কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল হাইড্রো ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড(এনএইচপিসি), নর্থইস্ট ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন (নিপকো), টিএইচডিসি ইন্ডিয়া লিমিটেড ও সাটলুজ জল বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড (এসজেভিএন)সংস্হাগুলির পর্ষদ স্তরের অধীনস্হ কর্মীদের বেতনক্রম পয়লা জানুয়ারি ১৯৯৭ তারিখ থেকে নিয়মিতকরণে আজ (১৬ জানুয়ারি ২০১৯) অনুমোদন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে মন্ত্রিসভার এই অনুমোদনের ফলে জল বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্হাগুলির কর্মীদের বেতনক্রম শক্তি মন্ত্রকের ২০০৬ সালে চৌঠা এপ্রিল ও পয়লা সেপ্টেম্বর তারিখের আদেশ অনুযায়ী নিয়মিত করা হবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে পয়লা জানুয়ারি ২০০৭-এর পূর্বে নথিভুক্ত ৫২৫৪ জন কর্মী উপকৃত হবেন। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ৩২৩ কোটি টাকার মতো মোট ব্যয় হবে।
উল্লেখ্য, এই চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্হার বেতনক্রমে কিছু ত্রুটি ছিল। এই চারটি সংস্হার ইউনিয়নভুক্ত কর্মচারীদের এনটিপিসি ও তেল ক্ষেত্রের অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্হাগুলির কর্মীদের সমান বেতন দেওয়া হচ্ছিল। এরফলে, ই-ওয়ান গ্রেডের এক্সিকিউটিভদের থেকেও বেশি বেতন ওয়ার্কমেন ও সুপারভাইজাররা পাচ্ছিলেন। এই প্রস্তাবটি নিয়ে এর আগেও বহুবার সচিবদের কমিটি ও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করা হয়। ডিসেম্বর ২০১৩তে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পয়লা জানুয়ারি ১৯৯৭ থেকে ধার্য নতুন বেতনক্রম নিয়মিত করা হবে না। তবে, সেই দিন থেকে প্রদেয় বেতন থেকে অতিরিক্ত অর্থ ফেরতও নেওয়া হবে না। কারণ এরফলে কর্মীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন এবং এটি রূপায়ণ করাও সহজ হবেনা। পয়লা জানুয়ারি’৯৭ থেকে চালু বেতনক্রমের ত্রুটি সংশোধনের পর সংশোধিত বেতনক্রম পয়লা জানুয়ারি ২০০৭ থেকে চালু করা হয়। এই নতুন আদেশের ফলে ক্ষুব্ধ জল বিদ্যুৎ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্হাগুলির বিভিন্ন কর্মচারী ইউনিয়ন একাধিক হাইকোর্টে মামলা রুজু করে। উত্তরাখন্ড ও মেঘালয় হাইকোর্ট উপরোক্ত সিদ্ধান্তটি রদ করে। পরবর্তী পর্যায়ে উত্তরাখন্ড হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭র ১২ এপ্রিল উচ্চতম আদালতে মামলা দাখিল করা হয়। উত্তরাখন্ড হাইকোর্টের রায় ২০১৭র ৮ই মে রদ করা হয়। এরপর, মেঘালয় ও উত্তরাখন্ড হাইকোর্টে আদালতের রায় অবমাননার মামলা দাখিল হয়েছে। শক্তি মন্ত্রকের কাছে এই চারটি সংস্হার কর্মীদের বেতনক্রম নিয়মিত করার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।
CG/SC/NS/