আজ হলষষ্টী, ভগবান বলরামের জন্মজয়ন্তী।
সমস্ত দেশবাসীকে, বিশেষ করে কৃষক বন্ধুদের এই হলষষ্টী কিংবা হলছট কিংবা দাউ জন্মোৎসবের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা !
এই অত্যন্ত পবিত্র উৎসবে কৃষির সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে উন্নত গুদামীকরণ, আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সংরক্ষণ ব্যবস্থার শৃঙ্খল গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। আর গ্রামগুলিতে অনেক কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ গড়ে উঠবে।
এর পাশাপাশি সারে ৮ কোটি কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পিএম কিষাণ সম্মান নিধি রূপে ১৭ হাজার কোটি টাকা ট্রান্সফার করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই জন্যও আনন্দিত যে এই প্রকল্পের যে লক্ষ্য ছিল তা সম্পূর্ণ হতে চলেছে।
প্রত্যেক কৃষক পরিবারের কাছে সরাসরি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং প্রয়োজনের সময় পৌঁছানো, এই উদ্দেশে এই প্রকল্প সফল হচ্ছে। বিগত দেড় বছরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৫ হাজার কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে গেছে। এরমধ্যে ২২ হাজার কোটি টাকা করোনা প্রতিরোধে লকডাউন শুরু করায় তা কৃষকদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বন্ধুগণ,
কয়েক দশক ধরে এই দাবি এবং আলাপ-আলোচনা চলছিল, যে গ্রামে কেন এই শিল্পোদ্যোগ চালু হয়নি ?
এখন এমন তো নয় যে যদি কোনো শহরে একটি সাবান তৈরির কারখানা চালু হয় তাহলে এর সমস্ত সাবান শুধু শহরেই বিক্রি হবে ? কিন্তু কৃষিতে এখনও পর্যন্ত এমনটাই চলে আসছিল। যেখানে সব্জি চাষ হয় কৃষকরা সেখানকার স্থানীয় বাজারেই সেই সব্জি বিক্রি করতে বাধ্য হন। তেমনি অন্যান্য শিল্পোদ্যোগে দালালদের ভূমিকা যতটা রয়েছে তারথেকে অনেক বেশি কৃষিজ পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে দালালি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই দালালি সমাপ্ত করার দাবি উঠছিল। যদি শিল্পোদ্যোগ বিকাশের জন্য যথাযথ পরিকাঠামো গড়ে ওঠে তাহলে কৃষির জন্যও তেমনি আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে ওঠা প্রয়োজন।
বন্ধুগণ,
এখন আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে কৃষক এবং কৃষির সঙ্গে যুক্ত এই সমস্ত প্রশ্নের সমাধান খোঁজা হচ্ছে। ‘এক দেশ, এক বাজার’ ব্যবস্থাকে যে মিশন নিয়ে বিগত ৭ বছর ধরে কাজ করা হচ্ছে তা এখন সম্পূর্ণ হতে চলেছে। আগে ই-ন্যামের মাধ্যমে একটি প্রযুক্তি ভিত্তিক বড় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এখন আইন প্রণয়ন করে কৃষকদের বাজারের চৌহদ্দি থেকে আর বাজারের কর ব্যবস্থা থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এখন কৃষকের কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে। তাঁরা যদি নিজের ক্ষেতেই নিজের ফলানো ফসল বিক্রি করতে চান, সেটা তাঁরা করতে পারেন। অথবা সরাসরি ওয়্যারহাউস থেকে ই-ন্যামের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে যথোচিত মূল্যের বিনিয়মে কৃষক তাঁর উপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারেন।
একইভাবে আর একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যারফলে কৃষক এখন শিল্পোদ্যোগগুলিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে।
এখন যেমন আলু চাষি চিপ্স নির্মাণকারীদের সঙ্গে, ফল উৎপাদনকারী বা বাগান চাষিরা ফলের রস, মোরব্বা, চাটনি ইত্যাদি উপাদনকারী শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে তাঁদের শিল্পে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এরফলে কৃষকদের ফসল বোনার সময় থেকেই নির্দিষ্ট দাম পাবেন। ফলে তার মূল্যে সম্ভাব্য লোকসান থেকে রেহাই পাবেন।
বন্ধুগণ,
আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে ফসল উৎপাদন কোন সমস্যা নয়, কিন্তু ফসল উৎপাদনের পর উৎপাদিত ফসল নষ্ট হওয়া অনেক বড় সমস্যা। এর ফলে কৃষকেরও লোকসান হয় এবং দেশেরও অনেক লোকসান হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য একদিকে আইনগত কিছু সমস্যা দূর করা হয়েছে, আর অন্যদিকে কৃষকদের সরাসরি সাহায্য করা হচ্ছে। এখন যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনটি আমাদের দেশে ছিল, সেটি চালু করা হয়েছিল যখন দেশে অন্নের আকাল চলছিল। কিন্তু আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অন্ন উৎপাদক দেশ হয়ে ওঠার এতদিন পরেও। সেই আইনটি চালু ছিল। যখন গ্রামগুলিতেই ভাল গুদাম তৈরি করা যায়, তবু আমাদের দেশে কৃষি ভিত্তিক শিল্প উৎসাহিত না হওয়ার পিছনে একটি বড় কারণ ছিল ওই আইনের মধ্যেই নিহিত। কারণ এই আইনকে বারবার অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ীদের ও বিনিয়োগকারীদের ভয় দেখানোর কাজ বেশি হয়েছে। আমরা সম্প্রতি এই ভয়-তন্ত্র থেকে কৃষি ও কৃষির সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যকে মুক্ত করে দিয়েছি। এরপর এখন ব্যবসায়ী ও উদ্যোগপতিরা গ্রামে গুদাম এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থা তৈরি করতে এগিয়ে আসতে পারেন।
বন্ধুগণ,
আজ যে কৃষি পরিকাঠামো তহবিল উদ্বোধন করা হল, এর মাধ্যমে কৃষকরা নিজস্ব স্তরে গ্রামে গুদামীকরণের আধুনিক পরিষেবা গড়ে তুলতে পারবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের কৃষক গোষ্ঠীগুলি, কৃষক সমিতিগুলি, এফপিও- খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলি ওয়্যারহাউস গড়ে তোলার জন্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদামীকরণের জন্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত শিল্প স্থাপনের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকা সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে অর্থ কৃষকদের শিল্পোদ্যোগী করে তুলতে বাণিজ্যিক করে তোলা হবে এতে ৩ শতাংশ ঋণের ছাড়ও দেওয়া হবে। কিছুক্ষণ আগে আমার এমনই কিছু কৃষক সংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছিল যাঁরা অনেক বছর ধরে এই কৃষকদের সাহায্য করছেন । তাঁরা জানিয়েছেন, এই নতুন তহবিল থেকে সারা দেশে এ ধরণের সংগঠনগুলিকে অনেক সাহায্য করা সম্ভব হবে।
বন্ধুগণ,
এই আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে ওঠার ফলে কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপনে অনেক সহায়ক হবে।
আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে প্রত্যেক জেলার বিখ্যাত কৃষি উৎপাদন দেশ এবং বিশ্বের বাজারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বড় প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় গ্রামের কাছেই গুচ্ছ কৃষি শিল্পোদ্যোগ গড়ে তোলা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
এখন আমরা সেই পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলেছি যখন গ্রামের কৃষি শিল্পোদ্যোগগুলি থেকে উৎপন্ন খাদ্য ভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য শহরে যাবে এবং শহর থেকে অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য তৈরি হয়ে গ্রামে পৌঁছাবে। এটাই হল আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সংকল্প, যেজন্য আমাদের মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখন এই প্রশ্ন উঠছে যে কৃষি ভিত্তিক শিল্পোদ্যোগ কারা স্থাপন করবে? কারা চালাবে ? এক্ষেত্রেও অধিকাংশ অংশীদার হবে আমাদের ছোট কৃষকদের বড় সমিতিগুলি। যাদের আমরা এফপিও বলছি ,অথবা যাদের কৃষক উৎপাদক সংঘ বলছি তারাই এগুলি করবে।
সেজন্য বিগত ৭ বছরে এফপিও- কৃষক উৎপাদক সমিতিগুলির একটি বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার অভিযান চালিয়েছি। আগামী বছরগুলিতে এ ধরণের ১০ হাজার এফপিও- কৃষক উৎপাদক সমিতিগুলি যাতে গোটা দেশে গড়ে ওঠে সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
একদিকে এফপিও-গুলির নেটওয়ার্ক কাজ করছে আর অন্যদিকে চাষের সঙ্গে যুক্ত স্টার্ট আপগুলিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিনশো কৃষি স্টার্ট আপকে সাহায্য করা হয়েছে। এই স্টার্ট আপগুলি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’, কৃষির সঙ্গে যুক্ত স্মার্ট সরঞ্জাম নির্মাণ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
বন্ধুগণ,
কৃষকদের সঙ্গে যুক্ত যতো প্রকল্পই থাকুক না কেন, যতো সংস্কারই আনা হোক না কেন তাদের কেন্দ্রে আমাদের ছোট ছোট কৃষকরা রয়েছেন। তাঁরাই ক্ষুদ্র কৃষক যাঁরা সবথেকে বেশি সমস্যায় ভুগছেন। আর এই ছোট কৃষকদের কাছে সরকারি প্রকল্পগুলির লাভ সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারেনা। বিগত ৬-৭ বছরে এই ক্ষুদ্র কৃষকদের পরিস্থিতি বদলানোর একটি প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। ছোট কৃষকদের দেশের কৃষির ক্ষমতায়ণের সঙ্গেও যুক্ত করা হচ্ছে আর তাঁরা নিজেরাও যাতে সশক্ত হয়ে উঠুন সেটাই সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
দু-দিন আগেই দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য একটি অনেক বড় প্রকল্প চালু করা হয়েছে যা ভবিষ্যতে গোটা দেশের সমস্ত মানুষকে অনেক লাভবান করবে। দেশের প্রথম কিষাণ রেল মহারাষ্ট্র ও বিহারের মধ্যে চালু করা হয়েছে।
এখন মহারাষ্ট্রের কমলা, আঙুর, পেঁয়াজ ইত্যাদি অনেক ফল-সব্জি নিয়ে এই ট্রেন রওনা হবে এবং বিহারের মাখানা(ফক্স নাট), লিচু, পান, তাজা শাকসব্জি, মাছ এমনি অনেক কিছু নিয়ে ফিরে আসবে। অর্থাৎ, বিহারের ছোট কৃষকরা মুম্বাই এবং পুনের মতো বড় শহরগুলির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। এই প্রথম রেলের মাধ্যমে ইউপি এবং মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা সরাসরি লাভবান হবেন। কারণ এই ট্রেন সেই দিক দিয়েই যাবে। এই ট্রেনের বৈশিষ্ট্য হল এটি সম্পূর্ণরূপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ এটি একপ্রকার লাইনের ওপর দিয়ে চলতে থাকা একটি চলমান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম।
এর ফলে দুধ, ফল, সব্জি, মাছ, পালং শাক ইত্যাদি দ্রুত বাজারীকরণের ফলে কৃষকদেরতো লাভ হবেই, শহরে বসবাসকারী ভোক্তাদেরও লাভ হবে।
কৃষকদের এই লাভ হবে যে তাদের ফসল স্থানীয় বাজার কিংবা নিকটবর্তী হাটে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য থাকবেন না। ট্রাকে করে ফল, সব্জি ইত্যাদি পরিবহনের সময় যেভাবে নষ্ট হয় তা থেকে মুক্তি পাবে এবং ট্রাকগুলিকে তুলনামূলক কয়েক গুন কম ভাড়া স্থির করতে হবে।
শহরগুলিতে যারা থাকেন তারা এখন ঋতু ভিত্তিক ফসল পাবেন। আর খারাপ আবহাওয়ার কারণে বা অন্য কোন বিপর্যরের সময়ও তাজা ফল-সব্জির কোনও অভাব থাকবেনা। জিনিসের দামও কমবে।
শুধু তাই নয়, এর ফলে গ্রামের কৃষকদের পরিস্থিতিতে আর একটি পরিবর্তন আসবে। এখন দেশের বড় বড় শহরগুলিতে ছোট কৃষকরা পৌঁছে যাচ্ছেন আর তাঁরা অধিক তাজা সব্জি চাষের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবেন। পশুপালন এবং মৎস্যপালনের দিকে উৎসাহিত হবেন। এর ফলে কম জমি থেকেও বেশি আয়ের পথ খুলবে, কর্মসংস্থান আর স্ব-রোজগারের অনেক নতুন সুযোগ খুলবে।
বন্ধুগণ,
এক্ষেত্রে যতই পদক্ষেপ ওঠানো হোক না কেন, এর মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীতে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির ছবি বদলে যাবে। কৃষি থেকে আয় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
সম্প্রতি একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে গ্রামগুলির পাশেই ব্যাপক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গড়ে তুলতে চলেছি।
গ্রাম এবং কৃষক, বিপর্যয়ের সময় দেশকে কিভাবে সম্বল জোগাতে পারেন তা বিগত ৬ মাস ধরে আমরা দেখে আসছি। আমাদের কৃষকরাই এই লকডাউনের সময় দেশে খাদ্য, পাণীয় এবং দ্রব্যাদির সমস্যা হতে দেননি। দেশে যখন লকডাউন চলছিল, তখন আমাদের কৃষকরা ক্ষেতে ফসল কাটছিলেন আর ফসল বুননের ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড গড়ে তুলছিলেন।
লকডাউনের প্রথম দিন থেকে শুরু করে আমরা দীপাবলী এবং ছট পুজো পর্যন্ত ৮ মাসের জন্য ৮০ কোটিরও বেশি দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দিতে পারছি। এর পিছনেও আমাদের কৃষকদেরই সামর্থ রয়েছে।
বন্ধুগণ,
সরকারও এবার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের রেকর্ড ক্রয় সুনিশ্চিত করেছে। এর ফলে গতবারের তুলনায় প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি কৃষকদের পকেটে পৌঁছেছে। বীজ থেকে শুরু করে সার, এবার মুশকিল পরিস্থিতিতেও রেকর্ড উপাদন করা হয়েছে আর চাহিদা অনুসারে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে এত মুশকিল সময়েও আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি অত্যন্ত মজবুত এবং গ্রামে সমস্যা অনেক কম হয়েছে।
আমাদের গ্রামগুলির এই শক্তিই দেশের উন্নয়নকে গতি দিয়েছে আর এই গতি ত্বরান্বিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এই বিশ্বাস নিয়ে সমস্ত কৃষক ভাইদের অনেক অনেক শুভ কামনা।
করোনাকে গ্রাম থেকে বাইরে রাখতে যে প্রশংসনীয় কাজ আপনারা করে চলেছেন তা আপনারা জারি রাখুন।
২ গজের দূরত্ব এবং মাস্কের গুরুত্ব, এই মন্ত্র সম্বল করে এগিয়ে যেতে হবে।
সতর্ক থাকুন, নিরাপদ, থাকুন।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা !!
****
CG/SB/NS
PM @narendramodi begins interaction with Shri Basave Gowda, from Hassan district, Karnataka, a member of the UGANE Primary Agriculture Cooperative Society (PACS) being financed under Agriculture Infrastructure Fund; to discuss his experiences. #AatmaNirbharKrishi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
Sh. Mukesh Sharma, a member of the Lateri PACS from Vidisha district in Madhya Pradesh, sharing his views and feedback with PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
PM @narendramodi in conversation with Shri Arvindbhai Tagadia, member of Shree Sanathali Juth Seva Sahakari Mandalo from Rajkot district, Gujarat on the work being done by their society in the region. #AatmaNirbharKrishi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
आज हलषष्टी है, भगवान बलराम की जयंति है।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
सभी देशवासियों को, विशेषतौर पर किसान साथियों को हलछठ की, दाऊ जन्मोत्सव की, बहुत-बहुत शुभकामनाएं !!
इस बेहद पावन अवसर पर देश में कृषि से जुड़ी सुविधाएं तैयार करने के लिए एक लाख करोड़ रुपए का विशेष फंड लॉन्च किया गया है: PM @narendramodi
इससे गांवों-गांवों में बेहतर भंडारण, आधुनिक कोल्ड स्टोरेज की चेन तैयार करने में मदद मिलेगी और गांव में रोज़गार के अनेक अवसर तैयार होंगे: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
इसके साथ-साथ साढ़े 8 करोड़ किसान परिवारों के खाते में, पीएम किसान सम्मान निधि के रूप में 17 हज़ार करोड़ रुपए ट्रांस्फर करते हुए भी मुझे बहुत संतोष हो रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
संतोष इस बात का है कि इस योजना का जो लक्ष्य था, वो हासिल हो रहा है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
बीते डेढ़ साल में इस योजना के माध्यम से 75 हज़ार करोड़ रुपए सीधे किसानों के बैंक खाते में जमा हो चुके हैं।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
इसमें से 22 हज़ार करोड़ रुपए तो कोरोना के कारण लगे लॉकडाउन के दौरान किसानों तक पहुंचाए गए हैं: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
अब आत्मनिर्भर भारत अभियान के तहत किसान और खेती से जुड़े इन सारे सवालों के समाधान ढूंढे जा रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
एक देश, एक मंडी के जिस मिशन को लेकर बीते 7 साल से काम चल रहा था, वो अब पूरा हो रहा है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
पहले e-NAM के ज़रिए, एक टेक्नॉलॉजी आधारित एक बड़ी व्यवस्था बनाई गई।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
अब कानून बनाकर किसान को मंडी के दायरे से और मंडी टैक्स के दायरे से मुक्त कर दिया गया।
अब किसान के पास अनेक विकल्प हैं: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
अगर वो अपने खेत में ही अपनी उपज का सौदा करना चाहे, तो वो कर सकता है।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
या फिर सीधे वेयरहाउस से, e-NAM से जुड़े व्यापारियों और संस्थानों को, जो भी उसको ज्यादा दाम देता है, उसके साथ फसल का सौदा किसान कर सकता है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
इस कानून का उपयोग से ज्यादा दुरुपयोग हुआ। इससे देश के व्यापारियों को, निवेशकों को, डराने का काम ज्यादा हुआ।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
अब इस डर के तंत्र से भी कृषि से जुड़े व्यापार को मुक्त कर दिया गया है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
आज जो Agriculture Infrastructure Fund launch किया गया है, इससे किसान अपने स्तर भी गांवों में भंडारण की आधुनिक सुविधाएं बना पाएंगे: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
इस योजना से गांव में किसानों के समूहों को, किसान समितियों को, FPOs को वेयरहाउस बनाने के लिए, कोल्ड स्टोरेज बनाने के लिए, फूड प्रोसेसिंग से जुड़े उद्योग लगाने के लिए 1 लाख करोड़ रुपए की मदद मिलेगी: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
इस आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर से कृषि आधारित उद्योग लगाने में बहुत मदद मिलेगी।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
आत्मनिर्भर भारत अभियान के तहत हर जिले में मशहूर उत्पादों को देश और दुनिया के मार्केट तक पहुंचाने के लिए एक बड़ी योजना बनाई गई है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
अब हम उस स्थिति की तरफ बढ़ रहे हैं, जहां गांव के कृषि उद्योगों से फूड आधारित उत्पाद शहर जाएंगे और शहरों से दूसरा औद्योगिक सामान बनकर गांव पहुंचेगा।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
यही तो आत्मनिर्भर भारत अभियान का संकल्प है, जिसके लिए हमें काम करना है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
इसमें भी ज्यादा हिस्सेदारी हमारे छोटे किसानों के बड़े समूह, जिनको हम FPO कह रहे हैं, या फिर किसान उत्पादक संघ कह रहे हैं, इनकी होने वाली है।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
इसलिए बीते 7 साल से FPO-किसान उत्पादक समूह का एक बड़ा नेटवर्क बनाने का अभियान चलाया है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
अभी तक लगभग साढ़े 3 सौ कृषि Startups को मदद दी जा रही है।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
ये Start up, Food Processing से जुड़े हैं, Artificial Intelligence, Internet of things, खेती से जुड़े स्मार्ट उपकरण के निर्माण और रिन्यूएबल एनर्जी से जुड़े हैं: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
किसानों से जुड़ी ये जितनी भी योजनाएं हैं, जितने भी रिफॉर्म हो रहे हैं, इनके केंद्र में हमारा छोटा किसान है।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
यही छोटा किसान है, जिस पर सबसे ज्यादा परेशानी आती रही है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
2 दिन पहले ही, देश के छोटे किसानों से जुड़ी एक बहुत बड़ी योजना की शुरुआत की गई है, जिसका आने वाले समय में पूरे देश को बहुत बड़ा लाभ होने वाला है।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
देश की पहली किसान रेल महाराष्ट्र और बिहार के बीच में शुरु हो चुकी है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
अब जब देश के बड़े शहरों तक छोटे किसानों की पहुंच हो रही है तो वो ताज़ा सब्जियां उगाने की दिशा में आगे बढ़ेंगे, पशुपालन और मत्स्यपालन की तरफ प्रोत्साहित होंगे।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
इससे कम ज़मीन से भी अधिक आय का रास्ता खुल जाएगा, रोज़गार और स्वरोज़गार के अनेक नए अवसर खुलेंगे: PM @narendramodi
ये जितने भी कदम उठाए जा रहे हैं, इनसे 21वीं सदी में देश की ग्रामीण अर्थव्यवस्था की तस्वीर भी बदलेगी, कृषि से आय में भी कई गुणा वृद्धि होगी।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
हाल में लिए गए हर निर्णय आने वाले समय में गांव के नज़दीक ही व्यापक रोज़गार तैयार करने वाले हैं: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
ये हमारे किसान ही हैं, जिन्होंने लॉकडाउन के दौरान देश को खाने-पीने के ज़रूरी सामान की समस्या नहीं होने दी।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
देश जब लॉकडाउन में था, तब हमारा किसान खेतों में फसल की कटाई कर रहा था और बुआई के नए रिकॉर्ड बना रहा था: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
सरकार ने भी सुनिश्चित किया कि किसान की उपज की रिकॉर्ड खरीद हो।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
जिससे पिछली बार की तुलना में करीब 27 हज़ार करोड़ रुपए ज्यादा किसानों की जेब में पहुंचा है: PM @narendramodi #AatmaNirbharKrishi
यही कारण है कि इस मुश्किल समय में भी हमारी ग्रामीण अर्थव्यवस्था मज़बूत है, गांव में परेशानी कम हुई है।
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2020
हमारे गांव की ये ताकत देश के विकास की गति को भी तेज़ करने में अग्रणी भूमिका निभाए, इसी विश्वास के साथ आप सभी किसान साथियों को बहुत-बहुत शुभकामनाएं: PM @narendramodi