নতুন দিল্লি, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪
কর্ণাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলতজি, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াজি, কর্ণাটক বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আর অশোকজি, ভারতে বোয়িং কোম্পানির সিওও স্টেফানি পোপ, অন্যান্য শিল্প সহযোগীবৃন্দ, ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়গণ!
বেঙ্গালুরুতে আগত মাননীয় সকল বিদেশী অতিথিবৃন্দকে আমি আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাই। উদ্ভাবন প্রচেষ্টার সঙ্গে আশা-আকাঙ্খা ও সাফল্যের যোগসূত্রের একটি বিশেষ স্থানই হল বেঙ্গালুরু। এখানে ভারতের প্রযুক্তিগত সম্ভাবনার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটে বিশ্বের চাহিদার। বেঙ্গালুরুতে নতুন বিশ্ব প্রযুক্তি ক্যাম্পাসটি এই শহরটির পরিচিতিকে আরও জোরদার করে তুলবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমেরিকার বাইরে এই ক্যাম্পাসটি হল বোয়িং কোম্পানির বৃহত্তম একটি কেন্দ্র। এটি ভারতকেই শুধুমাত্র নতুন ভাবে শক্তি যোগাবে না, একই সঙ্গে তা বিশ্বের বিমান পরিবহণের বিপণন ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করে তুলবে। কিন্তু বন্ধুরা, এই সুযোগ-সুবিধার এখানেই শেষ নয়, বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, উদ্ভাবন ও গবেষণা পদ্ধতি, নক্সা এবং সেই সঙ্গে চাহিদা পূরণে ভারতের অঙ্গীকারবদ্ধতার সঙ্গেও তা সামঞ্জস্যপূর্ণ। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের স্থির সংকল্পের পথে তা বিশেষ উৎসাহব্যঞ্জক। কারণ আমাদের নীতি হল, একই সঙ্গে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’। এই ক্যাম্পাসটির স্থাপন এক কথায় ভারতের মেধাশক্তির ওপর বিশ্ববাসীর আস্থা ও বিশ্বাসকেই প্রমাণিত করে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত যে সেই সময়কার উপযোগী একটি বিমান তৈরির নক্সা তৈরিতে সাফল্য লাভ করবে আমাদের এই বিশ্বাসের এক বিশেষ উদযাপনের মুহূর্ত হল আজকের এই দিনটি। এই উপলক্ষে আমি আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন জানাই বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত পরিচালন কর্তৃপক্ষ এবং সকল সহযোগী অংশীদারদের। সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
বন্ধুগণ,
কর্ণাটকবাসীদের কাছেও আজ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। গত বছর এশিয়ার বৃহত্তম হেলিকপ্টার উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এই কর্ণাটকেই। এখন আবার এই রাজ্যটি বিশ্ব প্রযুক্তির এই ক্যাম্পাসটি উপহার পেতে চলেছে। কর্ণাটক কিভাবে একটি বড় ধরণের বিমান পরিবহণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, আজকের দিনটি তারই প্রমাণ। আমি আজ বিশেষ ভাবে অভিনন্দন জানাবো ভারতের তরুণ ও যুবসমাজকে। কারণ, আজকের এই ক্যাম্পাসটি থেকে তাঁরা বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
বন্ধুগণ,
আমাদের প্রচেষ্টার মূলে রয়েছে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণে উৎসাহদান। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের সংকল্পের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববাসীর কাছে একথা তুলে ধরেছিলাম যে মহিলা পরিচালিত উন্নয়নের যুগ এখন উপস্থিত। মহাকাশ ও বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার প্রসারে আমরা সচেষ্ট হয়েছি। যুদ্ধ বিমান চালক অথবা অসামরিক বিমান চালক সর্বত্রই মহিলা পাইলটদের নিযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত এখন বিশ্বে অগ্রণী একটি দেশ। আমি বিশেষ গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করতে পারি যে ভারতে বিমান চালকদের মোট সংখ্যার ১৫ শতাংশই অধিকার করে রয়েছেন ভারতীয় মহিলারা, যা কিনা এই ক্ষেত্রটিতে সারা পৃথিবীর সার্বিক গড়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি। সম্প্রতি আমরা বোয়িং সুকন্যা কর্মসূচি নামে যে উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি, তা ভারতের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে দেশের কন্যাসন্তানদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে। এমনকি, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের যে কন্যাসন্তানরা অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল পরিবারের সদস্য হলেও তাদের স্বপ্নের প্রকৃত বাস্তবায়ন ঘটতে চলেছে। কারণ, দরিদ্র পরিবারগুলির মেয়েরাও সুযোগ লাভ করবেন বিমান চালক হয়ে ওঠার। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিমান চালক হয়ে ওঠার উপযোগী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও আমরা করেছি।
বন্ধুগণ,
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে চন্দ্রায়নের ক্ষেত্রে ভারত এক অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যে ক্ষেত্রটিতে এখনও এগিয়ে আসার সাহস দেখাতে পারেনি, ভারত কিন্তু তাই করে দেখিয়েছে। আমাদের এই সাফল্য দেশের যুব সমাজের মধ্যে বৈজ্ঞানিক বোধ ও মানসিকতা গড়ে তুলতেও যথেষ্ট সাহায্য করেছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত চর্চার ক্ষেত্রে ভারত এখন হয়ে উঠেছে বিশ্বের এক অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। আমার সাম্প্রতিক এক বিদেশ সফর কালে ভারতের মেয়েরা এক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী সে সম্পর্কে একজন বিশিষ্ট বিশ্ব নেতা আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন। উত্তরে আমি যখন তাঁকে জানালাম যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত চর্চার ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এখন ভারতে বেশি করে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তখন তিনি বিস্মিত হলেন। আমাদের বোয়িং সুকন্যা কর্মসূচিটি ভারতের কন্যা সন্তানদের অফুরন্ত সম্ভাবনাকে আরও ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
বন্ধুগণ,
আপনারা সকলেই লক্ষ্য করেছেন যে ভারতেরও একটি বিমান পরিবহণ বাজার রয়েছে। গত এক বছরে ভারতের এই বিশেষ ক্ষেত্রটি এক বড় ধরণের রূপান্তর প্রচেষ্টার অধ্যায় অতিক্রম করে এসেছে। বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রটির সঙ্গে যুক্ত সকল সহযোগী অংশীদারদের মধ্যেও এখন তাই নতুন উৎসাহ উদ্দীপনার জোয়ার এসেছে। নির্মাণ ও উৎপাদন শিল্প থেকে পরিষেবা সর্বত্রই ভারতের নতুন নতুন সম্ভাবনার খোঁজ তাঁরা পেয়েছেন। গর্বের কথা ভারত আজ প্রকৃত অর্থেই বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম একটি বিমান পরিবহণ শিল্পের মর্যাদা লাভ করেছে। এদেশের বিমান যাত্রীর সংখ্যা এক দশকের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আমাদের উড়ান কর্মসূচিটি এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে এই রূপান্তর প্রচেষ্টায়। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতের বিমান যাত্রীর সংখ্যা ক্রমান্নয়ে আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। উত্তরোত্তর এই চাহিদা বৃদ্ধির কথা লক্ষ্য করে ভারতীয় বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি শত শত নতুন বিমানের বরাদ দিয়েছে। এই ভাবেই বিশ্বের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ভারত দেশবাসীর মধ্যে নতুন ভাবে উৎসাহ সঞ্চার করতে পেরেছে।
বন্ধুগণ, ভারতের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে আমাদের সার্বিক উৎসাহ উদ্দীপনার বিষয়টি এখন লক্ষ্য করার মতো। এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল যে গত ১০ বছরের মধ্যে এমন কি ঘটনা ঘটল যাতে বিশ্বের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ভারত এই ধরণের এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হল। এই প্রশ্নের উত্তর নিহিত রয়েছে আমাদের অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতার মধ্যে। কারণ, দেশবাসীর আশা-আকাঙ্খাকে আমরা বিশেষ অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিবেচনা করেছি। সেই সঙ্গে আমরা সচেষ্ট রয়েছি দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ ও সরল করে তোলার দিকে। একদা দেশের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রটির অবস্থা এতটাই করুণ ছিল যে আমাদের কাছে তার মোকাবিলা করা হয়ে উঠেছিল এক চ্যালেঞ্জ বিশেষ। দেশের সম্ভাবনাকে কিভাবে বাস্তবে রূপান্তরিত করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের চিন্তা-ভাবনার পথে প্রতিবন্ধকতা ছিল প্রচুর। এই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আমরা যোগাযোগ পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রচেষ্টাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দান করি। ভারত যাতে ভবিষ্যতে বিশ্ব বাজারে অংশগ্রহণের জন্য সংযোগ ও যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের দৃষ্টি ছিল নিবদ্ধ। ২০১৪ সালে ভারতে চালু বিমান বন্দরের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০টি। কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০টিতে। নতুন নতুন বিমান বন্দর স্থাপন ছাড়াও পুরানো বিমান বন্দরগুলির কাজকর্মে দক্ষতাও আমরা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়িয়ে তুলেছি।
বন্ধুগণ,
ভারতে বিমান বন্দর পরিকাঠামোর সম্প্রসারণের সাথে সাথে আকাশপথে মাল পরিবহণের মাত্রাও কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। ফলে, দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিমানযোগে মাল পরিবহণের কাজ এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। এমনকি, এই মালপত্র পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্ববাজারেও। ভারতের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রটি দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়ায় দেশের সার্বিক অগ্রগতি শুধু নিশ্চিত হয়নি, সেই সঙ্গে তা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সহায়ক হয়েছে।
বন্ধুগণ,
ভারত তার বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের ক্রমবৃদ্ধির সাথে সাথে নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রেও বিশেষ উদ্যোগী হয়ে উঠেছে। বিমানের জ্বালানী খাতে ব্যয়ের মাত্রা কমিয়ে আনতে রাজ্য সরকারগুলিকে আমরা উৎসাহিত করেছি এই জ্বালানীর ওপর করের মাত্রা হ্রাস করার জন্য। গিফট সিটিতে আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে, দেশের সার্বিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রটি বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়েছে।
বন্ধুগণ,
লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি উচ্চারণ করেছিলাম এমন একটি কথা যার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল – “এখনই হল সেই সময় – এক প্রকৃত সময়”। ভারতের এই দ্রুত অগ্রগতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এটি হল এক বিশেষ সময় বোয়িং সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর অঙ্গীকারই হল আগামী ২৫ বছরের মধ্যে এক উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্নকে সফল করে তোলার। গত ৯ বছরে ২৫ কোটি ভারতবাসীকে দারিদ্র সীমার ঊর্ধ্বে নিয়ে আসার কাজে আমরা সফল হয়েছি। ফলে, উদ্ভব ঘটেছে এক নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। আমাদের দেশে সকলের আয় ও উপার্জনও উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি, দেশের পর্যটন শিল্পও সম্প্রসারিত হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে। ফলে, আপনাদের সকলের জন্য নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বার এখন ক্রমশ উন্মুক্ত হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
এই সমস্ত সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশে বিমান উৎপাদনের উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতি আমরা গড়ে তুলতে চলেছি। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণুশিল্প ক্ষেত্রটিও ক্রমে প্রসারিত হচ্ছে। আমাদের দেশে গঠিত হয়েছে এক স্থায়ী সরকার এবং নীতিগত পদক্ষেপকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। এসমস্ত কিছু আমাদের মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিকে আরও বেশি করে উৎসাহিত করেছে। দেশের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎসাহ-উদ্দীপনার জোয়ার এসেছে নতুন ভাবে। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে ভারতের আশা-আকাঙ্খা এবং আপনাদের শিল্প প্রসারমুখী কর্ম প্রচেষ্টা এক শক্তিশালী অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চলেছে। আপনাদের সকলকে আমি আরও একবার জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, কারণ আপনারা এই ধরণের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের পাশাপাশি দিব্যাঙ্গজনদের জন্য যথেষ্ট কার্যকর উদ্যোগের স্বাক্ষর রেখেছেন। দেশবাসীর সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে আমি অনুভব ও উপলব্ধি করেছি যে একটি পদ্ধতিগত ব্যবস্থাই শুধুমাত্র গড়ে উঠছে তা নয়, একই সঙ্গে তার সঙ্গে রয়েছে আবেগের এক বিশেষ স্পর্শ। বোয়িং কর্তৃপক্ষের স্থির সংকল্প ও আত্মবিশ্বাস ছাড়া আবেগের এই সম্পর্ক কখনোই গড়ে উঠতো না। এজন্য সমগ্র বোয়িং টিমকে আমি বিশেষ ভাবে অভিনন্দন জানাই।
আপনাদের সকলকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
(প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষটি ছিল হিন্দিতে)
PG/SKD/AS
Delighted to inaugurate @Boeing_In's Engineering & Technology Center in Bengaluru. This facility will serve as a hub for innovation and drive advancements in aviation. https://t.co/jqgAT78gwd
— Narendra Modi (@narendramodi) January 19, 2024
बेंगलुरू, भारत के Tech Potential को Global Demand से जोड़ता है।@Boeing_In का ये नया ग्लोबल टेक्नॉलॉजी कैंपस भी बेंगलुरु की इसी पहचान को सशक्त करने वाला है। pic.twitter.com/8b5eQ2lfQ6
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2024
'Make In India, Make For The World' pic.twitter.com/WE2D4RAhEx
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2024
Aviation और Aerospace Sector में हम महिलाओं के लिए नए अवसर बनाने में जुटे हैं। pic.twitter.com/YN5LcL2RTI
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2024
पिछले एक दशक में भारत का aviation market पूरी तरह से transform हो गया है। pic.twitter.com/F8mWkmLaZH
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2024
Boeing और दूसरी International कंपनियों के लिए भी ये सही समय है।
— PMO India (@PMOIndia) January 19, 2024
ये उनके लिए भारत की तेज़ growth के साथ अपनी growth को जोड़ने का समय है। pic.twitter.com/7AiYGAstFK