Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ভারত-নিউজিল্যান্ড যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস বিবৃতির বঙ্গানুবাদ

ভারত-নিউজিল্যান্ড যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস বিবৃতির বঙ্গানুবাদ


নতুন দিল্লি, ১৭ মার্চ, ২০২৫

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লাক্সন,
দুই দেশের প্রতিনিধিরা,
সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা,
নমস্কার!
কিয়া ওরা!

প্রধানমন্ত্রী লাক্সন এবং তাঁর প্রতিনিধি দলকে আমি ভারতে আন্তরিক স্বাগত জানাই। ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী লাক্সনের দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সবাই দেখেছি, মাত্র কয়েক দিন আগে তিনি অকল্যান্ডে কীভাবে হোলির আনন্দ উদযাপনে মেতে উঠেছিলেন! নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী লাক্সনের সম্পর্ক কতটা নিবিড় তা বোঝা যায় তাঁর সঙ্গে ভারত সফরে আসা প্রতিনিধি দলের দিকে তাকালে, সেখানে বহু সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভুত রয়েছেন। এই বছর রাইসিনা বার্তালাপে তাঁর মতো একজন তরুণ, উৎসাহ উদ্দীপনায় পরিপূর্ণ, প্রতিভাবান নেতাকে প্রধান অতিথি হিসেবে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

বন্ধুরা,

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আজ আমাদের মধ্যে বিশদে আলোচনা হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সহযোগিতাকে আরও মজবুত করে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ ও বন্দর পরিদর্শন ছাড়াও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক শিল্প সহযোগিতার একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে। ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক সুরক্ষার জন্য আমাদের দু’দেশের নৌবাহিনী সম্মিলিত টাস্কফোর্স ১৫০-এ একসঙ্গে কাজ করছে। নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ দুদিনের মধ্যে মুম্বাই বন্দরে পৌঁছবে, এজন্য আমরা আনন্দিত।

বন্ধুরা,

পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য আমরা আলোচনা শুরু করেছি। এর ফলে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে। ডেয়ারি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ওষুধ শিল্পের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ও বিরল খনিজের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতাকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। বন ও উদ্যান পালন ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আসা বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল ভারতে এই নতুন সম্ভাবনাগুলি খতিয়ে দেখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

বন্ধুরা,

ক্রিকেট হোক, বা হকি অথবা পর্বতারোহণ – ক্রীড়া ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী যোগসূত্র রয়েছে। ক্রীড়া প্রশিক্ষণ, খেলোয়াড় বিনিময়, ক্রীড়া বিজ্ঞান, ক্রীড়া মানসিকতা ও স্পোর্টস মেডিসিনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে আমরা সহযোগিতা আরও নিবিড় করতে সহমত হয়েছি। ২০২৬ সালে আমরা দু’দেশের ক্রীড়া সম্পর্কের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন করবো।

বন্ধুরা,

নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়রা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। দক্ষ শ্রমিকদের চলাচল সহজতর করতে এবং অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধানে একটি চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ইউপিআই সংযোগ বৃদ্ধি, ডিজিটাল লেনদেনের ব্যাপ্তি এবং পর্যটনের প্রসারেও আমরা মনোনিবেশ করবো। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আমরা ভারতে ক্যাম্পাস স্থাপনের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। 

বন্ধুরা,

আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ, ক্রাইস্টচার্চের জঙ্গি হামলা হোক বা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের মুম্বাই হামলা – কোনো ধরনের সন্ত্রাসই গ্রহণযোগ্য নয়। এইসব হামলার পিছনে যারা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রপন্থার মোকাবিলায় আমরা একযোগে কাজ করবো। এই প্রসঙ্গে আমরা নিউজিল্যান্ডে হওয়া ভারত বিরোধী কিছু কার্যকলাপ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এই ধরনের অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিউজিল্যান্ড সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

বন্ধুরা,

আমরা উভয়েই এক স্বাধীন, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পক্ষে। আমরা আগ্রাসন নয়, উন্নয়নের নীতিতে বিশ্বাসী। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগে নিউজিল্যান্ডের যোগদানকে আমরা স্বাগত জানাই। আন্তর্জাতিক সৌর জোটের পর সিডিআরআই-তে যোগদানের জন্য নিউজিল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। 

বন্ধুরা,

রাগবির ভাষায় বলতে গেলে, আমরা উভয়েই আমাদের সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ‘ফ্রন্ট আপ’-এর জন্য প্রস্তুত। এক উজ্জ্বল অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে এবং দায়িত্ব ভাগ করে নিতে আমরা সহমত। আমাদের অংশীদারিত্ব দু’দেশের মানুষের প্রভূত উপকারে আসবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন।

 

 

SC/SD/SKD