৩৫তম আশিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং আগামীকাল ষোড়শ আশিয়ান-ভারত সম্মেলন ও সোমবার তৃতীয় আরইসিপি সম্মেলেনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যাঙ্কক পোস্টে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক স্তরে ভারতের ভূমিকা নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
নীচে এই সাক্ষাৎকারের বিবরণ :
আপনি কি মনে করেন আপনার নেতৃত্বে ভারত বিশ্বশক্তি হয়ে উঠতে পারবে ?
ভারতীয় প্রাচীন সভ্যতার বিষয়ে সকলেই জানেন। এই সভ্যতা অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। কয়েক শতক আগেও বিশ্বের উন্নয়নে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন, কলা এবং স্হাপত্যের উন্নয়নে ভারতের যথেষ্ঠ অবদান ছিল। আর এরজন্য ভারত অন্যদের ওপর কোনও কর্তৃত্ব করেনি, সাগর এবং মহাসাগর পেরিয়ে দীর্ঘমেয়াদী বন্ধন গড়ে তুলেছিল। বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক স্তরে আমাদের অবদান বাড়িয়ে চলেছি।
আজ বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারতের যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে। ভারতের জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছেন উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তাঁরা তাঁদের প্রকৃত ক্ষমতার মাধ্যমে শীর্ষে পৌঁছতে পারেন।
ভারতের জনগণের জীবনযাত্রা সহজকরা তথা ‘ইজ অফ লিভিং’এর মান বৃদ্ধি করতে এবং উন্নত পরিকাঠামো, পরিষেবা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের প্রকৃত ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমরা বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রচার কর্মসূচি চালাচ্ছি।
এটি সম্ভব হওয়ার কারণ, আমরা প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি ;আমাদের ৩৫ কোটি নাগরিককে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় নিয়ে এসেছি ; বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে অর্থের অপব্যবহার হ্রাস করেছি ; গ্রাম ও শহরাঞ্চলে ১৫ কোটি শৌচালয় নির্মাণ করেছি ; ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজের উন্নতি ঘটিয়েছি ;‘ফিনটেক’ পণ্যের জন্য দ্রুত বাজারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি এবং ভারতের অর্থনীতিকে দ্রুত বিকাশশীল একটি অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সঠিক দিকে এগোচ্ছি। বিশ্বব্যাঙ্কের সহজে বাণিজ্য করার সূচকে আমরা ৮০ ধাপ অগ্রসর হয়েছি। আর এগুলি সবই গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর মধ্যে আমাদের ঐতিহ্য বজায় রেখে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ভারতে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ জীবনের সমস্ত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আরও অগ্রসর হচ্ছেন। আমাদের মন্ত্র হল, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’। এর অর্থ, সকলকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের উন্নয়ন ঘটানো, সকলের মধ্যে বিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করা। এই ‘সকলের’ মানে আমরা শুধু আমাদের নাগরিকদের কথাই বলছিনা, সমস্ত মানবজাতির কথাই বলছি।
সেই কারণে আমরা আমাদের সব বন্ধু-প্রতিবেশীদের সঙ্গে উন্নয়নের অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছি। আন্তর্জাতিক এবং সীমান্তপারের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য আমরা বিশ্বজুড়ে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাইছি। এরমধ্যে রয়েছে, আন্তর্জাতিক সৌরজোট এবং বিপর্যয় মোকাবিলা পরিকাঠামো গড়ে তুলতে একটি জোট গঠন করা।
ভারত সমসাময়িক বাস্তবতার মধ্যে বহুস্তরীয় সংস্কারের পক্ষে। বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তার এই সময়ে গণতান্ত্রিক, শক্তিশালী এবং দ্রুত বিকাশশীল ভারত স্হিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও শান্তিকে আবাহন করে।
বলা হয় ২১ শতক হল এশিয়ার। এশিয়া এবং বিশ্বের এই পরিবর্তনে ভারত তার অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত।
ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে আশিয়ানের গুরুত্ব কোথায়?
আমাদের অ্যাক্ট ইস্ট নীতি বা পূর্ব দিকের ওপর গুরুত্ব আরোপের নীতির মূলেই রয়েছে আশিয়ান। বিগত ১৬ বছর ধরে আমরা নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে শীর্ষস্তরে আলোচনা চালাতে পেরেছি।
এর কারণ এই নয় যে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আশিয়ান এলাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার। এর কারণ আশিয়ান সভ্যতার নিরিখে আমাদের খুব কাছের। আশিয়ান, বিশ্বে আর্থিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত চায় শক্তিশালী, সঙ্ঘবদ্ধ, সমৃদ্ধশালী এক আশিয়ান গোষ্ঠীকে, যারা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভারতের সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার স্বার্থে এরথেকে ভালো আর কিছু হয়না।
ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতি এবং কৌশলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই আশিয়ান গোষ্ঠী। আমাদের সভ্যতার মধ্যে যোগাযোগের ফলে একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি হয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা বৃহৎ, আধুনিক, বহুমুখী কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পেরেছি। আমাদের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির অন্যতম উদ্দেশ্য হল, আশিয়ানকে শক্তিশালী করা, যোগাযোগ বৃদ্ধি করা এবং ভারত-আশিয়ান আর্থিক সংহতি দৃঢ় করা।
আশিয়ান গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতে যোগাযোগ নিবিড় করতে থাইল্যান্ড যে উদ্যোগ নিয়েছে, তারজন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। থাইল্যান্ডের সভাপতিত্বের সময়ই এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোয় ভারত কি ধরণের ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক হবে?
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমরা এমন ভাবে আমাদের নীতি তৈরি করেছি যা এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলিও অনুসরণ করছে। এরফলে মহাসাগরীয় এলাকায়, আন্তঃসংযোগ স্বীকৃতি পেয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী গত বছর সিঙ্গাপুরে ‘সাংগ্রি-লা’ আলোচনায় আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক আইন মেনে মুক্ত, স্বচ্ছ, সমন্বিত হওয়া প্রয়োজন। এই অঞ্চলে সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য স্হায়ী ও নিরাপদ পরিবেশের প্রয়োজন। যেখানে অবাধে নৌ-চলাচল এবং বিমান চলাচল ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমুদ্র বিষয়ক আইনের শর্তাবলী মেনে নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে।
আমি ২০১৫ সালে ‘সাগর’ ধারণাটিকে চালু করি। এই অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা ও উন্নয়ন – এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমরা পারস্পরিক বিশ্বাস ও নিরাপত্তার সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। ভারত আঞ্চলিক নিরাপত্তার কাঠামোর জন্য একটি অভিন্ন কর্মসূচি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সক্রিয় রয়েছে।
ভারতের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নীতির সঙ্গে আশিয়ানের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নীতির সাযুজ্য কিভাবে হবে?
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেরবিষয়ে আশিয়ান গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাবনাকে আমরা সাধুবাদ জানাই, যার সঙ্গে আমাদের নিজস্ব ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নীতির তাৎপর্যপূর্ণভাবে মিল রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি আশিয়ান গোষ্ঠীর একতা এই অঞ্চলের উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই অঞ্চলে আশিয়ানের ভৌগলিক অবস্হানের জন্যই এটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, পূর্ব এশিয়া শিখর সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও আশিয়ানের জন্য সময় তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে, ভারত এবং আশিয়ানভুক্ত দেশগুলি সামুদ্রিক নিরাপত্তা, যোগাযোগ, আর্থিক বিকাশ, স্হায়ী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আশিয়ান গোষ্ঠীর সদস্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করতে পারলে আমরা আনন্দিত হব।
মেকং উপঅঞ্চল, যেখানে অনেক আঞ্চলিক শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, সেখানের উন্নয়নের বিষয়ে আপনি কতটা চিন্তাভাবনা করেন?
ভারতের এই অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে সামুদ্রিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক এবং সভ্যতার যোগাযোগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আজকের পৃথিবীতে আমরা এই সম্পর্কগুলির পুনঃনবীকরণ করছি এবং নতুন আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছি। ১৯ বছর আগে মেকং গঙ্গা সহযোগিতা উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা এরকমই একটি কর্মসূচি। ভারত সম্প্রতি থাইল্যান্ডের নেতৃত্বাধীন আয়েয়াওয়াড়ি-চাও ফ্রায়া-মেকং আর্থিক সহযোগিতা কৌশলে যোগ দিয়েছে। মেকং অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রয়োজনে বিদেশী অংশীদারদের অংশগ্রহণও প্রয়োজন।
একই সময় আমরা নিজস্ব পরিচিতি বজায় রেখে এই আঞ্চলিক কাঠামোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভারতের প্রেক্ষিতে আমরা মেকং অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে আশিয়ান-ভারত বার্তালাপ সম্পর্ক, মেকং গঙ্গা সহযোগিতা এবং বিমস্টেকের কাঠামোর মধ্যে কাজ করছি। এই কাঠামোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় এক হলেও সহযোগিতার ক্ষেত্রে উদ্যোগগুলি পৃথক হয়ে থাকে।
মেকং উপ-অঞ্চলে বিভিন্ন আঞ্চলিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংহতি বজায় রেখে বিদেশী অংশীদারদের সঙ্গে এই অঞ্চলের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
বর্ডার অ্যাক্ট ইস্ট নীতির সঙ্গে বিমস্টেককে কিভাবে মেলাবেন?
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে প্রযুক্তি এবং আর্থিক সহযোগিতার বহুস্তরীয় উদ্যোগকে (বিমস্টেক)ভারত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার ৫টি দেশ (বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা)ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দুটি দেশের (মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড) মধ্যে একটি অনন্য যোগাযোগ গড়ে উঠেছে।
কাঠমান্ডুতে চতুর্থ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি যথেষ্ঠ গুরুত্ব পেয়েছে। বিমস্টেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন বিষয়, যেমন- একটি সনদ তৈরি করা ও একটি উন্নয়ন তহবিল গড়ে তোলা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। বিমস্টেক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ভারত বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। নিরাপত্তা, বিপর্যয় ব্যবস্হাপনা, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, কৃষি, স্বাস্হ্য ও ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্হা সহ যুব সম্প্রদায় এবং সাংস্কৃতিক স্তরে যোগাযোগের লক্ষ্যে এই সম্মেলনে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ভারত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে আমাদের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই বিমস্টেক।
পাঠকদের নিশ্চয় মনে আছে দ্বিতীয়বার আমাদের সরকার শপথ নেওয়ার সময় মে মাসে বিমস্টেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। এর মাধ্যমে আমাদের দেশগুলির এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে নিবিড় বন্ধন প্রতিফলিত হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আমি উল্লেখ করতে চাই বিমস্টেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
আরসিইপি বাণিজ্য চুক্তিতে মনে হচ্ছে ভারত যোগদান করতে অতটা আগ্রহী নয়। আপনি কি মনে করেন এই বছরের মধ্যেই আরসিইপি সমঝোতা গড়ে উঠবে এবং এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে কি করা উচিৎ?
ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে আজ বিশ্বে ভারত অন্যতম মুক্ত জায়গা। বিশ্বব্যাঙ্কের সহজে বাণিজ্য করার সূচকের নিরিখে গত ৪-৫ বছরের মধ্যে ভারত ১৪২তম স্হান থেকে ৬৩তম স্হানে উঠে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বের বাণিজ্যিক ক্ষমতা অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হবে, যার মাধ্যমে দরিদ্রদের মানোন্নয়ন সম্ভব।
আরসিইপির বর্তমান আলোচনা থেকে ভারত একটি সর্বিক এবং সুষম সিদ্ধান্ত পেতে অঙ্গিকারবদ্ধ। এই সফল আলোচনায় প্রত্যেকে জড়িত আছে। ভারত তাই পণ্য, পরিষেবা, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা বজায় রাখতে উৎসাহী।
আমাদের অংশীদারদের পণ্যের বিষয়ে উচ্চাশাকে আমরা স্বীকৃতি দিই। আমরা চাই প্রত্যেকে যেন লাভবান হন এরকম কোনও সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসুক। আমরা বিশ্বাস করি এরজন্য অস্হায়ী বাণিজ্য ঘাটতির সমাধানের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারতের বাজার খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য যেন লাভবান হয় সেরকম কিছু অঞ্চলেও আমাদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এক্ষেত্রে আমরা স্পষ্টভাবে যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব উপস্হাপিত করে এই আলোচনায় দায়িত্বের সঙ্গে অংশগ্রহণ করছি। আমরা আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে এক্ষেত্রে তাঁদের স্পর্শকাতর বিষয়গুলি বিবেচনা করে সমান প্রতিদান পেতে চাই।
সার্বিকভাবে আমরা বিশ্বাস করি ভারতের স্বার্থ বজায় রেখে সব পক্ষের লাভের মধ্যে দিয়ে আরসিইপি সকলের জন্য লাভবান হবে।
CG/CB/NS