Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে কেন-বেতওয়া নদী সংযুক্তিকরণ জাতীয় প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে কেন-বেতওয়া নদী সংযুক্তিকরণ জাতীয় প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন  প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী


নতুন দিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

 

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেছেন। বড়দিন উপলক্ষ্যে ভারত তথা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজনকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ সরকার একবছর পূর্ণ করেছে। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, গত এক বছরে রাজ্যে দ্রুত গতিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকার পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ঐতিহাসিক কেন-বেতওয়া নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্প দাউধন বাঁধ এবং মধ্যপ্রদেশের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প – ওঙ্কারেশ্বর ভাসমান সৌর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য তিনি মধ্যপ্রদেশের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানান।

ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজকের দিনটিকে এক অসাধারণ প্রেরণামূলক দিন হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সুশাসন উৎসবেরও দিন। ভালো পরিষেবা আমাদের সবাইকে অনুপ্রেরণা দেয়। স্মারক ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্রকাশের সময়ে শ্রী বাজপেয়ীকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বছরের পর বছর ধরে শ্রী বাজপেয়ী তাঁর মতো অনেক সেনাকে তৈরি করেছেন, তাঁদের লালন-পালন করেছেন। জাতির উন্নয়নে অটলজীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শ্রী মোদী বলেন, আজ থেকেই ১১০০-রও বেশি অটল গ্রাম সুশাসন সদন গড়ে তোলার কাজ শুরু হলো। এজন্য প্রথম দফার অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। এই সেবাসদনগুলি গ্রামের উন্নয়নের চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুশাসন কোনো একদিনের বিষয় নয়, “সুশাসন আমাদের সরকারের পরিচয়।” কেন্দ্রে টানা তিনবার এবং মধ্যপ্রদেশে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুশাসনের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর উন্নয়ন, জনকল্যাণ ও সুশাসনের মাপকাঠিতে দেশের মূল্যায়ন করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, তাঁর সরকার যখনই মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে, তখনই উন্নয়ন ও জনকল্যাণ সুনিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, “যদি নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে আমাদের মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে সারা দেশ দেখতে পাবে আমরা সাধারণ মানুষের প্রতি কতটা নিবেদিত।” তিনি বলেন, যে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেশের জন্য রক্ত ঝরিয়েছিলেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল ভালো প্রকল্প প্রণয়ন করলেই সুশাসন নিশ্চিত করা যায় না, সেগুলির বাস্তবায়ন করা দরকার। সরকারি প্রকল্প মানুষের কতটা উপকারে এলো তাই দিয়েই সুশাসনের পরিমাপ করা যায়। তিনি বলেন, আগের সরকারগুলির আমলে প্রকল্পের পর প্রকল্প ঘোষণা করা হতো কিন্তু সেগুলি রূপায়ণের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা না থাকায় তার সুফল মানুষের কাছে পৌঁছতো না। পিএম কিষাণ সম্মান নিধির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রকল্পে মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা ১২,০০০ টাকা করে পেয়েছেন। জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ফলে এই টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের লাডলি বহেনা যোজনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধার ও মোবাইল নম্বরের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংযোগ না থাকলে এই প্রকল্প রূপায়ণ করাই সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, সস্তার রেশন প্রকল্প আগেও ছিল, কিন্তু গরিব মানুষ তাঁদের রেশন পেতেন না। তবে, আজ দরিদ্র মানুষজন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে বিনামূল্যে রেশন পান। প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং এক জাতি এক রেশন কার্ডের মতো উদ্যোগের ফলে জালিয়াতি দূর হয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, সুশাসনের অর্থ হলো নাগরিকদের নিজেদের অধিকার লাভের জন্য সরকারের কাছে ভিক্ষা করতে হবে না, বা সরকারি অফিসে ঘুরে বেড়াতে হবে না। তিনি বলেন, তাঁদের সরকারের নীতি হলো ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীকে ১০০ শতাংশ সুবিধার সঙ্গে সংযুক্ত করা। এটাই তাঁদের সরকারকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দিয়েছে। সারা দেশ এটি দেখেছে এবং সেজন্যই তাদের বার বার মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। 

সুশাসন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ উভয় ধরণের চ্যালেঞ্জেরই মোকাবিলা করে বলে মন্তব্য ক’রে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকারগুলির অপশাসনের জন্য দশকের পর দশক ধরে বুন্দেলখণ্ডের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বুন্দেলখণ্ডের কৃষক ও মহিলারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একফোঁটা জলের জন্য হাহাকার করেছেন। অথচ পূর্ববর্তী সরকারগুলি জল সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের কথা ভাবেনি। 

শ্রী মোদী বলেন, ড. বি.আর. আম্বেদকর প্রথম ভারতের ক্ষেত্রে নদী জলের গুরুত্ব অনুভব করেছিলেন। ড. আম্বেদকরের ভাবনাতেই বড় বড় নদী প্রকল্পগুলি তৈরি হয়েছিল, জাতীয় জল কমিশনও গঠিত হয় তাঁরই প্রয়াসে। পূর্ববর্তী সরকারগুলি জল সংরক্ষণ এবং বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পের জন্য ড. আম্বেদকরের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়নি বলে তিনি ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। স্বাধীনতার ৭ দশক পরেও ভারতের বহু রাজ্যের মধ্যে নদীজল সংক্রান্ত বিরোধ থাকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারগুলির সদিচ্ছার অভাব ও অপশাসনের জন্যই এই বিষয়ে কোনো স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রী বাজপেয়ীর সরকারই প্রথম জল সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করে, কিন্তু ২০০৪ সালের পর সেগুলি নিয়ে আর এগনো হয়নি। তাঁর সরকার এখন দেশজুড়ে নদীগুলিকে সংযুক্ত করার অভিযানে গতি আনছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, কেন-বেতওয়া সংযুক্তিকরণ প্রকল্প এবারে বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে, এর ফলে বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে সুখ ও সমৃদ্ধির নতুন দুয়ার খুলে যাবে। এর ফলে, ছাতারপুর, টিকমগড়, নিউয়ারি, পান্না, দামোহ এবং সাগরের মতো মধ্যপ্রদেশের ১০টি জেলায় জল সেচের সুবিধা পৌঁছবে। উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের বান্দা, মাহোবা, ললিতপুর এবং ঝাঁসির মতো জেলাগুলিও এর থেকে উপকৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রদেশ দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে নদী সংযুক্তিকরণের দুটি বৃহৎ প্রকল্পের সূচনা করেছে। তাঁর সাম্প্রতিক রাজস্থান সফরের সময়ে পার্বতী-কালিসিন্ধ-চম্বল এবং কেন-বেতওয়া সংযুক্তিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন নদীর সংযোগসাধন চূড়ান্ত করা হয় বলে তিনি জানান।

শ্রী মোদী বলেন, জল নিরাপত্তা একবিংশ শতকের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। যেসব দেশ এবং অঞ্চলে পর্যাপ্ত জল রয়েছে তারাই উন্নতি করবে, কারণ কৃষি ও শিল্পের জন্য জল অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর রাজ্য গুজরাটের বেশিরভাগ এলাকাই বছরের অনেকটা সময় ধরে খরার কবলে থাকায় জলের গুরুত্ব বুঝতে তাঁর দেরি হয়নি। মধ্যপ্রদেশের নর্মদা নদী গুজরাটের ভাগ্য বদলে দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশের খরাপ্রবণ এলাগুলিকে জল সঙ্কট থেকে মুক্ত করা তাঁর দায়িত্ব। তিনি এই বিষয়ে বুন্দেলখণ্ডের মানুষ বিশেষত কৃষক ও মহিলাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, বুন্দেলখণ্ডের জন্য ৪৫ হাজার কোটি টাকার একটি জল সংক্রান্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের তাঁদের সরকার এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই ফলস্বরূপ কেন-বেতওয়া সংযুক্তিকরণ প্রকল্পের আওতায় আজ দাউধন বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা সম্ভব হলো। এই বাঁধ কয়েকশো কিলোমিটার দীর্ঘ খালের মাধ্যমে ১১ লক্ষ হেক্টর জমিতে জল পৌঁছে দেবে।

শ্রী মোদী বলেন, গত দশকটি ভারতের ইতিহাসে জল সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের এক অভূতপূর্ব দশক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আগের সরকারগুলি জল সংক্রান্ত দায়িত্ব বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর সরকার জল নিয়ে পৃথক জলশক্তি মন্ত্রক গঠন করেছে। এই প্রথম, প্রতিটি পরিবারে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতীয় মিশনের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর সাত দশকে মাত্র ৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত জল পৌঁছেছিল। অথচ মাত্র পাঁচ বছরে তাঁরা ১২ কোটি নতুন পরিবারে জলের সংযোগ দিয়েছেন। এজন্য সাড়ে তিন লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জল জীবন মিশনের আরেকটি দিক হলো জলের গুণমান পরীক্ষা করা, অথচ এই নিয়ে কেউ বিশেষ কথা বলেন না। তিনি বলেন, দেশজুড়ে জলের গুণমান পরীক্ষার জন্য ২ হাজার ১০০টি পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে। গ্রামগুলিতে পানীয় জলের গুণমান পরীক্ষা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ২৫ লক্ষ মহিলাকে। এর ফলে, হাজার হাজার গ্রামের মানুষ দূষিত জল পান করার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত হয়েছেন। শিশু এবং গ্রামবাসীরা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪ সালের আগে থেকে দেশে প্রায় ১০০টি বড় সেচ প্রকল্পের কাজ দশকের পর দশক ধরে বকেয়া পড়েছিল। তাঁর সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্পগুলি সম্পন্ন করেছে। গত ১০ বছরে প্রায় ১ কোটি হেক্টর জমি মাইক্রো সেচ সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ৫ লক্ষ হেক্টর জমিও রয়েছে। প্রতি বিন্দু জলকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় ৭৫টি করে অমৃত সরোবর তৈরির প্রচার চলছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই দেশে ৬০ হাজারের বেশি অমৃত সরোবর তৈরি হয়ে গেছে। জলশক্তি অভিযান এবং বৃ্ষ্টি ধরো প্রচারাভিযানের আওতায় দেশজুড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি রিচার্জ কূপ নির্মাণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষই এইসব অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মধ্যপ্রদেশ সহ যেসব রাজ্যে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নীচে নেমে গেছে, সেখানে অটল ভূজল যোজনা রূপায়ন করা হচ্ছে।

শ্রী মোদী বলেন, মধ্যপ্রদেশ বরাবরই পর্যটন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি এমন এক ক্ষেত্র যা যুব সমাজকে কর্মসংস্থান দেয় এবং দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে চলেছে, সেজন্য ভারতকে ঘিরে সারা বিশ্বের কৌতূহল বাড়ছে। বিশ্ব, ভারত সম্পর্কে জানতে চায়, ভারতকে অনুভব করতে চায়। মধ্যপ্রদেশ এথেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে। একটি মার্কিন সংবাদপত্রের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানকার একটি প্রতিবেদনে মধ্যপ্রদেশকে বিশ্বের সব থেকে আকর্ষণীয় ১০টি পর্যটন গন্তব্যের অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ভ্রমণ সহজ করতে কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। বিদেশী পর্যটকদের জন্য ই-ভিসা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ঐতিহ্য এবং বন্যপ্রাণ পর্যটন আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাজুরাহো অঞ্চল ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে কান্ডারিয়া মহাদেব, লক্ষ্মণ মন্দির এবং চৌসাথ যোগিনী মন্দিরের মতো স্থান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে পর্যটনের প্রসারের জন্য দেশজুড়ে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। একটি বৈঠক খাজুরাহোতেও হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের আওতায় মধ্যপ্রদেশে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের প্রসার এবং পর্যটকদের জন্য নতুন সুযোগ সুবিধা তৈরিতে কয়েকশো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সাঁচি ও অন্য বৌদ্ধ স্থানগুলিকে বৌদ্ধ সার্কিটের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। গান্ধী সাগর, ওঙ্কারেশ্বর বাঁধ, ইন্দিরা সাগর বাঁধ, ভেদাঘাট এবং বনসাগর বাঁধকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব পর্যটন সার্কিটে। খাজুরাহো, গোয়ালিয়র, অরচা, চান্দেরি এবং মান্ডু-কে ঐতিহ্য সার্কিটের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। বন্যপ্রাণ সার্কিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পান্না জাতীয় উদ্যানকে। গত বছর প্রায় আড়াই লক্ষ পর্যটক পান্না ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের প্রসার হলে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতি হবে। পর্যটকরা স্থানীয় পণ্য কিনবেন, অটো ও ট্যাক্সি পরিষেবা ব্যবহার করবেন, হোটেল, ধাবা, হোমস্টে এবং গেস্ট হাউজগুলির রোজগারও বাড়বে। কৃষকরাও তাঁদের তৈরি দুধ, দই, ফলমূল ও শাকসব্জির ভালো দাম পাবেন।

বিগত দুই দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য মধ্যপ্রদেশের প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন, আগামী কয়েক দশকে মধ্যপ্রদেশ দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিগুলির একটি হয়ে উঠবে, বুন্দেলখণ্ড সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উন্নত ভারতে মধ্যপ্রদেশকে উন্নত রাজ্যে পরিণত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একযোগে আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন।

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মাঙ্গুভাই সি প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী ড. মোহন যাদব, কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী শ্রী বীরেন্দ্র কুমার, জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী সি আর পাতিল প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

PG/SD/SKD