মত ও সর্বাত্মক আইপিইএফ গড়ে তোলার কাজে ভারত সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

উভয় নেতা ভবিষ্যতেও কার্যকর আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন এবং ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মতপ্রকাশ করেছেন।

CG/CB/NS