গুরুদেব দত্তা! আমি এই দত্তাপীঠে প্রথমবার এসেছি। কিন্তু, এই পরম্পরার সঙ্গে অনেক বছর ধরে যুক্ত রয়েছি। নর্মদার তীরে যাঁরাই আসার সুযোগ পেয়েছেন, গুরুদেব দত্তার অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির কথা না জানলে তাঁদের চলে না। নরেশ্বর যান, কিংবা গুরুদেশ্বর, দত্তা কৃপাতেই এই এলাকায় সাধনার বৃত্ত পূর্ণ হওয়া সম্ভব। নর্মদার সাধকরা, নর্মদা পরিক্রমাকারীরা সকাল-সন্ধ্যা দুটি মন্ত্রই উচ্চারণ করেন – নর্মদা হরে এবং গুরুদেব দত্তা। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, গত সপ্তাহেই স্বামীজী গুজরাট এবং কচ্ছের মরুভূমি ঘুরে এসেছেন ‘রাণ উৎসব’ দেখে এসেছেন, আর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, ঐ রাণের ‘কালো ডুঙ্গর’ এই গুরুদেব দত্তার জন্মস্থান, যা এখন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর তীর্থস্থান, গুরুদেবের জন্মজয়ন্তীতে প্রতি বছর সেখানে একটি বড় সমারোহ হয়। সেটাই ভারতের শেষ জনবসতি। তারপর মরুভূমি, মরুভূমির ওপারে পাকিস্তান। এ বছর দত্তাজয়ন্তীতে স্বামীজী সেখানে যাওয়ায় সকলেই খুব খুশি হয়েছেন, তিনি সেখানে গিয়ে আমার কথাও বলেছেন। আমার সৌভাগ্য, আজ আমি দত্তাপীঠ আসার সুযোগ পেয়েছি।
এই পরম্পরার সন্তরা অনেক সামাজিক কাজ করেছেন। কিন্তু, আমাদের দেশের সন্ত-ঋষি-মুনিরা সমাজের জন্য কাজ করে সেটা কাউকে বলেন না, তাঁরা ভাবেন, এটা তো আমাদের কর্তব্যের অংশ। নিজেদের ঢাক না পেটানোর এই ভারতীয় পরম্পরা তো মহাপুরুষরাই উত্তরাধিকার সূত্রে বহন করে আসছেন। তাঁদের পূজা-পাঠ, ইত্যাদির পাশাপাশি নীরবে সামাজিক কাজ করে যাওয়ার এই পরম্পরাই ভারতাত্মাকে জাগিয়ে রেখেছে। পূজ্য স্বামীজীর অধিকাংশ পরিকল্পনাই পরিবেশ সুরক্ষা ও পাখিদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নাদব্রহ্মের উপাসনা মিলেমিশে একাকার। নাদব্রহ্মের সামর্থ্যকে আমাদের পরম্পরা মেনে নিয়েছে, অনেক কম ব্যক্তিই নাদব্রহ্মের উপাসনা করতে পারেন। ব্রহ্মের এই রূপকেই শুধু উপলব্ধি করা যায়, ব্রহ্মের বাকি কোনও রূপ উপলব্ধি করা যায় না। কেবল নাদব্রহ্মকে আমরা কেমন করে উপলব্ধি করতে পারি সেই সাধনা, সাধারণ ভক্তের কাছে নাদব্রহ্মকে অনুভব করার সুযোগ করে দিয়েছেন স্বামীজী। বিশ্ববাসীর উপলব্ধিতে জগতে, সাধনার জগতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি আমাদের এই মহান পরম্পরাকে, জানা থেকে অজানার পথে পৌঁছে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ গীত আর সঙ্গীত জানে, কিন্তু সেই আধ্যাত্মিক রূপকে জানা আর নিজেকে ব্রহ্মের সঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়াটি গুরুজী-ই শিখিয়েছেন। বিশ্বের অনেক জায়গায় গিয়ে তিনি শিখিয়েছেন। আমিও সেরকম কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু, মূল পীঠস্থানে আসার সুযোগ পেলাম আজ। এটা আমার সৌভাগ্য।
আমি স্বামীজীকে প্রণাম জানাই। তিনি সমাজের জন্য যা করেছেন, আর যত কর্মসূচি চালু রয়েছে, সেগুলিতে ভগবান দত্তার আশীর্বাদ বর্ষিত হোক। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর, সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত এই শক্তির জয় সুনিশ্চিত। এটাই আমার প্রার্থনা, গুরুদেব দত্তা!
PG/SB/SB
I have come here for first time but I know of the traditions here well: PM @narendramodi at Avadhoota Datta Peetham https://t.co/rV904DVDmI
— PMO India (@PMOIndia) January 2, 2016
Am happy to know that Guruji returned from a visit to Gujarat and he visited Kutch: PM @narendramodi at Avadhoota Datta Peetham
— PMO India (@PMOIndia) January 2, 2016
Here, social work has been given a big impetus. Work of Saints, seers, Rishis has always been for the welfare of society: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) January 2, 2016
Saints, Seers, Rishis & Mutts have always enriched our society & contribute immensely to nation building. https://t.co/vFuQ4Y02yc
— Narendra Modi (@narendramodi) January 2, 2016