Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মার্কিন সিইও-দের সঙ্গে এক আলোচনা বৈঠকে মিলিত হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

s20170625110143

মার্কিন সিইও-দের সঙ্গে এক আলোচনা বৈঠকে মিলিত হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী


ওয়াশিংটন ডিসি-তে আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে ২০ জন শীর্ষ স্থানীয় মার্কিন সিইও-র সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।

সিইও-দেরস্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন যে সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ ভারতের অর্থনীতিরদিকে। তরুণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নাগরিকদের মধ্যে ক্রমশঃ আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছেভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে। বিশেষত, নির্মাণ ও উৎপাদন, শিল্প ও বাণিজ্য এবংজনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ ও যোগাযোগ সম্পর্কে আরও জানার এবং বোঝার আগ্রহবৃদ্ধি পাচ্ছে তাঁদের মধ্যে।

শ্রী মোদীবলেন যে গত তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেরদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীবলেন, এই লক্ষ্যে বিশ্ব অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই কারণেই ‘ন্যূনতম সরকারিহস্তক্ষেপ, সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পরিচালন’ ব্যবস্থার নীতিকে অনুসরণ করে চলেছেকেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সাম্প্রতিক সংস্কার কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ হাজারসংস্কার প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উন্নয়নের দিক থেকেআন্তর্জাতিক মানকে স্পর্শ করার জন্য ভারত যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এই ঘটনাতারই প্রমাণ। স্বচ্ছতা, দক্ষতা, বিকাশ এবং সার্বিক কল্যাণের ওপর সরকারের গুরুত্বেরকথাও এদিন তিনি তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে।

পণ্য ওপরিষেবা কর অর্থাৎ, জিএসটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু বছরের প্রচেষ্টাসত্ত্বেও এই প্রথম তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এর রূপায়ণের কাজ যথেষ্ট জটিল।ভবিষ্যতের সমীক্ষা ও পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমেই বিষয়টি সুপরিস্ফুট হবে। ভারত যে বড়ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দ্রুততার সঙ্গে তা রূপায়ণ করতে পারে, এই ঘটনাকে তারইপ্রমাণ বলে বর্ণনা করেন তিনি ।

নীতিগতবিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রশংসা করেন মার্কিনসিইও-রা। বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলার লক্ষ্যে তাঁর সাম্প্রতিকপ্রচেষ্টাগুলিকেও সাধুবাদ জানান তাঁরা। ডিজিটাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া, দক্ষতাবিকাশ কর্মসূচি, বিমুদ্রাকরণ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির বিকাশ সম্পর্কিতবিষয়গুলিতে তাঁর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার সপ্রশংস উল্লেখ করেন মার্কিন সিইও-রা। ভারতেরদক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি এবং শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচেষ্টাগুলিতে অংশীদারিত্বেরলক্ষ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেন বেশ কয়েকজন সিইও। নারী ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল প্রযুক্তি,শিক্ষা এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে তাদের সংস্থাগুলি ভারতে যে সমস্ত সামাজিকউদ্যোগ ও প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাও এদিন প্রকাশ পায় মার্কিন সিইও-দেরবক্তব্যে। পরিকাঠামো, প্রতিরক্ষা উৎপাদন এবং জ্বালানি নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলিওস্থান পায় তাঁদের আলোচ্যসূচিতে।

পরিশেষে,মার্কিন সিইও-দের চিন্তাভাবনা ও মতামতের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান ভারতেরপ্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আসন্ন আলোচনা বৈঠকের কথা উল্লেখকরে তিনি বলেন যে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – দুটি দেশেরই রয়েছে এক মিলিতমূল্যবোধ। আমেরিকা যদি আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে তাতে স্বাভাবিকভাবেই লাভবান হবেভারতও। তিনি বলেন, সার্বিক বিশ্ব কল্যাণের লক্ষ্যে বলিষ্ঠ ও শক্তিশালী একটি দেশহিসেবে আমেরিকার গুরুত্ব যে অপরিসীম, একথা বিশ্বাস করে ভারত।

নারীক্ষমতায়ন, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, স্টার্ট আপ শিল্পোদ্যোগ এবং উদ্ভাবনের মতোক্ষেত্রগুলিতে মার্কিন সিইও-দের আরও বেশি মাত্রায় উৎসাহীহয়ে ওঠার আবেদন জানান তিনি। স্কুল ছাত্রীদের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিও উৎপাদন সম্পর্কিত চাহিদা পূরণের দিকগুলি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার জন্যসিইও-দের প্রস্তাব দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ভারতে জীবনযাত্রারমানোন্নয়নই হল তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

PG/SKD/DM/ ..