প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো
ভারত সরকার
নয়াদিল্লি, ০১ জুলাই, ২০২৩
ভারত মাতা কি – জয়!
ভারত মাতা কি – জয়!
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজজী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়াজী, শ্রী ফগ্গন সিং কুলস্তেজী, অধ্যাপক এস পি সিং বাঘেলজী, শ্রীমতী রেণুকা সিং সারুতাজী, ডাঃ ভারতী পাওয়ারজী, শ্রী বিশ্বেশ্বর টুডুজী, লোকসভার সাংসদ শ্রী ভি ডি শর্মাজী, মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী ও বিধায়কগণ, দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আগত এই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী বিশিষ্ট অতিথিবর্গ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
রানী দুর্গাবতীজীর এই পবিত্র ভূমিতে আপনাদের মাঝে আসতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি। রানী দুর্গাবতীজীর প্রতি আমি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই ‘সিকল সেল অ্যানিমিয়া মুক্তি (এলিমিনেশন) মিশন’ – এর আজ সূচনা হ’ল। মধ্যপ্রদেশের ১ কোটি সুবিধাভোগী মানুষের হাতে আজ আয়ুষ্মান কার্ডও তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই দুটি কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের মধ্যে রয়েছেন – গোন্ড, ভিল ও অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
বন্ধুগণ,
শাহদলের এই ভূমিতে আজ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হ’ল – আদিবাসী ভাই ও বোনেদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করা। তাঁদের সিকল সেল অ্যানিমিয়া থেকে মুক্ত করা। এই অঙ্গীকারের মূল লক্ষ্য হ’ল, আড়াই লক্ষ শিশু এবং তাদের আড়াই লক্ষ পরিবারের জীবন রক্ষা করা, যাঁরা প্রতি বছর সিকল সেল অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত হন।
বন্ধুগণ,
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন কাটিয়েছি। সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো রোগের কারণে তাঁদের সীমাহীন কষ্ট আমি দেখেছি। এই রোগে আক্রান্তদের শরীরে গাঁটে ব্যথা ও ক্লান্তির মতো লক্ষণ দেখা যায়। দেহের পিছনের অংশে ব্যথা, পায়ে, বুকে অসহ্য যন্ত্রণা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যারও শিকার হন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ চলতে থাকলে শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট হতে থাকে। শুধু ব্যক্তি নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়। বাতাস, জল বা খাদ্যের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় না। এটি পুরোপুরি বংশগত রোগ। বাবা-মায়ের থেকে সন্তানের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। যে সব শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মায়, তাদের সারা জীবন ধরেই এই রোগের চ্যালেঞ্জের শিকার হতে হয়।
বন্ধুগণ,
সারা বিশ্বে যতজন সিকল সেল অ্যানিমিয়া রোগী রয়েছেন, তার প্রায় ৫০ শতাংশই রয়েছেন আমাদের দেশে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আমাদের বিজেপি সরকার আদিবাসী সম্প্রদায়কে এই রোগ থেকে মুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। আমি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন প্রথমবার এই রোগ মুক্তির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা কীভাবে গড়ে তোলা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা ক্রমাগত কাজ করে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমি যখন জাপান সফরে যাই, আমি সেখানে নোবেলজয়ী এক বিজ্ঞানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। তিনি সিকল সেল রোগ নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছিলেন। এই রোগ মুক্তির ব্যাপারে আমি তাঁর কাছেও সহায়তা চেয়েছিলাম।
বন্ধুগণ,
‘অমৃত কাল’ – এর মূল লক্ষ্য হ’ল সিকল সেল অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি। আমি বিশ্বাস করি যে, ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে, তখন আমরা সিকল সেল অ্যানিমিয়া থেকে আদিবাসীদের মুক্ত করতে পারবো। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকার, স্বাস্থ্য কর্মী এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা একান্ত আবশ্যক। সিকল সেল অ্যানিমিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন। তাই, তাঁদের জন্য ব্লাড ব্যাঙ্ক খোলা হচ্ছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এমন অনেক এই রোগী রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে এই রোগের কোনও লক্ষণই চোখে পড়ে না। না জেনেই তাঁরা তাঁদের সন্তানদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাই, এক্ষেত্রে এই রোগের পরীক্ষা একান্ত জরুরি।
বন্ধুগণ,
এভাবেই আমরা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে এই রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারি। তাই, আমি সকলের কাছে এই রোগের পরীক্ষার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এই কাজে সমাজ যত এগিয়ে আসবে, সিকল সেল অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি ততই সহজ হবে।
বন্ধুগণ,
যখন একটি পরিবারের একজন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন গোটা পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে। আমিও আপনাদের মতো গরীব পরিবার থেকে এসেছি। তাই আমি আপনাদের সমস্যা বুঝি। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে পুরোপুরি যক্ষ্মা মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি।
বন্ধুগণ,
২০১৩ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে কালাজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার। আজ তা কমে হাজারেরও নীচে নেমে এসেছে। ২০১৩ সালে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ। ২০২২ সালের মধ্যে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষের নীচে। ২০১৩ সালে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার। এখন তা কমে ৭০-৭৫ হাজারের নীচে নেমে এসেছে।
ভাই ও বোনেরা,
শুধু রোগ নয়, মানুষের উপর থেকে আর্থিক বোঝা কমানোরও চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। সেই কারণে আমরা আয়ুষ্মান ভারত যোজনা চালু করেছি। শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশেরই ১ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান কার্ড দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তি এই কার্ড নিয়ে হাসপাতালে যান, তা হলে তিনি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা খরচে চিকিৎসা করাতে পারবেন। আপনার কাছে এই কার্ড থাকলে, কেউই আপনার চিকিৎসা প্রত্যাখান করতে পারবে না। দেশে প্রায় ৫ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান যোজনায় চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। আয়ুষ্মান কার্ড না থাকলে এসব সম্ভব হ’ত না। চিকিৎসার জন্য কত মানুষ তাঁদের কৃষি জমি, বাড়ি প্রভৃতি বিক্রি করে দেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জন্যই দেশের মানুষ ৫ লক্ষ টাকার এই বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
অনেকে মিথ্যা বা ভুয়ো প্রতিশ্রুতি নিয়ে আপনাদের কাছে আসবেন। কিন্তু, তাঁদের সম্পর্কে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। যখন তাঁরা বিনামূল্যে বিদ্যুতের কথা বলেন, তখন বুঝতে হবে – বিদ্যুতের দাম বাড়তে চলেছে। যখন তাঁরা বিনা খরচে ভ্রমণের কথা বলেন, তখন বুঝতে হবে – সেই রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা ধ্বংস হতে চলেছে। যখন তাঁরা সস্তায় পেট্রোলের গ্যারান্টি দেন, তখন বুঝতে হবে যে, তাঁরা কর বাড়িয়ে মানুষের পকেট থেকে টাকা আদায় করতে চলেছে। আমরা ৮০ কোটিরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছি। আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় ৫০ কোটি দেশবাসীকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা হয়েছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ৮.৫ কোটি মানুষের স্বনিযুক্তি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ যাঁরা এক হয়েছেন বলে দাবি করছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পুরনো কথাবার্তা ভাইরাল হয়ে ঘুরছে। তাঁরা একে অন্যের নিন্দা ও সমালোচনা করেন। অন্যভাবে বললে, বিরোধী ঐক্যের কোনও গ্যারান্টি নেই। দেশ বিরোধী শক্তির সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করছেন। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন এবং তা ভঙ্গ করেন। কিন্তু, আপনাদের তার ফল ভোগ করতে হয়। তাই, কংগ্রেস সহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলি সম্পর্কে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বন্ধুগণ,
যাঁরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁরা সবর্দাই আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছেন। আদিবাসীদের ভাষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আমাদের নতুন শিক্ষা নীতিতে স্থানীয় ভাষায় পড়াশুনার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার আদিবাসী সন্তানদের জন্য আবাসিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। ৪০০টিরও বেশি একলব্য বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। শুধু মধ্যপ্রদেশেই এ ধরনের বিদ্যালয়ে ২৪ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। আমরা আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রক তৈরি করেছি। এই মন্ত্রকের বাজেট আমরা তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছি। আদিবাসীদের জন্য আমরা আদি মহোৎসবের মতো উৎসবের আয়োজন করেছি।
বন্ধুগণ,
গত ৯ বছর ধরে আদিবাসীদের গৌরব রক্ষায় আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। ১৫ নভেম্বর বীরসা মুন্ডার জন্মদিনে সারা দেশে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপিত হয়। বিভিন্ন রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বাধীনতা যোদ্ধাদের স্মরণে সংগ্রহালয় তৈরি করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের এই প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। আপনাদের সহযোগিতা ও আশীর্বাদ ছাড়া তা সম্ভব নয়। আগামী ৫ অক্টোবর রানী দুর্গাবতীর ৫০০তম জন্মবার্ষিকী। আমি আপনাদের মাঝে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করছি যে, ওই দিন দেশ জুড়ে রানী দুর্গাবতীজীর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। তাঁর জীবনের উপর একটি ছবিও তৈরি করা হবে এবং তাঁর সম্মানে একটি রৌপ্য মুদ্রা প্রকাশ করা হবে।
মধ্যপ্রদেশ সরকার উন্নয়নকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমরা একসঙ্গে উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। আজ আমি কয়েকটি আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে সিকল সেল এবং আয়ুষ্মান কার্ড নিয়ে আমি বড় ধরনের প্রচার অভিযান চালাচ্ছি। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। সুস্থ থাকুন। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভারত মাতা কি – জয়!
ভারত মাতা কি – জয়!
ভারত মাতা কি – জয়!
অনেক ধন্যবাদ।
(প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল)
CG/MP/SB
हमारी सरकार आदिवासी बहनों-भाइयों के कल्याण के लिए प्रतिबद्ध है। मध्य प्रदेश के शहडोल में 'सिकल सेल एनीमिया मुक्ति मिशन' के शुभारंभ से उनके जीवन में महत्वपूर्ण बदलाव आएगा। https://t.co/0hi6fNCDv4
— Narendra Modi (@narendramodi) July 1, 2023
आज शहडोल की धरती पर देश बहुत बड़ा संकल्प ले रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2023
ये संकल्प है- सिकल सेल एनीमिया की बीमारी से मुक्ति का। pic.twitter.com/Fh5ARoAMov
हमारे लिए आदिवासी समाज सिर्फ एक सरकारी आंकड़ा नहीं है।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2023
ये हमारे लिए संवेदनशीलता का विषय है, भावनात्मक विषय है: PM @narendramodi pic.twitter.com/kiTGCyVRdK
हमारी सरकार का प्रयास है कि बीमारी कम हो, साथ ही बीमारी पर होने वाला खर्च भी कम हो। pic.twitter.com/Td70HDq8LI
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2023
पहले की सरकारों ने जनजातीय समाज की लगातार उपेक्षा की।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2023
हमने अलग आदिवासी मंत्रालय बनाकर इसे अपनी प्राथमिकता बनाया: PM @narendramodi pic.twitter.com/iQRLltp6su
बीते 9 वर्षों में आदिवासी गौरव को सहेजने और समृद्ध करने के लिए भी निरंतर काम हुआ है। pic.twitter.com/qrON1W6XkO
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2023