Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ভুবনেশ্বরে ‘উৎকর্ষ ওড়িশা’- মেক ইন ওড়িশা কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

ভুবনেশ্বরে ‘উৎকর্ষ ওড়িশা’- মেক ইন ওড়িশা কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নতুন দিল্লি, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

 

জয় জগন্নাথ! 

ওড়িশার রাজ্যপাল শ্রী হরি বাবু, এখানকার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন চরণ মাঝি জি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীগণ, ওড়িশা সরকারের মন্ত্রীগণ, সাংসদ, বিধায়কগণ, শিল্প বাণিজ্য মহলের শীর্ষস্থানীয় উদ্যোগপতিগণ এবং আমার প্রিয় ওড়িশার ভাই ও বোনেরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন। 

জানুয়ারি মাসে অর্থাৎ ২০২৫-এর শুরুতে এটা আমার দ্বিতীয় ওড়িশা সফর। এই তো কদিন আগে আমি এখানে প্রবাসী ভারতীয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। এখন আজ আমি উৎকর্ষ ওড়িশা কনক্লেভে আপনাদের সঙ্গে। আমাকে বলা হয়েছে এটাই ওড়িশায় সব চেয়ে বড় বাণিজ্য সম্মেলন। আগের তুলনায় পাঁচ ছয় গুণ বেশি বিনিয়োগকারী এতে অংশ নিচ্ছেন। আমি ওড়িশার মানুষ, ওড়িশা সরকারকে এই সুন্দর অনুষ্ঠানের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমি আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই এই অনুষ্ঠানে। 

বন্ধুগণ, 

আমি মনে করি পূর্ব ভারত দেশের উন্নয়নে চালিকাশক্তি। এবং তাতে ওড়িশার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ইতিহাস সাক্ষী যখন ভারত, ভারতের একটা বড় ভাগীদারি ছিল আন্তর্জাতিক উন্নয়নে, পূর্ব ভারতের একটা উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। পূর্ব ভারতে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পতালুক, বন্দর, বাণিজ্য তালুক ছিল এবং তাতে ওড়িশার একটা বড় ভাগ ছিল। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে ওড়িশা ছিল প্রধান কেন্দ্র। প্রাচীন বন্দরগুলি ছিল এখানে যা একরকম ভারতে ঢোকার প্রবেশদ্বার। এমনকি, আজও ওড়িশায় প্রতি বছর বালি যাত্রা উদযাপন করা হয়। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন এবং তিনি এও বললেন হয় তো তাঁর ডিএনএ-তে ওড়িশা আছে।

বন্ধুগণ, 

ওড়িশা সেই ঐতিহ্য বহন করছে, যা ওড়িশাকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই একবিংশ শতাব্দীতে ওড়িশা তার উজ্জ্বল পরম্পরার পুনরুজ্জীবন ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ওড়িশা সফর করেছেন। সিঙ্গাপুর ওড়িশার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত উত্তেজিত। আসিয়ান দেশগুলি ওড়িশার সঙ্গে বাণিজ্য এবং ঐতিহ্যের সংযোগকে শক্তিশালী করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আজ এই অঞ্চলে সম্ভাবনার অনেক দরজা খুলে গেছে, যা স্বাধীনতার পর থেকে কখনও হয়নি। এখানে উপস্থিত প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে আমি আরও একবার বলছি যা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন – এটাই সময়, এটাই সঠিক সময়। ওড়িশার এই উন্নয়নের যাত্রায় আপনাদের লগ্নি সাফল্যের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে, এটা মোদীর গ্যারান্টি। 

বন্ধুগণ, 

আজ ভারত উন্নয়নের এমন পথে এগোচ্ছে যা কোটি কোটি মানুষের প্রত্যাশা দ্বারা চালিত। এটা এআই-এর যুগ। কৃত্রিম মেধা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু ভারতের জন্য এটা শুধুমাত্র এআই নয়, এটা অ্যাসপিরেশন অফ ইন্ডিয়া, আমাদের শক্তি এবং প্রত্যাশা তখনই বাড়ে যখন মানুষের প্রয়োজন মিটে যায়। আজ দেশ দেখতে পাচ্ছে গত দশকে কোটি কোটি দেশবাসীর ক্ষমতায়নের উপকারিতা। ওড়িশাও এই প্রত্যাশার অঙ্গ। ওড়িশা অনুপম, ওড়িশা আশা এবং নতুন ভারতের প্রকৃত সত্তার প্রতীক। ওড়িশায় অনেক সুযোগ আছে। এখানকার মানুষ সময়ে সময়ে তাঁদের কাজের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে গুজরাটে ওড়িশা থেকে আগত মানুষের দক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম এবং সততার সাক্ষী থেকেছি। সেই জন্য আজ ওড়িশায় যখন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ওড়িশা খুব শীঘ্রই উন্নয়নের এমন উচ্চতায় পৌঁছোবে যা কেউ কখন ভাবতে পারেনি। আমি খুশি মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির গোটা দলই ওড়িশার উন্নয়নে গতি আনতে তৎপর। ওড়িশা ভারতের মধ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পেট্রোকেমিক্যাল, বন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়ন, মৎস্যশিল্প, আইটি, শিক্ষাপ্রযুক্তি, বস্ত্র, পর্যটন, খনি, স্বচ্ছ শক্তির মতো প্রত্যেকটি শিল্পে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজ্য হয়ে উঠবে। 

বন্ধুগণ, 

আজ ভারত বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়েছে। ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির মাইলফলক খুব দূরে নয়। গত দশকে ভারতে উৎপাদন শিল্পের শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে। ভারতের অর্থনীতির প্রসারে দুটি প্রধান স্তম্ভ, একটি আমাদের উদ্ভাবন পরিষেবা ক্ষেত্র এবং আর একটি ভারতের গুণমানসম্পন্ন পণ্য। দেশের দ্রুত অগ্রগতি শুধুমাত্র কাঁচামাল রপ্তানির ওপর নির্ভর করে সম্ভব নয়। সেই কারণে, আমরা সমগ্র পরিমণ্ডলটির পরিবর্তন ঘটাচ্ছি। নতুন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এখান থেকে খনিজ উত্তোলন করে এবং তা বিশ্বের অন্য দেশে রপ্তানি করার একটা ধারা ছিল। সেখানে যুক্ত হতো নতুন মূল্য। নতুন একটি পণ্য তৈরি করা হতো এবং তা ভারতে ফিরে আসতো, এটা মোদীর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত এখন সেই ধারার পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এখানকার সমুদ্র থেকে সমুদ্রজাত খাবার তোলা হচ্ছে, সেটা বিদেশের অন্য কোন দেশে প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে এবং বাজারে পৌঁছোচ্ছে। ভারত এই ধারারও পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। আমাদের সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে, যেখানে ওড়িশায় প্রাপ্ত সম্পদ সংক্রান্ত শিল্প স্থাপন করা হবে। আজকের উৎকর্ষ ওড়িশা কনক্লেভ সেই স্বপ্ন পূরণ করার একটি মাধ্যম। 

বন্ধুগণ, 

আজ বিশ্ব সুস্থায়ী জীবনশৈলী নিয়ে আলোচনা করছে, স্বচ্ছ ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে। আজ স্বচ্ছ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও অনেক বেড়েছে। আমাদের সময়ের প্রয়োজন ও চাহিদার সঙ্গে নিজেদের পাল্টাতে হবে, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। এই ভাবনা নিয়ে ভারত জোর দিচ্ছে গ্রিন ফিউচার, গ্রিন টেকের ওপর। সেটা সৌরশক্তি হোক বা বায়ুশক্তি, হাইড্রো, গ্রিন হাইড্রোজেন – এই সবই উন্নত ভারতের শক্তি নিরাপত্তাকে জোরদার করছে। ওড়িশায় এগুলির অনেক সম্ভাবনা আছে। আজ দেশে আমরা জাতীয় স্তরে গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন ও সোলার পাওয়ার মিশন শুরু করেছি। ওড়িশাতেও বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত শিল্পের প্রসারে। হাইড্রোজেন এনার্জি উৎপাদনে এখানে অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ, 

গ্রিন এনার্জির পাশাপাশি ওড়িশায় পেট্রোকেমিক্যাল এবং পেট্রোকেমিক্যাল ক্ষেত্রের প্রসারে কাজ চলছে। পারাদ্বীপ এবং গোপালপুরে শিল্প পার্ক এবং বিনিয়োগ অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে লগ্নির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমি ওড়িশা সরকারকে অভিনন্দন জানাতে চাই যে তারা ওড়িশার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্ভাবনা দেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং নতুন পরিমণ্ডল গড়ে তুলছে। 

বন্ধুগণ, 

একবিংশ শতাব্দীর ভারতের জন্য এটা সংযুক্ত পরিকাঠামো, বহুমুখী সংযোগের যুগ। ভারতে আজ যে হারে এবং দ্রুততার সঙ্গে বিশেষ ধরনের পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে, তাতে ভারত লগ্নির জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলকে যুক্ত করা হয়েছে ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরের মাধ্যমে। দেশের একটি বড় অংশ যা চারপাশে ভূমি দ্বারা রুদ্ধ তারও সাগরের সঙ্গে সহজে সংযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ এমন ধরনের ডজন ডজন শিল্প শহর তৈরি হচ্ছে দেশে যেখানে সহজে কাজ শুরু করার সবরকম সুবিধা আছে। ওড়িশাতেও একই ধরনের সম্ভাবনা আছে। কয়েক হাজার কোটি টাকার রেল এবং জাতীয় সড়ক সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ চলছে এখানে। ওড়িশায় শিল্পের লজিস্টিক খরচ কমাতে সরকার এখানে বন্দরগুলির সঙ্গে শিল্প তালুকের সংযোগ ঘটাচ্ছে। পুরোনো বন্দরের সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন বন্দরও তৈরি করা হচ্ছে এখানে। অর্থাৎ নীল অর্থনীতিতেও ওড়িশা দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজ্য হয়ে উঠতে চলেছে। 

বন্ধুগণ, 

সরকারের এই সব প্রয়াসের মধ্যে আমার কিছু অনুরোধ রয়েছে আপনাদের কাছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল সংক্রান্ত কিছু সমস্যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। ভারত বিচ্ছিন্ন সরবরাহ শৃঙ্খল এবং আমদানি ভিত্তিক সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর বেশি নির্ভর করতে পারে না। ভারতে আমাদের নিজেদের একটি শক্তিশালী সরবরাহ এবং মূল্যশৃঙ্খল তৈরি করতে হবে, যার ওপর আন্তর্জাতিক ওঠা-নামার প্রভাব কম পড়বে। এটা সরকারের পাশাপাশি শিল্পমহলেও একটি বড় দায়িত্ব। সেই জন্য আপনারা যে শিল্পের সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন এর সঙ্গে যুক্ত এমএসএমই-গুলিকে সাহায্য করুন, তাদের হাত ধরুন, যতটা সম্ভব বেশি তরুণ স্টার্টআপদের সাহায্য করা উচিত। 

বন্ধুগণ, 

বর্তমানে কোন শিল্পই নতুন প্রযুক্তি ছাড়া বাড়তে পারে না। এই পরিস্থিতিতে গবেষণা ও উদ্ভাবন অত্যন্ত জরুরী। দেশে গবেষণা সংক্রান্ত একটি প্রাণবন্ত পরিমণ্ডল গড়ে তুলছে সরকার। এর জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইন্টার্নশিপ এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে। এতেও প্রত্যেকেই চায়, শিল্প খোলাখুলি এগিয়ে এসে সরকারকে সাহায্য করুক। ভারতের গবেষণা পরিমণ্ডল যত বড় এবং ভালো হবে আমাদের শিল্প সরাসরি উপকৃত হবে। শিল্পমহল এবং ওড়িশা সরকারের সকলকে আমার অনুরোধ এখানে একটা আধুনিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলুন একসঙ্গে মিলে। এমন একটা পরিমণ্ডল যা ওড়িশার প্রত্যাশার সঙ্গে মেলে এবং এখানকার তরুণদের সামনে নতুন নতুন সুযোগ এনে দেয়। এতে ওড়িশার তরুণ সমাজ এখানে আরও অনেক বেশি কাজের সুযোগ পাবে। ওড়িশার প্রগতি হবে, ওড়িশার ক্ষমতায়ন হবে, ওড়িশার সমৃদ্ধি ঘটবে। 

বন্ধুগণ, 

আপনারা সকলেই বিদেশে বেড়াতে যান। সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। আপনারা বুঝতে পারবেন সব জায়গায় ভারতকে জানার বোঝার জন্য একটা আগ্রহ আছে। ভারতকে জানার একটা বড় গন্তব্য ওড়িশা। এখানে হাজার বছরের ঐতিহ্য আছে। ইতিহাস, বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতা, গভীর অরণ্য, পর্বত, সমুদ্র সব দেখা যায় এক জায়গায়। এই রাজ্যটি উন্নয়ন এবং ঐতিহ্যের একটি চমৎকার আদর্শ। এই ভাব নিয়ে আমরা ওড়িশায় জি-২০-র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। জি-২০-র প্রধান অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে কোণারক সূর্য মন্দির পরিদর্শন রেখেছিলাম। উৎকর্ষ ওড়িশায় আমাদের ওড়িশার পর্যটন সম্ভাবনাও খুঁজে দেখতে হবে। এর ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ উপকূল, ৩৩ শতাংশের বেশি বনাঞ্চল, প্রকৃতি পর্যটনের অসীম সম্ভাবনা, রোমহর্ষক পর্যটন আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে। বর্তমানে ভারতের মূল লক্ষ্য ওয়েড ইন ইন্ডিয়া, আজকের ভারতের মন্ত্র হিল ইন ইন্ডিয়া এবং এই জন্য ওড়িশার প্রকৃতি, এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত সহায়ক। 

বন্ধুগণ, 

আজ ভারতে কনফারেন্স ট্যুরিজম অনেক সম্ভাবনা তৈরি করছে। দিল্লির ভারত মণ্ডপম এবং যশোভূমির মতো অনুষ্ঠানস্থল এর জন্য বড় কেন্দ্র হয়ে উঠছে। ভুবনেশ্বরও একটি ভালো কনভেনশন সেন্টারের সুবিধা পেতে পারে। এই সংক্রান্ত আর একটি নতুন ক্ষেত্র কনসার্ট ইকনমি। এমন একটা দেশ যেখানে সঙ্গীত, নৃত্য, কথকতার প্রাচীন ঐতিহ্য আছে, যেখানে তরুণ সম্প্রদায়ের সংখ্যা অনেক, তারা কনসার্টের বড় শ্রোতা হতে পারে। কনসার্ট ইকনমির অনেক সম্ভাবনা আছে। আপনারা গত ১০ বছরে দেখতে পাচ্ছেন লাইভ ইভেন্টের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বেড়েছে। গত কয়েকদিনে আপনারা নিশ্চিত দেখে থাকবেন মুম্বাই এবং আমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ‘কোল্ডপ্লে কনসার্ট’-এর চমৎকার ছবি। এটাই প্রমাণ ভারতে লাইভ কনসার্টের কত সুযোগ আছে। সারা বিশ্বের বড় বড় শিল্পীরা, এমনকি বড় শিল্পীরা ভারতের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। কনসার্ট ইকনমিও পর্যটন বাড়ায় এবং অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে। আমি রাজ্যগুলি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রকে কনসার্ট অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং দক্ষতার ওপর জোর দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। সে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টই হোক বা শিল্পীদের তৈরি করা, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ব্যবস্থায় সব ক্ষেত্রেই নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। 

বন্ধুগণ, 

আগামী মাসে প্রথম ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল সামিট অর্থাৎ ওয়েভস আয়োজিত হতে চলেছে ভারতে। এটাও একটা বড় অনুষ্ঠান হবে। বিশ্বে ভারতকে সৃষ্টিশীল শক্তি হিসেবে নতুন পরিচিত দেবে। রাজ্যগুলিতে এধরনের অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া রাজস্ব, যে ধারণা তৈরি হবে তাও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এবং ওড়িশাতেও এই ধরনের অনেক সুযোগ আছে। 

বন্ধুগণ, 

উন্নত ভারত গঠনে ওড়িশার বড় ভূমিকা আছে। ওড়িশার মানুষ সমৃদ্ধ ওড়িশা গড়তে শপথ নিয়েছে। এই শপথকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সরকার যথাসম্ভব সাহায্য করছে। ওড়িশা সম্পর্কে আমার ভালোবাসার কথা আপনারা সকলে জানেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রায় ৩০ বার এখানে এসেছি। স্বাধীনতার পর থেকে সব প্রধানমন্ত্রীর মোট সফরের তুলনায় আমি এখানে বেশিবার এসেছি, সে আপনাদের ভালোবাসা। আমি এখানবার বেশিরভাগ জেলাতেই গেছি। ওড়িশার সম্ভাবনার ওপর আমার আস্থা আছে। এখানকার মানুষের ওপর আমার আস্থা আছে। আমার বিশ্বাস আপনাদের সকলের লগ্নি, আপনাদের ব্যবসা এবং ওড়িশার অগ্রগতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। 

আমি আরও একবার ওড়িশার মানুষ এবং ওড়িশার সরকারকে এই চমৎকার অনুষ্ঠানের জন্য অভিনন্দন জানাই, অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে সব মহান মানুষ ওড়িশায় সম্ভাবনার পথ খুঁজছেন, ওড়িশা সরকার এবং ভারত সরকার পূর্ণ শক্তি নিয়ে আপনাদের পাশে আছে। আরও একবার আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা, অসংখ্য ধন্যবাদ। 

(প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে)

 

SC/AP/AS