আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। “মন কি বাতে” আরও একবার আমার সকল পরিবারবর্গকে স্বাগত জানাই। আজ আবারও কথা হবে দেশের সাফল্য অর্জন নিয়ে, দেশবাসীর সামগ্রিক প্রয়াস নিয়ে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতে অনেক কিছু হচ্ছে যা বিকশিত ভারতের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করে। যেমন এই ২৩শে অগাস্ট আমরা সকল দেশবাসী মিলে প্রথম ন্যাশনাল স্পেস ডে উদযাপন করলাম। আমার বিশ্বাস আপনারাও সবাই এই দিনটি সেলিব্রেটে করেছেন, আরো একবার চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যকে উদযাপন করেছেন। গত বছর এই দিনেই চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ ভাগে শিবশক্তি পয়েন্টে সফল ল্যান্ডিং করেছিল। ভারত প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের ওই অংশে অবতরণ করার গৌরবময় কৃতিত্ব অর্জন করেছিল।
বন্ধুরা, দেশের যুবশক্তি স্পেস সেক্টর রিফর্ম-এর দ্বারা যথেষ্ট উপকৃত হয়েছে। তাই আমি ভাবলাম আজ মন কি বাতে স্পেস সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন যুবা বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা যাক। আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য Spacetech Start-Up GalaxEye এর টিম রয়েছে। এই স্টার্ট আপটি আইআইটি মাদ্রাজের alumni শুরু করেছিল। এই সমস্ত যুবকেরা আজ আমার সঙ্গে ফোন লাইনে রয়েছেন – সুযশ, ডেনিল, রক্ষিত, কিশন ও প্রণিত। আসুন এই যুবকদের অভিজ্ঞতার কথা শুনি।
প্রধানমন্ত্রী জি – Hello!
যুবকেরা (chorus): Hello !
প্রধানমন্ত্রী জি – নমস্কার
যুবকেরা (chorus): নমস্কার স্যার
প্রধানমন্ত্রী জি – আচ্ছা বন্ধুরা, আমি এটা দেখে আনন্দিত যে আইআইটি মাদ্রাজে পড়ার সময় আপনাদের যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তা আজও সুদৃঢ়ভাবে বজায় আছে। আর এই কারণেই আপনারা একসঙ্গে GalaxEye শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ আমি এটার সম্বন্ধে একটু জানতে চাই। এ সম্বন্ধে বলুন। আর তার সঙ্গে এটাও বলুন যে আপনাদের টেকনোলজির মাধ্যমে দেশ কতটা উপকৃত হবে।
সুযশ: স্যার, আমার নাম সুযশ। আমরা একসঙ্গে আছি যেমনটা আপনি বললেন। আমাদের সকলের আইআইটি মাদ্রাজে আলাপ। সেখানেই আমরা সবাই পড়াশোনা করছিলাম আলাদা আলাদা ইয়ারে। আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং করেছিলাম। আর তখনই আমরা দেখেছিলাম যে হাইপারলুপ নামে একটা প্রজেক্ট আছে, যেটা আমরা একসঙ্গে করতে চেয়েছিলাম। তখন আমরা একটা টিম তৈরি করি – “আবিষ্কার হাইপারলুপ” যেটা নিয়ে আমরা আমেরিকাও গিয়েছিলাম। সে বছর আমরাই ছিলাম এশিয়া থেকে একমাত্র টিম যারা সেখানে গিয়েছিল এবং আমাদের দেশের পতাকা আমরা উঁচুতে তুলে ধরেছিলাম। সারা পৃথিবী থেকে আসা ১৫০০টি টিমের মধ্যে আমরা প্রথম কুড়িটির মধ্যে ছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী জি – চলুন, পরের কথাগুলো শোনার আগে এটার জন্য আমার তরফ থেকে আপনাদের অনেক অভিনন্দন জানাই!
সুযশ – আপনাকে অনেক ধন্যবাদ | এই কৃতিত্ব অর্জন করার সময়, আমাদের বন্ধুত্ব অনেক গভীর হয়েছে এবং আমরা এমন কঠিন প্রজেক্ট এবং tough প্রজেক্ট করার আত্মবিশ্বাসও পেয়েছি। এবং এই সময়ে, spaceX কে দেখে এবং আপনি যে মহাকাশে প্রাইভেটাইজেশন ওপেন করেছিলেন ২০২০ সালে, তা এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা এটি নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলাম। আমি এবার রক্ষিতকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি বলার জন্য যে আমরা ঠিক কি তৈরি করছিলাম, এবং তার উপকারিতা কি?
রক্ষিত – হ্যাঁ, আমার নাম রক্ষিত। এবং এই টেকনোলজি থেকে আমাদের কি লাভ হবে এই প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো।
প্রধানমন্ত্রী জি – রক্ষিত আপনি উত্তরাখণ্ডের কোন অঞ্চলে থাকেন?
রক্ষিত – স্যার আমি আলমোড়া থেকে
প্রধানমন্ত্রী জি – তো আপনি “বালমিঠাইওয়ালা”?
রক্ষিত – হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ স্যার, বালমিঠাই আমাদের favourite।
প্রধানমন্ত্রী জি – আমাদের লক্ষ্য সেন আছে না, তিনি আমাকে প্রায়শই বালমিঠাই খাওয়ান। হ্যাঁ তো রক্ষিত, আপনি বলুন।
রক্ষিত – আমাদের এই যে টেকনোলজি আছে, এটি মহাকাশ থেকে মেঘেদের ভেদ করে দেখতে পারে এবং এটি রাতেও দেখতে পারে। তাই এটি দিয়ে আমরা প্রতিদিন দেশের যে কোনো প্রান্তের একটি পরিষ্কার ছবি তুলতে পারি এবং আমাদের কাছে যে ডেটা আসবে সেটা আমরা ব্যবহার করতে পারি দুটি ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য। প্রথমত, ভারতকে অত্যন্ত নিরাপদ করতে ব্যবহার করতে পারি। আমরা প্রতিদিন আমাদের সীমানা এবং আমাদের সাগর এবং মহাসাগর monitor করব এবং শত্রুদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখব এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ইন্টেলিজেন্স তথ্য প্রদান করব। দ্বিতীয়টি হল, ভারতের কৃষকদের ক্ষমতায়ন। তাই আমরা ইতিমধ্যে একটি product তৈরি করেছি, চিংড়ি চাষীদের জন্য যা দিয়ে মহাকাশ থেকে তাদের পুকুরের জলের গুণমান পরিমাপ করা যাবে বর্তমান খরচের দশ ভাগের এক ভাগ (১/১০) কম খরচে। এবং আমরা চাই যে ভবিষ্যতে আমরা বিশ্বের জন্য বেস্ট কোয়ালিটি স্যাটেলাইট ইমেজ জেনারেট করি এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের মতো বৈশ্বিক সমস্যাগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিশ্বের বেস্ট কোয়ালিটি স্যাটেলাইট ডেটা সরবরাহ করি।
প্রধানমন্ত্রী জি – তার মানে, আপনার এই দল, জয় জওয়ানও করবে, জয় কিষাণও করবে ।
রক্ষিত – হ্যাঁ স্যার, বিলক্ষণ।
প্রধানমন্ত্রী জি – বন্ধুরা, আপনারা এত ভালো কাজ করছেন। আমি এও জানতে চাই যে আপনাদের এই প্রযুক্তির কতটা precision আছে ?
রক্ষিত – স্যার, আমরা ৫০ সেন্টিমিটারের কম রেজোলিউশন অবধি যেতে সক্ষম হব এবং আমরা আনুমানিক ৩০০-বর্গকিলোমিটার-এর বেশি এলাকা জুড়ে ছবি তুলতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী জি – আমার মনে হয় যে দেশবাসী যখন এই কথাটি শুনবেন, তখন তারা খুব গর্বিত হবেন। তবে আমি আরও একটি প্রশ্ন করতে চাই।
রক্ষিত – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী জি – Space ecosystem খুবই vibrant হয়ে উঠছে। এখন আপনার team এখানে কি পরিবর্তন দেখছে?
কিশন: আমার নাম কিশন, আমরা এই GalaxEye শুরু হওয়ার পর থেকে IN-SPACe-কে আসতে দেখেছি, আর তাছাড়া আরো অনেক policies আসতে দেখেছি যেমন ‘geo-Spatial Data Policy and India Space Policy’, আর গত তিন বছরে আমরা অনেক পরিবর্তন আসতে দেখেছি, তাছাড়া ISRO-এ অনেক Processes, Infrastructure, Facilities available হয়েছে এবং খুব সুষ্ঠ ভাবে হয়েছে ।
যেমন ISRO-এ গিয়ে আমরা আমাদের Hardware-এর testing করতে পারি, এখন এটা খুব সহজভাবেই করা যায়। তিন বছর আগে এই process-টা সেভাবে ছিল না, আর এটা আমাদের ও আরো অন্যান্য start ups-এর জন্যে খুব Helpful হয়েছে। আর recent FDI policies এবং এই facilities availability’র জন্যে আরো start ups গড়ে ওঠার মতো যথেষ্ট incentive আছে, আর এই start up-গুলো এসে খুব easily এবং খুব ভালোভাবে development করতে পারবে, আর সেটা এমন একটা ফিল্ডে যেখানে usually কোনো development করা ভীষণ costly এবং time consuming. But current policies এবং IN-SPACe আসার পর start up-গুলোর জন্যে অনেক কিছুই সহজ হয়ে গেছে। আমার বন্ধু ডেনিল চাবড়া’ও এ বিষয়ে কিছু বলতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী জি – বলুন ডেনিল…
ডেনিল – স্যার আমরা আরো একটা বিষয় observe করেছি, আমরা দেখেছি যে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র, তাদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। তারা আগে বাইরে গিয়ে Higher studies pursue করতে চাইতো, আর সেখানে অন্য কোনো space domain-এ কাজ করতে চাইতো, but এখন যেহেতু India তে একটা space ecosystem খুব ভালোভাবে তৈরি হচ্ছে সেজন্যে তারা India-এ ফিরে এসে, সেই ecosystem-এর part হতে চাইছে। তো এইরকম ভালো একটা feedback আমরা পেয়েছি, আর একারণে আমাদের নিজেদের কোম্পানিতে কিছু লোক ফিরে এসে কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী জি – আমার মনে হয় কিশন এবং ডেনিল আপনারা দুজনে যে দিকগুলো তুলে ধরলেন, আমার বিশ্বাস অনেক মানুষেরই সেদিকে দৃষ্টি যায়নি, যে কোন একটা ক্ষেত্রে যখন reform হয়, তখন reform-এর কতো multiple effects তৈরি হয়, কত মানুষের লাভ হয়; আপনার বর্ণনা অনুযায়ী, যেহেতু আপনারা এই field-এ আছেন, তা নিশ্চয়ই আপনাদের নজরে পড়ে আর আপনারা observe -ও করেছেন যে দেশের যুবরা এখন এখানে, এই field-এ নিজেদের ভবিষ্যৎ পরখ করতে চায়, নিজেদের talent কাজে লাগাতে চায়। এটা আপনার খুব সুন্দর observation! আরো একটা প্রশ্ন আমি করতে চাইবো, আপনি এই যুবদের কি বার্তা দিতে চাইবেন, যারা start ups এবং space sector-এ সাফল্য পেতে চায়।
প্রণীত- আমি প্রণীত কথা বলছি। আর আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই ।
প্রধানমন্ত্রী জি – হ্যাঁ, প্রণীত বলুন।
প্রণীত – স্যার, আমি আমার বিগত কিছু বছরের experience থেকে দুটি বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। সবার প্রথমে, আপনি যদি start up শুরু করতে চান, তাহলে এইটাই সুবর্ণ সুযোগ। কারণ পুরো বিশ্বে India আজ সেই দেশ যা world এর সবথেকে fastest growing economy আর তার মানে এই যে আমাদের কাছে opportunity অনেক বেশি আছে। যেমন আমি ২৪ বছর বয়স থেকেই এইটা ভেবে proud feel করি কি পরের বছর একটা স্যাটেলাইট launch হবে। যেটার basis-এ আমাদের government কিছু major decision নেবে। আর তাতে আমার ছোট্ট একটা contribution আছে। এইরকমই কিছু National impact সম্পন্ন project-এ কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে, এটা এমনই এক industry । আর এটা এমনই এক time যখন এই space industry start হচ্ছে। তাই আমি আমার যুবা বন্ধুদের এটাই বলতে চাই যে এই opportunity শুধু impact এর নয়, but also ওদের নিজেদের financial growth-এর জন্য এবং একটা global problem solve করার জন্য। আমরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করি যে ছোটবেলায় আমরা বলতাম আমি actor হবো, অথবা, sportsmen হবো। But আজ যদি আমরা এটা শুনি যে কেউ বলছে আমি বড় হয়ে entrepreneur হবো, space industry-তে কাজ করবো। এটা আমার জন্য খুবই proud moment হবে, কারণ আমি এই transformation-এ একটা ছোট part play করছি।
প্রধানমন্ত্রী জি – বন্ধুরা, এই ভাবে প্রণীত, কিষন, ডেনিল, রক্ষিত, সুযশ আপনাদের মধ্যে যেমন অটুট বন্ধুত্ব তেমনই মজবুত আপনাদের start up-ও । তাই তো আপনরা এমন চমৎকার কাজ করছেন। আমার কয়েক বছর আগে আইআইটি মাদ্রাজ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো আর আমি সেই প্রতিষ্ঠানের excellence নিজে অনুভব করেছিলাম। আর এমনিতেও সমগ্র বিশ্ব আইআইটিকে সম্মানের চোখে দেখে। আর সেইখান থেকে পাশ করে বেরোনোর পর যখন কেউ দেশের জন্য কাজ করে তখন নিশ্চিত যে কিছু না কিছু ভালো contribute করবে। আপনাদের সবাইকে এবং Space সেক্টরে কাজ করে, এমন অন্যান্য স্টার্ট আপ গুলির জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো। আর আপনাদের পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগলো। বেশ, অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধুরা।
সুযশ- থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ !
আমার প্রিয় দেশবাসী, এই বছর আমি লাল কেল্লা থেকে পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই এমন এক লাখ যুবক-যুবতীদের পলিটিক্যাল সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমার এই কথায় দারুণ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে কী বিশাল সংখ্যায় আমাদের যুবশক্তি রাজনীতিতে আসার জন্য তৈরি। ওঁদের সঠিক সুযোগ এবং সঠিক পথ প্রদর্শনের প্রয়োজন রয়েছে। এই বিষয়ে আমি সমগ্র দেশের যুবাদের থেকে চিঠিও পেয়েছি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। সকলেই আমায় বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ পাঠিয়েছেন। কয়েকজন যুবা চিঠিতে লিখেছেন যে, এটা ওদের জন্য একেবারে অকল্পনীয়। দাদু বা বাবা-মা কেউই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে না থাকার কারণে ওরা রাজনীতিতে চাইলেও আসতে পারত না। কয়জন যুবা লিখেছেন যে ওদের কাছে তৃণমূল স্তরে অর্থাৎ GRASSROOT LEVEL-এ কাজ করার ভালো অভিজ্ঞতা আছে। এই জন্যে ওরা মানুষের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারবে। কয়েকজন যুবা এটাও লিখেছেন যে পরিবারমুখী রাজনীতি নতুন প্রতিভা বিকশিত হতে দেয় না। কিছু যুবা এটাও বলেছেন যে এই ধরনের প্রচেষ্টার ফলে আমাদের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে। এই বিষয়ে আমায় পরামর্শ পাঠানোর জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আশা করছি যে এখন আমাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টার ফলে এমন যুবা, যাদের কোন পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই তারাও রাজনীতিতে আসতে পারবেন, তাদের অভিজ্ঞতা, সাহস, দেশের প্রয়োজনে লাগবে।
বন্ধুরা, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়েও সমাজের প্রত্যেক ক্ষেত্র থেকে এমন অনেক মানুষ সামনে এসেছিলেন যাদের কোন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল না। তারা নিজেদের ভারতের স্বাধীনতার জন্য সমর্পণ করেছিলেন। আজ আমাদের বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্যে আবার ওই একই স্পিরিটের প্রয়োজন। আমি আমাদের সকল যুবা বন্ধুদের বলব যে আপনারা এই অভিযানের সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত হোন। আপনাদের এই পদক্ষেপ আপনাদের নিজেদের এবং দেশের ভবিষ্যৎ বদলাবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘হর ঘর তিরঙ্গা ও’র পুরা দেশ তিরাঙ্গা‘ এই অভিযান এই বার দারুণ উচ্চতায় পৌঁছেছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চমৎকার সব ছবি সামনে এসেছে। আমরা বাড়িতে তিরঙ্গা উড়তে দেখেছি। স্কুল, কলেজ, ইউনিভারসিটিতে তিরঙ্গা দেখেছি। মানুষ নিজেদের দোকান, অফিসেও তিরঙ্গা উড়িয়েছেন। এমনকি অনেকে নিজেদের ডেস্কটপ, মোবাইল এবং গাড়িতেও এই পতাকা ব্যবহার করেছেন। যখন মানুষ একসঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করেন তখন এভাবেই প্রত্যেক অভিযান তার সর্বোচ্চ শিখর ছুঁয়ে ফেলে। আপনারা এখন নিজেদের টিভি স্ক্রিনে যে ছবি দেখছেন এটা জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসির। এখানে ৭৫০ মিটার লম্বা একটি পতাকা নিয়ে বিশেষ তিরঙ্গা র্যালি বেরিয়েছিল। আর এই র্যালি পৃথিবীর সবথেকে উঁচু চেনাব রেলওয়ে ব্রিজের ওপর বার করা হয়েছিল। যারা এই ছবি দেখেছেন, তারা আনন্দিত হয়েছেন। শ্রীনগরের ডাল লেকেও এমন তিরঙ্গা পদযাত্রার চমৎকার সব ছবি আমরা দেখেছি। অরুণাচল প্রদেশের ইস্ট কামেঙ্গ জেলায় ৬০০ ফুট লম্বা একটি তিরঙ্গার সঙ্গে একটি পদযাত্রা বার করা হয়েছিল। দেশের অন্য রাজ্যেও এমনই, সব বয়সের মানুষ তিরঙ্গা পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতা দিবস এখন এক সামাজিক উৎসবে পরিণত হচ্ছে যা আপনারাও অনুভব করেছেন। সকলের নিজেদের বাড়িও তিরঙ্গা মালা দিয়ে সাজান। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মেয়েরা লক্ষ লক্ষ পতাকা তৈরি করেন। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে তিরঙ্গার ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জিনিসপত্রের বিক্রি বেড়ে যায়। স্বাধীনতা দিবসের সময়ে দেশের প্রত্যেক প্রান্তে, জলে-স্থলে-আকাশে সব জায়গায় আমাদের পতাকার তিনটি রং দেখা যায়। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ ওয়েবসাইটে ৫ কোটির থেকে বেশি সেল্ফি পোস্ট করা হয়েছে। এই অভিযান সম্পূর্ণ দেশকে একটা সুতোয় বেঁধে দিয়েছে আর এটাই হল ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’।
আমার প্রিয় দেশবাসী, মানুষ ও পশুর ভালবাসা নিয়ে আপনারা অনেক সিনেমা দেখেছেন। কিন্তু একটি সত্যি কাহিনী এখন আসামে তৈরি হচ্ছে। আসামের তিনশুকিয়া জেলার একটি ছোট গ্রাম, বারেকুরিতে মোরান সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। আর এখানেই বসতি ‘হুলক গীবন’ যারা ‘হোলো বাঁদর’ নামে পরিচিত। হুলক গীবনরা এই গ্রামেই নিজেদের বসতি গড়ে তুলেছে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এই গ্রামের বাসিন্দাদের হুলোক গিবনদের সঙ্গে এক গভীর সম্পর্ক আছে। গ্রামের মানুষেরা আজও নিজেদের চিরাচরিত ঐতিহ্য পালন করে চলেছেন । তাই তাঁরা সেই সমস্ত কাজ করেন, যার ফলে গীবনদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরো মজবুত হয়। তাঁরা যখন বুঝতে পারে যে গীবনরা কলা খুব পছন্দ করে, তখন তারা কলার চাষ করতে শুরু করে দেন। এছাড়াও তাঁরা স্থির করেন যে গীবনদের জন্ম ও মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত রীতি-নীতিও তারা সেভাবেই পালন করবে, যেভাবে তারা নিজেদের লোকেদের জন্য করে থাকেন । তাঁরা গীবনদের নামকরণও করেছেন। সম্প্রতি গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের জন্য গীবনদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল। তাই গ্রামের মানুষেরা সরকারের কাছে এই সমস্যার কথা রাখেন, আর শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধানও বেরিয়ে আসে। আমায় জানানো হয়েছে যে এখন এই গীবনরা ছবি তোলার জন্য পোজও দেয়।
বন্ধুরা, পশুদের প্রতি প্রেমে আমাদের অরুণাচল প্রদেশের যুবারাও কারোর থেকে পিছিয়ে নেই। জানেন কি, অরুণাচলের কিছু যুবারা 3D printing technology-এর ব্যবহারও শুরু করেছে। কারণ তারা বন্যপ্রাণীদের শিং ও দাঁতের জন্য শিকার হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চান। নাবম বাপু ও লিখা নানার নেতৃত্বে এই দল পশুদের ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গের 3D প্রিন্টিং করেন। পশুদের শিং হোক, দাঁত হোক, এই সবই 3D printing দিয়ে তৈরি করেন। এর থেকে পরে ড্রেস আর টুপির মত জিনিষ তৈরি করা হয়। এটা একটা অদ্ভুত অল্টারনেটিভ যাতে bio-degradable material ব্যবহার করা হয়। এরকম অদ্ভুত সুন্দর প্রচেষ্টার যতই প্রশংসা করা যায় তা কম। আমি তো বলব, এই ক্ষেত্রে অনেক বেশি সংখ্যায় স্টার্টআপ এগিয়ে আসুক, যাতে আমাদের পশুরা রক্ষা পাক আর এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, মধ্য প্রদেশের ঝাবুআ তে এমন দারুণ কিছু হচ্ছে যা আপনাদের অবশ্যই জানানো উচিৎ। ওখানে আমাদের সাফাই-কর্মী ভাই বোনেরা কামাল করেছে। এই ভাই বোনেরা আমাদের ‘Waste to Wealth’-এর বার্তা সত্যেএ পরিণত করে দেখিয়েছে। এই টিমটি ঝাবুয়ার একটি পার্কে আবর্জনা থেকে আশ্চর্য Art works সৃষ্টি করেছে।
নিজেদের এই কাজের জন্য তাঁরা আশপাশের এলাকা থেকে plastic waste, ব্যবহার-করা bottles, tyres আর pipes নিয়ে একত্রিত করে। এই Art works-এর মধ্যে হেলিকপ্টার, গাড়ি, এমন কি কামানও আছে। অপূর্ব সুন্দর হ্যাঙ্গিং flower pots-ও তৈরি করা হয়েছে। এখানে ব্যবহার-করা টায়ার থেকে আরামদায়ক bench বানানো হয়েছে। সাফাই কর্মীদের এই দল reduce, reuse আর recycle-এর মন্ত্রকে বাস্তবায়িত করেছে। ওঁদের প্রচেষ্টায় পার্কটি ভীষণই সুন্দর দেখাচ্ছে। এটি দেখতে স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি, আশপাশের জেলাগুলির থেকেও মানুষ আসছেন।
বন্ধুরা, আমি আনন্দিত যে আজ আমদের দেশে বহু start-up টিম পরিবেশের উন্নতির -সাধনের প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত। e-Conscious নামের একটি টিম আছে, যারা plastic waste-কে eco-friendly products বানাতে ব্যবহার করছে। তারা এই idea-টি আমাদের দেশের বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্র, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে ফেলে রাখা আবর্জনা দেখে পেয়েছে।
এরকমই আরেটি টিম Ecokaari বলে আরেকটি start-up শুরু করেছেন। এঁরা plastic waste থেকে বিভিন্ন সুন্দর-সুন্দর জিনিস বানান।
বন্ধুরা, Toy recycling-ও এমনই একটি ক্ষেত্র, যেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। আমরা জানি বহু বাচ্চা খুব শীঘ্র খেলনা ব্যবহার করে bore হয়ে যায়, আবার এরকম অনেক বাচ্চা আছে যারা ওই খেলনাগুলি পাওয়ার স্বপ্নই লালন করে। যে সমস্ত খেলনা নিয়ে আপনার বাচ্চা আর খেলে না, সেগুলি আপনারা এমন জায়গায় দান করতে পারেন যেখানে সেগুলি ব্যবহৃত হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার এটিও একটি ভাল রাস্তা। আমরা সবাই মিলে প্রচেষ্টা করলে তবেই পরিবেশ আরও মজবুত হবে এবং দেশও এগিয়ে যাবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিন আগে উনিশে আগস্ট আমরা রাখীবন্ধন উৎসব পালন করি। ওই দিনই সারা পৃথিবীতে ‘বিশ্ব সংস্কৃত দিবস-ও’ উদযাপিত হয়। আজও সংস্কৃত ভাষার প্রতি দেশ-বিদেশের বহু মানুষের বিশেষ আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়। পৃথিবীর বহু দেশে সংস্কৃত ভাষা নিয়ে বিভিন্ন প্রকারের research আর প্রয়োগ হচ্ছে।
এর পরের কথাগুলি বলার আগে আমি আপনাদের জন্য একটি ছোট্ট audio clip play করছিঃ
অডিও ক্লিপ
বন্ধুরা, এই audio-টির সম্পর্ক রয়েছে ইউরোপের Lithuania নামের একটি দেশের সঙ্গে। ওখানে Vytis Vidunas নামের একজন প্রফেসর একটি অভিনব প্রয়াস আরম্ভ করেছেন, যার নাম দিয়েছেন – ‘সংস্কৃত : On the Rivers’। কিছু মানুষের একটি গ্রুপ Neris নদীর ধারে একত্রিত হয়ে, বেদ আর গীতার পাঠ করেছেন। সেখানে এরকম প্রয়াস বেশ কিছু বছর ধরেই চলছে। আপনারাও সংস্কৃত ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই ধরণের প্রচেষ্টা গুলিকে সামনে নিয়ে আসুন।
আমার প্রিয় দেশবাসী। আমাদের সকলের জীবনে fitness-এর একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। ফিট থাকার জন্য আমাদের খাওয়া দাওয়া, জীবন যাপনের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। জনগণ কে fitness-এর প্রতি আগ্রহী করার জন্য ‘Fit India’ অভিযান আরম্ভ করা হয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য আজ বয়স বা শ্রেণি নির্বিশেষে যোগাভ্যাসকে আপন করে নিচ্ছে। মানুষ এখন তাদের থালায় সুপারফুড মিলেটস, অর্থাৎ শ্রীঅন্নকে স্থান দিতে শুরু করেছে। এই সমস্ত প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য হল প্রতিটি পরিবার যেন সুস্থ থাকে।
বন্ধুরা, আমাদের পরিবার, আমাদের সমাজ, আমাদের দেশ, এই সবের ভবিষ্যৎ আমাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। আর সন্তানদের ভালো স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন যে তারা সঠিক পুষ্টি পাক। শিশুদের পুষ্টি দেশের প্রধান অগ্রাধিকার। আমরা সাধারণত তাদের পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখি, তবে একটি মাস, আমাদের দেশ এর ওপর বিশেষ নজর দেবে। এজন্য প্রতি বছর ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুষ্টি মাস পালন করা হয়। পুষ্টি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পুষ্টি মেলা, রক্তাল্পতা (anemia) শিবির, নবজাতকদের ঘরে পরিদর্শন, seminar, webinar ইত্যাদি নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অনেক জায়গায় আঙ্গনওয়াড়ির অধীনে Mother and Child Committee গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি গর্ভবতী মহিলাদের, শিশুদের এবং নবজাতকের মায়েদের track করে, তাদের নিয়মিত monitor করা হয়, এবং তাদের পুষ্টির ব্যবস্থা করা হয়।
গত বছর পুষ্টি অভিযানকে নতুন শিক্ষা নীতির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। “পোষন ভী, পঢ়াই ভী” অর্থাৎ পুষ্টিও – শিক্ষাও এই অভিযানের মাধ্যমে বাচ্চাদের সুষম বিকাশের উপর focus করা হয়েছে। আপনিও আপনার অঞ্চলের পুষ্টির প্রতি সচেতনতা অভিযানে অবশ্যই যুক্ত হোন। আপনার একটি ছোট্ট প্রচেষ্টা অপুষ্টির বিরুদ্ধে যে লড়াই তাতে খুব সাহায্য করবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এবারের মত ‘মন কি বাত’ এইটুকুই। ‘মন কি বাত’-এ আপনাদের সঙ্গে কথা বলে আমার সবসময় খুব ভালো লাগে। মনে হয় যেন আমি আমার পরিবারবর্গের সঙ্গে বসে মনোরম পরিবেশে নিজের মনের কথা ভাগ করে নিচ্ছি। আপনাদের মনের সঙ্গে নিজেকে জুড়ে নিচ্ছি। আপনাদের feedback, আপনাদের পরামর্শ আমার জন্য খুবই মূল্যবান। আসন্ন কয়েকদিনে অনেকগুলি উৎসব রয়েছে। সেইজন্য আমি আপনাদের সবাইকে অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি। জন্মাষ্টমীর উৎসবও রয়েছে। পরের মাসের শুরুতেই গণেশ চতুর্থীও রয়েছে। ওনাম উৎসবও কাছেই। মিলাদ-উন-নবীরও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বন্ধুরা, এই মাসে ২৯ তারিখে ‘তেলেগু ভাষা দিবস’ও রয়েছে। এ সত্যিই এক অসাধারণ ভাষা। আমি বিশ্বের সমস্ত তেলেগুভাষীদের ‘তেলেগু ভাষা দিবস’ উপলক্ষে শুভকামনা জানাই।
প্রপঞ্চ ব্যাপ্তঙ্গা উন্ন
তেলেগু ওয়ারিকি,
তেলেগু ভাষা দিনোৎসব শুভাকাঙ্ক্ষলু ।
বন্ধুরা, আমি আপনাদের সবাইকে এই বর্ষাকালে সাবধান থাকার সঙ্গে আবার একবার “Catch the rain movement”-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি। আমি আপনাদের সবাইকে “এক পেড় মা কে নাম” অভিযানের কথাও মনে করিয়ে দিতে চাই। বেশি বেশি করে গাছ লাগান ও অন্যদেরও তা করতে উৎসাহ দিন। আগামী দিনে প্যারিসে Paralympics শুরু হতে চলেছে। আমার দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। ১৪০ কোটি ভারতবাসী নিজেদের athlete ও খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করছেন। আপনিও #cheer4bharat-এর সঙ্গে নিজের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিন। পরের মাসে আবার আমরা যুক্ত হব এবং অনেকগুলি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায় নিচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।
**************
#MannKiBaat has begun. Do tune in! https://t.co/gpUcVMQ9Oz
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
On the 23rd of August, the nation marked the first National Space Day, celebrating the success of Chandrayaan-3.
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
Last year, on this day, Chandrayaan-3 had made a successful landing on the southern part of the moon at the Shiv-Shakti point. #MannKiBaat pic.twitter.com/dLjW47oJc2
During the freedom movement, countless people from all walks of life came forward, even though they had no political background. They devoted themselves entirely to India's independence. Today, to achieve the vision of a Viksit Bharat, we need to rekindle that same spirit once… pic.twitter.com/v06OheZn6c
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
#HarGharTiranga campaign wove the entire country into a thread of togetherness. #MannKiBaat pic.twitter.com/94ztexoMUG
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
The heartwarming connection between Barekuri villagers in Assam and hoolock gibbons... #MannKiBaat pic.twitter.com/uboNep7Pab
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
An innovative approach of 3D printing to protect wildlife in Arunachal Pradesh. #MannKiBaat pic.twitter.com/ewX0T4pSJK
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
A great example of converting 'waste to wealth' from Madhya Pradesh’s Jhabua. #MannKiBaat pic.twitter.com/prVFxP3qWK
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
Toy recycling can protect the environment. #MannKiBaat pic.twitter.com/bmxxvGGQEm
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
Today, there is a growing interest in Sanskrit both in India and globally. #MannKiBaat pic.twitter.com/PHBrDiiVqt
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
Children's nutrition is of topmost priority. While focus on their nutrition is throughout the year, there is one month when the entire country places special emphasis on it. That's why every year, from September 1st to September 30th, we observe 'Poshan Maah'. #MannKiBaat pic.twitter.com/TdaYUA6zd2
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
Youngsters passionate about space will enjoy listening to today’s #MannKiBaat interaction with the young team of @GalaxEye. May more youth associate themselves with the space sector. pic.twitter.com/2y0J79yb04
— Narendra Modi (@narendramodi) August 25, 2024
Several youth from across India have written to me, appreciating the part from my Red Fort speech in which I talked about integrating youngsters without any family background into the world of politics. pic.twitter.com/GK8dDXAH7d
— Narendra Modi (@narendramodi) August 25, 2024
This year again, #HarGharTiranga was a remarkable success, a mass movement that deepened our connect with the Tricolour. #MannKiBaat pic.twitter.com/zjitaBLWAF
— Narendra Modi (@narendramodi) August 25, 2024
These efforts from Assam and Arunachal Pradesh illustrate how our people greatly value sustainable living and care for animals. #MannKiBaat pic.twitter.com/zqCyy78Uqw
— Narendra Modi (@narendramodi) August 25, 2024
Let’s make toy recycling more popular! #MannKiBaat pic.twitter.com/UdkPfY0QZM
— Narendra Modi (@narendramodi) August 25, 2024
मध्य प्रदेश के झाबुआ में हमारे सफाईकर्मी भाई-बहनों के प्रयास से Reduce, Reuse और Recycle के मंत्र को और मजबूती मिल रही है। इन्होंने कचरे से बने अद्भुत Art Works से जिस प्रकार एक पार्क को सजाया है, वो वहां आने वाले लोगों को भी हैरान कर रहा है। pic.twitter.com/q3RNiYMy4a
— Narendra Modi (@narendramodi) August 25, 2024
कुपोषण के खिलाफ लड़ाई हमारी सरकार की प्राथमिकता है। इसी को लेकर हर साल 1 सितम्बर से 30 सितम्बर के बीच पोषण माह मनाया जाता है। मेरा आग्रह है कि आप अपने क्षेत्र में इससे जुड़े जागरूकता अभियान का जरूर हिस्सा बनें। pic.twitter.com/zst2HtdYgr
— Narendra Modi (@narendramodi) August 25, 2024
Today, there is a growing global interest in learning Sanskrit. You will be elated to hear about an effort in Lithuania. #MannKiBaat pic.twitter.com/DYNnzZtBQn
— Narendra Modi (@narendramodi) August 25, 2024