Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বেঙ্গালুরুতে ২৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বিভিন্ন রেল ও সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বেঙ্গালুরুতে ২৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বিভিন্ন রেল ও সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি, ২০ জুন, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বেঙ্গালুরুতে বেশ কিছু রেল ও সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে। এর আগে শ্রী মোদী সেন্টার ফর ব্রেন রিসার্চ-এর উদ্বোধন করেন এবং শিলান্যাস করেন বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি-তে বাগচি পার্থসারথি মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালের। ডঃ বি আর আম্বেদকর স্কুল অফ ইকনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধনের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের মধ্যে ডঃ বি আর আম্বেদকরের একটি মূর্তিরও আবরণ উন্মোচন করেন তিনি। বেঙ্গালুরুর ১৫০টি আইটিআই-কে প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন তিনি।

এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্ণাটকে পাঁচটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্প এবং সাতটি রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। এছাড়াও, কোঙ্কন রেলপথে ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণের কাজও অনেকটা এগিয়ে গেছে। তরুণ ও যুবক, মধ্যবিত্ত শ্রেণী, কৃষক, শ্রমজীবী এবং শিল্পপতিদের কাছে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা এনে দেবে এই প্রকল্পগুলি।

শ্রী মোদী বলেন, লক্ষ লক্ষ তরুণের কাছে বেঙ্গালুরু হল এক স্বপ্ন নগরী। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রতিফলিত হয়েছে এই শহরটির মধ্যে। তাই, এই শহরের উন্নয়ন লক্ষ লক্ষ স্বপ্নের বাস্তবায়ন বললে অত্যুক্তি হয় না। এই কারণেই গত আট বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার বেঙ্গালুরুর উন্নয়নে বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই শহরে রেল, সড়ক, মেট্রো, আন্ডারপাস, ফ্লাইওভার সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করে তুলতে কেন্দ্র ও রাজ্য একযোগে কাজ করে চলেছে। বেঙ্গালুরুর শহরতলিগুলির মধ্যে সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করে তুলতে বিশেষ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। গত চার দশক ধরে যে কাজ বাকি ছিল আগামী ৪০ মাসের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে তিনি বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। বেঙ্গালুরু শহরতলির রেল প্রকল্পটি বেঙ্গালুরু শহরের সঙ্গে মফঃস্বল ও স্যাটেলাইট টাউনশিপগুলির যোগাযোগকে আরও নিবিড় করে তুলবে। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু রিং রোড প্রকল্পটি শহরের যানজট সমস্যার অনেকটাই সমাধান করবে। বিগত আট বছর ধরে দেশের রেল সংযোগ ব্যবস্থায় তাঁর সরকার আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে। দেশে রেল ব্যবস্থা হয়ে উঠছে ক্রমশ দ্রুততর, পরিচ্ছন্ন, অত্যাধুনিক, নিরাপদ এবং নাগরিক-বান্ধব। এক সময়ে শুধুমাত্র দেশের বিমানবন্দর এবং আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুখ-সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের দেখা মিলত, তাই এখন সম্ভব হয়ে উঠবে রেল স্টেশনগুলিতে এবং রেল ভ্রমণের ক্ষেত্রে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেঙ্গালুরুর এই সাফল্য একুশ শতকের ভারতকে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার মতো প্রেরণা যুগিয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটানো হলে ভারতীয় তরুণরা যে কতটা কর্মঠ হয়ে উঠতে পারে তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে বেঙ্গালুরু। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অনুশিল্পের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলির বিকাশে নতুন নতুন পথও খুলে গেছে। ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর ওপর আস্থা স্থাপনের ফলে ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাণিজ্যিক চুক্তির ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ সহায়তাকে পরিহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সাজসরঞ্জাম ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অনুশিল্পের কাছ থেকে ক্রয় করার জন্য।

স্টার্ট-আপ ক্ষেত্রের ক্রমপ্রসার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের দশকগুলিতে কতগুলি এই ধরনের সংস্থা গড়ে উঠেছিল তা বোধহয় হাতে গোনা যেত, কিন্তু গত আট বছরে দেশে অসংখ্য স্টার্ট-আপ সংস্থা দেশে গড়ে উঠেছে। ২০১৪ সাল থেকে ১০ হাজারটি স্টার্ট-আপ গড়ে উঠতে যেখানে সময় লেগেছিল ৮০০ দিন, সেক্ষেত্রে বেশ কিছু স্টার্ট-আপ গড়ে উঠেছে ২০০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে। সরকারি-বেসরকারি দুটি ক্ষেত্রই হল আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাই, দুটি ক্ষেত্রেরই ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ।

 

PG/SKD/DM/