নয়াদিল্লি, ১৭ অগাস্ট, ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ পরম্পরাগত জ্ঞান সংক্রান্ত ডিজিটাল লাইব্রেরী (টিকেডিএল)-র তথ্য ভান্ডার উন্মুক্ত করার বিষয়টি অনুমোদন করেছে। টিকেডিএল তথ্য ভান্ডার উন্মুক্ত করা ভারত সরকারের একটি উচ্চকাঙ্খী ও দূরদর্শী পদক্ষেপ। এটি ভারতীয় চিরাচরিত জ্ঞানের ক্ষেত্রে এক নতুন ভোর হবে। টিকেডিএল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের পরম্পরাগত জ্ঞান ও ঐতিহ্যের উপর ভিত্তিতে করে গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের কাজ চালাতে উৎসাহ দেবে নতুন শিক্ষা নীতি ২০২০’র আওতায়।
ভারতীয় পরম্পরাগত জ্ঞানের চর্চা সামাজিক সুফল যোগানোর পাশাপাশি, অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও সুযোগ করে দিচ্ছে। যেমন – এদেশের সনাতন ঔষধি ও সুস্বাস্থ্য ব্যবস্থা অর্থাৎ আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, ইউনানি, সওয়ারিগতা এবং যোগা দেশে ও বিদেশে অসংখ্য মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে আজও। কোভিড-১৯ অতিমারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও অনেককে ভারতীয় সনাতনী ঔষধি ব্যবস্থার সাহায্য নিতে দেখা গেছে। এ বছরের এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তার প্রথম সনাতনী ঔষধির বিশ্ব কেন্দ্রটি ভারতে স্থাপন করেছে। এগুলি বর্তমান পরিস্থিতিতে সনাতনী জঙানের প্রাসঙ্গিকতার গুরুত্ব নির্দেশ করে।
মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে সনাতনী জ্ঞান ও বর্তমান চর্চার সংহতি ও মিলনের মধ্য দিয়ে উদ্ভাবন এবং বাণিজ্যিকরণ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব প্রদান করলো। আগামী দিনে ভারতীয় পরম্পরাগত জ্ঞান সম্পর্কে অন্যান্য ক্ষেত্রের তথ্যাদিও টিকেডিএল – এর তথ্য ভান্ডারে যুক্ত হবে সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিপ্রেক্ষিতে। এতদিন পূর্ণাঙ্গ টিকেডিএল তথ্য ভান্ডারটি অনুসন্ধান ও পরীক্ষার জন্য বিশ্ব জুড়ে ১৪টি মাত্র পেটেন্ট অফিসেই ব্যবহার করা যেত। এবারে এই তথ্য ভান্ডার ব্যবহারের সুযোগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৃজনশীল মনকে উন্নততর আরও নিরাপদ ও আরও কার্যকর সুস্বাস্থ্যগত সমাধান করতে উদ্বুদ্ধ করবে। ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য নব নব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বলিষ্ঠ ভিত্তি রচনা করবে।
PG/PM/SB