Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় জাতীয় পিএম বিশ্বকর্মা অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় জাতীয় পিএম বিশ্বকর্মা অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী


নয়াদিল্লি,  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় আজ জাতীয় পিএম বিশ্বকর্মা অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি আচার্য চাণক্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প এবং পুণ্যশ্লোক অহল্যা দেবী হোলকার মহিলা স্টাটআপ প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পিএম বিশ্বকর্মা সুবিধাভোগীদের  শংসাপত্র এবং ঋণ প্রদান করেন। তিনি পিএম বিশ্বকর্মার অধীন এক বছর কাজের অগ্রগতিকে স্মরণ করতে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। তিনি পিএম মেগা ইন্টিগ্রেটেট টেক্সস্টাইল অঞ্চল এবং মহারাষ্ট্রের অমরাবতিতে বস্ত্র(পিএম মিত্র) পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রদর্শনীও ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে অনুষ্ঠিত বিশ্বকর্মা পুজো উদযাপনের কথা স্মরণ করে বলেন, ওয়ার্ধায় পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের একবছরের সাফল্য উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের দিনটি স্মরণীয় কারণ এই দিনে ১৯৩২ সালে মহাত্মা গান্ধী অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। ওয়ার্ধাকে তিনি শ্রী বিনোবা ভাবে সাধনাস্থল এবং মহাত্মা গান্ধীর কর্মভূমি আখ্যা দিয়ে বলেন, এই দুয়ের সঙ্গমস্থল বিকশিত ভারতের সংকল্পের নতুন শক্তি এবং অনুপ্রেরণার দ্যোতক হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে সরকার দক্ষতা উন্নয়ন এবং শ্রম থেকে সমৃদ্ধির চেতনার মাধ্যমে উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলবে। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ এই সংকল্পকে বাস্তবায়নের পথে এক অনুপ্রেরণার অঙ্গ হয়ে উঠবে বলে জানান তিনি। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএম মিত্র পার্কে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল। তিনি বলেন, ভারত তার বস্ত্রশিল্পকে বিশ্ব বাজারের শীর্ষে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, দেশের লক্ষ্য হল, বস্ত্রশিল্পে শতবর্ষের পুরোনো গৌরব পুন: প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই শিল্পের স্বীকৃতি গড়ে তোলা। অমরাবতীতে পিএম মিত্র পার্ক এই লক্ষ্য অর্জনের পথে এক বৃহৎ পদক্ষেপ বলে আখ্যা দেন তিনি। অমরাবতীর জনসাধারণকে তাদের এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার প্রথম বর্ষপূর্তিতে মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধাকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কেবলমাত্র একটা সরকারী অনুষ্ঠানই নয় বরং এটা এমন এক প্রকল্প যার মাধ্যমে উন্নত দেশ হিসাবে ভারতকে গড়ে তোলার পথে ভারতের প্রাচীন প্রথাগত দক্ষতাকে নক্সা হিসাবে কাজে লাগানো। তিনি বলেন, ভারতের সমৃদ্ধির অনেক উজ্জ্বল অধ্যায় রচনায় আমাদের প্রাচীন প্রথাগত দক্ষতার ভিত্তিস্বরূপ হয়ে থেকেছে। আমাদের কলা, কারিগরি, বিজ্ঞান, ধাতুবিদ্যা সারা বিশ্বে এককথায় অনন্য। শ্রী মোদী বলেন, আমরা বিশ্বে সর্ব বৃহৎ বস্ত্র নির্মাতা ছিলাম। অতীতে আমাদের মৃৎশিল্প এবং বাড়ির নক্সার তুলনা মেলা ছিল ভার। সূত্রধর, কর্মকার, স্বর্ণশিল্পী, মৃৎশিল্পী, ভাস্কর, চর্মকার প্রভৃতি পেশার মানুষেরা ভারতের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন এবং প্রত্যেক গৃহে এই জ্ঞান এবং বিজ্ঞান ছড়িয়ে পড়েছিল। ভারতের এই প্রাচীন প্রথাগত দক্ষতাকে বিনষ্ট করতে ব্রিটিশরা অনেক চক্রান্ত করেছিল বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। শ্রী মোদী বলেন, ওয়ার্ধার এই পূর্ণভূমি থেকে গান্ধীজি গ্রামীণ শিল্পের প্রসার গড়ে তুলেছিলেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় থেকে এই দক্ষতার যথাযথ সম্মান দেয়নি। পূর্ববর্তী সরকারও বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়কে অবহেলা করে গেছে। ফলত, অগ্রগতি এবং আধুনিকতার ফলে ভারত ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পর বর্তমান সরকার এই সমস্ত প্রথাগত দক্ষতাকে নতুন শক্তি প্রদানের সংকল্প নিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি পিএম বিশ্বকর্মা যোজনায় মূল ভাবাবেগের সঙ্গে যুক্ত সম্মান, সামর্থ্য এবং সমৃদ্ধির উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বকর্মাদের সমৃদ্ধির পাশাপাশি প্রথাগত নৈপূণ্য এবং কারিগরদের ক্ষমতায়নই আমাদের উদ্দেশ্য। 

পিএম বিশ্বকর্মার সাফল্যের পেছনে বিভিন্ন দফতরের অভূতপূর্ব বৃহৎ সম্বন্বয়ের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭০০-রও বেশি জেলা, আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত, ৫ হাজার পৌর প্রশাসন এই প্রকল্পকে গতি দিয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর ১৮টি বিভিন্ন পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে যুক্ত ২০ লক্ষ মানুষকে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল সামগ্রীর মাধ্যমে ৮ লক্ষ শিল্পী ও কারিগরের দক্ষতা বিকাশ ঘটানো হয়েছে। কেবল মহারাষ্ট্রে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ দক্ষতা বিকাশের প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, ৬ লক্ষেরও বেশি বিশ্বকর্মাকে তাদের উন্নত গুণমানসম্পন্ন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্রসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের ব্যবসা বাড়াতে ১৫ হাজার টাকার ই-ভাউচার এবং কোনওরকম গ্যারেন্টি বিহীন ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকর্মাদের ১ বছরের মধ্যে ১৪০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রথাগত দক্ষতার কাজে তফশিলি জাতি – উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের দক্ষতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারগুলির সময় এইসব সম্প্রদায়ের মানুষ উপেক্ষিত থেকে গিয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারই এই পশ্চাদপদ মানসিকতার অবসান ঘটিয়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যানের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, বিশ্বকর্মা যোজনায় তফশিলী জাতি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষরাই বিশ্বকর্মা যোজনা থেকে সবথেকে বেশি উপকৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের মানুষেরা কেবল কারিগর হয়ে না থেকে উদ্যোগপতি এবং ব্যবসাদার হয়ে ওঠুক। বিশ্বকর্মাদের কাজকে এমএসএমই মর্যাদাদান করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক জেলা এক পণ্য এবং একতা মলের মধ্যে দিয়ে বিশ্বকর্মাদের তৈরি প্রথাগত পণ্য সামগ্রী বিপননের মাধ্যমে বিশ্বকর্মারা বৃহৎ কোম্পানির সরবরাহ শৃঙ্খলের অঙ্গ হয়ে উঠেছেন। 

শিল্পী ও কারিগরদের ব্যবসার প্রসারে ওএনডিসি এবং জেম এক মাধ্যম হয়ে ওঠেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রগতিতে যে সামাজিক শ্রেণী পিছিয়ে ছিলেন তারাই এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। স্কিল ইন্ডিয়া মিশন, এই লক্ষ্যকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছে। শ্রী মোদী বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে আজকের প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কোটি কোটি যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সারা বিশ্ব জুড়ে স্কিল ইন্ডিয়ার মতনই ভারতের দক্ষতাও পরিচিতি লাভ করেছে। এবছরের শুরুতে ফ্রান্সে বিশ্ব দক্ষতা নিয়ে আয়োজিত এক বিরাট অনুষ্ঠানে ভারত অনেক পুরস্কার লাভ করেছে বলে গর্ব প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

মহারাষ্ট্রকে বস্ত্রশিল্পের অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিদর্ভ অত্যন্ত উন্নতমানের তুলো উৎপাদনের এক বৃহৎ কেন্দ্র বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও পূর্ববর্তী সরকারগুলি সস্তার রাজনীতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তুলো চাষীদেরকে দুদর্শার মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ সরকার গঠিত হলে এই সমস্যা নিরসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়। অমরাবতীর নন্দগাঁও এবং খান্ডেশ্বরে বস্ত্র পার্ক গড়ে ওঠে। মহারাষ্ট্রে বর্তমানে যা এক বৃহৎ শিল্পকেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। 

পিএম মিত্র পার্কে কাজের অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের শক্তি এতে প্রতিফলিত হচ্ছে। দেশজুড়ে ৭টি পিএম মিত্র পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফার্ম থেকে তন্তু, তন্তু থেকে বস্ত্র, বস্ত্র থেকে ফ্যাশন এবং ফ্যাশন থেকে বিদেশ এই পূর্ণ চক্রের মধ্যে দিয়ে বিদর্ভে তুলো এবং তা থেকে তৈরি বস্ত্র বিদেশে রপ্তানি করা হবে। তিনি বলেন, এরফলে চাষীরা ভালো দাম পাবেন এবং তারা তাদের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে পারবেন। পিএম মিত্র পার্কেই কেবল ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের সম্ভাবনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরফলে বিদর্ভ এবং মহারাষ্ট্রে যুবক-যুবতীদের জন্য ১ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং অন্য শিল্পগুলো এতে উজ্জ্বীবিত হবে। নতুন সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে ওঠার ফলে দেশে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আয়ও বাড়বে। শিল্পের অগ্রগতির স্বার্থে মহারাষ্ট্র আধুনিক পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলপথ এবং বিমান যোগাযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে এবং সমৃদ্ধি মহামার্গ গড়ে ওঠছে। মহারাষ্ট্রে নতুন শিল্প বিপ্লব গড়ে তুলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

মহারাষ্ট্রের বহুমুখী বিকাশের ক্ষেত্রে কৃষকদের ভূমিকা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি অতপ্রোত সম্পর্কসূত্রে যুক্ত। ডবল ইঞ্জিন সরকার কৃষকদের সমৃদ্ধিতে দায়বদ্ধ বলে তিনি জানান। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবছর কৃষকদেরকে ৬ হাজার টাকা করে দেয়। মহারাষ্ট্র সরকারও সম পরিমাণ টাকা দেওয়ায় সেখানকার কৃষকদের বার্ষিক আয় ১২ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও তিনি জানান। কেবলমাত্র ১ টাকার বিনিময়ে কৃষি বিমা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে কৃষকদের বিদ্যুৎ খরচ মুকুব করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক অনুমোদিত ৮৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভন-গঙ্গা এবং নল-গঙ্গা নদী সংযুক্তি প্রকল্প নাগপুর, ওয়ার্ধা, অমরাবতী, ইয়াবাতমল, অলোকা এবং বুলধনা জেলাগুলিতে ১০ হাজার একর জমিকে সেচের আওতায় নিয়ে আসবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার মহারাষ্ট্রের কৃষকদের দাবি-দাওয়া পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পেঁয়াজের রপ্তানি কর ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনায় এলাকার পেঁয়াজ চাষীরা উপকৃত হয়েছে। রাজ্যের কৃষকদের সুবিধার্থে আমদানীকৃত ভোজ্য তেলের ওপরে ২০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রিফাইন্ড সোয়াবিন, সান ফ্লাওয়ার এবং পাম তেলের ক্ষেত্রে বহি:শুল্ক ১২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে মহারাষ্ট্রে সোয়াবিন চাষীরা উপকৃত হয়েছেন এবং সেখানকার কৃষিক্ষেত্র তার সদর্থক ফল পাবে বলে আশা প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। কৃষকদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, তেলেঙ্গানার চাষীরা আজও ঋণ মুকুবের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জরাজালে আক্রান্ত। এই জাতীয় কোনওরকম মিথ্যা প্রতিশ্রুতির প্ররোচনায় পা না দিতে  কৃষকদেরকে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সমাজে ভাঙন ধরাতে বিভিন্ন শক্তি সক্রিয়। যারা ভারতীয় ঐতিহ্যের অবমাননা করেন তাদের ব্যপারে তিনি সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন। গণেশ উৎসব ভারতে এক ঐক্যের উৎসব হয়ে ওঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, লোকমান্য তিলকের নেতৃত্বে সমাজের প্রত্যেকটি শ্রেণী এই উৎসব উদযাপনে সমবেত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষে বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে মহারাষ্ট্রের স্বাতন্ত্রকে রক্ষা করবো এবং তার জয়ধ্বজাকে তুলে ধরবো। 

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ধে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জিতিন রাম মানঝি, শ্রী জয়ন্ত চৌধুরি, মহারাষ্ট্রের দুই উপ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ এবং শ্রী অজিত পাওয়ার অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। 

 

PG/ AB/AG