Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বিহারের ভাগলপুরে পিএম কিষাণ-এর ১৯তম কিস্তির অর্থ প্রদান, একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

বিহারের ভাগলপুরে পিএম কিষাণ-এর ১৯তম কিস্তির অর্থ প্রদান, একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী


নতুন দিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিহারের ভাগলপুরে পিএম কিষাণের ১৯তম কিস্তির অর্থ প্রদান করেছেন, সূচনা করেছেন একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকুম্ভের এই সময়ে মন্দরাচলের ভূমিতে আসতে পেরে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন। এই অঞ্চলে আধ্যাত্মিকতা, ঐতিহ্য এবং বিকশিত ভারতের অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে। এখানেই শহীদ তিলকা মাঝি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এটি সিল্ক শহর হিসেবেও বিখ্যাত। বাবা অজগাইবিনাথের পবিত্র এই ভূমিতে এখন মহাশিবরাত্রির প্রস্তুতি চলছে। এমন একসময়ে পিএম কিষাণ-এর ১৯তম কিস্তির অর্থ প্রদান করতে পেরে তিনি আনন্দিত। সরাসরি সুবিধা হস্তান্তর পদ্ধতিতে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে বলে তিনি জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারের প্রায় ৭৫ লক্ষ কৃষক পরিবার পিএম কিষাণ প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করেন। আজ তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা জমা পড়ছে। বিহার সহ দেশের প্রতিটি কৃষক পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। 

লালকেল্লায় তাঁর দেওয়া ভাষণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারতের চারটি মূল স্তম্ভ হল দরিদ্র, কৃষক, যুবসমাজ এবং মহিলা। কেন্দ্র অথবা রাজ্য – যে কোন সরকারের কাছেই কৃষক কল্যাণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের এক ক্ষেত্র। গত এক দশকে কৃষকদের প্রতিটি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তাঁরা পূর্ণ উদ্যমে কাজ করেছেন। কৃষকদের ভালো বীজ, সুলভে পর্যাপ্ত সার, জল সেচের সুবিধা দরকার। পালিত পশুদের রোগ থেকে রক্ষা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে হওয়া ক্ষতির হাত থেকে তাদের বাঁচানো প্রয়োজন। আগে এই বিষয়গুলি নিয়ে কৃষকরা চিন্তিত থাকতেন। কিন্তু তাঁর সরকার পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। আগে কৃষকদের ইউরিয়া পাওয়ার জন্য মাথা খুঁড়তে হতো, কালোবাজারে ইউরিয়া কিনতে হতো। কিন্তু আজ তাঁরা পর্যাপ্ত সারের যোগান পান। অতিমারীর সময়ও কৃষকদের সারের অভাব যাতে না হয় সরকার তার ব্যবস্থা করেছিল। তাঁর সরকার না এলে বারাউনি সার কারখানা এখনও বন্ধ পড়ে থাকতো। ভারতীয় কৃষকরা আজ ৩০০ টাকারও কমে সারের বস্তা কিনতে পান। কিন্তু, বহু দেশে সারের বস্তার দাম ৩ হাজার টাকা বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, তাঁর সরকার কৃষক কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই ইউরিয়া এবং ডিএপি-র যে খরচ কৃষকদের বহন করতে হতো, তা কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। গত ১০ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এই বাবদ প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী জানান, কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে গত ৬ বছরে সরকার প্রায় ৩.৭ লক্ষ কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে দিয়েছে। যে সব ক্ষুদ্র কৃষকরা আগে সরকারি প্রকল্পের পূর্ণ সুবিধা পেতেন না, তাঁরা আজ তাঁদের প্রাপ্য পাচ্ছেন। যেসব মধ্যসত্ত্বভোগী আগে ছোট কৃষকদের শোষণ করতো, তাঁর এবং শ্রী নীতীশ কুমারের শাসনে আজ তা বন্ধ হয়েছে। তাঁর সরকার যে পরিমাণ টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে, তা পূর্বতন সরকারগুলি কৃষি বাজেটকেও ছাপিয়ে গেছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। 

শ্রী মোদী বলেন, আগের সরকারগুলির আমলে কৃষকদের সমস্যাকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হতো না। বন্যা, খরা, শিলাবৃষ্টি সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে কৃষকদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হতো। তাঁর সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর পিএম ফসল বীমা যোজনা চালু হয়েছে। এর আওতায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় কৃষকরা ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ভূমিহীন ও ক্ষুদ্র কৃষকদের আয় বাড়াতে পশুপালনে উৎসাহ দিচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্রামগুলিতে প্রায় ১.২৫ লক্ষ লাখপতি দিদি তৈরি হয়েছে। বিহারে রয়েছেন হাজার হাজার জীবিকা দিদি। ভারতের দুগ্ধ উৎপাদন গত এক দশকে ১৪ কোটি টন থেকে বেড়ে ২৪ কোটি টনে পৌঁছেছে। ভারত এখন দুগ্ধ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে। এক্ষেত্রে বিহারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বিহারের দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলি প্রতিদিন ৩০ লক্ষ লিটার দুধ কেনে। এর ফলে বিহারের পশুপালক এবং মা-বোনেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বার্ষিক ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ জমা পড়ে। 

শ্রী রাজীব রঞ্জনের নেতৃত্বে বিহারে ডেয়ারি ক্ষেত্রের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারের দুটি প্রকল্প বর্তমানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। মতিহারির উৎকর্ষ কেন্দ্র থেকে উন্নত প্রজাতির দেশীয় পশুর জন্ম হচ্ছে। বারাউনির দুগ্ধ কারখানা থেকে ওই অঞ্চলে ৩ লক্ষ কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। যুবসমাজের সামনে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাচ্ছে। 

পূর্বতন সরকারগুলি মৎস্যজীবী ও মাঝিদের উন্নয়নে কিছুই করেনি বলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারই প্রথম মৎস্যজীবীদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দিয়েছে। এই সব উদ্যোগের জন্য বিহার মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। ১০ বছর আগে বিহার দেশের প্রথম ১০টি মৎস্য উৎপাদক রাজ্যের মধ্যে ছিল, আজ তা প্রথম পাঁচে উঠে এসেছে। ভাগলপুর গঙ্গার ডলফিনের জন্যও বিখ্যাত। এটি নমামী গঙ্গে প্রচারাভিযানের সুফল। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের উদ্যোগের ফলে ভারত কৃষি রপ্তানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। কৃষকরা এখন তাঁদের ফসলের বেশি দাম পাচ্ছেন। আগে যে সব কৃষিপণ্য কখনও রপ্তানি করা হয়নি, সেগুলি বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছোচ্ছে। এবার বিহারের মাখানাকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের শহরগুলিতে ইতিমধ্যেই প্রাতঃরাশের অঙ্গ হিসেবে মাখানা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একে সুপারফুডের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই বছরের বাজেটে মাখানার উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, মূল্য সংযোজন এবং বিপণনে কৃষকদের সাহায্য করার জন্য মাখানা পর্ষদ গড়ে তোলার ঘোষণা করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহার এখন পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। বিহারে খাদ্য প্রযুক্তি এবং উদ্যোগ সংক্রান্ত জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ঘোষণা করেন তিনি। এছাড়া কৃষি সংক্রান্ত তিনটি উৎকর্ষ কেন্দ্রও রাজ্যে স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে একটি হবে ভাগলপুরে, সেখানে জর্দালু প্রজাতির আম নিয়ে কাজ হবে। অন্য দুটি গড়ে উঠবে মুঙ্গের ও বক্সারে। সেগুলি টমেটো, পেঁয়াজ এবং আলু চাষীদের সাহায্য করবে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত বর্তমানে বস্ত্র ক্ষেত্রেও অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে। বস্ত্র ক্ষেত্রের উন্নয়নে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভাগলপুরের রেশম ও তসর সারা ভারতে প্রসিদ্ধ। এখানকার তসরের চাহিদা অন্যান্য দেশেও বেড়ে চলেছে। রেশম ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ জোর দিচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সব উদ্যোগ ভাগলপুরের তাঁতিদের কাছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেবে, তাঁদের পণ্য সারা বিশ্বে পৌঁছে যাবে। 

বিহারের পরিবহণ সমস্যা দূর করতে সরকার বিভিন্ন নদীর ওপর অজস্র সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। গঙ্গার ওপর দিয়ে ১,১০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে চার লেনের একটি সেতু গড়ে তোলা হচ্ছে। 

বন্যার কারণে বিহারকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যা দূর করতে সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই বছরের বাজেটে পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পে অর্থ সাহায্যের সংস্থান রাখা হয়েছে। এর ফলে, মিথিলা অঞ্চলে ৫০ হাজার হেক্টর জমি জলসেচের আওতায় আসবে, উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ কৃষক। 

কৃষকদের উপার্জন বাড়াতে তাঁর সরকার একাধিক স্তরে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন, আরও বেশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন এবং ভারতীয় কৃষকদের পণ্য বিশ্ব বাজারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই বছরের বাজেটে পিএম ধনধান্য যোজনার ঘোষণা করা হয়েছে। এর আওতায় শস্য উৎপাদনের দিক থেকে সব থেকে পিছিয়ে পড়া ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করে উৎপাদনশীলতা বাড়াবার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সারা দেশে ১০ হাজারটি কৃষক উৎপাদক সংস্থা এফপিও প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ১০,০০০তম এফপিও-টি বিহারের খাগারিয়া জেলায় স্থাপিত হয়েছে। এগুলি নিছক সংস্থা নয়, কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধির এক অভূতপূর্ব শক্তি। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকরা বাজারের সরাসরি নাগাল পাবেন। বর্তমানে দেশের প্রায় ৩০ লক্ষ কৃষক এফপিও-গুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এর প্রায় ৪০ শতাংশই মহিলা। এই এফপিও-গুলি কৃষি ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছে। এফপিও সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। 

বিহারের শিল্পোন্নয়নের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহার সরকার ভাগলপুরে একটি বড় মাপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে চলেছে। এতে কয়লার যোগানের যাতে কোন সমস্যা না হয়, কেন্দ্রীয় সরকার তা সুনিশ্চিত করছে। এখানকার উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিহারের উন্নয়নে গতি আনবে এবং বিহারের যুবসমাজের কাছে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন। 

শ্রী মোদী বলেন, বিহার পূর্ব ভারতের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। বিকশিত ভারতের উত্থান শুরু হবে পূর্বোদয় থেকে। প্রাচীন ভারতে বিহার যে মর্যাদায় আসীন ছিল উন্নত ভারতে সেই আসন আবার ফিরে আসবে। তাঁর সরকার বিহারে আধুনিক সংযোগ স্থাপন, সড়ক নেটওয়ার্কের বৃদ্ধি এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রসারে অঙ্গীকারবদ্ধ। মুঙ্গের থেকে ভাগলপুর হয়ে মির্জা চৌকি পর্যন্ত ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন মহাসড়ক গড়ে তোলার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ভাগলপুর থেকে অংশদিওয়া পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। বিক্রমশিলা থেকে কাটারির মধ্যে একটি রেল সেতু ও নতুন রেললাইন পাতা হবে বলে তিনি জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাগলপুর সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের দিক থেকে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। প্রাচীনকালে বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বজ্ঞানের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। সরকার নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে। নালন্দার পরে বিক্রমশিলাতেও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়াগরাজে ভারতের আস্থা, ঐক্য ও সমন্বয়ের সর্ববৃহৎ উৎসব মহাকুম্ভ চলছে। যে সংখ্যক মানুষ মহাকুম্ভে এসেছেন তার সংখ্যা ইউরোপের সমগ্র জনসংখ্যার থেকেও বেশি। বিহারের বহু গ্রাম থেকেও ভক্তরা মহাকুম্ভে যোগ দিতে গেছেন। কিছু মানুষ যাঁরা রামমন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁরা আজ মহাকুম্ভেরও সমালোচনা করছেন। মহাকুম্ভকে যাঁরা অপমান করছেন, বিহার তাঁদের কোন দিনই ক্ষমা করবে না। বিহারের উন্নয়নে তাঁর সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাবে। 

বিহারের রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খান, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, শ্রী জিতেনরাম মাঝি, শ্রী গিরিরাজ সিং, শ্রী লালন সিং, শ্রী চিরাগ পাসওয়ান, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামনাথ ঠাকুর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 
 

SC/SD/AS