Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ ৯৭ তম পর্ব অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ


আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। ২০২৩-এর এটা প্রথম ‘মন কি বাত’ আর সেই সঙ্গে সঙ্গে এই কার্যক্রমের সাতানব্বইতম পর্বও বটে। আপনাদের সঙ্গে আবার একবার আলোচনা করে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসে ঘটনার ঘনঘটা থাকে। এই মাসে চোদ্দ জানুয়ারির আশেপাশে উত্তর থেকে দক্ষিণে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে, গোটা দেশে পরবের চমক দেখা যায়। এর পরে দেশ নিজের গণতন্ত্রের উৎসবও পালন করে। এবারও সাধারণতন্ত্র দিবসের সমারোহের অনেক বিষয়ের প্রভূত প্রশংসা হয়েছে। জয়সলমীর থেকে পুল্কিত আমাকে লিখেছেন যে ২৬শে জানুয়ারি প্যারেডের সময় কর্তব্যপথ নির্মাণকারী শ্রমিকদের দেখে খুব ভালো লেগেছে। কানপুর থেকে জয়া লিখেছেন যে প্যারেডে অন্তর্ভুক্ত নানা ট্যাবলোর মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির নানা দিক প্রত্যক্ষ করে আনন্দ পেয়েছেন। এই প্যারেডে প্রথম বার অংশ নেওয়া উটে আরোহী মহিলাদের এবং সিআরপিএফের মহিলা বিভাগেরও অনেক প্রশংসা হয়েছে।

বন্ধুরা, দেরাদুনের বৎসল জী আমাকে লিখেছেন, সবসময়ই ২৫শে জানুয়ারির জন্য অপেক্ষা করি কারণ ওই দিন পদ্ম পুরস্কার ঘোষণা হয়, আর এক অর্থে ২৫শে জানুয়ারির সন্ধ্যাই আমার ২৬শে জানুয়ারির প্রত্যাশাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তৃনমূলস্তরে নিজের আত্মনিবেদন আর সেবার মনোভাবের সফল নিদর্শন রাখা ব্যক্তিদের জন্য পিপলস্‌ পদ্ম নিয়েও অনেক মানুষ নিজের ভাবনা ভাগ করে নিয়েছেন। এবার পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিতদের মধ্যে জনজাতীয় গোষ্ঠী এবং জনজাতীয় জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকা মানুষের ভালো রকম প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। জনজাতীয় জীবন শহরের বিপুল ব্যস্ততা থেকে ভিন্ন। সেখানকার সমস্যাগুলোও আলাদা। এ সত্ত্বেও জনজাতীয় সমাজ নিজের পরম্পরা তুলে ধরতে সর্বদা তৎপর থাকে। জনজাতীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে জুড়ে থাকা বস্তুর সংরক্ষণ আর সেগুলো নিয়ে গবেষণার প্রচেষ্টাও হয়। এভাবেই টোটো, হো, কুই, কুবী এবং মাণ্ডার মত জনজাতির ভাষার উপর কাজ করা বেশ কয়েকজন মহানুভবী পদ্ম পুরস্কার পেয়েছেন। এটা আমাদের সবার জন্য গর্বের বিষয়। ধনীরাম টোটো, জানুম সিং সোয় এবং বি রামকৃষ্ণ রেড্ডিজীর নামের সঙ্গে তো এখন গোটা দেশের পরিচয় ঘটে গিয়েছে। সিদ্ধি, জারোয়া আর ওঙ্গে জনজাতির সঙ্গে কাজ করা মানুষদেরও এবার সম্মানিত করা হয়েছে। যেমন হীরাবাঈ লোবী, রতন চন্দ্র কর এবং ঈশ্বর চন্দ্র বর্মাজী। জনজাতীয় গোষ্ঠী আমাদের পৃথিবী, আমাদের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থেকেছে। দেশ ও সমাজের বিকাশে তাঁদের অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের জন্য কাজ করা মানুষদের সম্মান নতুন প্রজন্মকেও উদ্বুদ্ধ করবে। এ বছর পদ্ম পুরস্কারের গুঞ্জন সেই সব জায়গাতেও শোনা যাচ্ছে যেগুলো এক সময় নকশাল অধ্যুষিত ছিল। নিজেদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে নকশাল অধ্যুষিত এলাকার বিপথগামী যুবকদের সঠিক পথ দেখানো ব্যক্তিদের পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। এর জন্য কাঙ্কেরে কাঠের উপর কারুকাজ করা অজয় কুমার মণ্ডাবী আর গড়চিরৌলির প্রসিদ্ধ ঝাডীপট্টী রঙ্গভূমির সঙ্গে যুক্ত পরশুরাম খোমাজী খুণেও এই সম্মান পেয়েছেন। এভাবেই উত্তর-পূর্ব ভারতে আমাদের সংস্কৃতির সংরক্ষণে যুক্ত রামকুইবাঙবে নিউমে, বিক্রম বাহাদুর জমাতিয়া এবং করমা ওয়াংচুক-কেও সম্মানিত করা হয়েছে।

বন্ধুরা, এবছর পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত ব্যক্তিদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা সংগীত জগতকে সমৃদ্ধ করেছেন। এমন কেউ নেই যার সংগীত পছন্দ নয়। এক-একজনের সংগীতের পছন্দ আলাদা আলাদা হতে পারে কিন্তু সংগীত প্রত্যেকের জীবনের একটি অংশ। এই বার পদ্ম পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে এমন ব্যক্তিত্ব আছেন, যাঁরা সন্তুর, বমহুম, দোতারার মত আমাদের পারম্পরিক বাদ্যযন্ত্রের সুর ছড়িয়ে দিতে পারদর্শিতা রাখেন। গোলাম মোহাম্মদ জাজ, মোয়া সু – পোঙ্গ, রি সিংবোর কুরকা লাঙ্গ, মুনি – বেংকটপ্পা, এবং মঙ্গল কান্তি রায় এমন অনেক নাম আছে যাঁদের নিয়ে চারিদিকে আলোচনা হচ্ছে।

বন্ধুরা, পদ্ম পুরস্কার বিজয়ী অনেকেই, আমাদের মধ্যে থাকা সেই বন্ধু, যাঁরা, আমাদের দেশকে সবার উপরে রেখেছেন, রাষ্ট্রই প্রথম – এই বিচারধারায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁরা সেবাপরায়ণ হয়ে নিজেদের কাজ করে চলেছেন এবং তার জন্য কখনও কোনো পুরস্কারের প্রত্যাশা করেন নি। ওঁরা যাদের জন্য কাজ করছেন তাদের সন্তুষ্টিই ওঁদের কাছে সবচেয়ে বড় award। এমন ব্যক্তিত্ব দের সম্মানিত করে আমাদের দেশবাসীর গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি প্রত্যেক পদ্ম পুরস্কার বিজয়ীর নাম এখানে নিতে না পারলেও, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ যে, আপনারা পদ্ম পুরস্কার প্রাপ্ত এই মহানুভব ব্যক্তিত্বদের প্রেরণাদায়ী জীবনের বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানুন এবং বাকিদেরও জানান।

বন্ধুরা, আজ যখন আমরা আজাদী কে অমৃত মহোৎসবের সময়ে গণতন্ত্র দিবসের আলোচনা করছি, সেখানে আমি একটা মনোগ্রাহী বইয়ের কথা বলব। কয়েক সপ্তাহ আগে পাওয়া এই বইতে একটি বেশ ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট নিয়ে চর্চা করা হয়েছে। এই বইটির নাম – India The Mother of Democracy এবং এতে অনেক দুর্দান্ত প্রবন্ধ রয়েছে। ভারত পৃথিবীর সব থেকে বড় গণতন্ত্র এবং ভারতীয় হিসেবে আমাদের কাছে এটা গর্বের বিষয় যে আমাদের দেশ Mother of Democracy-ও। গণতন্ত্র আমাদের শিরা-উপশিরায় আছে, আমাদের সংস্কৃতিতে আছে – এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমাদের কর্মকান্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রকৃতিগতভাবে, আমরা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ । ডঃ আম্বেদকর বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘকে ভারতীয় সংসদের সাথে তুলনা করেছিলেন। তিনি এটিকে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বর্ণনা করেন যেখানে Motions, Resolutions, Quorum, ভোটদান এবং ভোট গণনার অনেক নিয়ম ছিল। বাবাসাহেব বিশ্বাস করতেন যে ভগবান বুদ্ধ অবশ্যই সেই সময়ের রাজনৈতিক ব্যবস্থা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।

তামিলনাড়ুতে একটি ছোট কিন্তু বিখ্যাত গ্রাম আছে – উতিরমেরুর। এখানে পাওয়া ১১০০ থেকে ১২০০ বছর আগের একটি শিলালিপি সারা বিশ্বের কাছে অবাক করার মত। এই শিলালিপিটি যেন একটি mini-constitution। গ্রামসভা কীভাবে পরিচালনা করা উচিত এবং এর সদস্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া কী হওয়া উচিত তা বিশদভাবে এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আরেকটি উদাহরণ – দ্বাদশ শতাব্দীর প্রভু বাসবেশ্বরের অনুভব মন্ডপম। এখানে free debate  ও আলোচনাকে উৎসাহিত করা হতো। আপনি জানলে অবাক হবেন যে এটা ম্যাগনা কার্টা’ রও পূর্বের। ওয়ারাঙ্গলের কাকতিয় বংশের রাজাদের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যও প্রসিদ্ধ ছিল। ভক্তি আন্দোলন পশ্চিম ভারতে গণতন্ত্রের সংস্কৃতিকে উন্নীত করেছিল। বইতে শিখ ধর্মের গণতান্ত্রিক চেতনার উপরেও একটি নিবন্ধকে অন্তর্গত করা হয়েছে যা গুরু নানক দেব জির সর্বসম্মত ভাবে নেওয়া সিদ্ধান্তের উপর আলোকপাত করে।

মধ্য ভারতের ওড়াঁও ও মুন্ডা উপজাতির মধ্যে community driven ও consensus driven decision-এর বিষয়েও ভালো তথ্য রয়েছে এই বইয়ে। আপনি এই বইটি পড়ার পর অনুভব করবেন যে কিভাবে এই দেশের প্রতি অঞ্চলে কয়েক শতাব্দি ধরে গণতন্ত্রের ভাবনা প্রবাহিত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিয়ত Mother of democracy-র রূপের বিষয়ে গভীর চিন্তাও করা উচিত, চর্চাও করা উচিত এবং দুনিয়াকে জানানোও উচিত। এতে দেশের মধ্যে গণতন্ত্রের ভাবনা আরো গভীর হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, যদি আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি যে যোগ দিবস ও আমাদের বিভিন্ন ধরনের মোটা শস্য – Millets-এর মধ্যে common কি, তাহলে আপনারা ভাববেন যে এ কি রকম তুলনা? যদি আমি বলি যে এই দুই বিষয়ে কিছু common রয়েছে তাহলে আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন। আসলে রাষ্ট্রসংঘ International Yoga Day ও International Year of Millets, এই দুই বিষয়ে নির্ণয় ভারতের পাঠানো প্রস্তাবের পর নিয়েছে। দ্বিতীয়তঃ যোগও স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত এবং millets স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তৃতীয়ত: এবং গুরুত্বপূর্ণ হল যে উভয় প্রচারের ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণের কারণেই বিপ্লব আসছে। যেভাবে মানুষ ব্যাপক স্তরে সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে যোগ ও  fitness-কে জীবনের অংশ করে নিয়েছে সেই ভাবেই millets কেও মানুষ ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে। এখন মানুষ millets-কে নিজের খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। এই পরিবর্তনের অনেক বড় প্রভাবও নজরে পড়ছে। এর ফলে একদিকে ক্ষুদ্র কৃষকরা খুব উৎসাহিত হচ্ছেন যারা বংশপরম্পরায় millets-এর উৎপাদন করতেন। তারা এই জোনে খুব খুশি হবেন যে বিশ্ব এখন millets-এর গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছে। অন্যদিকে FPO ও entrepreneur-রা millets-কে বাজারজাত করা ও তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের নানদয়াল জেলার বাসিন্দা কে বি রামা সুব্বা রেড্ডিজি millets-এর জন্য ভাল রকমের salaryওয়ালা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। মায়ের হাতের তৈরি millets-এর খাবারের স্বাদ তার এমনভাবে  লেগে রয়েছে যে তিনি তার গ্রামেই বাজরার processing unit শুরু করে দিয়েছেন। সুব্বা রেড্ডিজি সবাইকে বাজারার উপকারিতা জানাচ্ছেন ও তা সুলভে পাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন। মহারাষ্ট্রের আলীবাগের কাছে কেনাড গ্রামের বাসিন্দা শর্মিলা ওসওয়ালজি গত কুড়ি বছর ধরে millets-এর ফলনে unique উপায়ে নিজের অবদান রেখেছেন। তিনি কৃষকদেরকে smart agriculture-এর training দিচ্ছেন। তার চেষ্টার ফলে শুধু millets-এর ফলনই বৃদ্ধি হয়নি, উপরন্তু কৃষকদের আয়ও বৃদ্ধি হয়েছে। 

যদি আপনি ছত্রিশগড়ের রায়গর যাওয়ার সুযোগ পান তাহলে সেখানে Millets Cafe অবশ্যই যাবেন। কয়েক মাস শুরু হওয়া এই Millets Cafeতে চিলা, ধোসা, মোমো, পিজা ও মাঞ্চুরিয়ানের মত item খুব popular হচ্ছে।

আমি আপনাদের আর একটা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব? আপনারা হয়তো entrepreneur শব্দটা শুনেছেন, কিন্তু আপনারা Milletpreneurs শুনেছেন কি? উড়িষ্যার Milletpreneurs আজকাল খবরের শিরোনামে রয়েছে। আদিবাসী জেলা সুন্দরগড়ে প্রায় দেড় হাজার মহিলা Self Help Group, Odisha Millets Mission-এর সঙ্গে যুক্ত। এখানে মহিলারা millets দিয়ে cookies, রসগোল্লা গোলাপজাম ও কেক তৈরি করছেন। বাজারে এর খুব demand হওয়ার ফলে মহিলাদের আয়ও অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কর্নাটকে কালবুর্গিতে অলন্দ ভূতাঈ-এর Millets Farmers Producer Company গত বছর Indian institute of Millets Research-এর তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু করেছে।

এখানকার খাকরা, বিস্কুট আর লাড্ডু লোকের ভালো লাগছে। কর্নাটকেরই বিদর জেলায় Hulsoor Millets Producer Company’র সঙ্গে যুক্ত মহিলারা মিলেট চাষের পাশাপাশি তার আটাও তৈরি করছে। এতে তাদের উপার্জনও বেশ বেড়ে গেছে। ছত্তিশগড়ের সন্দীপ শর্মাজি প্রাকৃতিক চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত, এখন তার FPO-র সঙ্গে বারোটি রাজ্যের কৃষকরা যুক্ত। বিলাসপুরের এই FPO মিলেটের আট-রকম আটা এবং তা থেকে নানান পদ তৈরি করছে।

বন্ধুরা, এখন ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমাগত G-20 Summit চলছে, আর আমি অত্যন্ত খুশী যে G-20 Summit দেশের যেখানেই  হোক না কেন সেখানে মিলেটস থেকে তৈরী সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবারের কিছু পদ অবশ্যই রাখা হচ্ছে। সেখানে বাজারার খিচুড়ি, পোহা, ক্ষীর এবং রুটির সঙ্গে রাগীর পায়েস, পুরী এবং ধোসার মত বেশ কিছু পদ পরিবেশন করা হচ্ছে। G20’র  সমস্ত venue’র  Millets Exhibition-এ মিলেটস থেকে তৈরি  health drinks, cereals আর noodles-এর showcase করা হয়েছিল। সারা বিশ্বজুড়ে Indian Missions’ও এর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রচুর চেষ্টা করছে। আপনারা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন যে আমাদের দেশের এই প্রচেষ্টা আর বিশ্বব্যাপী বেড়ে চলা মিলেটের demand আমাদের ক্ষুদ্রচাষীদের কতটা পরিমাণ শক্তি জোগাবে। আমার এটা দেখেও ভালো লাগে যে, এখন যত ধরনের নতুন নতুন জিনিস মিলেটস থেকে তৈরি হচ্ছে যুব সমাজেরও তা ততটাই পছন্দ হচ্ছে। International Year of Millets-এর এত সুন্দর সূচনা করার জন্য এবং তাকে ক্রমাগত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি “মন কি বাত”-এর সকল শ্রোতাদেরও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, যখন কেউ আপনাকে গোয়া’র Tourist Hub-এর  ব্যাপারে প্রশ্ন করে তখন আপনার কি মনে হয়? স্বাভাবিকভাবেই গোয়ার কথা উঠলেই সবার আগেই  সেখানকার সুন্দর coastline, beaches এবং সুস্বাদু খাবার দাবার ও পানীয়’র কথা মাথায় আসে; কিন্তু গোয়ায় এ মাসে এমন কিছু হয়েছে যা এখন শিরোনামে রয়েছে! আজ মন কি বাত অনুষ্ঠানে সে কথাই আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। ৬ থেকে ৮ই জানুয়ারি, গোয়ার এই  event- purple fest, গোয়ার পণজি’তে আয়োজিত হয়েছিল। দিব্যাঙ্গদের কল্যাণার্থে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ছিল এক স্তন্ত্র  প্রয়াস। Purple Festএর জন্য কত বড়  সুযোগ তৈরি হয়েছিল তার একটা ধারণা এটা থেকেই পাওয়া যায় যে এখানে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভাই-বোনেরা যোগ দিয়েছিল। যারা এখানে এসেছিল তারা মীরামর বীচ ঘোরার আনন্দ উপভোগ করতে পারবে সেকথা ভেবেই অত্যন্ত রোমাঞ্চিত ছিল। আসলে, মীরামর বীচ দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেদের জন্য গোয়ার Accessible বীচগুলোর মধ্যে একটা হয়ে উঠেছে। এখানে Cricket tournament, Table tennis Tournament, Marathon Competition এর সঙ্গে সঙ্গেই এক Deaf-Blind Convention-এরও আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে Unique Bird watching program এর সঙ্গে সঙ্গে একটা Film’ও দেখানো হয়েছিল। এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল যাতে সমস্ত দিব্যাঙ্গ ভাই-বোন এবং বাচ্চারা তার পুরো আনন্দ নিতে পারে। Purple Fest-এর আরো একটা বিশেষত্ব হল যে এখানে আমাদের দেশের Private Sector’ও অংশ নিয়েছিল। তাদের পক্ষ থেকে সেই সব পণ্যের প্রদর্শণ হয়েছিল যা Divyang-friendly। এই Fest-এ তাদের দিক থেকে দিব্যাঙ্গদের উপকারের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির একটা প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। Purple Fest-কে সফল করার জন্য আমি এতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত মানুষকে অভিনন্দন জানাই। তার সঙ্গে সেই সমস্ত volunteers’কে অভিনন্দন জানাই যারা এটা organise করার জন্য রাত দিন এক করে দিয়েছিল।

আমার পুরো বিশ্বাস আছে যে , Accessible India-তে আমাদের উদ্দেশ্যকে সফল করতে এই ধরনের অভিযান খুবই কার্যকরী হয়ে উঠবে । 

আমার প্রিয় দেশবাসী , এখন “মন কী বাত”-এ আমি এমন এক বিষয়ে কথা বলবো যাতে আপনাদের আনন্দও হবে , গর্বও হবে আর মন বলে উঠবে — বাঃ ! ভাই , বাঃ ! মন ভালো হয়ে উঠলো ! দেশের সবথেকে পুরোনো Science Institution-গুলির মধ্যে অন্যতম বেঙ্গালুরুর Indian Institute of Science , অর্থাৎ IISc এক মহৎ দৃষ্টান্ত পেশ করছে । “মন কী বাত”-এ আমি আগে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি যে, এই সংস্থা স্থাপনের নেপথ্যে ভারতের দুই মহান ব্যক্তিত্ব জামশেদজী টাটা ও স্বামী বিবেকানন্দের কতখানি প্রেরণা রয়েছে , এখন আপনাদের আর আমাকে আনন্দিত ও গর্বিত করার মতো কথা হলো যে ২০২২ সালে এই সংস্থার নামে ১৪৫ টি পেটেন্ট (patents) রয়েছে। এর অর্থ প্রতি পাঁচ দিনে দুটি পেটেন্ট। এই রেকর্ড আশ্চর্য! এই সফলতার জন্য আমি IISc-র টীম কে শুভেচ্ছা জানাতে চাই । বন্ধুরা , আজ পেটেন্ট ফিলিং-এ ভারতের স্থান সপ্তম আর ট্রেডমার্কে পঞ্চম । শুধুমাত্র পেটেণ্টের কথা বললে গত পাঁচ বছরে এখানে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ  বৃদ্ধি হয়েছে ।  Global Innovation Index-এও ভারতের ranking-এ উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এবং ভারত চল্লিশতম স্থানে এসে পৌঁছেছে , যেখানে ২০১৫-তে Global Innovation Index-এ আশিতম স্থানেরও পিছনে ছিলো । আমি আরো একটি খুশির কথা আপনাদের বলতে চাইছি । ভারতে গত এগারো বছরে প্রথমবার Domestic Patent Filling-এর সংখ্যা Foreign Filling-এর থেকে বেশি দেখা গেছে । এটি ভারতের বর্ধিষ্ণু বৈজ্ঞানিক সামর্থ্যেরই পরিচয় বহন করে । 

বন্ধুরা, আমরা সকলেই জানি যে, একবিংশ শতকের Global Economy-তে জ্ঞান বা Knowledge-ই সবার উপরে। আমার বিশ্বাস আছে যে আমাদের Innovator আর তাঁদের পেটেণ্টের শক্তির দ্বারাই ভারতের Techade-এর স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ হবে । এর ফলে আমরা সকলে নিজের দেশে তৈরি World Class Technology আর Product-এর পুরোপুরি সুবিধা নিতে পারবো। 

আমার প্রিয় দেশবাসী , NaMo App-এ আমি তেলেঙ্গানার  ইঞ্জিনিয়ার বিজয় জীর একটি post দেখেছি । এতে বিজয়জী E-Waste বিষয়ে লিখেছেন । বিজয়জীর ইচ্ছে “মন কী বাত”-এ আমি এ বিষয়ে আলোচনা করি । এই কার্যক্রমে আমি আগেও “Waste to Wealth”  অর্থাৎ “আবর্জনা থেকে  সোনা”-র (“কচড়ে সে  কাঞ্চন”) বিষয়ে বলেছিলাম , কিন্তু আজ তার সঙ্গে যুক্ত E-Waste ।  বন্ধুরা , আজ প্রত্যেক ঘরে মোবাইল ফোন , ল্যাপটপ , ট্যাবলেটের মতো যন্ত্র থাকাটা খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে । দেশ জুড়ে এর সংখ্যা হবে বিলিয়নে । আজকের নতুনতম যন্ত্রপাতিই  ভবিষ্যতের E-Waste হয়ে ওঠে । যখনই কোনো নতুন যন্ত্র কিনি বা নিজেদের পুরোনো যন্ত্র বদলাই, তখন এটা খেয়াল রাখা জরুরি যে সেগুলি ঠিক ভাবে বাতিল করা হয়েছে , না হয়নি। যদি E-Waste-কে ঠিকভাবে নিষ্পত্তি না করা হয়, তবে তা আমাদের পরিবেশেরও ক্ষতি করে পারে। কিন্তু যদি সাবধানতার সঙ্গে তা করা যায় , তবে এগুলি Recycle, Reuse, ও Circular Economy খুব বড়ো শক্তি হয়ে উঠতে পারে ।  রাষ্ট্র সঙ্ঘের এক  প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো যে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন টন E-Waste ফেলা হচ্ছে। আপনারা ভাবতে পারছেন যে এটা  কত হতে পারে ? মানব ইতিহাসে যত Commercial Plane  তৈরি হয়েছে , তার সবগুলির ওজন মেলালেও যত E-Waste বেরোচ্ছে , তার সমান হবে না । এটি এমন , যেন প্রতি সেকেন্ডে আটশো ল্যাপটপ ফেলে দেওয়া হচ্ছে । আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন যে ভিন্ন ভিন্ন process এর মাধ্যমে উৎপন্ন এই e-waste থেকে প্রায় ১৭ রকম প্রেশাস মেটাল নিষ্কাশিত করা যায়। তার মধ্যে গোল্ড, সিলভার, কপার ও নিকেল রয়েছে। তাই e-waste এর সদ্ব্যবহার, “কাচরে কো কাঞ্চন” অর্থাৎ জঞ্জালকে সোনা বানানোর থেকে কম কিছু নয়। এই লক্ষ্যে ইনোভেটিভ কাজ করছে এমন স্টার্টআপের সংখ্যা আজ কম নয়। আজ প্রায় ৫০০ e-waste recycler এই সেক্টরে সংযুক্ত আছে এবং আরো অনেক নতুন উদ্যোগীদেরও এতে শামিল করা হচ্ছে। এই সেক্টর হাজার হাজার মানুষকে সরাসরি রোজগারও দিয়েছে। বেঙ্গালুরুর E-Parisaraa এমনই এক প্রয়াস নিয়েছে। এরা প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের মূল্যবান ধাতুকে পৃথক করে স্বদেশী টেকনোলজির বিকাশ ঘটিয়েছে। অনুরূপভাবে মুম্বইয়ের ইকোরিকো (Ecoreco) মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে e-waste সংগ্রহ করার সিস্টেম তৈরি করেছে। উত্তরাখণ্ডের রুরকির এটেরো রিসাইক্লিং (Attero Recycling) তো এই প্রযুক্তিতে দুনিয়া জুড়ে অনেক পেটেন্ট পেয়েছে। তারাও নিজেদের ই-ওয়েস্ট রিসাইক্লিং টেকনোলজি তৈরি করে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে। ভোপালে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট “কবাড়ীওয়ালা”র মাধ্যমে টন টন e-waste একত্রিত করা হচ্ছে। এমন অনেক উদাহরণ আছে। এরা সবাই ভারতকে গ্লোবাল রিসাইক্লিং হাব হিসেবে প্রস্তুত করতে সাহায্য করছেন; কিন্তু এমন ইনিশিয়েটিভগুলির সাফল্যের জন্য একটা জরুরী শর্তও রয়েছে। তা হল, e-waste ডিসপোজাল এর সুরক্ষিত, উপযোগী পদ্ধতিগুলির সম্বন্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে যেতে হবে।  e-waste নিয়ে কাজ করা মানুষরা বলেন, বর্তমানে প্রতি বছর কেবলমাত্র পনেরো থেকে সতেরো শতাংশ e-waste কেই রিসাইকেল করা হচ্ছে। 

আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ সারা বিশ্বে ক্লাইমেট চেঞ্জ ও বায়োডাইভারসিটির সংরক্ষণ প্রসঙ্গে বহু আলোচনা হয়। এই লক্ষ্যে ভারতের উল্লেখযোগ্য প্রয়াসের বিষয়ে আমরা ক্রমাগত কথা বলে এসেছি। ভারত নিজের wetlands এর জন্য যে কাজ করেছে তা জেনে আপনাদেরও খুব ভালো লাগবে। কিছু শ্রোতা হয়তো ভাবছেন wetlands টা আসলে কী। wetland sites হল সেই সব স্থান যেখানে নরম তুলতুলে মাটির মত জমিতে বছরভর জল জমে থাকে। কিছুদিন পরেই আগামী দোসরা ফেব্রুয়ারি World Wetlands Day। আমাদের পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য Wetlands অত্যন্ত জরুরি কারণ এর ওপর বহু পাখি, জীবজন্তু নির্ভর করে। এটি বায়োডাইভারসিটিকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি ফ্লাড কন্ট্রোল ও গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জও সুনিশ্চিত করে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই নিশ্চয়ই জানেন রামসার সাইটস (Ramsar sites)  এমনই Wetlands যার ইন্টারন্যাশনাল ইম্পর্টেন্স আছে। ওয়েট ল্যান্ডস যে দেশেই হোক না কেন তাকে অনেক মানদন্ড পূরণ করতে হয়, তারপর তাকে রামসার সাইটস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রামসার সাইটসে কুড়ি হাজার বা তার বেশি ওয়াটার বার্ডস এর উপস্থিতি আবশ্যিক। বিপুল সংখ্যায় স্থানীয় প্রজাতির মাছ থাকতে হবে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর, অমৃত মহোৎসবের সময়কালে, রামসার সাইটস সম্বন্ধীয় একটা ভালো খবরও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমাদের দেশে এখন রামসার সাইটসের সংখ্যা ৭৫ হয়ে গেছে, যেখানে ২০১৪-র আগে দেশে মাত্র ২৬ টি রামসার সাইটস ছিল। এর জন্য স্থানীয় মানুষেরা প্রশংসার পাত্র, যারা এই বায়োডাইভারসিটি কে সযত্নে লালন করেছেন। প্রকৃতির সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে বাস করার যে শতাব্দী প্রাচীন সংস্কৃতি ও পরম্পরা আমাদের দেশে রয়েছে, এই পরিসংখ্যান তার প্রতিও এক সম্মান জ্ঞাপন। ভারতের এই Wetlands আমাদের প্রাকৃতিক শক্তিরও উদাহরণ। ওড়িশার চিলকা সরোবর ৪০ টিরও বেশি ওয়াটার বার্ড স্পিসিসের আশ্রয়স্থল হিসেবে সুবিদিত। কাইবুল লামজাও (Keibul Lamjao), লোকটাকের  (Loktak) swamp deer এর একমাত্র natural habitat রূপে পরিচিত।

তামিলনাড়ুর বেড়ান্থাঙ্গল-কে ২০২২ সালে Ramsar site ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে Bird population সংরক্ষণের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আশেপাশের এলাকার কৃষকদের। কাশ্মীরের পাঞ্জাথ নাগ সম্প্রদায় Annual Fruit blossom Festival এর সময় একদিন বিশেষ করে গ্রামের ঝর্ণাগুলির পরিষ্কারের কাজে লাগে। World Ramsar site এ বেশীরভাগ unique culture heritage আছে।   মণিপুরের লোকটাক এবং পবিত্র জলাশয় রেণুকার সঙ্গে সেখানকার সংস্কৃতির একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই রকমের sambhar-এর সম্পর্ক মা দূর্গার অবতার দেবী শাকম্ভরির সঙ্গেও রয়েছে।  ভারতে wetlands-এর সম্প্রসারণ সেই মানুষগুলোর জন্যই সম্ভব হচ্ছে, যাঁরা এই Ramsar Site এর আশেপাশে থাকেন। আমি এই ধরনের সব মানুষদের খুবই কদর করে থাকি। “মন কি বাত’-এর সব শ্রোতাদের পক্ষ থেকে ওঁদের জন্য রইল শুভ কামনা।

আমার প্রিয় দেশবাসী, এবার আমাদের দেশে বিশেষ করে উত্তর ভারতে প্রচণ্ড শীত পড়েছে।  এই শীতে লোকেরা পাহাড়ে বরফ পড়াও খুব উপভোগ করেছেন।  জম্মু ও কাশ্মীরের এমনই কিছু ছবি সারা দেশের মন জয় করে নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সারা বিশ্বের মানুষ এই ছবিগুলো পছন্দ করছে। প্রতি বছরের মত এবারও আমাদের কাশ্মীর ঘাটি তুষারপাতের ফলে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।  বনিহাল থাকে বদগাম যাওয়ার ট্রেনের ভিডিওটি বিশেষ করে সবাই খুব পছন্দ করছে। সুন্দর তুষারপাতে চারদিক বরফের চাদরে ঢেকে গেছে। যাঁরাই দেখছেন বলছেন এই দৃশ্য কোনো রূপকথার দেশের। আবার কেউ বলছেন এই জায়গাটা কোনো বিদেশের নয়, আমাদেরই দেশের কাশ্মীরের ছবি।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন- ‘এর থেকে স্বর্গ আর কত সুন্দর হবে?’

সত্যিই তো একদম ঠিকই বলেছেন। তাই তো কাশ্মীর কে এই পৃথিবীর ভূ-স্বর্গ বলে। 

আপনিও এই ছবিগুলো দেখে কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন নিশ্চয়ই। আমি চাই আপনি নিজে এবং আপনার বন্ধুদেরও নিয়ে যান। কাশ্মীরের বরফে ঢাকা পাহাড়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি দেখার ও জানার মতো আরও অনেক কিছু রয়েছে। যেমন কাশ্মীরের সায়েদাবাদে Winter Games এর আয়োজন করা হয়েছিল। এই গেমসের থিম ছিল- স্নো ক্রিকেট! আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে স্নো ক্রিকেট তো বেশ রোমাঞ্চকর খেলা হবে। আপনি একদম ঠিক ভাবছেন। তরুণ কাশ্মিরী যুবকরা বরফের মধ্যে ক্রিকেটকে আরও অদ্ভুত সুন্দর করে তোলে। এর মধ্যে দিয়েই কাশ্মীরে এমন তরুণ খেলোয়াড়দের খোঁজ করা হচ্ছে, যারা পরবর্তী সময়ে টিম ইন্ডিয়াতে জায়গা করে নিতে পারে। এটাও একধরনের খেলো ইন্ডিয়া মুভমেন্টের সম্প্রসারিত অংশ। কাশ্মীরে, যুবকদের মধ্যে, খেলাধুলা নিয়ে, ব্যাপক উৎসাহ বেড়েই চলেছে। আগামী দিনে এই যুবকদের মধ্যে, অনেকেই দেশের জন্য পদক জিতবে, জাতীয় পতাকা ওড়াবে। আমি আপনাদের এই পরামর্শই দেবো, এরপর আপনি যখন কাশ্মীর ভ্রমণের প্ল্যান করবেন, অবশ্যই তখন এই ধরনের আয়োজন দেখার জন্যও সময় বার করবেন। এই অভিজ্ঞতা আপনার ভ্রমণকে আরও বেশি স্মরণীয় করে তুলবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, গণতন্ত্রকে মজবুত করে তোলার প্রয়াস আমাদের নিরন্তর চালিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্র মজবুত হয় জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে, সবার চেষ্টায়, দেশের প্রতি নিজ নিজ কর্তব্য পালনের মধ্যে দিয়ে, আর আমার সন্তুষ্টি এটাই যে আমাদের ‘মন কি বাত’ এইরকম কর্তব্যনিষ্ঠ সৈন্যদের শক্তিশালী আওয়াজ। পরেরবার আবার দেখা হবে এইরকম কর্তব্যনিষ্ঠ মানুষদের হৃদয়স্পর্শী এবং প্রেরণামূলক কাহিনী সঙ্গে নিয়ে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।