Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘‘মন কি বাত’’, (১১২ তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ


আমার প্রিয় দেশবাসী, মন কি বাতে স্বাগত জানাই আপনাদের, অভিনন্দন জানাই। এই সময়ে, পুরো বিশ্ব প্যারিস অলিম্পিকের মোহে আবিষ্ট। অলিম্পিক আমাদের ক্রীড়াবিদদের বিশ্ব মঞ্চে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সুযোগ দেয়, দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ দেয়। আপনিও নিজের দেশের খেলোয়াড়দের জন্য উৎসাহ বাড়ান, চীয়ার ফর ভারত!

বন্ধুরা, ক্রীড়াজগতের এই অলিম্পিক ছাড়াও কিছুদিন আগে Maths-এর দুনিয়ায় এক অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। International Mathematics Olympiad। এই অলিম্পিয়াডে দেশের ছাত্রছাত্রীরা অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। এতে আমাদের দল অত্যন্ত সর্বশ্রেষ্ঠ প্রদর্শন করে, চারটি স্বর্ণ ও একটি রৌপ্য পদক জিতেছে। International Mathematics Olympiad-এ একশোটিরও বেশি দেশের তরুণ অংশ নেয় এবং সামগ্রিক তালিকার মধ্যে আমাদের দল শীর্ষ পাঁচে আসতে সক্ষম হয়েছে। দেশকে গৌরবান্বিত করা এই ছাত্রছাত্রীদের নাম – পুনে থেকে আদিত্য ভেঙ্কট গণেশ, পুনেরই সিদ্ধার্থ চোপড়া, দিল্লী থেকে অর্জুন গুপ্তা, গ্রেটার নয়ডা থেকে কানভ্‌ তলওয়ার, মুম্বাই থেকে রুশীল মাথুর এবং গুয়াহাটির আনন্দ ভাদুরি।

বন্ধুরা, আজ ‘মন কি বাতে’ আমি বিশেষভাবে এই তরুণ বিজয়ীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এঁরা এখন আমাদের সঙ্গে ফোনে যুক্ত।

প্রধানমন্ত্রীঃ নমস্কার বন্ধুরা। ‘মন কি বাতে’ তোমাদের অনেক অনেক স্বাগত জানাই। কেমন আছো তোমরা?

শিক্ষার্থীরাঃ আমরা ঠিক আছি স্যার।

প্রধানমন্ত্রীঃ বন্ধুরা, মন কি বাতের মাধ্যমে দেশবাসী তোমাদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে খুব আগ্রহী। আমি আদিত্য আর সিদ্ধার্থকে দিয়ে শুরু করব। তোমরা পুনেতে আছো, প্রথমে আমি তোমাদের দিয়ে শুরু করছি। অলিম্পিয়াডের সময় তোমরা যা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছ, তা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করো।

আদিত্যঃ Maths-এ আমার ছোট থেকে আগ্রহ। ক্লাস সিক্সে এম. প্রকাশ স্যার, আমার Maths-এর শিক্ষক, আমাকে শিখিয়েছিলেন এবং তিনি Maths-এর প্রতি আমার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছিলেন। আমি শিখেছিলাম এবং যথেষ্ট সুযোগও পেয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রীঃ তোমার সঙ্গীর বক্তব্য কী?

সিদ্ধার্থঃ স্যার, আমি সিদ্ধার্থ, পুণে থেকে। আমি দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করেছি। আই. এম. ও-তে এটি আমার দ্বিতীয়বার, Maths-এ আমারও ছোট থেকে আগ্রহ। আর আদিত্যর সঙ্গে, আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি, তখন এম. প্রকাশ স্যার আমাদের দু’জনকেই প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। আর সেটা অনেক সাহায্য করে আমাকে। আমি কলেজের জন্য এখন সি. এম. আই-তে যাচ্ছি এবং Maths ও সি. এস. পড়ছি।

প্রধানমন্ত্রীঃ আচ্ছা, আমি শুনলাম যে, অর্জুন বর্তমানে গান্ধীনগরে রয়েছে এবং কানভ্‌ তো গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা। অর্জুন এবং কানভ্‌, আমরা অলিম্পিয়াড নিয়ে আলোচনা করেছি কিন্তু তোমরা দু’জনে প্রস্তুতি সম্পর্কিত কোনও বিষয়, কোনও অভিজ্ঞাতা যদি আমাদের জানাও তবে আমাদের শ্রোতাদের ভালো লাগবে।

অর্জুনঃ নমস্কার স্যার, জয় হিন্দ। আমি অর্জুন বলছি।

প্রধানমন্ত্রীঃ জয় হিন্দ অর্জুন।

অর্জুনঃ আমি দিল্লিতে থাকি। আমার মা শ্রীমতী আশা গুপ্তা, দিল্লি University-র ফিজিক্সের প্রফেসার। আমার বাবা শ্রী অমিত গুপ্তা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি এই ভেবে আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিত বোধ করছি। সবার প্রথমে আমার সাফল্যের কৃতিত্ব আমি আমার বাবা-মাকে দিতে চাই। আমার মনে হয় যখন একটি পরিবারের কোন সদস্য এমন একটি প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নেয় তখন তা কেবল সেই সদস্যের লড়াই থাকে না, সমগ্র পরিবারের লড়াই হয়ে ওঠে। আমাদের যে প্রশ্নপত্র হয় তাতে আমাদের কাছে তিনটি প্রবলেম সলভ করার জন্য মোট সাড়ে চার ঘন্টা থাকে, অর্থাৎ প্রতিটি প্রবলেম এর জন্য দেড় ঘন্টা। তাহলে আমরা বুঝতে পারছি যে একটা প্রবলেম সলভ করার জন্য আমাদের কাছে কতটুকু সময় থাকে। আমাদের বাড়িতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়, প্রবেলেমের সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাতে হয়। কখনো কখনো তো একটা প্রবলেমের সঙ্গে একদিন, এমনকি তিনদিন পর্যন্ত লেগে যায়। এর জন্য আমাদের অনলাইন প্রবলেমস খুঁজতে হয়। আমরা গত বছরের প্রবলেমগুলো ট্রাই করি। আর এভাবেই ধীরে ধীরে পরিশ্রম করতে করতে ক্রমশ আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের প্রবলেম সলভিং এবিলিটি বাড়ে, যা শুধু Mathametic-সের ক্ষেত্রে নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাহায্য করে।

প্রধানমন্ত্রীঃ আচ্ছা, আমাকে কনভ্‌ বলতে পারো কোন একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা, এই সমগ্র প্রস্তুতি পর্বের কোন একটি বিশেষ বিষয় যা আমাদের তরুণ বন্ধুদের জেনে খুব ভালো লাগবে?

কনভ্‌ তলওয়ারঃ আমার নাম কনভ্‌ তলওয়ার। আমি গ্রেটার নয়ডা, উত্তরপ্রদেশে থাকি। আমি একাদশ শ্রেণির ছাত্র। Maths আমার প্রিয় Subject। ছোটবেলা থেকেই Maths আমার খুব ভালো লাগে। ছোটবেলায় আমার বাবা আমাকে পাজল (puzzle) করাতেন, যা থেকে আমার আগ্রহ বাড়ে। আমি সপ্তম শ্রেণী থেকে অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। এতে আমার বোনেরও বিরাট অবদান আছে। আর আমার বাবা-মাও সব সময় আমাকে সাপোর্ট করেছেন। এই অলিম্পিয়াড HBCSE কন্ডাক্ট করে। আর এটা একটা ফাইভ স্টেজ প্রসেস। গত বছর আমি খুব কাছাকাছি ছিলাম কিন্তু দলে সুযোগ পাইনি। সুযোগ না পাওয়ায় খুব দুঃখ হয়েছিল। তখন আমার বাবা-মা আমাকে শিখিয়েছিলেন যে আমরা হয় জয়ী হই অথবা শিখি, এবং জীবনে সফরটাই আসল অর্থবাহী, সাফল্য নয়। তাই আমি এটাই বলতে চাইবো – ‘Love what you do and do what you love’। সফর বা যাত্রাটাই আসল, সাফল্য নয়। আর যদি আমাদের নিজেদের বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা থাকে, এবং আমাদের যাত্রাটা আমরা উপভোগ করতে পারি, তাহলে সাফল্য আসবেই।

প্রধানমন্ত্রীঃ তাহলে Kanav তোমার তো দেখছি mathematics-এও interest রয়েছে আর যেভাবে কথা বল তাতে মনে হয় সাহিত্যেও আগ্রহ রয়েছে।

কনভ্‌ তলওয়ারঃ হ্যাঁ স্যার। আমি ছোটবেলায় debate এবং Orating-ও করতাম।

প্রধানমন্ত্রীঃ আচ্ছা আসুন তাহলে আমরা এবার আনন্দর সঙ্গে কথা বলি। আনন্দ তুমি এখন গৌহাটিতে আছেন, আর তোমার সঙ্গী  রুশীল এখন মুম্বাইয়ে। তোমাদের দু’জনের কাছে আমার একটা Question আছে। দেখ আমি ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র মতো অনুষ্ঠান তো করেই থাকি, আর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ ছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠানে student-দের সাথে কথা বলে থাকি। বহু ছাত্র-ছাত্রী maths-এ এতো ভয় পায় যে Maths-এর নাম শুনলেই ঘাবড়ে যায়। তুমি বলো, Maths-এর সঙ্গে কি করে বন্ধুত্ব করা যায়?

রুশীল মাথুরঃ স্যার, আমি রুশীল মাথুর। ছোটবেলায় আমরা যখন প্রথমবার addition শিখি, আমাদের carry forward করা শেখানো হয়; কিন্তু carry forward হয় কেন সেটা আমাদের কখনো বোঝানো হয় না। যখন আমরা compound interest-এর বিষয়ে জানি, তখন আমরা কখনো এই question-টা করিনা যে এই compound interest-এর formula-টা এলো কোথা থেকে? আমার বিশ্বাস maths, actually একটা চিন্তাধারা এবং problem solving-এর‌ প্রক্রিয়া। আর এজন্য আমার মনে হয় যদি আমরা সবাই mathematics-এ একটা নতুন question জুড়ে দিই, যেমন question-টা হতে পারে- ‘আমরা এটা কেন করছি? এইটা এমন কেন হচ্ছে?’ তাহলে I think মানুষের maths-এ interest অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে! কারণ আমরা যখনই কোন বিষয় বুঝতে পারিনা, সেটায় আমরা ভয় পেতে শুরু করি। তাছাড়া আমার এটাও মনে হয় যে সবাই মনে করে maths ভীষণ logical একটা subject! কিন্তু তা ছাড়াও maths-এ প্রচুর creativity-ও Important! কারণ creativity থেকেই আমরা out of the box solutions খুঁজে পাই, যেটা Olympiad-এ খুব useful হয়; আর সে কারণেই Maths Olympiad-এরো একটা ভীষণ Important relevance রয়েছে, Maths-এ interest বাড়ানোর জন্যে।

প্রধানমন্ত্রীঃ আনন্দ কিছু বলতে চাও?

আনন্দ ভাদুরীঃ নমস্কার প্রধানমন্ত্রী জি, আমি আনন্দ ভাদুড়ি, গোয়াহাটি থেকে কথা বলছি। আমি কিছুদিন আগেই দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা পাশ করেছি। আমি এখানকার লোকাল অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতাম ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীতে। সেখান থেকেই আমার আগ্রহ তৈরি হয়। এইটা আমার দ্বিতীয় আই.এম.ও. ছিল। আমার দুটো আই.এম.ও-ই খুব ভালো লেগেছে। রুশীল যা বলল আমি তার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমি এটাও বলতে চাই যে যারা Maths কে ভয় পান, তাদের একটু ধৈর্য-এর প্রয়োজন। আমাদের Maths এমন ভাবে শেখানো হয়, যেখানে একটাই ফর্মুলা মুখস্ত করিয়ে, তার ওপরই ১০০ টার মতো অঙ্ক কষে যেতে হয়। এইটা দেখা হয়না যে ফর্মুলাটা সে ঠিকমত বুঝতে পেরেছে কিনা। শুধু অঙ্ক কষতে থাকো কষতে থাকো। ফর্মুলা নাহয় মুখস্ত করলাম, যদি পরীক্ষায় গিয়ে কেউ ফর্মুলাটাই ভুলে যায় তখন কি হবে? এই কারণেই আমি বলবো ফর্মুলাটা বোঝো, যেটা রুশীল বলল, তার পর ধৈর্য সহকারে দেখ। ফর্মুলাটা ঠিকমতো বুঝে গেলে আর একশোটা Maths করতে হবে না, তখন একটা দু’টো প্রশ্নতেই হয়ে যাবে, আর Maths-কে ভয় পেতে হবে না।

প্রধানমন্ত্রীঃ আদিত্য এবং সিদ্ধার্থ, শুরুতে তোমরা যখন কথা বলছিলে তখন ভালো করে তোমাদের সাথে কথা বলা হয়নি। এখন এদের সবার কথা শোনার পর তোমাদেরও নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে তোমরা আরো কিছু বলতে চাও। তোমাদের যা অভিজ্ঞতা, সেটা তোমরা আরো একটু বিশদে আমাদের সাথে Share করবে ?

সিদ্ধার্থঃ বিভিন্ন দেশ থেকে স্টুডেন্টরা এসেছিল। তাদের সাথে ইন্টারেক্ট করা, তাদের সাথে তাদের কালচার সম্পর্কে জানা, এই আদান-প্রদানের বিষয়টা খুব ভালো লেগেছিল এবং অনেক বিখ্যাত ম্যাথমেটিসিয়ানরাও এসেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীঃ হ্যাঁ আদিত্য ।

আদিত্যঃ খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদেরকে বাথ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সমস্ত কিছু সুন্দরভাবে ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছিল। নানারকম সুন্দর জায়গা, নানা রকম পার্ক এমনকি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়তেও আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীঃ ঠিক আছে বন্ধুরা তোমাদের সকলের সাথে কথা বলে আমার খুব ভালো লাগলো। আমি তোমাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।

কারণ আমি জানি যে এই ধরনের খেলার জন্য একজনকে প্রচুর focus activity করতে হয়, মস্তিষ্কের ব্যবহার করতে হয় এবং এর ফলে কখনও কখনও পরিবারের সদস্যরাও বিরক্ত হয়ে যান- ভাবেন এটা কি গুন ভাগ, গুন ভাগ করছে। কিন্তু আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তোমরা দেশের সম্মান বাড়িয়েছ, দেশের নাম উজ্জ্বল করেছ। ধন্যবাদ বন্ধুরা।

ছাত্ররাঃ Thank you, ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রীঃ  ধন্যবাদ,

ছাত্ররাঃ  ধন্যবাদ স্যার, জয় হিন্দ

প্রধানমন্ত্রীঃ  জয় হিন্দ, জয় হিন্দ।

 

তোমাদের মত ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত হয়েছি। মন কি বাতে যোগদান করার জন্য তোমাদের প্রত্যেককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি নিশ্চিত যে Maths-এর এই তরুণ বিশেষজ্ঞদের কথা শোনার পর অন্য যুবদেরও Maths-এর প্রতি আগ্রহ জন্মাবে, তারা অনুপ্রাণিত হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, মান কি বাতে এখন আমি এমন একটি বিষয় শেয়ার করতে চাই যা প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করবে। কিন্তু এটি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে চাই। আপনারা চড়াইদেউ ময়দামের নাম শুনেছেন? যদি না শুনে থাকেন তাহলে এখন বারবার শুনবেন, আর খুব উৎসাহের সঙ্গে অন্যদেরও জানাবেন। অসমের চড়াইদেউ ময়দামকে, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় এটি ভারত ৪৩-তম হলেও উত্তর পূর্বের এটি প্রথম সাইট হবে।

বন্ধুরা, এই প্রশ্নটি নিশ্চয়ই আপনার মনে আসছে যে চড়াইদেউ ময়দাম কী এবং এর বৈশিষ্টই বা কি? চড়াইদেউ-এর অর্থ হলো shining city on the hills, মানে, পাহাড়ের ওপর উজ্জ্বল শহর।

এটিই ছিল অহোম রাজবংশের প্রথম রাজধানী। অহোম রাজবংশের লোক পরম্পরাগত ভাবে তাঁদের পূর্বপুরুষদের মৃতদেহ এবং তাঁদের মূল্যবান জিনিসপত্র Maidam-এ রাখতেন। Maidam হল টিলার আকৃতির একটি কাঠামো, যা উপরে মাটি দিয়ে আবৃত এবং নীচে এক বা একাধিক ঘর রয়েছে। এই Maidam অহোম সাম্রাজ্যের মৃত রাজা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক। এটি আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি সম্মান দেখানোর একটি অত্যন্ত অনন্য উপায়। এই স্থানে সামুদায়িক পূজাও হতো।

বন্ধুরা, অহোম সাম্রাজ্য সম্পর্কে অন্যান্য তথ্যও আপনাকে আরও অবাক করবে। এই সাম্রাজ্য ১৩ শতক থেকে শুরু করে ১৯ শতকের শুরু পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এত দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি সাম্রাজ্য স্থায়ী হওয়া একটি মহান বিষয়। সম্ভবত অহোম সাম্রাজ্যের নীতি ও বিশ্বাস এত শক্তিশালী ছিল যে, এই রাজবংশটি এতদিন ধরে রাজত্ব কায়েম রেখেছিল। আমার মনে আছে, এই বছরের ৯ই মার্চ, অদম্য সাহস এবং বীরত্বের প্রতীক, মহান অহোম যোদ্ধা লসিত বোরফুকনের সবচেয়ে উঁচু মূর্তিটি উন্মোচন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এই কর্মসূচি চলাকালীন, আমি অহোম সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক পরম্পরাগত ঐতিহ্য পালন করতে পেরে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। লসিত Maidam-এ অহোম সম্প্রদায়ের উৎসবে পূর্বপুরুষদের সম্মান জ্ঞাপনের সুযোগ পাওয়া, এ আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এখন Charaideu Maidam ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হওয়ার অর্থ এখানে আরও বেশি পরিমাণ পর্যটক আসবে। আপনিও এই সাইটটিকে আপনার ভবিষ্যত travel plans-এ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করবেন।

বন্ধুরা, নিজেদের সংস্কৃতির ওপর গর্বিত হয়েই কোন দেশ এগিয়ে যেতে পারে। ভারতেও এই ধরনের অনেকগুলি প্রয়াস শুরু হয়েছে। এইরকমই একটি প্রয়াস – project Pari। এখন আপনি Pari শুনে confused হয়ে যাবেন না। এই Pari স্বর্গের কল্পনার সঙ্গে জড়িত নয় বরং পৃথিবীকেই স্বর্গের রূপ দেবে এই প্রোজেক্ট। PARI অর্থাৎ Public Art of India। Project Pari, public art গুলিকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য উদীয়মান শিল্পীদের এক মঞ্চে নিয়ে আসার একটি বৃহত্তম মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠছে। আপনি নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, রাস্তার ধারে, দেওয়ালে, underpass-এ খুবই সুন্দর paintings করা থাকে। এই paintings, এই ভাস্কর্য এই শিল্পীরাই নির্মাণ করেন যাঁরা সরাসরি এই pari project এর সঙ্গে যুক্ত। এতে আমাদের যেমন সার্বজনীন স্থানগুলির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়, তেমনি আমাদের culture কে আরও popular করতেও সাহায্য করে৷ যেমন উদাহরণ স্বরূপ দিল্লির ভারত মন্ডপম। এখানে আপনি সারা দেশের আশ্চর্যজনক art work দেখতে পাবেন। আপনি দিল্লির কিছু আন্ডারপাস এবং ফ্লাইওভারে এই রকম সুন্দর পাবলিক আর্ট দেখতে পাবেন। আমি শিল্প ও সংস্কৃতি উৎসাহীদের public art নিয়ে আরও কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। এটা সবসময় আমাদের শিকড় নিয়ে গর্ব করার সুখানুভূতি দেবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’-এ এখন কথা হবে ‘রঙের’ – এমন রং, যিনি হরিয়ানার রোহতক জেলার আড়াইশোরও বেশি মহিলার জীবনে সমৃদ্ধির রং ভরে দিয়েছেন। হস্ত শিল্পের সঙ্গে জড়িত মহিলারা ছোট ছোট দোকান চালিয়ে এবং ছোট ছোট কাজ করে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে সবার মনে আরও এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা তো থাকেই। তাই এঁরা সবাই ‘UNNATI সেলফ হেল্প গ্রুপে’-র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়েই তাঁরা ব্লক প্রিন্টিং এবং ডায়িং এর ট্রেনিং নেন। পোশাকে রং-এর যাদু ছড়াতে ছড়াতে আজ এই নারীরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। তাঁদের তৈরি বেড কভার, শাড়ি এবং ওড়নার বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

বন্ধুরা, Rohtak এর এই নারীদের মত দেশের আলাদা আলাদা অংশের কারিগরেরা হ্যান্ডলুমকে জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী। তা সে উড়িষ্যার সম্বলপুরী শাড়ী হোক, মধ্যপ্রদেশের মাহেশ্বরী শাড়ী হোক, মহারাষ্ট্রের পৈঠানি বা বিদর্ভ এর হ্যান্ড ব্লক প্রিন্ট হোক, হিমাচল প্রদেশের ভুট্টিকোর শাল আর উলের পোশাক হোক, বা জম্মু কাশ্মীরের কনি শাল হোক। দেশের প্রত্যেকটি কোণে হ্যান্ডলুম-এর কারিগরদের কাজ ছেয়ে আছে। আর আপনারা এটাতো জানবেনই, কিছুদিন পরে ৭ই আগস্ট আমরা “ন্যাশনাল হ্যান্ডলুম ডে’’ পালন করব। আজকাল যেভাবে হ্যান্ডলুম-এর উৎপাদন মানুষের মনে নিজের জায়গা বানিয়েছে, তা সত্যিই অত্যন্ত সফল, অসাধারণ ব্যাপার। এখন তো অনেক ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কোম্পানি AI-এর মাধ্যমে হ্যান্ডলুম উৎপাদন ও সাসটেইনেবল ফ্যাশনকে উৎসাহ প্রদান করছে। কোষা AI, Handloom India, D-Junk, Novatax, Brahmaputra Fables –  এরকম অনেক স্টার্টআপ হ্যান্ডলুম প্রোডাক্টকে জনপ্রিয় করতে সচেষ্ট। আমার এটা দেখে ভালো লাগছে অনেক মানুষ তাদের নিজেদের অঞ্চলের, লোকাল প্রোডাক্টকে পপুলার বানাতে সচেষ্ট। আপনারাও আপনাদের লোকাল প্রোডাক্টকে “হ্যাশট্যাগ my product my pride” নামে সোশ্যাল মিডিয়া এ আপলোড করুন। আপনাদের এই ছোট্ট প্রয়াস, অনেক মানুষের জীবন পাল্টে দেবে।

বন্ধুরা, হ্যান্ডলুম এর সঙ্গে আমি খাদির কথাও বলতে চাই। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা আগে খাদির সামগ্রী ব্যবহার করেননি, কিন্তু আজ সগর্বে খাদি পরে থাকেন। এটা বলতেও আমার আনন্দ হচ্ছে যে প্রথমবার খাদি গ্রামোদ্যোগ-এর ব্যবসা দেড় লক্ষ কোটি টাকা পার করে গেছে। ভাবুন, দেড় লক্ষ কোটি!! আপনারা কি জানেন খাদির বিক্রি কতো বেড়েছে? ৪০০ শতাংশ। খাদি, হ্যান্ডলুম-এর এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা, বড় মাত্রায় উপার্জনের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করছে। এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সবথেকে বেশি মহিলারা যুক্ত, তাই সবথেকে বেশি লাভ তাদেরই হচ্ছে। আমার আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ আছে, আপনাদের কাছে তো বিভিন্ন ধরনের কাপড় আছে, আর আপনারা এখনো যদি খাদির কাপড় না কিনে থাকেন, তাহলে এই বছর থেকে শুরু করুন। আগস্ট মাস এসে গেছে, এটা স্বাধীনতা অর্জনের মাস, বিপ্লবের মাস। এর থেকে ভালো সময় আর কি হবে খাদি কেনার জন্য!!

আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাতে’ আমি প্রায়শই ড্রাগস-এর চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে আলোচনা করেছি। প্রত্যেক পরিবারের চিন্তা লেগে থাকে যে তাদের সন্তান যেন ড্রাগস-এর খপ্পরে না পড়ে। এখন এরকম মানুষদের সাহায্যের জন্য সরকার একটি বিশেষ কেন্দ্র খুলেছে, যার নাম ‘মানস’। ড্রাগস-এর বিরুদ্ধে এটা একটা বড় পদক্ষেপ। কিছুদিন আগেই মানস-এর হেল্পলাইন আর পোর্টাল launch করা হয়েছে। সরকার থেকে একটি টোল ফ্রী নম্বর ‘১৯৩৩’ শুরু করা হয়েছে। এতে কল করে যে কোনো জরুরী পরামর্শ নেওয়া যাবে, অথবা রিহ্যাবিলিটেশন-এর সঙ্গে যুক্ত তথ্যও পাওয়া যাবে। যদি কারো কাছে ড্রাগস সম্বন্ধীয় কোনো অন্য তথ্য থাকে তো তারা এই নম্বরে কল করে ‘Narcotics Control Bureau’-এর সঙ্গে কথা বলতে পারে। ‘মানস’ এর সঙ্গে আলোচনা করা প্রত্যেকটি কথা গোপনীয় রাখা হয়। ভারতকে ড্রাগস ফ্রী বানাতে উদ্যোগী প্রত্যেকটি মানুষকে, প্রত্যেকটি পরিবারকে, সমস্ত সংস্থাকে আমার অনুরোধ যে মানস হেল্পলাইন এর সম্পূর্ণ ব্যবহার করুন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামীকাল বিশ্বজুড়ে Tiger Day বা ব্যাঘ্র দিবস রূপে পালন করা হবে।  ভারতে Tigers বা বাঘ আমাদের সংস্কৃতির এক অভিন্ন অংশ। আমরা সবাই বাঘ সম্পর্কিত নানান কাহিনী শুনে বড় হয়েছি। জঙ্গলের আশেপাশে অবস্থিত গ্রামের সবার জানা ছিল বাঘের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিভাবে বাস করতে হবে। আমাদের দেশে এইরকম প্রচুর গ্রাম রয়েছে যেখানে মানুষ ও বাঘ একত্রে বাস করেও কখনো কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। কিন্তু যেখানে এই সমস্যা তৈরি হয়, সেখানেও বাঘেদের সংরক্ষণের জন্য অভূতপূর্ব প্রয়াস চলছে। জনসচেতনতার এমনই এক প্রচেষ্টার নাম “Kulhari Band পঞ্চায়েত”। রাজস্থানের রণথম্বরে শুরু হওয়া “Kulhari Band পঞ্চায়েত” অভিযান খুব আকর্ষণীয়। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সবাই নিজেরাই শপথ গ্রহণ করল যে জঙ্গলে তারা কুড়ুল নিয়ে যাবেন না ও গাছ কাটবেন না। এই একটি সিদ্ধান্তের ফলে এখানকার জঙ্গল আরও একবার সবুজ হয়ে উঠছে, এবং বাঘেদের জন্য উত্তম পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।

বন্ধুরা, মহারাষ্ট্রের Tadoba-Andhari Tiger Reserve বাঘেদের বাসস্থানের মধ্যে অন্যতম। সেখানকার স্থানীয় সম্প্রদায়, বিশেষত: গোন্ড ও মানা জনজাতির আমাদের ভাই-বোনেরা Eco-tourism-এর দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছেন। তারা জঙ্গলের ওপর নিজেদের নির্ভরতা কমিয়েছেন যাতে বাঘেদের গতিবিধির বাড়বাড়ন্ত ঘটে। আপনাদের অন্ধ্রপ্রদেশের নল্লামলাই পাহাড়ে অবস্থিত চেন্চু জনজাতির মানুষজনের প্রচেষ্টাও অবাক করে দেবে। তারা Tiger trackers রূপে জঙ্গলের বন্যপ্রাণীর movement-এর তথ্য জমা করেছেন। তারই সঙ্গে, তারা এলাকায় অবৈধ গতিবিধির উপরেও নজরদারি রাখেন। এরই মতন উত্তরপ্রদেশের পিলিভিতে চলাকালীন “বাঘ মিত্র কর্মসূচী”ও ভীষণ চর্চিত। এই কর্মসূচীর অন্তর্গত স্থানীয় বাসিন্দাদের “বাঘ মিত্র” রূপে কাজ করার training দেওয়া হয়। এই বাঘ মিত্রেরা খেয়াল রাখেন মানুষ ও বাঘেদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি না সৃষ্টি হয়। দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের অনেক প্রচেষ্টা চলছে। এখানে আমি কয়েকটি প্রচেষ্টা সম্পর্কে আলোচনা করলাম কিন্তু আমি আনন্দিত যে জনগণের যোগদানের ফলে বাঘেদের সংরক্ষণে খুবই কাজে দিয়েছে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্যই ভারতে বাঘেদের সংখ্যা প্রতিবছর বেড়ে চলেছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন ও গর্ববোধ করবেন যে বিশ্বে যত সংখ্যক বাঘ রয়েছে তার সত্তর শতাংশ বাঘ আমাদের দেশে রয়েছে। ভাবুন! সত্তর শতাংশ বাঘ! সেই জন্যই আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রান্তে অনেক Tiger Sanctuary রয়েছে।

বন্ধুরা, বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণও খুব তাড়াতাড়ি বাড়ছে। এখানেও সামগ্রিক প্রচেষ্টার ফলে বড় সাফল্য দেখা যাচ্ছে। গত ‘মন কি বাত অনুষ্ঠানে’ আমি আপনাদের সঙ্গে ‘এক পেড় মা কে নাম’ এই কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি খুবই আনন্দিত যে দেশের বিভিন্ন অংশে অনেক মানুষ এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এই কিছুদিন আগে স্বচ্ছতা অভিযানের জন্য বিখ্যাত ইন্দোরে একটি চমৎকার অনুষ্ঠান হয়েছে। এখানে ‘এক পেড় মাকে নাম’ এই কর্মসূচির সময়ে একদিনে দু’লাখের থেকে বেশি গাছ লাগানো হয়েছে। নিজের মায়ের নামে গাছ লাগানোর এই অভিযানে আপনারাও যুক্ত হোন এবং তার সেলফি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করুন। এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হলে আপনাদের নিজের মা এবং ধরিত্রী মা দু’জনের জন্যই কিছু বিশেষ করতে পারার অনুভূতি হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, ১৫ই আগস্ট আর বেশি দিন বাকি নেই। আর এখন ১৫ ই আগস্ট এর সঙ্গে অন্য আরেকটি কর্মসূচিও যুক্ত হয়েছে ‘হর ঘর তিরাঙ্গা’ অভিযান। গত কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে  সারা দেশে ‘হর ঘর তিরাঙ্গা’ অভিযানের জন্য সকলের উদ্দীপনা যথেষ্ট বেশি থাকে। দরিদ্র হোক বা ধনী হোক, ছোট ঘর হোক, বড় ঘর হোক প্রত্যেকেই  পতাকা উড়িয়ে গর্ব অনুভব করেন। পতাকার সঙ্গে সেলফি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার ক্রেজও দেখা যায়। আপনারা লক্ষ্য করেছেন হয়তো যখন কলোনি বা সোসাইটির এক একটি ঘরে পতাকা ওড়ে তখন দেখতে দেখতে দ্বিতীয় বাড়িটাতেও পতাকা দেখা যায়। অর্থাৎ ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান আমাদের পতাকার প্রতি গর্ববোধ করার একটা ইউনিক festival হয়ে উঠেছে। এই বিষয়টা নিয়ে তো এখন নানা ধরণের ইনোভেশনও হচ্ছে। ১৫ ই আগস্ট আসতে আসতে বাড়িতে, অফিসে, গাড়িতে, পতাকা লাগানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট দেখা যাচ্ছে। কিছু মানুষ তো পতাকা নিজেদের বন্ধু, প্রতিবেশীদের উপহার দেন। পতাকা নিয়ে এমন উল্লাস, উৎসাহ, উদ্দীপনা আমাদের একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখে।

বন্ধুরা, আগের মত এই বছরেও আপনারা ‘হর ঘর তিরঙ্গা ডট কম’ এই ওয়েবসাইটে পতাকার সঙ্গে নিজেদের সেলফি অবশ্যই আপলোড করুন আর আমি আপনাদের আরেকটা কথাও মনে করিয়ে দিতে চাই। প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট এর আগে আপনারা আমায় আপনাদের অনেক পরামর্শ পাঠান। এই বছরেও আপনারা আমায় নিজেদের পরামর্শ অবশ্যই পাঠান। আপনারা মাই গভ অথবা নমো অ্যাপেও নিজেদের পরামর্শ পাঠাতে পারেন। আমি ১৫ই আগস্টে নিজের বক্তৃতায় আপনাদের পাঠানো পরামর্শের বেশিরভাগটাই কভার করার চেষ্টা করব।

আমার প্রিয় দেশবাসী, মন কি বাতএর এই এপিসোডে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে খুব ভালো লাগলো। পরেরবার আবার দেখা হবে, দেশের নতুন উপলব্ধির সঙ্গে, জনঅংশীদারিত্বের নতুন প্রচেষ্টার সঙ্গে। আপনারা মন কি বাতের জন্য আপনাদের পরামর্শ অবশ্যই পাঠাতে থাকুন। আগামী সময়ে আরো অনেক উৎসব আসতে চলেছে। আপনাদের সকল উৎসবের অনেক শুভকামনা রইল। আপনারা আপনাদের পরিবারের সঙ্গে একজোট হয়ে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করুন। দেশের জন্য কিছু না কিছু নতুন করার শক্তি বজায় রাখুন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।