আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। এটা ২০২৪-এর প্রথম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান। অমৃতকালে এক নতুন উদ্দীপনা, নতুন তরঙ্গ। দু’দিন আগে আমরা সব দেশবাসী সাড়ম্বরে পঁচাত্তরতম সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করলাম। এ বছর আমাদের সংবিধানেরও পঁচাত্তর বছর হচ্ছে আর সুপ্রীম কোর্টেরও পঁচাত্তর বছর পূর্তি হচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্রের এই পর্ব গণতন্ত্রের জননী হিসাবে ভারতকে আরও শক্তিশালী করে। ভারতের সংবিধান এত সুগভীর পর্যালোচনার পরে তৈরি হয়েছে যে তাকে জীবন্ত দলিল বলা হয়। এই সংবিধানের মূল সংস্করণের তৃতীয় অধ্যায়ে ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারসমূহের বর্ণনা করা হয়েছে আর এটা খুব আকর্ষণীয় বিষয় যে তৃতীয় অধ্যায়ের শুরুতে আমাদের সংবিধান প্রণেতারা ভগবান রাম, মা সীতা এবং লক্ষণজীর ছবি রেখেছেন। প্রভু রামের শাসন আমাদের সংবিধান প্রণেতাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস ছিল আর এই কারণে ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যায় আমি ‘দেব থেকে দেশ’-এর কথা বলেছিলাম, ‘রাম থেকে রাষ্ট্রের কথা’ আলোচনা করেছিলাম।
বন্ধুরা, অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান দেশের কোটি-কোটি মানুষকে যেন এক সূত্রে গেঁথেছে। সবার ভাবনা এক, ভক্তি এক, সবার কথায় রাম, সবার হৃদয়ে রাম। দেশের অনেক মানুষ এই সময় রামের ভজন গেয়ে রামের চরণে সমর্পণ করেছেন। ২২শে জানুয়ারির সন্ধ্যায় গোটা দেশ রামজ্যোতি প্রজ্জ্বলিত করেছে, দীপাবলী উদযাপন করেছে। এই সময় দেশ ঐক্যের শক্তি দেখেছে, যা বিকশিত ভারত সম্পর্কে আমাদের সংকল্পের একটা খুব বড় ভিত্তি। আমি দেশের মানুষের কাছে অনুরোধ রেখেছিলাম যে মকর সংক্রান্তি থেকে ২২শে জানুয়ারি অবধি স্বচ্ছতার অভিযান চালানো হোক। আমার ভালো লেগেছে যে লক্ষ-লক্ষ মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে নিজেদের এলাকার ধর্মীয় স্থান পরিষ্কার করেছে। কত মানুষ এ সম্পর্কিত ছবি পাঠিয়েছেন আমাকে, ভিডিও পাঠিয়েছেন – এই চিন্তা যেন রুদ্ধ না হয়, এই অভিযান না থামে। ঐক্যের এটাই শক্তি, আমাদের দেশের সাফল্যকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এবার ২৬ শে জানুয়ারির প্যারেড অত্যন্ত চমৎকার ছিল, তবে সর্বাধিক চর্চা হয়েছে প্যারেডে নারীশক্তিকে দেখে। যখন কর্তব্যপথে “কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বল” ও দিল্লী পুলিশের মহিলা বাহিনী কুচকাওয়াজ শুরু করলেন তখন সকলের মন গর্বে ভরে উঠলো। মহিলা ব্যান্ডের মার্চ দেখে তাদের দুর্দান্ত তাল মিল দেখে দেশ-বিদেশের মানুষও সেই ছন্দে দুলে উঠছিলেন। এবারের প্যারেডে মার্চ করা কুড়িটি বাহিনীর মধ্যে ১১ টি বাহিনী নারীদেরই ছিল। আমরা দেখেছি, যে ট্যাবলো গুলো বেরিয়েছিল তাতেও মহিলা শিল্পীরাই ছিলেন। যে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে তাতেও প্রায় দেড় হাজার মেয়ে অংশ নিয়েছেন। অনেক মহিলা শিল্পী শঙ্খ, নাদস্বরম, নাগারার মতো ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছিলেন। DRDO যে ট্যাবলো বার করেছিল তাও সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তাতে দেখানো হয়েছে কিভাবে নারী শক্তি, জল, স্থল, আকাশ, সাইবার ও স্পেস প্রত্যেক ক্ষেত্রে দেশকে সুরক্ষিত রাখছে। একবিংশ শতাব্দীর ভারত এভাবেই “ওম্যান লেড ডেভেলপমেন্ট” এর মন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
বন্ধুরা, কিছুদিন আগে অর্জুন পুরস্কার প্রদানের সমারোহও আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। সেই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের অনেক উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ও অ্যাথলিটদের সম্মানিত করা হয়েছে। এখানেও যে বিষয়টি প্রভূতভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে তা হলো অর্জুন পুরস্কার প্রাপক মেয়েরা এবং তাদের লাইফ জার্নিস। এবার তের জন Women অ্যাথলিটকে অর্জুন অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়েছে। এই Women অ্যাথলিটরা অনেক নামকরা টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন এবং ভারতের পতাকা উড্ডীন করেছেন।
শারীরিক সমস্যা, আর্থিক সমস্যা এই সাহসী এবং ট্যালেন্টেড ক্রীড়াবিদদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। পরিবর্তনশীল এই ভারতে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ভারতের মেয়েরা, ভারতের মহিলারা তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। অপর এক ক্ষেত্র, যেখানে মহিলারা নিজেদের নিশান উড়িয়েছেন, তা হল, self help groups। আজ দেশে women self help groups-এর সংখ্যাও যথেষ্ট বেশি এবং নানান ধরনের কাজের ক্ষেত্রেও তারা বিস্তার ঘটিয়েছেন। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই যেদিন গ্রামে গ্রামে, ক্ষেতে ক্ষেতে, “নম্ ড্রোন দিদি” চাষের কাজে সাহায্য করছে, এমনটা দেখা যাবে। আমি উত্তর প্রদেশের বেহেরাইচ জেলায় স্থানীয় জিনিষ দিয়ে bio fertilizer এবং bio pesticides তৈরী করেন এমন অনেক মহিলাদের সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। নিবিয়া বেগমপুর গ্রামের self help groups এর সঙ্গে জড়িত মহিলারা গোবর, নিমপাতা সহ আরও অন্য কিছু কিছু ওষধি গাছের পাতার সংমিশ্রণে bio fertilizer তৈরী করেন। ঠিক এইভাবেই মহিলারা আদা, রসুন, পেঁয়াজ এবং লঙ্কার পেস্ট বানিয়ে অর্গানিক pesticide ও তৈরী করেন। এই মহিলারা একসঙ্গে “উন্নতি জৈবিক ইকায়ী” নামক একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। Bio products প্রস্তুত করতে এই সংগঠনটি এই মহিলাদের সাহায্য করে থাকে। এঁদের তৈরি bio fertilizer এবং bio pesticides এর চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আজ, আশপাশের গ্রামের ছয় হাজারেরও বেশি কৃষক এঁদের কাছ থেকে bio products কিনে থাকেন। এরফলে, self help groups এর সঙ্গে জড়িত এই মহিলাদের আয় যেমন বেড়েছে, তাঁদের আর্থিক অবস্থারও উন্নতি ঘটেছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, “মন কি বাত”-এ আমরা এমন দেশবাসীর প্রচেষ্টাকে সামনে আনি, যারা নিঃস্বার্থ ভাবনার সঙ্গে সমাজকে, দেশকে সশক্ত করার কাজ করছে। এরকম অবস্থায় তিন দিন আগে যখন দেশ পদ্ম পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তখন “মন কি বাত”-এ এরকম মানুষের চর্চা করাটাই স্বাভাবিক। এইবারও এমন অনেক দেশবাসীকে পদ্ম সম্মান দেওয়া হয়েছে, যাঁরা মাটির সঙ্গে জুড়ে থেকে সমাজে বড় বড় পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করেছেন। এই inspiring মানুষদের জীবনযাত্রা সম্বন্ধে জানার জন্য দেশের মানুষের মধ্যে অনেক ঔৎসুক্য দেখা গেছে। মিডিয়ার headlines থেকে দূরে, খবরের কাগজের ফ্রন্ট পেজ থেকে দূরে, এই মানুষেরা বিনা কোনো লাইমলাইটে থেকেই সমাজ সেবার সঙ্গে যুক্ত। আমরা আগে এইসব মানুষদের সম্পর্কে হয়তো জানতামই না, কিন্তু এখন আমি খুশি যে পদ্ম সম্মান ঘোষণার পর এরকম মানুষদের চর্চা সব জায়গায় হচ্ছে, মানুষ এদের সম্বন্ধে বেশি বেশি জানার ব্যাপারে আগ্রহী। পদ্ম পুরস্কার পাওয়া বেশিরভাগ মানুষেরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অভিনব কাজ করছেন। যেমন কেউ এম্বুলেন্স পরিষেবা ব্যাবস্থা করেছেন, তো কেউ অসহায়দের জন্য মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করছেন। কিছু মানুষ তো হাজার হাজার গাছ লাগিয়ে প্রকৃতি সংরক্ষণ এর কাজ করছেন। একজন এমনও আছেন যিনি চালের ৬৫০-এরও বেশি প্রকারের সংরক্ষণ করছেন। একজন এমনও আছেন যিনি ড্রাগস আর মদ এর নেশা থেকে বাঁচার জন্য সমাজে সচেতনতা বাড়াচ্ছেন।
কিছু এমনও মানুষ আছেন, যারা self help group বিশেষ করে নারী শক্তি অভিযানে, জনগণকে যুক্ত করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। দেশবাসীও আনন্দিত যে পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে ৩০ জন মহিলা। এই মহিলারা তৃণমূল স্তরে নিজেদের কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
বন্ধুরা, ‘পদ্ম সম্মান’ যারা পেয়েছেন তাদের প্রত্যেকের যোগদান দেশবাসীকে উৎসাহিত করবে। এইবার পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে বহু সংখ্যায় তারা আছেন যারা শাস্ত্রীয় নৃত্য, শাস্ত্রীয় সংগীত, লোকনৃত্য, থিয়েটার ও ভজনের জগতে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। প্রাকৃত, মালভি ও লম্বাডি ভাষায় অত্যন্ত উৎকৃষ্ট কাজ যারা করেছেন তাদেরকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে। কয়েকজন বিশেষ বিদেশিদেকেও পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে যাদের কাজের মাধ্যমে ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। এদের মধ্যে France, Taiwan, Mexico আর Bangladesh এর নাগরিকরাও সামিল আছেন।
বন্ধুরা, আমি ভীষণ আনন্দিত যে গত এক দশকে পদ্ম সম্মানের system পুরোপুরিভাবে বদলে গেছে। এটি এখন ‘পিপলস পদ্ম’ হয়ে গেছে। ‘পদ্মসম্মান’ দেওয়ার ব্যবস্থাতেও অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন জনগণের কাছে নিজেকে পদ্ম সম্মানের জন্য nominate করারও সুযোগ রয়েছে। ঠিক এই কারণেই ২০১৪-র তুলনায় এই বছর ২৮গুন বেশি Nominations এসেছে। এতেই বোঝা যায় যে পদ্ম সম্মানের প্রতিষ্ঠা, তার বিশ্বাসযোগ্যতা, তার প্রতি সম্মান প্রত্যেক বছর বেড়েই চলেছে। আমি পদ্ম সম্মান প্রাপকদের আরো একবার আমার শুভেচ্ছা জানাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী। কথায় বলে, যে প্রত্যেক জীবনেরই একটা লক্ষ্য থাকে, প্রত্যেকেই একটি লক্ষ্যকে সার্থক করে তুলতেই জন্মগ্রহণ করে। এর জন্য মানুষ সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে নিজের কর্তব্য পালন করে। আমরা দেখেছি যে কেউ সমাজসেবার মাধ্যমে, কেউ সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়ে, কেউ আগামী প্রজন্মকে পড়িয়ে নিজেদের কর্তব্য পালন করেন কিন্তু বন্ধুরা আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা মৃত্যুর পরেও সমাজের প্রতি তাদের কর্তব্য পালন করে যায় আর এর জন্য তাদের মাধ্যম হয়ে ওঠে – মরণোত্তর অঙ্গদান।
বিগত কয়েক বছরে, আমাদের দেশে এক হাজারেরও বেশী মানুষ মরনোত্তর নিজেদের অঙ্গদান করেছেন। এটা খুব একটা সহজ সিদ্ধান্ত হয় না কিন্তু এই কঠিন নির্নয় অনেকের কাছে জীবনদায়ী হয়। আমি সেই সকল পরিবারের প্রসংশা করি যারা তাদের নিকটাত্মীয়ের শেষ ইচ্ছকে মর্যাদা দিয়েছেন। আজ আমাদের দেশে অনেক সংগঠন এই দিকে প্রেরণাদায়ক কাজ করছে। কিছু সংগঠন অঙ্গদানের জন্য মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছে, কিছু সংস্থা অঙ্গদানে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের registration করতে সাহায্য করছে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাতে দেশে organ donation নিয়ে এক ইতিবাচক আবহ তৈরী হয়েছে এবং বহু মানুষের প্রাণও রক্ষা হচ্ছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এখন আমি আপনাদের সঙ্গে ভারতের এমন এক বিষয় সম্পর্কে বলব যার ফলে অসুস্থ মানুষেরা উপকৃত হবেন, তাদের খানিক কষ্ট লাঘব হবে। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা চিকিৎসার জন্য আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা বা ইউনানীর দ্বারস্থ হন। কিন্তু অসুবিধা তখন হয় যখন এই রোগীরা এই পদ্ধতির অন্য কোনো চিকিৎসক এর কাছে যান। এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিতে রোগের নাম, চিকিৎসা পদ্ধতি, ওষুধের নাম, ইত্যাদি লেখার জন্য এক পরিভাষা ব্যবহার করা হয়না। প্রত্যেক চিকিৎসক তার নিজের মত করে রোগের নাম, চিকিৎসার পদ্ধতির বিবরণ লেখে, এর ফলে অন্য একজন চিকিৎসক এর পক্ষে সেটা সঠিক ভাবে বুঝতে অনেক ক্ষেত্রেই অসুবিধা হয়। বহু দশক ধরে চলে আসা এই সমস্যার সমাধান এখন পাওয়া গেছে। আমার এটা বলতে খুবই আনন্দ হচ্ছে যে আয়ুষ মন্ত্রক আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা ও ইউনানী চিকিৎসার সমস্ত তথ্য ও শব্দাবলীর পর্যায়ভুক্ত করেছে। এই কাজে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও আমাদের সাহায্য করেছে। এই সম্মিলিত চেষ্টায় আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা ও ইউনানী পদ্ধতিতে রোগের নাম ও চিকিৎসাতে ব্যবহার করা শব্দগুলির coding করে দেওয়া হয়েছে।
এই coding-এর সাহায্যে সব ডাক্তার নিজেদের prescription-এ একরকম ভাষা লিখবেন। এর সুবিধে হল যখন আপনি এই প্রেসক্রিপশন নিয়ে অন্য ডাক্তারের কাছে যাবেন, তখন সে আপনার রোগের আগের সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবে। আপনার কি রোগ, তার কি বৃত্তান্ত, কবে থেকে চিকিৎসা চলছে, কি কি ওষুধ দেওয়া হয়েছে, কোনো allergy আছে কিনা যাবতীয় বিবরণ prescription-এর কাগজ থেকে পাওয়া যাবে। এর আরো একটা সুফল তারা পাবেন যারা research এর কাজে যুক্ত। অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরাও অসুখ, ওষুধ ও তার প্রভাব, সবকিছু সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাবেন। যত research বাড়বে, আরো বিজ্ঞানীরা এর সাথে যুক্ত হবেন, এই চিকিৎসা পদ্ধতি আরো উন্নত হবে, আরো সুফল দেবে। মানুষের এই দিকে ঝোঁক বাড়বে। আমার বিশ্বাস Ayush পদ্ধতীর সাথে যুক্ত আমাদের চিকিৎসকেরা খুব শীঘ্রই এই coding-কে গ্রহণ করবেন।
আমার বন্ধুরা, যখন আয়ুষ পদ্ধতিতে চিকিৎসার কথা বলি, তখন আমার চোখের সামনে ইয়ানুং জামোহ্ ল্যাইগোর ছবিও ভেসে উঠছে। সুশ্রী ইয়ানুং অরুণাচল প্রদেশে থাকেন এবং হার্বাল ঔষুধির বিশেষজ্ঞ। উনি আদি জনজাতির ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অনেক কাজ করেছেন। এই অবদানের জন্য তিনি এইবছর পদ্ম সম্মানও পেয়েছেন। একইভাবে এইবছর পদ্মসম্মান পেয়েছেন ছত্তিশগড়ের হেমচাঁদ মাঝিও। বৈদ্যরাজ হেমচাঁদ মাঝি আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে মানুষের চিকিৎসা করেন। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা করছেন প্রায় ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে। আমাদের দেশে আয়ুর্বেদ এবং হার্বাল মেডিসিনের যে সম্পদ লুকিয়ে আছে, সেগুলোর সংরক্ষণে সুশ্রী ইয়াং এবং হেমচাঁদ মাঝির মত মানুষদের বড় ভূমিকা আছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে আপনাদের এবং আমার মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা এক দশকেরও বেশি পুরনো। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের যুগেও, রেডিও সম্পূর্ণ দেশকে জুড়ে করে রাখার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। রেডিওর শক্তি কতটা পরিবর্তন আনতে পারে, তার এক অনন্য উদাহরণ ছত্তিশগড়ে দেখতে পাওয়া গেছে। এইখানে গত ৭ বছর ধরে রেডিওতে একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে, যার নাম ‘হমর হাতি-হমর গোঠ’। নামটি দেখে আপনি ভাবতে পারেন রেডিও এবং হাতির মধ্যে আবার কী connection হতে পারে। কিন্তু এটাই রেডিওর বিশেষত্ব। ছত্তিশগড়ে আকাশবাণীর চারটি কেন্দ্র- অম্বিকাপুর, রায়পুর, বিলাসপুর এবং রায়গড় থেকে এই অনুষ্ঠানটি প্রতি সন্ধ্যায় সম্প্রচার করা হয় এবং আপনি জেনে অবাক হবেন যে ছত্তিশগড়ের জঙ্গল এবং তার আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারী লোকেরা এই অনুষ্ঠানটি খুব মনোযোগ দিয়ে শোনে।
‘হমর হাতি-হমর গোঠ’ এই অনুষ্ঠানে বলা হয় হাতির দল কোন এলাকা দিয়ে যাতায়াত করছে। এই তথ্য এই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। যেই বাসিন্দারা রেডিওর মাধ্যমে হাতির দলের খবর পান, ওঁরা সতর্ক হয়ে যায়। যে রাস্তায় হাতির দল ঘোরে, সেইসব রাস্তায় যাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকেনা। এইভাবে একদিকে যেমন হাতির দলের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়, তেমনই হাতি সম্পর্কে data সংগ্রহে সহায়তা করে। এই data ভবিষ্যতে হাতি সংরক্ষণেও সাহায্য করবে। এখানে হাতি সংক্রান্ত তথ্যও social media এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে জঙ্গলের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষদের জন্য হাতিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা সহজ হয়ে গেছে। ছত্তিশগড়ের এই অনন্য উদ্যোগ এবং অভিজ্ঞতার সুবিধা দেশের অন্য বনাঞ্চলে বসবাসকারী লোকেরাও নিতে পারে।
আমার প্রিয় দেশবাসী এই ২৫শে জানুয়ারি আমরা সকলেই ‘ন্যাশনাল ভোটারস ডে’ পালন করেছি। এটা আমাদের গৌরবময় গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে এক বিশেষ দিন। এখন এই দেশে প্রায় ৯৬ কোটি ভোটদাতা আছে। আপনারা জানেন? যে এই পরিসংখ্যান কতটা বড়? আমেরিকার সম্পূর্ণ জনসংখ্যার থেকেও প্রায় তিন গুণ বেশি। এটা সম্পূর্ণ ইউরোপের জনসংখ্যার থেকেও প্রায় দেড় গুণ বেশি। যদি ভোটদান কেন্দ্রের কথা বলি তাহলে দেশে আজ তার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লাখ। ভারতের প্রত্যেক নাগরিক যাতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার ব্যবহার করতে পারে, এর জন্য আমাদের নির্বাচন কমিশন এমন জায়গাতেও পোলিং বুথ তৈরি করেন যেখানে হয়তো একজন মাত্র ভোটার রয়েছেন। আমি নির্বাচন কমিশনের বিশেষ প্রশংসা করতে চাই যারা দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যকে শক্তিশালী করার জন্য অনবরত চেষ্টা করে চলেছেন।
বন্ধুরা, বর্তমানে দেশের জন্য এটা খুবই উৎসাহের কথা যেখানে এই পৃথিবীতে অনেক দেশের ভোটিং পারসেন্ট কম হচ্ছে, ভারতে সেখানে ভোট দানের শতকরা হার বেড়েই চলেছে। ১৯৫১-৫২ সালে যখন দেশের প্রথমবার নির্বাচন হয়েছিল তখন প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোটদাতা ভোট দান করেছিলেন। এখন এই পরিসংখ্যান অনেকটা বেড়েছে। দেশে শুধুমাত্র ভোটদাতার সংখ্যাই বাড়েনি বরং টার্ন-আউটও বেড়েছে। আমাদের যুব ভোটদাতারা যাতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য বেশি সুযোগ পান এর জন্য সরকার আইনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন করেছে। এটা দেখে আমার ভালো লাগে যে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সামগ্রিক স্তরে নানা প্রচেষ্টা চলছে। অনেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোট দানের বিষয়ে বলছেন কোথাও ছবি এঁকে, কোথাও পথনাটিকা পরিবেশনের মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের আকর্ষণ করার চেষ্টা চলছে। এমন প্রত্যেক প্রচেষ্টা আমাদের গণতন্ত্রের উৎসবে ভিন্ন ভিন্ন রং প্রদান করছে। আমি “মন কি বাত”-এর মাধ্যমে আমার ফার্স্ট টাইম ভোটার্সদের বলব যে তারা যেন ভোটের লিস্টে নিজের নাম অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করে। National Voter service পোর্টাল এবং ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপের-এর মাধ্যমে তারা খুব সহজেই এই কাজ অনলাইনে করতে পারবেন। আপনারা এটা সব সময় মনে রাখবেন যে আপনাদের একটা ভোট দেশের ভাগ্য বদলে দিতে পারে, দেশের ভাগ্য তৈরি করতে পারে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ ২৮ জানুয়ারি ভারতের এমন দু’জন মহান ব্যক্তির জন্ম জয়ন্তী যাঁরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দেশভক্তির নিদর্শন রেখেছেন। আজ দেশ পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রায়জীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করছে। লালাজি স্বাধীনতা-সংগ্রামের এক এমন যোদ্ধা যিনি বিদেশি শাসন থেকে মুক্তি প্রদানের জন্য নিজের জীবন আহুতি দিয়েছিলেন।
লালা’জীর ব্যক্তিত্বকে শুধুমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী। Punjab National Bank এবং আরো বহু প্রতিষ্ঠান তৈরীতে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর উদ্দেশ্য শুধুই আমাদের দেশ থেকে বিদেশীদের বিতাড়িত করা ছিল না, আমাদের দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার Vision’ও তার চিন্তাভাবনার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। তাঁর মতাদর্শ এবং আত্মত্যাগ ভগৎ সিং’কে ভীষণ উদ্বুদ্ধ করেছিল।
আজ ফিল্ড মার্শাল কে. এম. করিয়প্পা’জি-কে’ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার দিন। ইতিহাসের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি আমাদের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং শৌর্য ও সাহসের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। আমাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলতে তার অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এখন খেলাধুলার জগতেও ভারত প্রতিদিন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে। ক্রীড়াজগতের অগ্রগতির জন্য খেলোয়াড়দের আরো বেশি করে খেলার সুযোগ পাওয়া এবং দেশে আরো বেশী করে Sports Tournament-এর আয়োজন হওয়া প্রয়োজন। এই চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখে এখন ভারতে নতুন নতুন sports tournament-এর আয়োজন করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে চেন্নাইয়ে ‘খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমস’-এর উদ্বোধন হয়েছে। সেখানে আমাদের দেশের ৫ হাজারেরও বেশি athletes অংশগ্রহণ করছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এখন ভারতে এই ধরনের নতুন platform ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে, যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছে। এমনই একটা platform তৈরি হয়েছে–beach games-এর, এটির আয়োজন করা হয়েছিল দিউ-এর অভ্যন্তরে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে “দিউ” একটি কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চল এবং সোমনাথের একদম কাছে।
এই বছরের শুরুতেই দিউতে এই বিচ গেমসের আয়োজন করা হয়েছিল। এটি ভারতের প্রথম মাল্টি-স্পোর্টস বিচ গেম ছিল। এর মধ্যে ছিল Tug of war, Sea swimming, pencak silat, মালখাম্ব, Beach volleyball, Beach কাবাডি, Beach soccer এবং বিচ বক্সিংয়ের মতো প্রতিযোগিতা। এতে, প্রত্যেক প্রতিযোগী তার প্রতিভা প্রদর্শনের পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছে এবং আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই টুর্নামেন্টে অনেক খেলোয়াড় এসেছিল এমন রাজ্য থেকে যাদের সমুদ্রের সাথে দূর-দুরান্তেও কোন যোগাযোগ নেই। মধ্যপ্রদেশ এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ পদক জিতেছে, যেখানে কোনো সমুদ্র সৈকত নেই। খেলাধুলার প্রতি এই মনোভাব যে কোনো দেশকে ক্রীড়া জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ করে তোলে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, “মন কী বাতে” আমার সঙ্গে এবার এইটুকুই। ফেব্রুয়ারিতে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। দেশের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় কী ভাবে দেশ অগ্রসর হচ্ছে, এই বিষয়েই আমাদের focus থাকবে।
বন্ধুরা, আগামীকাল, ২৯ তারিখ, সকাল ১১টায় আমি ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানটিও করব। পরীক্ষা পে চর্চা-র এটা সপ্তম সংস্করণ। এটি এমন একটি অনুষ্ঠান যার প্রতীক্ষা আমি সবসময় করি। এর মাধ্যমে আমি students-দের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সুযোগ পাই, এবং আমি ওঁদের পরীক্ষা সংক্রান্ত চিন্তা নিরসন করার প্রচেষ্টা করি।
বিগত ৭ বছরে “পরীক্ষা পে চর্চা” শিক্ষা ও পরীক্ষা সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করার খুব ভাল মাধ্যম হিসেবে উঠে এসেছে। আমি খুব খুশি যে এবার সওয়া দু’কোটিরও বেশি বিদ্যার্থী এর জন্যে রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং এর ব্যাপারে নিজস্ব inputs-ও দিয়েছেন। আমি আপনাদের জানিয়ে দিই যে যেবার প্রথম ২০১৮-তে আমরা এই অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম তখন এই সংখ্যাটি কেবল ২২,০০০ ছিল। students-দের অনুপ্রাণিত করার জন্য ও পরীক্ষা সংক্রান্ত চাপ ও চিন্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বহু অভিনব পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। আমি আপনাদের সবার কাছে, বিশেষ করে যুবাদের কাছে, বিদ্যার্থীদের কাছে, অনুরোধ করব যে তাঁরা কাল record সংখ্যায় শামিল হোন। আমারও আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগবে।
এই কথাগুলোর সঙ্গেই আমি “মন কী বাতের” এই পর্ব-এ আপনাদের থেকে বিদায় নিচ্ছি। শিগগিরি আবার দেখা হবে। ধন্যবাদ।
*********
Sharing this month's #MannKiBaat. Do tune in as we discuss a wide range of topics. https://t.co/jztb1iL5UI
— Narendra Modi (@narendramodi) January 28, 2024
#MannKiBaat has begun. Tune in! https://t.co/wKxrXk3cpF
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
The festivals of democracy further strengthen India as the Mother of Democracy. #MannKiBaat pic.twitter.com/svuGzKt8OH
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
Pran Pratishtha of Shri Ram in Ayodhya has woven a common thread, uniting people across the country. #MannKiBaat pic.twitter.com/I5r9YagGTT
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
This year's Republic Day parade was special. It was dedicated to India's Nari Shakti. #MannKiBaat pic.twitter.com/VoeXhRcDlc
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
The life journey of Arjuna awardees inspires everyone. #MannKiBaat pic.twitter.com/wcozuBzy4j
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
Today, the number of women self-help groups in the country has increased and their scope of work has also expanded a lot. Here is a success story from Uttar Pradesh... #MannKiBaat pic.twitter.com/cen70CAndR
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
The contribution of each one of the Padma Awardees is an inspiration for the countrymen. #MannKiBaat pic.twitter.com/GAJdA5E0ZX
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
A positive environment is being created in the country towards organ donation. #MannKiBaat pic.twitter.com/IOxbJCcFj2
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
A praiseworthy effort by @moayush pertaining to Ayurveda, Siddha and Unani. #MannKiBaat pic.twitter.com/SCUiQdo15W
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
Commendable efforts towards preserving the treasure of Ayurveda and herbal medicine practices. #MannKiBaat pic.twitter.com/z0ckavQYd2
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
Unique role of radio in Chhattisgarh...#MannKiBaat pic.twitter.com/WuMuzc2ys6
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
Through #MannKiBaat, I urge the first time voters to get their names added to the voter list: PM @narendramodi pic.twitter.com/NDzhdH7Xtp
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
Tributes to Lala Lajpat Rai Ji. #MannKiBaat pic.twitter.com/JVuTWy8WmT
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
India pays homage to Field Marshal K.M. Cariappa. #MannKiBaat pic.twitter.com/frMmaGN6vu
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
India is consistently achieving remarkable milestones in the world of sports. #MannKiBaat pic.twitter.com/FVtTJGAcVL
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024
Do join in for 'Pariksha Pe Charcha' at 11 AM on 29th January. pic.twitter.com/iUo3Ixwa8q
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2024