নতুনদিল্লি, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২০
১। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিস মেট্টে ফ্রেড্রিক্সেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮শে সেপ্টেম্বর যৌথভাবে একটি ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের পৌরহিত্য করেছেন।
২। প্রধানপমন্ত্রী শ্রী মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী মিস ফ্রেড্রিক্সেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেছেন। আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ বান্ধব বিষয় সহ উভয় পক্ষ কোভিড -১৯ মহামারী এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা স্থিতিশীল অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একটি অভিন্ন সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
৩। তারা ঐতিহাসিক যোগাযোগ, সাধারণ গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অব্যাহত বিকাশের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
৪। বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত-ডেনমার্ক সম্পর্ককে পরিবেশ বান্ধব কৌশলগত অংশীদারিতে উন্নীত করতে সম্মত হন। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভারত ও ডেনমার্কের মধ্যে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি যৌথ সহযোগিতা কমিশন গড়ে তোলার জন্য সাক্ষরিত চুক্তিটি সুদৃঢ় ও সুসংহত করবে যা রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; পরিবেশ; শক্তি; শিক্ষা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে । এছাড়াও এটি পূনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, নগর উন্নয়ন, পরিবেশ, কৃষি ও পশুপালন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জাহাজ চলাচল, শ্রম এবং ডিজিটাইজেশন সম্পর্কিত যৌথ কর্মী গোষ্ঠীর কাজে সহায়তা করবে।
৫। পরিবেশবান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্ব হ‘ল রাজনৈতিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং পরিবেশ বান্ধব ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবং নানান সুযোগ মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার করার জন্য পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে প্যারিস চুক্তি এবং রাষ্ট্রসংঘের স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের উপর গুরত্ব দেওয়া হয়েছে।
৬। উভয় প্রধানমন্ত্রী পরিবেশবান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার গুরুত্ব স্বীকার করেছেন, যার আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান এবং অংশীদারদের মাধ্যমে ভারত ও ডেনমার্ক সহযোগিতা করবে।
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন
৭। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবং সমাধানে নিবিড় অংশীদারিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সমুদ্র উপকূলে বায়ু এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উপর কৌশলগত ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পাশাপাশি বায়ু শক্তির উপর দক্ষতা বৃদ্ধি, জ্ঞান-অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর বিষয়ে ভারত-ডেনমার্ক এনার্জি পার্টনারশিপ (আইএনডিইপি); আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জ্বালানী ব্যবস্থাপনা ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সংহতকরণ , পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের পথে কয়েকটি সাধারণ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উভয় পক্ষই আগামী বছরগুলিতে জ্বালানি অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবে।
৮। জলবায়ু পরিবর্তন আটকাতে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ভারত এবং ডেনমার্ক সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশ জলবায়ু এবং শক্তির উপর অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে যা প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে ভূমিকা নেবে। দুই দেশ উচ্চাভিলাষী জলবায়ু এবং স্থিতিশীল জ্বালানীর বিষয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর বিষয়ে সারা বিশ্বকে পথ দেখাবে।
৯। উভয় দেশ জলবায়ু পরিবর্তন ও পূনর্নবীকরণ জ্বালানীর বিষয়ে বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত পরামর্শ ও সংলাপ চালাতে সম্মত হয়েছে।
পরিবেশ / জল ও অর্থনৈতিক চক্র
১০। দুই প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ / জল এবং অর্থনীতির চক্রতে বিদ্যমান সরকারী স্তরে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা জল সম্পদের দক্ষ ভাবে ব্যবহার এবং জলের অপচয় আটকাতে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন এবং এই প্রসঙ্গে ভারতীয় জল শক্তি মন্ত্রক এবং ডেনিশ পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা এবং ডেনমার্কের পরিবেশ ও খাদ্য মন্ত্রককে প্রাথমিক ভাবে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করতে ২০২১ থেকে ২৩ সাল ౼ তিন বছরের মধ্যে নির্দেশ দিয়েছে।
১১। ইন্দো-ড্যানিশ প্রযুক্তি জোটের মাধ্যমে দুই প্রধানমন্ত্রী জল সরবরাহ, জল বন্টন, বর্জ্য জল পরিশোধন, নিকাশী ব্যবস্থা, পরিশোধিত বর্জ্য জল পুনরায় ব্যবহার, জল ব্যবস্থাপনা এবং জলের জন্য শক্তির যথাযথ ব্যবহার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে তাদের সম্মতি জানিয়েছেন।
স্মার্ট সিটি সহ স্থিতিশীল নগর উন্নয়নঃ-
১২। উভয় পক্ষই ২২ শে জুন, ২০২০ সালে স্থিতিশীল নগর উন্নয়নের বিষয়ে দ্বিতীয় ভারত-ডেনমার্ক যৌথ কর্মী গোষ্ঠীর অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে এবং গোয়ায় আরবান লিভিং ল্যাবের মাধ্যমে স্মার্ট সিটি সহ স্থিতিশীল নগর উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়।
১৩। উভয় পক্ষই উদয়পুর ও আড়াহুস এবং টুমাকুরু ও আলবার্গের মধ্যে নগরোন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
১৪। ডেনিশ সংস্থাগুলি ভারতে পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলির নকশায় ভূমিকা রাখায় তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং স্থিতিশীল নগর উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে ডেনিশ পক্ষের ব্যাপক অংশগ্রহনকে স্বাগত জানিয়েছেন ।
ব্যবসা বাণিজ্য ও জাহাজ চলাচল
১৫। দুই প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ ও জলবায়ু-বান্ধব প্রযুক্তিতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে দু‘দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িকদের মধ্যে অংশীদারিত্বের বিকাশের ধারণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা পরিবেশ বান্ধব জ্বালানীর বিষয়ে সরকারি এবং বেসরকারী বিনিয়োগকে সাহায্য করার জন্য নিয়ামক কাঠামোর শর্তগুলির গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
১৬। উভয় নেতা সমুদ্র বিষয়ক বিষয়ে গভীর সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং জাহাজ নির্মাণ ও নকশা, সামুদ্রিক পরিষেবা এবং পরিবেশ বান্ধব জাহাজ চলাচলের পাশাপাশি বন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা উল্লেখ করেন।
১৭। দু‘ই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে তারা ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের উৎসাহিত করবেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য বাজার খুলে দেবেন এবং সহজে ব্যবসসা করার পরিবেশ গড়ে তুলবে।
১৮। ভারত ও ডেনমার্ক বৌদ্ধিক সম্পত্তি অধিকারের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, যা উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে তাদের জাতীয় বৌদ্ধিক সম্পত্তি ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞান , প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ডিজিটাইজেশন
১৯। ভারত ও ডেনমার্ক প্রযুক্তি বিকাশ এবং সমস্যার নতুন সমাধানের প্রয়োগকে ত্বরান্বিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসাবে শক্তিশালী সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের (এসটিআই) বিনিয়োগের প্রচার ও সুবিধার্থে গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়। এসটিআই-তে সহযোগিতা কর্তৃপক্ষ, ছোট ও বড় সংস্থাগুলি এবং ভারত এবং ডেনমার্কের গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্কের প্রচার জোরদার করে পরিবেশ বান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সমর্থন করে। উভয় পক্ষ বিদ্যুৎ, জল, জৈব-সম্পদ এবং আইসিটি-র মতো প্রকল্পগুলির জন্য শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক এসটিআই অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে।
২০। দুই নেতা ডিজিটালাইজেশন , ডিজিটাল পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান এবং ব্যবসায়িক মডেলগুলির জন্য পরিবেশ বান্ধব ক্ষেত্রে তাদের অংশীদারিত্বের আগ্রহকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং পরিবেশ বান্ধব বিকাশকে সাহায্য করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিকাশও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খাদ্য ও কৃষি
২১। কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার অপরিসীম সম্ভাবনা বিবেচনা করে দুই প্রধানমন্ত্রী খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও খাদ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থাগুলির পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধধরণের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে গভীর ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে উত্সাহিত করেছেন।
স্বাস্থ্য ও জীব বিজ্ঞান
২২। উভয় পক্ষ স্বাস্থ্য খাতে সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার করার সম্ভাবনা এবং অভিন্ন চাহিদার উপর জোর দিয়েছিলেন। তারা বিশেষত কোভিড -১৯ এবং ভবিষ্যতের মহামারী মোকাবেলায় মহামারী এবং ভ্যাকসিন সহ স্বাস্থ্য নীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিষয়ে আলাপ আলোচনা বাড়ানো এবং সর্বোত্তম পদ্ধতিগুলি ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে তাদের আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা গবেষণা, সহযোগিতা সহ জীবন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্যর সুযোগসুবিধা বৃদ্ধিতে কাজ করতে সম্মত হন।
সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জনসাধারনের মধ্যে যোগাযোগ ও শ্রমশক্তির চলাচল
২৩। দুই প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে ভারত ও ডেনমার্কের মধ্যে দীর্ঘ দিনের দৃঢ় সম্পর্ক ও জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগের ফলে এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বৃহত্তর সচেতনতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ান সম্ভব হবে।
২৪। উভয় পক্ষ শ্রমশক্তি চলাফেরার সম্ভাবনাগুলি যাচাইয়ের পাশাপাশি দু‘দেশের মধ্যে জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করার জন্য এবং পর্যটন খাতে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য দুটি দেশের মধ্যে সহজে ভ্রমণ বিষয়ে বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে ।
বহুপাক্ষিক সহযোগিতা
২৫। দু‘ই প্রধানমন্ত্রী একটি নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে সাহায্য ও প্রচার করার প্রচেষ্টায় যোগ দিতে সম্মত হন। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানী ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক জ্বালানী সংস্থা, আন্তর্জাতিক পূণর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানী সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোটের সাধারণ প্রতিশ্রুতি পুরণে জোরালো বহুপাক্ষিক সহযোগিতা।
২৬। উভয় পক্ষই বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রচারের জন্য ডব্লিউটিওর অধীনে একটি মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার সমর্থন করেছে।
২৭। উভয় পক্ষই ডব্লিউটিওর সংস্কারের জন্য আলোচনার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে। উভয় পক্ষই সহযোগিতা জোরদার করার এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ব্যাপক সংস্কারে অবদান রাখার বিষয়টিকে দৃঢ়তার সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন। উভয় পক্ষই একমত হয়েছেন স্বচ্ছভাবে সংস্কারগুলি অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং সেগুলি পরিচালনা করা দরকার। ডাব্লুটিওর দ্বন্দ্ব বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার অংশ হিসাবে আপিল বডিকে কার্যকর করার বিষয়ে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
২৮। ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার ও দৃঢ় করার লক্ষ্যে উভয় পক্ষই ইইউ এবং ভারতের মধ্যে একটি উচ্চাভিলাষী, ন্যায্য, এবং পারস্পরিক উপকারী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তির জন্য কাজ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
২৯। উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে সুমেরু পরিষদের কাঠামোর মধ্যে সুমেরু অঞ্চলের সহযোগিতার একটি আন্তর্জাতিক মাত্রা রয়েছে এবং এটি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপরিহার্য। এই ধারনা থেকেই উভয় পক্ষই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সুমেরু পরিষদের কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতার জন্য তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
৩০। দুই নেতাই মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের বিষয়ে অভিন্ন মূল্যবোধকে স্বীকার করেছেন এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে পারষ্পরিক সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছেন।
উপসংহার
৩১। ডেনমার্ক এবং ভারতের মধ্যে পরিবেশবান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দু‘দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগী সম্পর্ক এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলে এই দুই নেতা মনে করেন।
৩২। উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য এবং ক্রিয়াকলাপের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হবে এবং একটি কর্মসূচীর রূপরেখা চিহ্নিত করা হবে। যা কার্যকর করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব সেটিকে সাহায্য করা হবে।
CG/CB
कुछ महीने पहले फ़ोन पर हमारी बहुत productive बात हुई। हमने कई क्षेत्रों में भारत और डेनमार्क के बीच सहयोग बढ़ाने के बारे में चर्चा की थी।
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2020
यह प्रसन्नता का विषय है कि आज हम इस Virtual Summit के माध्यम से इन इरादों को नई दिशा और गति दे रहे हैं: PM
पिछले कई महीनो की घटनाओं ने यह स्पष्ट कर दिया है कि हमारे जैसे like-minded देशों का,
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2020
जो एक rules-based, transparent, humanitarian और डेमोक्रेटिक value-system शेयर करते हैं,
साथ मिल कर काम करना कितना आवश्यक है: PM
Covid-19 ने दिखाया है कि Global Supply Chains का किसी भी single source पर अत्यधिक निर्भर होना risky है।
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2020
हम जापान और ऑस्ट्रेलिया के साथ मिल कर supply-chain diversification और resilience के लिए काम कर रहें हैं।
अन्य like-minded देश भी इस प्रयत्न में जुड़ सकते हैं: PM
इस संदर्भ में मेरा मानना है कि हमारी Virtual Summit ना सिर्फ़ भारत-डेनमार्क संबंधों के लिए उपयोगी सिद्ध होगी,
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2020
बल्कि वैश्विक चुनौतियों के प्रति भी एक साझा approach बनाने में मदद करेगी: PM
During the India-Denmark Summit today @Statsmin Mette Frederiksen and I reviewed the full range of bilateral ties between our nations. We look forward to having a strong Green Strategic Partnership with Denmark and improving ties in sectors like trade, commerce and energy. pic.twitter.com/19cXGG5Ikg
— Narendra Modi (@narendramodi) September 28, 2020
In our talks, @Statsmin Mette Frederiksen and I also got the opportunity to discuss multilateral issues, relating to the Indo-Pacific, robust India-EU ties, UN reforms, upcoming COP-26 deliberations and more. Strong India-Denmark ties benefit our citizens greatly.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 28, 2020