Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মধ্যপ্রদেশের বিনা-তে ৫০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

মধ্যপ্রদেশের বিনা-তে ৫০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি,  ১৪  সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মধ্যপ্রদেশের বিনাতে ৫০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল)এর বিনা শোধনাগারে পেট্রো কেমিক্যাল কমপ্লেক্স প্রকল্প। ৪৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এটি তৈরি করা হবে। নর্মদা পূরণ জেলায় একটি বিদ্যুৎ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রস্ততকারক অঞ্চল, ইন্দোর-এ দুটি আইটি পার্ক, রথলম-এ একটি মেগা শিল্পপার্ক এবং মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ৬টি নতুন শিল্পক্ষেত্র তৈরি করা হবে। 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুন্দেলখণ্ড যোদ্ধাদের ভূমি। তিনি এক মাসের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের সাগর সফরের কথা উল্লেখ করেন এবং এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সন্ত রবিদাস জি’র স্মরণে যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছিল সেখানে যোগদানের কথাও স্মরণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন শক্তি যোগাবে। এই প্রকল্পগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অর্থ অনেক রাজ্যের বাজেটের থেকেও বেশি। “মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক এটি” বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আজাদি কা অমৃতকালে দেশের প্রত্যেক নাগরিক ভারতকে উন্নত দেশে পরিবর্তন করার শপথ নিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমদানি কমানো বিশেষ জরুরি। পেট্রোল, ডিজেল এবং পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের জন্য বিদেশের ওপর ভারতের নির্ভরশীলতা উল্লেখ করেন তিনি। বিনা শোধনাগারে পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্সের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি তৈরি হলে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। তিনি পাইপ, কল, আসবাবপত্র, গাড়ির যন্ত্রাংশ, চিকিৎসা সামগ্রী, প্যাকেট করার সামগ্রী এবং কৃষি সামগ্রীর উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই পণ্যগুলি তৈরিতে পেট্রোকেমিক্যালের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। 

শ্রী মোদী বলেন, “বিনা শোধনাগারের পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স এই অঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা নেবে।” এখানে শুধুমাত্র নতুন শিল্প গড়ে উঠবে তাই নয়, ক্ষুদ্র চাষি এবং উদ্যোগপতিরাও লাভবান হবেন। যুবক-যুবতীদের জন্য হাজার হাজার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রের গুরুত্ব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ১০টি নতুন শিল্প প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। নর্মদা পূরণ, ইন্দোর এবং রথলাম-এই প্রকল্পগুলি মধ্যপ্রদেশের শিল্প ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করবে এবং এর সুফল লাভ করবেন সকলে।

যেকোন দেশ বা রাজ্যের উন্নয়নে দুর্নীতিমুক্ত শাসন ব্যবস্থা ও স্বচ্ছতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন একটি সময় ছিল যখন মধ্যপ্রদেশকে দেশের অন্যতম দুর্বল ও ভঙ্গুর রাজ্য হিসেবে গণ্য করা হত। “দশকের পর দশক ধরে যারা মধ্যপ্রদেশ শাসন করেছেন তাঁরা দুর্নীতি ও অপরাধ ছাড়া আর কিছুই দেননি”- বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে অপরাধীরা কীভাবে ঘুরে বেড়াত সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, এই পরিস্থিতির জন্যই রাজ্যে এতদিন কোনও শিল্প ছিল না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। এই সরকারের সাফল্যের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনর্বহাল থেকে শুরু করে মানুষের মনের ভয় দূর করা, নতুন সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ-এর মতো কাজ দ্রুত গতিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রাজ্যে সদর্থক পরিবেশ গড়ে তুলেছে। যার ফলে বর্তমানে বড় শিল্পসংস্থাগুলি এই রাজ্যে তাদের কারখানা গড়ে তুলতে প্রস্তুত। আগামী কয়েক বছরে মধ্যপ্রদেশ শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রেও নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে নতুন ভারত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ‘সবকা প্রয়াস’-এর সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে চলার পাশাপাশি দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য তিনি যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তার উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, “ভারত দাসত্বের মানসিকতাকে পিছনে ফেলে বর্তমানে স্বাধীনতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।” সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া জি২০র সময়ে এটি যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সকলে এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ভারতের সাফল্যে সকলেই গর্ব অনুভব করছেন। জি২০ এই অভূতপূর্ব সাফল্যের কৃতিত্ব দেশবাসীকে দেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, “এটি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সাফল্য।” তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলি বিদেশ থেকে প্রতিনিধিদের সামনে ভারতের বৈচিত্র ও ক্ষমতাকে দারুণভাবে তুলে ধরেছে। খাজুরাহো, ইন্দোর এবং ভূপাল-এ জি২০ কর্মসূচির প্রভাবের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এর মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের চোখে মধ্যপ্রদেশ সম্পর্কে ধারণা উন্নত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে নতুন ভারত সমগ্র বিশ্বকে একত্রিত করার বিশেষ ক্ষমতা দেখাচ্ছে এবং বিশ্বমিত্র হয়ে উঠছে। অন্যদিকে এমন কিছু সংস্থা রয়েছে যারা দেশ এবং সমাজকে বিভক্ত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি গড়ে ওঠা জোট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের নীতি কেবলমাত্র ভারতের মূল্যবোধকে আক্রমণ করার মধ্যে এবং হাজার হাজার বছর পুরনো নীতি ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার মধ্যে সীমাবদ্ধ। নব গঠিত জোট সনাতনকে বিলুপ্ত করতে চায় বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সমাজসেবার মাধ্যমে দেশের বিশ্বাস রক্ষাকারী দেবী অহল্যাবাই হোলকার, ব্রিটিশকে চ্যালেঞ্জ জানানো ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাই এবং ভগবান শ্রী রাম থেকে উদ্বুদ্ধ হওয়া অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা মহাত্মা গান্ধী, সমাজের বিভিন্ন খারাপ দিক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা স্বামী বিবেকানন্দ ভারত মাতাকে রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণকারী লোকমান্য তিলক-এর কথা স্মরণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সনাতন-এর ক্ষমতা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। যারা এই সনাতনকে ভাঙতে চায় তাদের সতর্ক করে দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, দেশের জনগণ একত্রিতভাবে এই ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করবেন। 

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সরকার জনসেবার জন্য দেশের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারের মূল মন্ত্র হচ্ছে পিছিয়ে পড়া মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া। অতিমারীর সময় যেভাবে ৮০ কোটি জনগণকে বিনামূল্যে রেশন দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে সে কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলে মধ্যপ্রদেশ বর্তমানে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারের জীবনযাত্রা সহজ হয়েছে, প্রতিটি বাড়িতে এসেছে সমৃদ্ধি। এটি মোদীর প্রতিশ্রুতির এক অনন্য উদাহরণ।” তিনি বলেন, এই রাজ্যে দরিদ্র জনগণের জন্য ৪০ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। শৌচাগার নির্মাণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘরের প্রতিশ্রুতিও পূরণ হয়েছে। রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাপ্রাপ্ত বোনেরা এখন ৪০০ টাকা কমে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পারছেন।” তিনি আরও বলেন, “গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের আরও ৭৫ লক্ষ বোনকে বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। কোনোও বোনই যেন গ্যাস সংযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সরকার প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। মধ্যসত্ত্বভোগীদের দূরে সরিয়ে সুবিধাভোগীদের সম্পূর্ণ সুবিধা পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি-এর উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই প্রকল্পে সুবিধাভোগী কৃষকরা সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৮ হাজার কোটি টাকা করে পাচ্ছেন। এই প্রকল্প সরকার ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

শ্রী মোদী বলেন, বিগত ৯ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের ব্যয় কমানোর জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে সার সস্তা করা হয়েছে। এজন্য ৯ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমেরিকার কৃষকদের কাছে এক ব্যাগ ইউরিয়া সারের মূল্য ৩ হাজার টাকা যা ভারতীয় কৃষকের কাছে ৩০০ টাকারও কম মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ইউরিয়া কেলেঙ্কারী হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সরকারের আমলে সর্বত্রই একই ইউরিয়া সার সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বুন্দেলখন্ডের থেকে ভালো সেচের গুরুত্ব আর কেই বা জানেন।” বুন্দেলখন্ডের সেচ প্রকল্পের জন্য ডাবল ইঞ্জিন সরকার যে কাজ করেছে সেদিকেও বিশেষ জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কেন বেতুয়া যোগাযোগকারী ক্যানেলের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন বুন্দেলখন্ড সহ এই অঞ্চলের অনেক জেলার কৃষক এ থেকে উপকৃত হয়েছেন। প্রতি বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়ে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ৪ বছরে সারা দেশে প্রায় ১০ কোটি বাড়িতে নতুন করে নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ৬৫ লক্ষ পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন। “বুন্দেলখণ্ডে অটল ভূ-জল প্রকল্পের আওতায় নতুন করে জলাধার তৈরির কাজ চলছে” বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এই অঞ্চলের উন্নয়নে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৫ অক্টোবর উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে রানী দুর্গাবতীর ৫০০তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।

বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের এই প্রচেষ্টা থেকে দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণী, আদিবাসী শ্রেণীর জনগণ বেশি উপকৃত হচ্ছেন। “‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জনগণের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়ার মডেলটি এখন সমগ্র বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে” বলে মন্তব্য করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এখন ভারত এগিয়ে চলেছে। “ভারতকে প্রথম তিনের মধ্যে পৌঁছে দিতে মধ্যপ্রদেশ বড় ভূমিকা নেবে” বলে মন্তব্য করেন তিনি। দেশের কৃষক, শিল্পক্ষেত্র ও যুবক-যুবতীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই প্রকল্পগুলি এই রাজ্যের উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরাণ্বিত করবে বলেই তার আশা। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ বছরে মধ্যপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী সহ অন্যরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রেক্ষাপট

ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড-এর বিনা শোধনাগারে পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তা মধ্যপ্রদেশ শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ৪৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যে তৈরি হওয়া এই পেট্রো কেমিক্যাল কমপ্লেক্স প্রতি বছর ১ হাজার ২০০ কিলো টন ইথিলিন এবং প্রপাইলিন তৈরি করবে। বস্ত্র, ফার্মা ও প্যাকেজিং ক্ষেত্রে যা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে এই প্রকল্প বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে নর্মদাপূরম জেলায় একটি বিদ্যুৎ ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ম্যানুফ্যাকচারিং অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। ৪৬০ কোটি টাকা মূল্যে এটি তৈরি হবে। এছাড়া ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্দোরে তৈরি হবে আইটি পার্ক ৩ এবং ৪। 

৪৬০ কোটি টাকা বেশি মূল্যে রতলম-এ মেগা শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হবে। এটি বস্ত্র, অটোমোবাইল এবং ফার্মা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এই পার্কটি। এর ফলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক গতি আসবে। যুবক-যুবতীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কাজের সুযোগ বাড়বে। 

সুসংহত আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাজাপুর, গুনা, মৌগঞ্জ, আগরমালওয়া, নর্মদাপূরণ এবং মাকসি-তে ৬টি নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে।

AC/PM/NS